- Get link
- X
- Other Apps
অপহরণ মামলার মুসাবিদা বা ড্রাফটিং। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ Drafting kidnapping
Draft: অপহরণের মোকদ্দমার মুসাবিদা।
বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মুন্সিগঞ্জ
নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং- ১৮৭/০৯
মোছঃ ললিতা আক্তার
স্বামী- মোঃ নজরুল ইসলাম সাং-
থানা ও জেলা- মুন্সিগঞ্জ।
…..বাদী
১। নাম:
পিতা:
২।
…..
…….
৮।
সর্ব সাং- বায়রাউড়া
(ভুটিয়ার বাড়ী)
সর্বথানা- মুন্সিগঞ্জ
জেলা- মুন্সিগঞ্জ
…..আসামী
১। - (ভিকটিম) (১৪)
২।
৩।
৪।
৫।
সাং- কাউলাটী
সর্বথানা – মুন্সিগঞ্জ
জেলা- মুন্সিগঞ্জ
….সাক্ষী
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ-
….-ইং মোতাবেক বাংলা-----রোজ….সময়- বিকাল অনুমান …… ঘটিকা।
ঘটনার স্থানঃ-
বাদীর বসত বাড়ীর বসতঘর গ্রাম- বায়রাউড়া (ভুটিয়ার বাড়ী) থানা ও জেলা-মুন্সিগঞ্জ ।
ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত- ২০০৩)-এর ৭/৩০ ধারা।
সবিনয় নিবেদন এই, উপরোক্ত আসামীগণ অত্যন্ত দাঙ্গাবাজ ও দুর্দান্ত প্রকৃতির একদলবদ্ধ লোক বটে । ১নং আসামী একজন বখাটে যুবক। আমার কন্যা ১নং সাক্ষী – (বয়স ১৪ বৎসর), ....উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে ১নং আসামী তাকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করিত। বিগত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১নং আসামী তৎসহযোগী নিজ সাকিনের মাধ্যমে ১নং আসামীর সহিত আমার কন্যা বিবাহের প্রস্তাব পাঠালে আমি ও আমার স্বামী ৫নং সাক্ষী উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে উক্ত ১নং আসামী তৎসহযোগী আমার কন্যাকে অপহরণ করে নিবে বলে হুমকী দিলে আমি নিরাপত্তার জন্য আমার কন্যাকে মুন্সিগঞ্জ থানা ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত কাটলী সাকিনে আমার ননদ নার্গিস আক্তারের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। এমতাবস্থায় বিগত ০৫/১১/০৮ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় আমার কন্যা প্রাইভেট পড়ার জন্য মুন্সিগঞ্জ শহরস্থ মোক্তারপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ফুফুর বাড়ী হতে রওয়ানা করলে ১নং আসামী তৎসহযোগী পূর্বোক্ত আঃ রাজ্জকসহ অপরাপর ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় আমার কন্যা ১নং সাক্ষীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেলে আমি মুন্সিগঞ্জ থানায় ১১ (১১)০৮ নং মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী অফিসার আমার কন্যা রুমা আক্তারকে উদ্ধার করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করেন। ইতিমধ্যে উক্ত মোকদ্দমায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৭ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল হয়। অভিযোগপত্র নং- ৩১, তারিখ- ১৪/০৩/০৯ইং ।মুন্সিগঞ্জের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হতে আমার কন্যা রুমা আক্তারকে আমার জিম্মায় জামিন মঞ্জুর হলে উক্ত তারিখে উপযুক্ত জামিননামা সম্পাদন ক্রমে আমার কন্যাকে আমার হেফাজতে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাই।
১নং আসামী বর্তমানে পলাতক আছে। আমার কন্যাকে জামিনে নেওয়ার পর হতে আসামীগণ বিভিন্ন ভাবে আমার কন্যাকে পুনরায় অপহরণ করে নিয়ে তাকে খুন করে তার লাশ গুম করিয়া ফেলবে বলে হুমকী দিতেছে।
