- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today Unit 4 Lesson 1
A public speech delivered by Sheikh Mujibur Rahman on March 7, 1971.
My brothers,
I stand before you today with a heart overflowing with grief. You are fully aware of the events that are going on and understand their import. We have been trying to do our best to cope with the situation. And yet, unfortunately, the streets of Dhaka, Chattogram, Khulna, Rajshahi and Rangpur are awash with the blood of our brothers. The people of Bengal now want to be free, the people of Bengal now want to live, and the people of Bengal now want their rights.
What have we done that was wrong? After the elections, the people of Bangladesh voted as one for me, for the Awami League. We were to sit in the National Assembly, draft a constitution for ourselves there, and build our country; the people of this land would thereby get economic, political, and cultural freedom. Bat it is with regret that I have to report to you today that we have passed through twenty-three tragic years; Bengals history of those years is full of stories of torture inflicted on our people, of bloodshed by them repeatedly. Twenty-three years of a history of men and women in agony!
The history of Bengal is the history of a people who have repeatedly made their highways crimson red with their blood. We shed blood in 1952: even though we were the victors in the elections of 1954, we could not form a government then. In 1958 Ayub Khan declared Martial Law to enslave us for the next ten years. In 1966 when we launched the Six Point Movement, our boys were shot dead on 7 June. When after the movement of 1969 Ayub Khan fell from power and Yahya Khan assumed the reins of the government, he declared that he would give us a constitution and restore democracy; we listened to him then. A lot has happened since then and elections have taken place.
[...]
I have had a talk with Mr. Yahya Khan. I told him, “Mr. Yahya, you are the President of Pakistan; come and observe how the poor people of my country are being mowed down with bullets; come and see how our mothers are being deprived of their children; how my people are being massacred. Come, observe, and only then pass a judgement on what is going on. He has apparently said that I had agreed to attend a Round Table Conference on the 10th of March. Didn’t I say a long time back: what is the point of another Round Table conference? Who will I sit with?
Should I sit with those who have shed the blood of my people? He has suddenly dissolved the Assembly without carrying out any discussions with me; after sitting in a secret meeting for five hours he gave a speech where he has put all the blame on me. He has even blamed the Bengali people!
My brothers,
The Assembly has been called into session on the 25th of March. But the blood spilled on our streets has not yet dried. About the 10th of this month, I have told them: Mujibur Rahman won't join the Round Table Conference because that would mean wading over the blood that has been shed. Although you have called the Assembly into session, you’ll have to listen to my demands first. You’ ll have to withdraw Martial Law. You'll have to return all army personnel to their barracks. You’ ll have to investigate the way our people have been murdered. And you’ll have to transfer power to the representatives of the people. It is only then that will we decide whether we will take our seats in the Assembly or not. I don't want the Prime Minister’s office. We want the people of this country to have their rights.
[...]
On the 28th employees will go and collect their salaries. If their salaries are not paid, if another bullet is fired, if my people are shot dead again, I request all of you: convert every house into a fort; confront the enemy with whatever you have. And even at the risk of your life, and even if I am not around to direct you, shut down all shops and make sure that traffic on all roads and ports are brought to a standstill. If need be, we will starve to death, but we'll go down striving for our rights.
To those in the armed forces I have this to say: you are our brothers; stay in your barracks and no one will bother you. But don’t try again to aim your bullets at our chests. You can’t suppress seventy million people forever. Since we have learned to sacrifice ourselves no one can suppress us anymore.
Remember: since we have already had to shed blood, we’ll have to shed a lot more of it; by the Grace of God, however, we'll be able to liberate the people of this land. The struggle this time is a struggle for our emancipation - the struggle this time is a struggle for freedom.
Joi Bangla!
বঙ্গানুবাদ :
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ভাষণ।
ভাইয়েরা আমার,
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি । কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
কী অন্যায় করেছিলাম? নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করব এবং এদেশকে আমরা গড়ে তুলব। এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সাথে বলতে হয় ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস।
বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারিনি। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল' জারী করে ১০ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে ৭ জুন আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালের আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন- গণতন্ত্র দেবেন, আমরা মেনে নিলাম। তারপর অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো।
ইয়াহিয়া খান সাহেবের সাথে আমার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপর, আমার মানুষের বুকের উপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তিনি বললেন, আমি নাকি স্বীকার করেছি ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি কীসের রাউন্ড টেবিল, কার সাথে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের সাথে বসবো? আমার সাথে পরামর্শ না করে পাঁচ ঘন্টার গোপন বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি দিয়েছেন তাতে সমস্ত দোষ তিনি আমার উপর দিয়েছেন, বাংলার মানুষের উপর দিয়েছেন।
ভাইয়েরা আমার,
২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঐ শহীদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। অ্যাসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবি মানতে হবে। প্রথমে সামরিক আইন ('মার্শাল ল') উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না।
আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। ২৮ তারিখ কর্মচারী গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এরপর যদি বেতন দেয়া না হয়, আর যদি একটি গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় - তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমাদের ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।
মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা ।