- Get link
- X
- Other Apps
জামিনের দরখাস্ত বেইল পিটিশন (Bail Petition) -১
T সুলতানপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি জাল নামপত্তনের কপি জমা দিয়ে একটি জমি রেজিষ্ট্রি করাকালে সাব-রেজিষ্ট্রার নামপত্তন সংক্রান্ত কাগজটি জাল মর্মে বুঝতে পারেন। সাব রেজিষ্ট্রার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে The Code of Criminal Procedure, 1898 এর Section 195 (c) অনুসারে সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেট আদালতে The Penal Code, 1860 এর ৪৭১ ধারায় নালিশী দরখাস্ত দাখিল করলে আদালত T এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন। আপনি T এর নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে পূর্বোক্ত ঘটনায় উল্লিখিত তথ্য বিশ্লেষণ করে কমপক্ষে চারটি আইনানুগ যুক্তিসহ T এর জামিনের জন্য একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করুন।
এই প্রশ্নটি বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ২০২১ সালে এসেছিল।
মোকাম বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা
ক্রিমিনাল মিস কেস নং….
উদ্ভব: ক্রিমিনাল পিটিশন কেস নং ৩৩/২০২১
ধারা ৪৭১ দণ্ডবিধি, ১৮৬০
সাব-রেজিস্ট্রার
সুলতানপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস
সুলতানপুর, ঢাকা
....নালিশকারী
বনাম
T
পিতাঃ শহিদুল গাজী
গ্রামঃ মানিকনগর,
থানাঃ মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা
বর্তমানে, রোড় নং ২৭, বাড়ী নং ৮৮, থানাঃ বনানী, ঢাকা
.....আসামী-দরখাস্তকারী
বিষয়ঃ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণপূর্বক দরখাস্তকারী আসামীর পক্ষে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৬ ধারায় জামিনের দরখাস্ত
উল্লিখিত আসামী-দরখাস্তকারীর পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১. দরখাস্তকারী আসামী সম্পূর্ণ নির্দোষ, নিরাপরাধ ও আইন মান্যকারী ব্যক্তি বটে।
২. নালিশকারীর নালিশী দরখাস্তের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এই যে, T সুলতানপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি জাল নামপত্তনের কপি জমা দিয়ে একটি জমি রেজিষ্ট্রি করাকালে সাব-রেজিষ্ট্রার নামপত্তন সংক্রান্ত কাগজটি জাল মর্মে বুঝতে পারে । সাব রেজিষ্ট্রার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে The Code of Criminal Procedure, 1898 এর Section 195 (c) অনুসারে সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেট আদালতে The Penal Code, 1860 এর ৪৭১ ধারায় নালিশী দরখাস্ত দাখিল করে। উক্ত নালিশী দরখাস্ত গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে।
৩. যেহেতু আসামীর বিরুদ্ধে আনীত দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারার অপরাধটি একটি জামিনযোগ্য অপরাধ, সেহেতু এমন মামলায় জামিন পেতে আসামী আইনত অধিকারী।
৪. যেহেতু উক্ত জাল নামপত্তনের কপি কোন আদালতের কার্যধারায় দাখিল করেনি, সেহেতু T দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় কোন অপরাধ করেনি।
৫. যেহেতু রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার কোন আদালত নয়, সেহেতু দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারার অপরাধ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক আসামী T এর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত নালিশটি রক্ষণীয় না।
৬. যেহেতু ৪৭১ ধারায় আদালত ব্যতীত অন্যকোন ব্যক্তির নালিশের ভিত্তিতে মামলার কার্যক্রম শুরু হতে পারেনা, সেহেতু সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দাখিলকৃত নালিশটি রক্ষণীয় না।
৭. যেহেতু উক্ত জাল নামপত্তনের কপি কোন সাক্ষ্য গ্রহণের কার্ষধারায় সাক্ষ্য হিসাবে প্রদান করেনি, সেহেতু কোন অপরাধ করেনি।
৮. যেহেতু আসামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের দরখাস্ত প্রার্থনা করেছে।
৯. যেহেতু দরখান্তকারী-আসামী বাংলাদেশের নাগরিক এবং জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পলায়ন করবেনা বা জামিনের শর্তভংঙ্গ করবেনা।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামি কে জামিনে মুক্তি দিতে আপনার আদেশ প্রার্থনা করছি
এবং
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করলে আবেদনকারী চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
নিবেদক
তারিখ।
জামিনের দরখাস্ত বা বেইল পিটিশন (Bail Petition) -২
ক) ১৮৬০ সনে দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অভিযুক্ত আসামীর জন্য একটি জামিনের দরখান্ত প্রস্তুত করুন। আপনার ইচ্ছামত আদালতের এবং পক্ষগণের নাম ব্যবহার করুন। কজ টাইটেলে সংশ্লিষ্ট আইন উল্লেখ করুন ।
এই প্রশ্নটি বার কাউপিল পরীক্ষা, ফ্রেরুয়ারী ২৯, ২০০৮, অক্টোবর ১০, ২০০৩, এবং ৭ এপ্রিল, ২০১১ সালে এসেছিল। অথবা
দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত আসামীর জন্য একটি জামিনের দরখাস্ত মুসাবিদা করুন । দরখাস্তে কজ টাইটেলে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাও উল্লেখ করুন।
এই প্রশ্নটি বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ৭ এপ্রিল, ২০১০ সালে এসেছিল।
যেহেতু ৩০৪ এবং ৩০২ ধারার অপরাধ জামিনঅযোগ্য তাই ৪৯৭ ধারায় জামিনের জন্য আবেদন করতে হবে। উভয় জামিনের দরখাস্ত মুসাবিদা একই শুধুমাত্র ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩০৪ ধারা লিখলেই হবে।
মোকাম: বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা সুত্রঃ ফৌজদারী বি: মামলা নং..../২০১৮
উদ্ভূত: সাভার থানার মামলা নং ২(১) ২০১৭
দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা
মো: আল আমিন
পিতা: মো: আকবর আলী
ইমানপুর, থআনআ-সআভআর, জেলা-ঢাকা
....আসামী/দরখাস্তকারি
(হাজতী)
বনাম
…..রাষ্ট্র
বিষয়ঃ গত ১৯/০৪/২০১৮ তারিখে বিজ্ঞ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা কর্তৃক উত্তরথান থানার মামলা নং ২(১)২০১৭ অভিযুক্ত আবেদনকারীর জামিনের দরখাস্ত নামঞ্জুর হওয়ায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্ধাবধির ৪৯৮ ধারায় অভিযুক্ত দরখান্তকারীর পক্ষে জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে।
আসামী পক্ষের নিবেদন এই যে,
১. রাষ্টগ্রক্ষের মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, অভিযুক্ত আসামী মো: আল-আমিন এবং ভিকটিম মো: মুন্না এক সাথে পড়াশোন করতো। গত ৩০/১১/২০১৬ তারিখে ভিকটিম মো: মুন্না বাড়ি হতে বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং বাড়িতে বলে যায় যে, সে সন্ধ্যার মধ্যে বাড়িতে আসবে। সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটের দিকে ভিকটিম মুন্নার বাবা মো: তোফাজ্জেল খান মুন্নাোকে ফোন করলে মুন্না ফোনে বলে যে, সে আর কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে আসবে। কিন্তু মুন্না বাড়িতে না আসায় তার পিতা তাকে পুনরায় ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পায় এবং উক্ত রাতে মুন্না বাড়িতে ফিরে আসে না। আমরা আমাদের ছেলে মুন্নাকে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকি। ৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর তোফাজ্জেল থানায় একটি জিডি করলে, পুলিশ উত্তরার দিয়াবাড়ির খাল হতে মুন্নার লাশ উদ্ধার করে। উত্তরখান থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। অতপর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়েরপূর্বক মামলাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণীভুক্ত করে।
২. গত ০৬/০১/২০১৭ তারিখে পুলিশ অভিযুক্ত মো: আল-আমিন কে গ্রেফতার পূর্বক রিমান্ড এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদনসহ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকাতে হাজির করে। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের রিমাণ্ডের আবেদন না মঞ্জুর করে কিন্তু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং উক্ত দিন হতে আসামী প্রায় ১ বৎসর ৫ মাস জেল হাজতে আছে।
৩. উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার বিভিন্ন তারিখ থাকলেও এযাবৎ কোন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি এবং প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ০৮.০৭.২০১৮।
8. যেহেতু উক্ত মোকদ্দমায় এখনও কোন প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি সেহেতু উক্ত মোকদ্দমার বিচার কখন শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং এমন অনিশ্চিত প্রেক্ষাপটে আসামীকে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন জেল হাজতে রাখা আসামীর প্রতি অবিচার এবং বিচার নিশ্চিত করতে আসামিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৫. যেহেতু আসামীর নাম প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে নেই সেহেতু আসামীকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৬. আসামী ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছে উক্ত জবানবন্দিতে সে নিজের বিরুদ্ধে দোষস্বীকারমূলক কোন বক্তব্য দেয় নি এবং এমন জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে আসামীকে জেল হাজতে রাখা আসামীর প্রতি অন্যায় এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে আসামীকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৭. যেহেতু আসামী জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্থায়ীভাবে উত্তরায় বসবাস করে এবং যেহেতু তাকে জামিন দিলে সে জামিনের অপব্যবহার করবেনা বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোন প্রমাণ বিনষ্ট করবে না এবং পালিয়ে যাবে না, সেহেতু তাকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৮. দরখাস্তকারী আসামী উপযুক্ত জামিনদার প্রদান করিবে । পলাতক হবে না। বিজ্ঞ আদালতে নিয়মিত হাজিরা প্রদান করিবে ।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে আপনার আদেশ প্রার্থনা করছি।
এবং
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করলে আবেদনকারী চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
নিবেদক
তারিখ।
জামিনের পিটিশন (Bail Petition) -৩
আপনার মক্কেল বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দন্ডবিধির ৩০৪খ মতে এক ব্যাক্তিকে গাড়ী চাপা দিয়া হত্যা করার অপরাধ করিয়াছেন। তাহার জন্য একটি জামিনের দরখান্ত মুসাবিদা করুন।
এই প্রশ্নটি বার কাউলিল পরীক্ষা, ১৯ মে ২০০৩ সালে এসেছিল।
দণ্ডবিধির ৩০৪খ ধারায় জনপথে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানো বা অশ্বারোহনের দ্বারা মৃত্যু ঘটানো একটি জামিনযোগ্য অপরাধ । তাই ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৬ ধারায় জামিনের জন্য আবেদন করতে হবে।
বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালত, চাকা
সুত্র: শাহাবাগ থানার মালা নং ১৪৮/২০১০
দণ্ডবিধির ৩০৪খ ধারা
মো: আল-আমিন
পিতা: আব্দুস সামাদ
২/ক, নারায়ণগঞ্জ
.....আসামী/দরখান্তকারী
(হাজতী)
বনাম
....রাষ্ট
বিষয়: ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এয ৪৯৬ ধারার বিধানমতে জামিনের আবেদন।
আসামী পক্ষে নিবেদন এই যে,
১. রাষ্টপক্ষের মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, গত ৩১/১১/২০০৯ তারিখে শাহবাগ মোড়ে বিকাশ পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে পথচারী মো: আব্দুল হাকিমকে চাপা দিয়ে দ্রুতগতিতে স্থান ত্যাগ করে। বিকাশ পরিবহন লি: এর উক্ত বাসের নম্বর হলো ঢাকা-১২৬৫৩। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণ ভিকটিম মো: আব্দুল হাকিমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করলে উপস্থিত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরী করে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশটি চাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। অতপর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়েরপূর্বক মামলাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণীভূক্ত করে।
২. গত ০৬/০১/২০১০ তারিখে পুলিশ অভিযুক্ত মো: আল-আমিন কে গ্রেফতার পূর্বক বিমান্ড এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদনসহ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকাতে হাজির করে। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের রিমাণ্ডের আবেদন না মঞ্জুর করে কিন্ত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং উক্ত দিন হতে আসামী প্রায় ১ বৎসর ৭ মাস জেল হাজতে আছে।
৩. অভিযুক্ত বাস চালানোর সময় অনেক সর্তকতা অবলম্বন করলেও পথচারী দ্রুত গতিতে বাসের সামনে এসে হাজির হয় এবং এর ফলে বাসের চাপায় ভিকটিম মারা যায়।
8. যেহেতু বাসের চালক মো: আল-আমিন ভিকটিম মোঃ আব্দুল হাকিমকে হত্যার কোন অভিপ্রায় বা অবহেলা ছিলনা এবং যেহেতু পথচারী অসর্তক অবস্থায় দ্রুত বাসের সামনে চলে আসে এবং যেহেতু উক্ত সময়ে দূর্ঘটনা এড়ানোর কোন উপায় ছিলনা, সেহেতু আসামী এই মামলায় খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং এই কারণে আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক।
৫. উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার বিভিন্ন তারিখ থাকলেও এযাবৎ কোন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি এবং প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ০৮.০৭.২০১০।
৬. যেহেতু উক্ত মোকদ্দমায় এখনও কোন প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি সেহেতু উক্ত মোকদ্দমার বিচার কখন শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং এমন অনিশ্চিত প্রেক্ষাপটে আসামীকে বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন জেল হাজতে রাখা আসামীর প্রতি অবিচার এবং বিচার নিশ্চিত করতে আসামীকে জামিন মুক্তি প্রদান করা হোক।
৭. আসামী ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছে উক্ত জবানবন্দিতে সে নিজের বিরুদ্ধে দোষস্বীকারমূলক কোন বক্তব্য দেয় নি এবং এমন জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে আসামীকে জেল হাজতে রাখা আসামীর প্রতি অন্যায় এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে আসামীকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৮. যেহেতু আসামী জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্থায়ীভাবে উত্তরায় বসবাস করে এবং যেহেতু তাকে জামিন দিলে সে জামিনের অপব্যবহার করবেনা বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোন প্রমাণ বিনষ্ট করবে না এবং পালিয়ে যাবে না, সেহেতু তাকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা হোক।
৯. দরখান্তকারী আসামী উপযুক্ত জামিনদার প্রদান করিবে । পলাতক হবে না । বিজ্ঞ আদালতে নিয়মিত হাজিরা প্রদান করিবে।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামি কে জামিনে মুক্তি দিতে আপনার আদেশ প্রার্থনা করছি
এবং
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করলে আবেদনকারী চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
নিবেদক
তারিখ।