- Get link
- X
- Other Apps
An essay - Arsenic Pollution in Bangladesh
Arsenic Pollution in Bangladesh
Introduction: Bangladesh is a developing country afflicted with so many problems. Pollution is undoubtedly one of the major problems of Bangladesh. It is actually a threal to our environment. There are mainly three kinds of pollutions air, water and sound pollutions. Arsenic pollution is a recent pollution added to water pollution.
Arsenic problem detected in Bangladesh: At present arsenic pollution is a matter of concern for Bangladesh. Arsenic is a fatal and mortal poison. Now this element is detected to exist. This poison mixes with water, specially with tubewell water and pollutes it. Now this element is noticed to be present in huge quantities in the shallow tube well water in many districts of Bangladesh. Today, nearly all the people are dependent on tube well water in rural and small urban areas. Within two decades in Bangladesh, especially the northern areas, many people have been found to be affected by arsenic toxication for drinking tube well water contaminated with arsenic. Arsenic contamination of ground water is now a matter of concern in Bangladesh. In the severely affected arsenic problematic areas, more than 90 percent of the shallow tube-wells have been found to produce contaminated water exceeding 0.05 mg/1 of arsenic. More than 7000 arsenicosis patients have so far been identified in arsenic affected areas in Bangladesh.
How it pollutes: In chemistry arsenic is referred to as a violently poisonous white compound of brittle element. It is a poisonous element which when mixed with water, causes malfunction of the human body severely. Arsenic is found especially in tube well water and makes the water polluted. There are many causes of arsenic pollution. Due to some chemical reactions happening in the underground, the metal arsenic transforms into liquid arsenic and pollutes the soil. This arsenic soll pollutes the underground water which is extracted with the help of tube well. Another cause of arsenic pollution is the excessive use of tube well water.
Effects of arsenic pollution : Arsenic has some life threatening effects. Different parts of the human body such as skin, heart, stomach, liver and kidney are severely affected by arsenic. It can rapidly affect and attack many cells. It can cause the skin to be peeled-off and can bring about rapid hair fall. Constant itching, cough and ophthalmic disease are also signs of arsenic attack.
Medical treatment: The treatment of arsenic attack is not satisfactory in Bangladesh and available medicine is also very expensive. But firstly it is very necessary that the patients should be removed from the source of arsenic as soon as possible.
Preventive measures: We know that prevention is better than cure. So a number of steps can be followed to avoid arsenic attack. First of all, people should be made alert about arsenic pollution. The affected tube wells must be pointed out and banned for public use, Alternative sources of water should be found out. In lieu of using tube well water, rain water and water of earth surface should be used. Water should be boiled before drinking and so on. At present, an antidote is invented to purify water polluted by arsenic. To get rid of destructive arsenic contamination, our government., UNICEF, Grameen Bank, BRAC are trying their level best. The World Bank has agreed to give all possible help to lessen the arsenic problem in our country.
Conclusion: Arsenic pollution has assumed a serious proportion in Bangladesh. Yet we hope that by dint of the united efforts of the government of Bangladesh and the international organizations the problem of arsenic contamination can be removed soon from our country.
