- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das
I had not failed my country
Brojen Das
I could hear very faint voices as if coming from the other side of the world. The time was about 4:00 in the morning and the date September 22, 1961. I was feeling tired and exhausted and was encountering stiff opposition from the strong tide. I looked towards my accompanying motorboat carrying my manager Quazi Mohammad Ali, skipper Len Hutchinson and the official observer, Mr, J. U. Wood. They were all pointing towards the Kent shore. As I looked up, I could see flashes. I realized I was very close to the shore.
I asked what the time was and how far I had still to go. They told me that if I put the last ounce of energy into my swimming, I would set a new world record for France to England swim. This electrified me. The goal for which I had been striving for the past four years could be mine. The aim, which goaded me to swim the Channel six times, each time risking my life and reputation, was so close. Yet it could be far...
Treachery of Weather
The Channel, with its cold biting water, the winds, the waves and the tides does not make things easier. The unpredictable weather changes for the worse after a swimmer jumps in. It has never, to my knowledge, changed for the better for anyone yet... Apart from stamina and practice of long distance swimming, one must have the grit, determination and courage to subdue the Channel. Weather and ill luck have conspired and joined hands many a time to defeat Channel swimmers. They had defeated me no less than five times....
The final shot
On the morning of 9 September 1961, after finishing my swim, I had gone to bed. The BBC TV cameramen filmed me in my bed. Although very tired after swimming for 11 hours and 48 minutes, I could not fall asleep. The thought that I had once again failed my country, friends and fans was disturbing me. After only four hours sleep the following night, I decided to try again - for the sixth time... had fixed the tentative date for September 20. On that day I took the ferry to Calais.
Sea Sick
I get sea-sick in the ferry and also during swimming if there are breakers or waves. This sea sickness was the main cause of my failure to set a world record on September 8/9 or even in 1960.
The night rest at the Cap Gris Nez hotel did me immense good. I felt on top of the world. The weather on September 21 was near perfect. I jumped into the water within 12 days of my 5th swim, a record in itself, after saying a little prayer, asking God to give me good weather all through and to crown me with success. Nearly the whole of Cap Gris Nez village had turned out to wish me luck and see me enter the water for the sixth time....
Plunge And After
Once in water, you get oblivious of time, distance or direction. The only thought which kept me worried, was that I must make it and that I must get good weather all the way. The second half of the swim is always very difficult. And if even little waves develop, it saps the ebbing energy of the swimmer all the more. Taking a lesson from my previous swims I kept my speed at a steady pace for I knew I would need every ounce of my energy towards the close....
I felt, hungry and famished and shouted for my manager. In reply, I was told that I could not afford to waste 10 minutes in having the feed! If I have to break the record, I must swim on with all my might. But I refused... I am sorry now for it. For if I had gone on, I might have finished the whole swim in fess than 10 hours and 15 minutes creating a new world record from both sides....
Last Efforts
After the feed I really got my teeth into the strokes.... I was squeezing my body for the last drop of energy I could get out of it.... and edged on inch by inch. The people in the motorboat were cheering me. I saw the flash on the Kent shore very clearly. | realized I was very close. I could see the record, like the proverbial carrot, dangling before my swollen eyes....
I kept pulling myself on ... a little more, just a little more... the momentum was building up then I felt rocks, sharp and craggy... Then a big rock appeared before me. And that was it.... the shore it .was...the time: 4.35 a.m. GMT. I had broken the world record by 15 minutes. I thanked God for fulfilling my life's ambition. Then I remembered my parents. I had not failed my country.
