- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 1
বাংলার পৌরাণিক কাহিনী
I have seen Bengal’s face
By Jibanananda Das
Because I have seen Bengal’s face I will seek no more,
The world has not anything more beautiful to show me.
Waking up in darkness, gazing at the fig-tree, I behold
Dawn's swallows roosting under huge umbrella-like leaves.
I look around me and discover a leafy dome,
Jaam, Kanthal, Bat, Hijol and Aswatha trees all in a hush,
Shadowing clumps of cactus and zedoary bushes.
When long, long ago, Chand came in his honeycombed boat
To a blue Hijal, Bat Tamal shade near the Champa, he too sighted
Bengal’s incomparable beauty. One day, alas, in the Ganguri,
On a raft, as the waning moon sank on the river’s sandbanks,
Behula too saw countless aswaths bats besides golden ricefields
And heard the thrush’s soft song. One day, arriving in Amara,
Where gods held court, when she danced like a desolate wagtail,
Bengal’s rivers, fields, flowers, wailed like strings of bells on her feet.
Translation of Jibanananda Das's "Banglar Mukh Ami" by Fakrul Alam
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
জীবনানন্দ দাস
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব'সে আছে
ভোরের দোয়েলপাখি-চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশথের ক'রে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে!
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল : বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে-
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিলো- একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিলো ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।
Myths of Bengal
Behula is a legendary folk heroine and one of the main characters of Manasamangal, a medieval epic. She was the daughter of Sayven of Ujaninagar. Lakhindar was the youngest son of Chand Saodagar of Champaknagar. Behula grew up to be a beautiful and intelligent woman and was married to Lakhindar. Chand Saodagar, a devotee of Shiva, had boasted that he was cleverer and stronger than Manasa, the snake goddess. He built an iron chamber for Lakhindar, believing it to be impregnable. However on the wedding night of Behula and Lakhindar, Manasa sent a snake to kill Lakhindar. The snake made itself as fine as a strand of hair and, entering the chamber through a minute hole, bit Lakhindar.
Behula refused to accept her husband's death. She placed her husband's corpse on a banana raft and set out on a hazardous journey towards the abode of the gods. Despite all the dangers and temptations she encountered, Behula continued her journey and finally succeeded in reaching the abode of the gods. She pleaded for her husband's life and promised Manasa that Chand Saodagar would worship her. Moved by Behula's love for her husband, Manasa not only restored Lakhindar but also his brothers whom she had killed earlier.
Behula returned home with her husband and brothers-in-law, and Chand Saodagar finally bowed before the might of Manasa. Lakhindar and Behula then returned to their heavenly abode as Aniruddha and Usa.
[from: http://en.banglapedia.org/index.php?title=Behul
বঙ্গানুবাদ :
বেহুলা লক্ষিন্দর
বেহুলা হচ্ছে একজন পৌরাণিক লোককথার নায়িকা এবং মধ্যযুগীয় মঙ্গলের অন্যতম প্রধান চরিত্র। সে উজানীনগরের সায়বেনের কন্যা। লখিন্দর ছিলেন চম্পকনগরের চাঁদ সওদাগরের কনিষ্ঠ পুত্র। বেহুলা একজন সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী মহিলা হয়ে বেড়ে ওঠে এবং লখিন্দরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শিবের ভক্ত চাঁদ সওদাগর গর্ব করেছিলেন যে তিনি সর্প দেবী মনসার চেয়েও অধিকতর চালাক এবং শক্তিশালী। তিনি এই বিশ্বাসে লখিন্দরের জন্য একটি দুর্ভেদ্য লোহার ঘর নির্মাণ করেন। তবে বেহুলা ও লখিন্দরের বিয়ের রাতে মনসা লখিন্দরকে হত্যা করার জন্য একটি সাপ পাঠায়। সাপটি নিজেকে কেশগুচ্ছের মতো মিহি করে তোলে এবং একটি ক্ষুদ্র গর্ত নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে লখিন্দরকে দংশন করে। বেহুলা তার স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে অস্বীকার করে। সে তার স্বামীর মৃতদেহ একটি কলার ভেলায় রাখে এবং দেবতাদের আবাসস্থলের দিকে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে। সমস্ত বিপদ এবং প্রলোভনের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, বেহুলা তার যাত্রা অব্যাহত রাখে এবং অবশেষে দেবতাদের আবাসস্থলে পৌঁছাতে সফল হয়। সে তার স্বামীর জীবন কামনা করেন এবং মনসাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে চাঁদ সওদাগর তার পূজা করবেন। স্বামীর প্রতি বেহুলার ভালবাসায় অভিভূত, মনসা শুধু লখিন্দরকেই ফিরিয়ে দেয়নি, তার ভাইদেরও ফিরিয়ে দিয়েছিল যাদের সে আগে হত্যা করেছিল। বেহুলা তার স্বামী এবং ভাসুরদের সাথে বাড়ি ফিরে আসে এবং চাঁদ সওদাগর অবশেষে মনসার শক্তির সামনে মাথা নত করেন। লখিন্দর এবং বেহুলা তারপর অনিরুদ্ধ এবং ঊষা হিসাবে তাদের স্বর্গীয় আবাসস্থলে ফিরে আসে।