- Get link
- X
- Other Apps
HSC English First Paper English For Today Unit 4 Lesson 2
Leela Nag: First Female Student of the Department of English, Dhaka University
In 1921, Leela Nag (also known as Leela Roy for her marriage with Anil Chandra Roy, an Indian National Congress leader) was the first woman to be admitted to the M.A in English at the University of Dhaka. Breaking patriarchal barriers, Leela Nag established the identity of the Department of English from the very beginning as a platform for progressive and liberal ideas. Although her decision to join the Department of English was initially met with resistance, she achieved her goal with a special permission from the then Vice Chancellor Philip Hartog and fulfilled her dream of graduating from the University of Dhaka. In 1923, she was the first woman to receive an M.A. from the Department of English. But Leela Nag’s legacy goes beyond the confines of classrooms. While she was a student, she formed the Dhaka Women’s Committee and raised funds for the 1921 Bengal flood victims. She was actively involved in the empowerment of women in society. In 1923, she founded Deepali Sangha which served as a training institute for anti-colonial activists. Between 1927 and 1928, she established the first self-defense institute for girls in Bengal. Then, at the 1928 Calcutta Congress Session, she presented a paper on the history of women’s movement in Bengal as a delegate, and by 1929, Leela Nag had successfully founded 12 free primary schools for girls. Apart from her contribution to women’s emancipation, Leela consistently voiced her opinions in politics as well. She had been imprisoned on several occasions. When the Subcontinent was embroiled in turmoil during the Partition, Leela Nag set up camps for victims of Noakhali riots in 1946, and for abandoned women and refugees from East Bengal in 1947. In 1946, she was the only Bengali woman elected to the Constituent Assembly of Bengal.
Leela Nag broke the glass ceiling on so many levels that it is very difficult to limit her to being only a feminist. She fulfills all the criteria of citizen, rebel, reformer, social activist and a change agent. Looking at the other women who studied in the Department of English much later, we can trace these features of social activism in them as well.
While Leela Nag made headlines during the 1947 Partition, Nadera Begum, another student of the Department of English, was making headlines in 1949. Coming from an affluent political family, Nadera Begum was a strong Marxist who was among the leading women rebels of her time. In 1949, she was expelled from the University of Dhaka for fighting for the rights of the fourth-class employees of the University. She was the only woman seen standing near Sheikh Mujibur Rahman during those protests. In Cheman Ara’s article entitled ‘The Women who broke the barricades’ (published in The Daily Star, Feb 21, 2020), it is stated: “Names of Nadera Begum, Hamida Khatun, Nurjahan Murshid, Afsari Khanam, Ranu Mukherjee and Lili Haque also shine through in the history of the Language Movement.” Nadera Begum was a shining example of the multigenerational feminism that was evident among the women — both students and teachers of the Department of English. This is why, during the tumultuous 60s, soon after the Language Movement, we can find yet another woman as a valiant fighter against oppression. Razia Khan Amin, who joined as a faculty member of the department in 1962, showcased her activism through her writing and her cultural interests. She had completed her B.A. and M.A. in English from the Department of English, University of Dhaka and proceeded to do her M.A. in English from the University of Birmingham on a scholarship from the British Council. She was simultaneously an educationist, a theatre actor, a journalist, columnist, a poet, and a celebrated writer. Among the prestigious awards she received are the PEN Lay Writing Award (1956), the Pope Gold Medal (1957), Bangla Academy Literary Award (1975), Ekushey Padak (1997), and the Anannya Literature Award (2003).
Amin exposes the brutality of the 1971 Liberation War through stark images in her poems. In her poem, ‘Argus Under Anaesthesia’, she writes:
“A mother frenzied by the roar of mortars Throttled her whining infant;
Its life for the life of millions”
In yet another poem, ‘God in the Goblet’, a melancholic tone addresses all the martyrs and the intellectuals who were mercilessly killed in 1971. References to “Muneer” the “playwright, pioneer”, “Hyder the Tagore-scholar”, “Fazle the Physician” and “the novelist Kaiser” form a tribute to the sacrifices of scholars of Bangladesh. Being a scholar herself, Amin had a unique approach to depicting the lives of women. In her poem ‘The Old Man and the Girl’ she breaks the silence and speaks out against child marriage and sexual oppression.
বঙ্গানুবাদ:
লীলা নাগ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম মহিলা শিক্ষার্থী
১৯২১ সালে লীলা নাগ (বিবাহসূত্রে লীলা রায় নামেও পরিচিত, কারণ তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা অনিল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন) প্রথম নারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে এম এ-তে ভর্তি হন। পিতৃতান্ত্রিকতার বাধা ডিঙিয়ে, লীলা নাগ প্রগতিশীল ও উদার চিন্তার একটি মঞ্চ হিসেবে প্রথম থেকেই ইংরেজি বিভাগের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেন । তার ইংরেজি বিভাগে যোগদানের সিদ্ধান্তটি প্রথমে প্রতিরোধের মুখে পড়লেও তিনি তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ফিলিপ হার্টগের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তার লক্ষ্য পূরণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন। ১৯২৩ সালে, তিনি ইংরেজি বিভাগ থেকে প্রথম এম.এ ডিগ্রিধারী নারী হন। তবে লীলা নাগের প্রতিষ্ঠা শুধু শ্রেণিককেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি শিক্ষার্থী থাকাকালীন ঢাকা উইমেন্স কমিটি গঠন করেন এবং ১৯২১ সালে বাংলা জুড়ে বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। তিনি সমাজে নারীর ক্ষমতায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯২৩ সালে, তিনি দীপালী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন, যা ছিল উপনিবেশ বিরোধী কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯২৭ থেকে ১৯২৮ সালের মধ্যে, তিনি বাংলায় প্রথম মেয়েদের জন্য আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা করেন। পরে, ১৯২৮ সালে কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে তিনি বঙ্গের নারী আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ১৯২৯ সালের মধ্যে, লীলা নাগ সফলভাবে মেয়েদের জন্য ১২টি বিনামূল্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
নারী মুক্তিতে অবদান রাখার পাশাপাশি, লীলা নাগ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও দৃঢ়ভাবে তার মত প্রকাশ করে গেছেন। তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। দেশভাগের সময় যখন উপমহাদেশের অবস্থা অস্থির ছিল, তখন লীলা নাগ ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী দাঙ্গার শিকারদের জন্য এবং ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের পরিত্যক্ত নারী ও শরণার্থীদের জন্য শিবির স্থাপন করেন। ১৯৪৬ সালে, তিনি বাংলার আইন পরিষদের একমাত্র নির্বাচিত বাঙালি নারী ছিলেন।
লীলা নাগ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় আলোচনায় এসেছিলেন, আর ১৯৪৯ সালে আলোচনায় ছিলেন আরেক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী, নাদেরা বেগম। ধনী রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা নাদেরা বেগম ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মার্কসবাদীএবং তার সময়ের প্রধান নারী বিদ্রোহীদের একজন। ১৯৪৯ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করার কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে দাঁড়ানো একমাত্র নারী ছিলেন তিনি। চেমন আরার নিবন্ধ 'দ্য উইমেন হু ব্রোক দ্য ব্যারিকেডস' (দ্য ডেইলি স্টার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) এ উল্লেখ করা হয়েছে: “নাদেরা বেগম, হামিদা খাতুন, নূরজাহান মুরশিদ, আফসারী খানম, রানু মুখার্জী এবং লিপি হকের নাম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে রইবে। ”
নাদেরা বেগম ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের নারীবাদের উজ্জ্বল উদাহরণ। যা নারীদের মধ্যে স্পষ্ট ছিল। তাই ১৯৬০ এর দশকের উথাল-পাতালের সময়, ভাষা আন্দোলনের পরে আমরা আরেকজন নারীকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সাহসী যোদ্ধা হিসেবে দেখতে পাই। ১৯৬২ সালে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেওয়া রাজিয়া খান আমিন সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক আগ্রহের মাধ্যমে তার সক্রিয়তাকে তুলে ধরেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে বি.এ. এবং এম.এ. ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ.করেন। তিনি একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি এবং স্বনামধন্য লেখিকা ছিলেন। তার প্রাপ্ত মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে পেন লে রাইটিং অ্যাওয়ার্ড (১৯৫৬), পোপ গোল্ড মেডেল (১৯৫৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), একুশে পদক (১৯৯৭), এবং অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (২০০৩)।
আমিন তার কবিতায় পরিপূর্ণ চিত্রের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নির্মমতাকে তুলে ধরেছেন।
তার কবিতা 'আর্গাস আন্ডার অ্যানাস্থেসিয়া' তে তিনি লেখেন:
"একজন মা মর্টারের গর্জনে পাগল হয়ে
তার জন্মনরত শিশুকে গলা টিপে মেরেছে,
হাজারো লোকের জীবন বাঁচাতে সে এই কাজ করেছে”
আরেকটি কবিতা 'গড ইন দ্য গবলেট' এ তিনি শোকাতুর সুরে ১৯৭১ সালে শহীদ ও নির্মমভাবে নিহত বুদ্ধিজীবীদের কথা তুলে ধরেছেন। "নাট্যকার, পথপ্রদর্শক" "মুনীর", "রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ হায়দার", "চিকিৎসক ফজলে" এবং "উপন্যাসিক কায়সার-এর উল্লেখের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। নিজেও একজন পন্ডিত হওয়ার আমিনের ছিল নারীজীবন চিত্রায়ণের এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি। তার কবিতা "দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্যা গার্ল" -এ তিনি নিরবতা ভেঙে শিশু বিবাহ এবং যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।