বাংলা অনুবাদ
রচনা - বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণ
ভূমিকা : বাংলাদেশ অনেক সমস্যায় জর্জরিত একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর মধ্যে দূষণ অন্যতম প্রধান সমস্যা। প্রকৃতপক্ষে আর্সেনিক দূষণ আমাদের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রধানত তিন ধরনের দূষণ রয়েছে-বায়ু, পানি এবং শব্দ দূষণ। আর্সেনিক দূষণ পানি দূষণের সাথে যুক্ত এক সাম্প্রতিক সমস্যা।
বাংলাদেশে শনাক্তকৃত আর্সেনিক সমস্যা : বর্তমানে আর্সেনিক দূষণ বাংলাদেশের এক উদ্বেগের বিষয় হয়েছে। আর্সেনিক একটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী বিষ। বর্তমানে এ উপাদানের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে। এই বিষ পানির সাথে মিশে, বিশেষ করে নলকূপের পানির সাথে মিশে একে দূষিত করে। এখন প্রচুর পরিমাণে এই উপাদানের উপস্থিতি বাংলাদেশের অনেক জেলার অগণিত অগভীর নলকূপের পানিতে পাওয়া যায়। বর্তমানে গ্রামীণ ছোটো শহুরে এলাকায় প্রায় সব মানুষ নলকূপের পানির উপর নির্ভরশীল। দুই দশক ধরে বাংলাদেশে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে, অনেক লোককে নলকূপের আর্সেনিক দূষিত পানি পান করার কারণে আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। আর্সেনিকে ভূগর্ভস্থ জলের দূষণ এখন বাংলাদেশে একটি বিপত্তি। তীব্র আর্সেনিক সমস্যাযুক্ত এলাকায় ৯০ শতাংশের বেশি অগভীর নলকূপকে ০.০৫ মিলিগ্রাম/লি এর বেশি আর্সেনিকযুক্ত দূষিত পানি উৎপন্ন করতে দেখা গিয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় ৭০০০ এর বেশি আর্সেনিকোসিস রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।
কীভাবে এটি দূষিত হয় : রসায়নে আর্সেনিককে একটি মারাত্মক বিষাক্ত ভঙ্গুর উপাদানের সাদা যৌগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এ পদার্থ যা যখন জলে মিশ্রিত হয়, তখন মানুষের শরীরে গুরুতর ত্রুটি সৃষ্টি করে। আর্সেনিক বিশেষ করে নলকূপের পানিতে পাওয়া যায় এবং পানিকে দূষিত করে। আর্সেনিক দূষণের বেশকিছু কারণ রয়েছে। ভূগর্ভে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার কারণে, ধাতব আর্সেনিক তরল আর্সেনিকে পরিবর্তন হয় এবং মাটি দূষণ করে। এই আর্সেনিকযুক্ত মাটি ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করে যা নলকূপের মাধ্যমে বের করা হয়। আর্সেনিক দূষণের আরেকটি কারণ হলো নলকূপের জলের অত্যধিক ব্যবহার।
আর্সেনিক দূষণের প্রভাব : আর্সেনিকের কিছু প্রাণঘাতী প্রতিক্রিয়া রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন- ত্বক, হৃদযন্ত্র, পাকস্থলী, লিভার ও কিডনি আর্সেনিক দ্বারা সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি দ্রুত বিভিন্ন কোষকে প্রভাবিত এবং আক্রমণ করতে পারে। এটি চামড়া উঠিয়ে ফেলতে পারে এবং দ্রুত চুল পড়া রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অবিরাম চুলকানি, কাশি এবং চোখের রোগ আর্সেনিক আক্রমণের লক্ষণ।
চিকিৎসা : আর্সেনিক আক্রান্তের চিকিৎসা বাংলাদেশে সন্তোষজনক নয় এবং প্রাপ্তিসাধ্য ঔষধও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু প্রথমত রোগীদেরকে অবিলম্বে আর্সেনিকের উৎপত্তিস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
প্রতিরোধক ব্যবস্থা : আমরা জানি যে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি ভালো। তাই আর্সেনিকের আক্রমণ এড়াতে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রথমত, আর্সেনিক দূষণ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা উচিত। আক্রান্ত নলকূপগুলো অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে এবং ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। পানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে হবে। নলকূপের পানির পরিবর্তে বৃষ্টির পানি এবং ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করা উচিত। পানি পান করার আগে ফুটিয়ে নেওয়া উচিত এবং এরকম আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে আর্সেনিক দ্বারা ভূষিত পানি পরিশুদ্ধ করার জন্য একটি রোগ প্রতিষেধক ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে। ধ্বংসাত্মক আর্সেনিক দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সরকার, ইউনিসেফ, ব্র্যাক, গ্রামীন ব্যাংক তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশের আর্সেনিক সমস্যা প্রশমনে সম্ভাব্য সকল সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।
উপসংহার : আর্সেনিক দূষণ বাংলাদেশে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। তবুও আমরা আশা করি যে, বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আর্সেনিকজনিত দূষণ সমস্যা আমাদের দেশ থেকে শীঘ্রই দূর করা যাবে।