- Get link
- X
- Other Apps
An essay - Dowry System in Bangladesh
Dowry System
Introduction: At present the horrible social aspect that holds the prominent news in different dailies is the curse of dowry system. Many young married girls becomes victims of it. Some newly married daughters are misbehaved and tortured by their husbands for the cause of dowry. Dowry system originated in the society through the feeling of inferiority about womanhood. It is really deplorable fact that we are approaching a grim chapter of modern civilization.
Prime cause behind women oppression: Dowry system has in fact turned women into Inferior beings and commodities. Newly married young women are dominated and humiliated by their husbands for the non-payment or deferred payment of dowry. In fact, it becomes a cancerous spot in the body of society and social organizations are breaking down due to this animality.
Socio-economic status of women in Bangladesh: Like other underdeveloped, feudal and backward societies, the womenfolk of Bangladesh also lead a low graded life. The prime reason is women's weak participation in the national economy. In fact man's financial ability and independence is inseparably related to any kind of prestige. The women of Bangladesh are not economically independent and they are dependent on the male persons for many reasons. Women of two religions - Hindus and Muslims of Bangladesh are the victims of disparity in the hereditary laws. They suffer terribly for financial incapacity due to this discrepancy. Again male dominated society where the cruelties of so-called dowry system exists even today deprives women of their basic human rights and individuality
Remedial measures: In order to stop women oppression due to dowry system is the prime job of all conscious people now. To resist dowry system and women oppression, application of law is very important. In our country, there are two related laws at present, such as Dowry Prohibition Act, 1980 and the Cruelty to Women Deterrent Punishment Ordinance, 1983. In the laws mentioned above there are strict provisions of punishment for giving and taking of dowries, women oppression and women trafficking. So impartial judicial action are to be taken in all spheres. Besides, social campaign, protest and prevention programmes of different public and private organizations should be held immediately against dowry system. The necessity of women education and employment of educated women should be stressed. After all, poverty alleviation and drive against ignorance and prejudices are the preconditions of fighting against dowry system.
Conclusion: To protect women from the cluches of dowry system is a burning issue. Women should be provided with due right and social status by removing the inhuman convention of dowry. For this, man and woman of all sphere of life along with women movement should come forward. Until the very social disease like dowry system is abolished, our women will not enjoy due feminine rights. Anti-dowry campaign should be taken and people should be made aware of the evils of dowry.
বাংলা অনুবাদ
যৌতুক প্রথা
ভূমিকা : আজকাল ভয়ংকর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি যা বিভিন্ন দৈনিকে উল্লেখযোগ্য আলোচনা জুড়ে থাকে তাহলো যৌতুক প্রথার অভিশাপ। অনেক স্বল্পবয়স্ক বিবাহিত মেয়ে এর শিকার হয়েছে। যৌতুকের কারণেই কিছু সদ্য বিবাহিত মেয়ে তাদের স্বামীদের দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত। নারীদের প্রতি হীনমন্য অনুভূতির মাধ্যমে সমাজে যৌতুক প্রথার উদ্ভব হয়েছে। এটা সত্যিই একটি লজ্জার ব্যাপার যে, আমরা আধুনিক সভ্যতার একটি ভয়ানক অধ্যায়ে প্রবেশ করছি।
নারী নির্যাতনের পেছনে মূল কারণ : যৌতুক ব্যবস্থা নারীকে নিকৃষ্ট প্রাণী ও পণ্যসমূহে পরিণত করেছে। যৌতুক না প্রদানের বা বিলম্বে পরিশোধের কারণে নববিবাহিত অল্পবয়সি নারীরা তাদের স্বামীদের দ্বারা অবদমিত ও অপমানিত হয়। বস্তুত, এটি সামাজিক অবয়বে ক্যানসারাক্রান্ত একটি দাগ এবং এই পশুত্বের কারণে সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ভেঙে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান: অন্যান্য অনুন্নত, সামন্তবাদী ও পশ্চাৎপদ সমাজের মতো বাংলাদেশেও নারী জনগোষ্ঠী নিম্নমানের জীবনযাপন করে থাকে। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের দুর্বল অংশগ্রহণই এর প্রধান কারণ। প্রকৃতপক্ষে পুরুষের আর্থিক সামর্থ্য ও স্বাধীনতা অপরিহার্যভাবে যে কোনো মর্যাদার সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন নয় এবং তারা অনেক কারণেই পুরুষের উপর নির্ভরশীল। দুই ধর্মের নারীরা বাংলাদেশের হিন্দু ও মুসলমানরা উত্তরাধিকার আইনগুলোর মধ্যকার বৈষম্যের শিকার। এই অসংগতির কারণে তারা ভয়ংকরভাবে আর্থিক অক্ষমতায় ভোগে। আবার পুরুষশাসিত সমাজ যেখানে তথাকথিত যৌতুক প্রথার থাবা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান সেখানে নারীদের মৌলিক মানবাধিকার ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা হতে বঞ্চিত করে।
প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাসমূহ : যৌতুক ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা এখন সকল সচেতন মানুষের প্রধান কাজ। যৌতুক প্রথা ও নারী নির্যাতন মোকাবিলা করার জন্য আইনের প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে বর্তমানে দুটি আইন বিদ্যমান, যেমন— যৌতুক নিবারণ আইন, ১৯৮০ এবং নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিবন্ধক শাস্তি অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩। এই আইনগুলোতে যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া, নারীদের নির্যাতন ও নারীদের পাচারের জন্য আছে কঠোর শাস্তির বিধান। তাই সর্বস্তরে নিরপেক্ষ বিচারিক পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে যৌতুক প্রথার বিরদ্ধে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের সামাজিক প্রচারাভিযান, প্রতিবাদ ও প্রতিকারের কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। নারী শিক্ষার ও শিক্ষিত নারীদের কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া উচিত। সর্বোপরি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অভিযান যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পূর্বশর্ত।
উপসংহার : যৌতুক প্রথার অভিশাপ থেকে নারীদের রক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যৌতুকের মতো অমানবিক প্রথা দূরীকরণের মাধ্যমে নারীদের যথাযথ অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা দেওয়া উচিত। নারী আন্দোলনের সাথে সাথে সকল স্তরের নারী ও পুরুষের এর জন্য এগিয়ে আসা উচিত। যতদিন না যৌতুকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিলোপ হবে, ততদিন আমাদের নারীরা যথাযথ নারী অধিকার ভোগ করবে না। যৌতুকবিরোধী অভিযান শুরু করা উচিত এবং যৌতুকের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা উচিত।