বঙ্গানুবাদ :
আমি আমার দেশকে ব্যর্থ হতে দেইনি
ব্রজেন দাস
আমি খুব ক্ষীণ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছিলাম যেন পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে আসছিলো। সময়টা ছিল ভোর প্রায় ৪টা এবং তারিখ ছিল ২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯৬১ । আমি ক্লান্ত ও নিস্তেজ বোধ করছিলাম এবং প্রবল জোয়ারের তীব্র বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলাম । আমি আমার ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ আলী, অধিনায়ক লেন হাচিনসন এবং অফিসিয়াল পর্যবেক্ষক মিঃ জে ইউ উডকে বহনকারী আমার সহগামী মোটরবোটের দিকে তাকালাম । তারা সবাই কেন্ট তীরের দিকে ইশারা করছিল। আমি উপরের দিকে তাকালাম, আমি আলোর ঝলকানি দেখতে পাচ্ছিলাম । বুঝলাম আমি তীরের খুব কাছে এসেছি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম সময় কত এবং আমার এখনও কতদূর যেতে হবে। তারা আমাকে বলেছিল যে, আমি যদি আমার শক্তির সবটুকু সাঁতারে দিই, আমি ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড পর্যন্ত সাঁতারে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ব। এটা আমার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে দিল। যে লক্ষ্যের জন্য আমি গত চার বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম সেটি আমার নিজের হতে পারে। প্রতিবার আমার জীবন এবং খ্যাতির ঝুঁকি নিয়ে আমাকে ছয়বার সাঁতার কেটে চ্যানেল অতিক্রম করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল যে লক্ষ্য, তা খুব কাছাকাছি। তবুও এটা অনেক দূরে হতে পারে....
আবহাওয়ার বিশ্বাসঘাতকতা
শরীর হিম করা পানি, বাতাস, ঢেউ এবং জোয়ার, সবকিছু মিলিয়ে চ্যানেল কোন কিছুকে সহজতর করে তোলে না। একজন সাঁতারু ঝাঁপ দেওয়ার পরে আবহাওয়ার অনিশ্চিত পরিবর্তন আরও খারাপ হয়ে যায় । আমার জানা মতে, এটি এখনও কারও জন্য ভালোর জন্য পরিবর্তিত হয়নি... শক্তিমত্তা এবং দীর্ঘ-দূরত্বের সাঁতারের অনুশীলন ছাড়াও চ্যানেলকে বশ করার একজনের অবশ্যই দৃঢ়তা,দৃঢ় সংকল্প ও সাহস থাকতে হবে। চ্যানেল সাঁতারুদের পরাস্ত করার জন্য আবহাওয়া এবং দুর্ভাগ্য অনেকবার ষড়যন্ত্র করেছে এবং হাত মিলিয়েছে। ওরা আমাকে অন্তত পাঁচবার পরাজিত করেছে...
শেষ চেষ্টা
১৯৬১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সকালে, সাঁতার কাটা শেষ করে আমি বিছানায় গিয়েছিলাম। বিবিসি-টিভির ক্যামেরাম্যানরা আমি বিছানায় থাকা অবস্থায় চিত্র ধারণ করে। যদিও ১১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট সাঁতার কেটে খুব ক্লান্ত ছিলাম, তারপরও আমি ঘুমাতে পারিনি । আমি আবারও আমার দেশ, বন্ধু-অনুরাগীদের ব্যর্থ করেছি - এই ভাবনা আমাকে জ্বালাতন করছিল। পরের রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমানোর পর আমি আবার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিলাম - ষষ্ঠবারের জন্য....আমি ২০ সেপ্টেম্বরের জন্য অস্থায়ী তারিখ ঠিক করেছিলাম । সেদিনই আমি ফেরি করে ক্যালাইসে গেলাম ।
সমুদ্র পীড়া
