- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4
Khona
The mythical story of Khona is deeply rooted in Bangla folklore. Khona, originally named Lila, an incredible woman with a gift for predicting weather and understanding the ways of farming. Her wisdom was shared through memorable rhyming verses known as “Khona's Words" or "Khonar Bochon." These sayings, though simple and easy to remember, were filled with practical advice for farmers.
Khona used her knowledge to help the peasants, but her actions often challenged the ruling class. The rulers, not pleased with her defiance, punished her cruelly by cutting out her tongue. Thus she became known as Khona, which means “someone who cannot speak." Despite this harsh punishment, her wisdom lived on through her sayings, which have been passed down for over 1500 years.
There are many versions of Khona's story. One retelling goes like this: in the kingdom of Deyulnagar, there was a royal astrologer named Varaha who served King Dharmaketu. Sadly, Varaha's wife died while giving birth to their son, Mihir. Worried about his son's future, Varaha saw in the stars that Mihir was destined for a life of trouble and death. Heartbroken, Varaha decided to save Mihir by placing him in a copper pot and setting the pot afloat on the river Viddyadhory. The baby was found and rescued in Sri Lanka, where he was raised by the king. As he grew up in the royal court, he married the king's daughter, an astrologer herself, named Lila.
Lila and Mihir managed to find Varaha and prove that his predictions about Mihir's future had been wrong. Varaha, though surprised by his mistake, was thrilled to see his son again and welcomed both Mihir and Lila warmly. They were soon introduced to the royal court and became royal astrologers themselves.
Even though Lila was now a royal astrologer, she kept in touch with the local farmers. She learned a lot from them and found that they shared valuable knowledge through short, easy-to-remember verses. Lila began to use these simple verses to explain her own complex astrological knowledge.
Varaha, feeling jealous and angry, ordered his son to punish Lila by cutting out her tongue, hoping to silence her. However, Khona's story and her knowledge remained alive. Her wisdom about nature-oriented farming continued to benefit the people of the land.
বঙ্গানুবাদ :
খনা
খনার পৌরাণিক কাহিনী বাংলার লোককথায় গভীরভাবে প্রোথিত। খনার আসল নাম ছিল লীলা, যিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাধর এমন একজন নারী যিনি আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে এবং কৃষির নিয়ম-কানুন বোঝার অসাধারণ ক্ষমতা রাখতেন। ছন্দময় ছোট ছোট পদাবলীর মাধ্যমে তাঁর জ্ঞান ছড়িয়ে পড়েছিল, যা “খনার বচন” নামে পরিচিত। এই বচনগুলো সহজ ও সংক্ষিপ্ত হলেও এতে ছিল গভীর জ্ঞান এবং কৃষকদের জন্য কার্যকর পরামর্শ।
খনা তার জ্ঞান দিয়ে চাষীদের সহায়তা করতেন, তবে তাঁর কার্যক্রম প্রায়ই শাসক শ্রেণীর বিরোধিতা করত। শাসকেরা খনার এই “অবাধ্যতা” মেনে নিতে পারেননি আর তাই তার জিভ কেটে ফেলে তাকে নিষ্ঠুর শাস্তি দেওয়া হয়। ফলে, তিনি হয়ে যান “খনা,” যার অর্থ “যে কথা বলতে পারে না।” তবুও, তার এই কঠিন শাস্তির পরও, তার জ্ঞান তার বচনগুলোর মাধ্যমে টিকে রয়েছে এবং প্রায় ১৫০০ বছর ধরে তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে।
খনার কাহিনীর অনেকগুলো সংস্করণ আছে। একটি কাহিনীতে বলা হয়, দেউলনগর রাজ্যে ধর্মকেতু নামে এক রাজার রাজ-জ্যোতিষী ছিলেন বরাহ। বরাহের স্ত্রী সন্তান প্রসবকালে মারা যান এবং তাদের পুত্র সন্তানের নাম রাখা হয় মিহির। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বরাহ ভাগ্য গণনা করে দেখতে পান যে ভবিষ্যতে মিহিরের জন্য অশান্তিময় জীবন আর অপঘাতে মৃত্যু অপেক্ষা করছে। ভেঙে পড়া বরাহ তার ছেলেকে রক্ষা করার জন্য তাকে তামার একটি পাত্রে রেখে বিদ্যাধরী নদীতে ভাসিয়ে দেন। শিশুটি শ্রীলঙ্কায় উদ্ধার হয় এবং সেখানকার রাজা তাকে লালন-পালন করেন। রাজ দরবারে বড় হতে হতে মিহির রাজকন্যা লীলাকে বিয়ে করেন, যিনি নিজেও একজন জ্যোতিষী ছিলেন।
লীলা ও মিহির বরাহকে খুঁজে বের করেন এবং প্রমাণ করেন যে মিহির সম্পর্কে বরাহের ভাগ্য গণনা ভুল ছিল। বরাহ তার ভুল দেখে অবাক হলেও ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি হন এবং মিহির ও লীলাকে সাদরে গ্রহণ করেন। তাদের রাজ দরবারেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং তারা নিজেরাও রাজ-জ্যোতিষী হয়ে ওঠেন। লীলা তখন রাজ-জ্যোতিষী হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতেন এবং তাদেরকে সহজ ও সংক্ষিপ্ত ছন্দের মাধ্যমে মূল্যবান জ্ঞান বিনিময় করতে দেখতেন। লীলা এই সহজ ছন্দ গুলো ব্যবহার করে তার নিজের জটিল জ্যোতিষ বিদ্যা বোঝাতে শুরু করেন।
বরাহ, ঊর্ষান্বিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে, তাঁর ছেলে মিহিরকে আদেশ দেন লীলাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এবং তাঁর জিভ কেটে ফেলার জন্য, যাতে তাঁকে নীরব করা যায়। তবে, খনার কাহিনী ও তার জ্ঞান আজও টিকে আছে। তার প্রকৃতি নির্ভর কৃষি সম্পর্কিত জ্ঞান সে সময়ের কৃষকদের অনেক কাজে লেগেছে