আমি হাটলক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য বটে। বিগত ২৫/০৪/০৯ইং তারিখে আমি খাল খনন বিষয়ে একটি বিশেষ প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণের জন্য ফেনী জেলায় যাই । ঘটনার তারিখে ও সময়ে আমার স্বামী ৫নং সাক্ষী নিজ ব্যবসার প্রয়োজনে ঢালীকান্দি বাজারে ছিল। বাড়ীতে আমার নাবালিকা কন্যা ১নং সাক্ষী রুমা আক্তার (১৪) ও ২নং সাক্ষী আমার নাবালক পুত্র শরীফ এবং ৩নং সাক্ষী আমার মাতা ও ৪নং সাক্ষী আমার বোন উপস্থিত ছিল।
এমতাবস্থায় ঘটনার তারিখে ও সময়ে উপরোক্ত আসামীগণ সশস্ত্র অবস্থায় ১-২নং আসামী হাতে ডেগার ও ৩-৪নং আসামি হাতে কিরিচ নিয়ে অতর্কিতে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে ১-৪নং আসামীগণ তাদের হাতে থাকা অস্ত্রাদি দিয়ে ১-৪নং সাক্ষীগণকে খুনের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে ভয়ে অভিভূত করে ১নং আসামী সাক্ষীর মুখে কাপড় গুজে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে অপরাপর আসামীগণের সহযোগিতায় আমার কন্যা ১নং সাক্ষীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় ২-৪নং সাক্ষীগণ বিমূঢ় হয়ে থাকে। আসামীগণ ১নং সাক্ষীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অব্যবহিত পরে তারা ডাক চিৎকার শুরু করলে অপরাপর সাক্ষীগণ দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসিলে ২-৪নং সাক্ষীগণ ঘটনার বিষয় অপরাপর সাক্ষীগণকে জানিয়েছে। ঐ দিন রাত্রি অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী ৫নং সাক্ষী মোবাইল ফোনে আমাকে ঘটনার বিষয় জানালে পরদিন সকালে আমি ফেনী হতে রওনা করে বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় বাড়ীতে এসে ২-৫নং সাক্ষীর নিকট ঘটনার বিষয় জানতে পেরে এ কয়দিন আমি আমার আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে ১নং সাক্ষীর খোঁজ খবর করে ও তার কোন সন্ধান না পাইয়া অদ্য মহোদয় সমীপে অত্র নালিশ দায়ের করলাম। উপযুক্ত তদন্তে ও সাক্ষী প্রমাণ দ্বারা আমার নালিশ প্রমানিত হবে।
উল্লেখ্য যে, ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য আমি বিগত ০৪/০৫/০৯ইং মোতাবেক ১৪১৬ সনের ২১শে বৈশাখ তারিখ সকাল ১০.০০ঘটিকার সময় আমি মুন্সিগঞ্জ থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আমার নালিশ গ্রহণ না করায় উক্ত তারিখে বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময় আমি পুলিশ সুপার, মুন্সিগঞ্জ-এর নিকট গেলে পুলিশ সুপার মহোদয় হুজুর আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে আমাকে বিদায় করে দিলে আমি বাধ্য হয়ে হুজুর আদালতে অত্র নালিশ দায়ের করলাম।
বর্ণিত অবস্থাধীনে বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমার নাবালিকা কন্যা ভিকটিম রুমা আক্তারকে আসামীগণের কবল হতে উদ্ধারসহ আসামীগণ বিরুদ্ধে মোকদ্দমায় আমল গ্রহণে সুবিচার করতে আজ্ঞা হয় ।
নিবেদক
তারিখ-
সত্যপাঠ
উপরোক্ত বক্তব্য আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য ও সঠিক জানিয়া আমার নিযুক্তীয় বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেবের চেম্বারে বসিয়া অত্র সত্যপাঠে নিজ নাম দস্তখত করিলাম।
তাং—
সত্যপাঠকারীর স্বাক্ষর