- Get link
- X
- Other Apps
An Essay - Child Labour And Its Remedy In Bangladesh
Child Labour And Its Remedy In Bangladesh
Introduction: Bangladesh is a developing country. Like other developing countries, it has some basic problems - poverty, overpopulation, illiteracy being just a few of them. Due to the rapid growth of population the citizens of our country are getting poorer and poorer everyday. The poverty-stricken people are deprived of the basic necessities of life such as food, shelter, clothing and education. Therefore, to ensure a better living or simply to support their family, poor parents are sending their children to work from a very early stage.
Child labour: All the child labourers in Bangladesh are manual workers. They have to work very hard to earn their living and the work is usually extremely unfit for them. As early as at the age of eight, a child may work as a servant at households. They may even work in cheap hotels and shops. Many children are found on streets breaking stones or bricks for house-building. They are also found doing dangerous work like welding. Some children work as street hawkers selling different items to the passers-by. Some work in factories, some polish boots and some work even as rickshaw-pullers. In the rural areas, we find a different picture. Children there are engaged in the farming and rearing which is very difficult.
Exploitation: Child labourers are helpless and the employers take full advantage of this condition. They are given the least wages possible for the maximum labour/hours. Sometimes they need to work for ten to fourteen hours but are not paid for their overtime. They are usually treated very harshly at their working places. At households they are dealt with rebukes. They are always given punishment for trifling offences. Their masters very often give them thrashing. They are usually given little food and as a result they suffer from malnutrition. The children who work in dangerous situations, often face accidents and may lose the different parts of their body and remain disabled for the rest of their lives. The children who work from an early age, cannot have proper growth. As a result They have a very short span of life.
Conclusion: It is said that the children are the future of a country. It is the children who grow up to be the future leaders of a nation. A country full of people of poor health cannot make rapid progress. Our government should think about this grim situation of child labour and promulgate a law against ill treatment towards them and should fix the hour of their work. People in general should be more humanistic to these poor children. It is the duty of every citizen to treat the children nicely and to ensure a proper living for them. If these children are not provided with the basic necessities of life, tomorrow they would be an economic burden to us. So we have to be conscious about this crucial problem while there is still time.
বাংলা অনুবাদ
রচনা: বাংলাদেশের শিশুশ্রম এবং এর প্রতিকার
ভূমিকা : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো, এর কিছু মৌলিক সমস্যা রয়েছে – দারিদ্র্য, জনসংখ্যাধিক্য, নিরক্ষরতা তাদের মধ্যে কয়েকটি মাত্র। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশের নাগরিকরা প্রতিদিনই দরিদ্র হতে দরিদ্রতর হচ্ছে। দারিদ্রপীড়িত মানুষ জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা যেমন- খাদ্য, আশ্রয়, বস্ত্র ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। অতএব, একটি ভালো জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে অথবা কেবলমাত্র তাদের পরিবারের প্রয়োজন মিটাতে, দরিদ্র বাবা-মা তাদের সন্তানদের খুব কমবয়স থেকেই কর্মে নিযুক্ত করছে।
শিশুশ্রম : বাংলাদেশের সকল শিশু শ্রমিক কায়িক কাজ করা কর্মী। নিজেদের জীবিকা অর্জনের জন্য তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং তাদের কাজটি সাধারণত তাদের জন্য চরম অনুপযুক্ত। আট বছর বয়সেই একটি শিশু পরিবারের একটি চাকর হিসেবে কাজ করতে পারে। তারা সস্তা মোটেল ও দোকানগুলোতেও কাজ করতে পারে। রাস্তায় অনেক শিশুকে ঘরবাড়ি নির্মাণের পাথর বা ইট ভাঙতে দেখা যায়। তাদেরকে ঝালাইয়ের মত বিপজ্জনক কাজ করতেও দেখা যায়। কিন্তু শিশু রাস্তার হকার হিসেবে পথচারীদের কাছে বিভিন্ন বস্তু বিক্রির কাজ করে। কিছু শিশু কারদানাগুলোতে কাজ করে, কিছু বুট পালিশ করে এবং কিছু রিকশাচালক হিসেবেও কাজ করে। গ্রামীণ এলাকায়, আমাদের একটি ভিন্ন চিত্র আছে। সেখানে শিশুরা চাষ ও পশুপালনে নিযুক্ত রয়েছে যা খুবই কঠিন।
শোষণ: শিশুশ্রমিকরা অসহায় এবং নিয়োগকর্তারা এই অবস্থার পূর্ণ সুবিধা নেয়। সম্ভাব্য সর্বাধিক শ্রম ঘন্টার জন্য তাদেরকে খুবই কম মজুরি দেওয়া হয়। কখনো কখনো তাদের দশ থেকে চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করার প্রয়োজন হয় কিন্তু তাদের অতিরিক্ত সময়ের জন্য মজুরি দেওয়া হয় না। সাধারণত তাদের কর্মস্থলে তাদের সাথে খুব রূঢ় আচরণ করা হয়। গৃহস্থালির কাজে তাদেরকে তীব্র তিরষ্কারমূলক আচরণ মোকাবিলা করতে হয়। সব সময় অপরাধের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়। তাদের মালিকরা প্রায়শই তাদেরকে পিটায়। সাধারণত তাদেরকে অপর্যাপ্ত খাদ্য দেওয়া হয় এবং ফলস্বরূপ তারা অপুষ্টিতে ভোগে। যেসব শিশু বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করে, প্রায়শই তারা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় এবং তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ হারাতে পারে এবং তাদের বাকি জীবন অক্ষম থাকে। যে শিশুরা ছোটোবেলা থেকে কাজ করে, তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। ফলে তাদের আয়ু কম হয়।
উপসংহার : বলা হয় যে, শিশুরা একটি দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরাই একটি জাতির ভবিষ্যৎ পরিচালক/নেতা হওয়ার জন্যে বড়ো হয়ে উঠে। ভগ্নস্বাস্থ্যে পরিপূর্ণ মানুষদের একটি দেশ দ্রুত উন্নতি করতে পারে না। শিশুশ্রমের এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের সরকারকে ভাবতে হবে, তাদের সাথে খারাপ আচরণকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং তাদের কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। সাধারণ মানুষদের এই গরিব শিশুদের প্রতি আরো মানবিক হওয়া উচিত। প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব শিশুদের সাথে সুন্দর আচরণ করা এবং তাদের জন্য উপযুক্ত জীবিকা নিশ্চিত করা। যদি এই শিশুদের জীবনের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ সরবরাহ করা না হয়, আগামীতে তারা আমাদের জন্য একটি অর্থনৈতিক বোঝা হবে। তাই সময় থাকতেই আমাদের এই গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।