- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today - Unit 9 Lesson 3 Shilpi
The Story of Shilpi
Shilpi was only 15 years old when she married Rashid in 2008. Marrying off daughters at an early age is a standard practice for many families living in rural Bangladesh. After her wedding, Shilpi joined a local empowerment group that provides adolescent girls with the tools needed to gradually change cultural practices, particularly those pertaining to early marriage and pregnancy. The group's activities include discussions on how to most effectively change behaviour related to reproductive health as well as one-on-one counselling. It also offers peer-to-peer support and life skills training that help adolescents say no to early marriage. The empowerment group is one of more than 10,000 groups supported by some local Non Government Organizations (NGOs) working all over Bangladesh. These NGOs work through Canada's Adolescent Reproductive Health Project which also aims to increase access to quality health services for adolescents. During one of the group sessions, Shilpi came to understand the potentially harmful effects of early marriage and pregnancy.
While maternal mortality in Bangladesh has declined by more than 50 percent since 2001, the rate remains high with 173 maternal deaths per 100,000, live births in 2017-dropping from 322 in 2001. Girls who get pregnant are at risk of serious health complications. These include dangerous hemorrhage and fistula, a painful internal injury caused by obstructed childbirth that commonly leads to serious maternal morbidities and social exclusion.
When Shilpi heard about those risks, she invited her husband, Rashid, to discuss pregnancy with a counsellor. After hearing about the risks, Rashid agreed to delay having children for five years despite pressures from his parents and neighbours to produce an offspring. Together, the couple met with a female health care provider, who informed them about the various family planning options available.
Shilpi's mother-in-law and neighbours continued to pressurize the newlyweds. Deeply rooted cultural practices and traditions caused a rift between Shilpi and Rashid and their extended family, some of whose members insulted and criticized the couple. Unable to convince their close relatives of the risks, Shilpi and Rashid returned to the counsellor. They took the help of a parent peer who had been trained to speak to other parents about adolescent issues. Shilpi's mother-in-law and neighbours eventually came to understand the harmful effects of early pregnancy on mother and child.
After that, the villagers no longer pressurises the couple; their parents and neighbours began to support them and speak out against early marriage and pregnancy.
শিল্পীর গল্প
২০০৮ সালে শিল্পী যখন রশিদকে বিয়ে করে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। গ্রামীণ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী অনেক পরিবারের জন্য এত অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া একটি সাধারণ প্রথা । তার বিয়ের পর শিল্পী একটি স্থানীয় ক্ষমতায়ন দলে যোগদান করে যারা কিশোরীদের বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করে যেগুলো সামাজিক প্রথা ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য বিশেষ করে বাল্যবিবাহ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয়। কীভাবে সবচেয়ে কার্যকরভাবে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আচরণ পরিবর্তন করা যায় এবং একজনের সাথে এককভাবে আলোচনা দলের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ।
এছাড়াও এটি এক সদস্যের মাধ্যমে অপর সদস্যকে সমর্থন এবং জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করে যা কিশোরীদের বাল্যবিবাহকে না বলতে সাহায্য করে। এই ক্ষমতায়ন দল সারা বাংলাদেশে জুড়ে কাজ করা কিছু স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) দ্বারা সমর্থিত ১০,০০০ এরও বেশি দলের একটি । এই এনজিওগুলো কানাডার কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে যে প্রকল্পের লক্ষ্য হল কিশোরীদের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা বৃদ্ধি করা । একটি দলীয় অধিবেশনের সময় শিল্পী বাল্যবিবাহ ও গর্ভধারণ এর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিল।
বাংলাদেশে যেখানে ২০০১ সাল থেকে মাতৃমৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ বেশি, এ হার উঁচু রয়ে গেছে ২০১৭ সালে প্রতি ১০০,০০০ জীবিত সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে ১৭৩ টি মাতৃমৃত্যু যা ২০০১ এর ৩২২ টি থেকে কমেছে। যেসব মেয়েরা গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে তারা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে। এসব ঝুঁকির মধ্যে বিপজ্জনক রক্তক্ষরণ ও ফিস্টুলা (নলাকৃতির দীর্ঘ ক্ষত), বাধাপ্রাপ্ত শিশুজন্মের কারণে সৃষ্ট বেদনাদায়ক অভ্যন্তরীণ আঘাত যা সাধারণত গুরুতর মাতৃত্বজনিত অসুস্থতার দিকে নিয়ে যায় এবং সামাজিক বর্জন অন্তর্ভুক্ত।
শিল্পী যখন এসব ঝুঁকি সম্পর্কে শুনল, তখন সে তার স্বামী রশিদকে একজন পরামর্শদাতার সঙ্গে গর্ভাবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানাল। ঝুঁকি সম্পর্কে শোনার পর রশিদ সন্তান নিতে পাঁচ বছর বিলম্ব করতে সম্মত হয় যদিও সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে তার বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের দিক থেকে চাপ ছিল এই দম্পতি একত্রে একজন মহিলা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে দেখা করেন যিনি তাদের পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করে।
শিল্পীর শাশুড়ি ও প্রতিবেশীরা নবদম্পতিদের উপর চাপপ্রদান অব্যাহত রাখে । গভীরে প্রথিত সামাজিক প্রথা ও ঐতিহ্য শিল্পী ও রশিদ এবং তাদের বর্ধিত পরিবারের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে এবং ঐ পরিবারের কিছু সদস্য তাদের অপমান এবং সমালোচনা করে। তাদের নিকট আত্মীয়দের বুঝাতে অক্ষম হয়ে শিল্পী এবং রশিদ পরামর্শদাতার নিকট ফিরে আসেন। কৈশোরের বিষয় সম্পর্কে অন্য পিতামাতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়েছে একটি পিতা বা মাতা সদস্যের সাহায্য গ্রহণ করে তারা । শিল্পীর শাশুড়ি ও প্রতিবেশীরা অবশেষে মা এবং সন্তানের জন্য অল্পবয়সে গর্ভাবস্থার ক্ষতিকর প্রভাব বুঝতে পারে।
এর পর থেকে আর গ্রামে ঐ দম্পতির উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় না; তাদের বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা তাদের সমর্থন করতে শুরু করে এবং বাল্যবিবাহ ও গর্ভধারণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।