আমি ফেরিতে এবং সাঁতার কাটার সময় যদি ঢেউ থাকে তাহলে সমুদ্র-পীড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। এই সমুদ্র-পীড়াই ৮/৯ সেপ্টেম্বর বা এমনকি ১৯৬০ সালে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে না পারার প্রধান কারণ ছিল । ক্যাপ গ্রিস নেজ হোটেলে রাতের বিশ্রাম আমার অনেক উপকার করেছিল । আমি অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম। ২১শে সেপ্টেম্বর আবহাওয়া একদম উপযোগী ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটু প্রার্থনা করে অনুরোধ করি যেন আমি সর্বত্র ভালো আবহাওয়া পাই এবং সাফল্যের মুকুট যেন আমাকে ধরা দেয় এবং তারপর আমি আমার ৫ম সাঁতারের ১২ দিনের মধ্যে আবার জলে ঝাঁপ দিই যা ছিল একটি রেকর্ড। ক্যাপ গ্রিস নেজ এর প্রায় সবাই আমাকে শুভ কামনা জানাতে এবং আমাকে ষষ্ঠবারের মতো জলে প্রবেশ করতে দেখেছিল ।
নিমজ্জন এবং পরে
কেউ একবার জলে গেলে, সে সময়, দূরত্ব বা দিক ভুলে যায় । একমাত্র চিন্তা যা আমাকে উদ্বিগ্ন করে রেখেছিল, তা হল আমাকে অবশ্যই এটি করতে হবে এবং আমাকে অবশ্যই ভাল আবহাওয়া পেতে হবে পুরো পথ জুড়ে। সাঁতারের দ্বিতীয়ার্ধ সবসময় খুব কঠিন। এমনকি যদি সামান্য তরঙ্গও বিকাশ লাভ করে, তবে এটি সাঁতারুর শক্তিকে আরও বেশি করে ক্ষয় করে। আমার পূর্ববর্তী সাঁতার থেকে একটি শিক্ষা নিয়ে আমি আমার গতি একই রকম রেখেছিলাম কারণ আমি জানতাম যে আমার শক্তির প্রতিটি অংশ প্রয়োজন হবে শেষের দিকে......আমি ক্ষুধার্ত বোধ করায় আমার ম্যানেজারের জন্য চিৎকার করেছিলাম । উত্তরে আমাকে বলা হয়েছিল যে আমি খাবারের জন্য ১০ মিনিট সময় নষ্ট করতে পারি না! যদি আমাকে রেকর্ড ভাঙতে হয়, আমাকে আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে সাঁতার কাটতে হবে। কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করেছি... আমি এখন এর জন্য দুঃখিত । কেননা যদি আমি চালিয়ে যেতাম, আমি হয়তো ১০ ঘণ্টা ১৫ মিনিটেরও কম সময়ে পুরো সাঁতার শেষ করতে পারতাম উভয় দিক থেকে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে......
শেষ প্রচেষ্টা
খাওয়ার পরে সাঁতারে আমি সত্যিই পরিপূর্ণভাবে নিয়োজিত হলাম.... আমি আমার শরীর থেকে শক্তির শেষ বিন্দুটুকু বের করে আনার চেষ্টা করছিলাম....... এবং ইঞ্চি ইঞ্চি করে আমার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেলাম। মোটরবোটের লোকজন আমাকে উৎসাহ দিচ্ছিল। আমি কেন্টের তীরের আলোর ঝলকানি খুব স্পষ্টভাবে দেখলাম । বুঝলাম আমি খুব কাছাকাছি। প্রবাদের গাজরের মতো আমি রেকর্ডটিকে দেখতে পাচ্ছিলাম, আমার ফুলে যাওয়া চোখের সামনে ঝুলছে...আমি নিজেকে সাহস দিতে থাকলাম... আরেকটু, আর একটু বেশি... গতিবেগ বাড়ছিল তখন আমি অনুভব করলাম তীক্ষ্ণ ও.অমসৃণ পাথর,... তারপর একটা বড় পাথর আমার সামনে এলো । আর সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য... সেটা ছিল তীর.... সময় : ভোর৪.৩৫ গ্রিনউইচ স্থানীয় সময়। আমি ১৫ মিনিট কম সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলাম । আমি আমার জীবনের লক্ষ্য পূরণের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানালাম। তখন মা বাবার কথা মনে পড়ল । আমি আমার দেশকে ব্যর্থ হতে দেইনি।