- Get link
- X
- Other Apps
আরজি খারিজের দরখাস্ত মুসাবিদা
আরজি কখন বাতিল বা নাকচ করা যায় আগে এটা জেনে নেয়া যাক। আরজি বাতিল সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১১নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিম্নলিখিত যে কোন কারণে একটি আরজিকে বাতিল বলে গণ্য করা যেতে পারে।
(১) যেক্ষেত্রে আরজিতে নালিশের কোন কারণ উল্লেখ করা হয় নাই।
(২) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য সঠিক মান অপেক্ষা কম করে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুসারে বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরজিটি সংশোধন করতে অপারগ হয়েছে।
(৩) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য যথার্থ পরিমাণেই উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু প্রয়োজন অপেক্ষা কম মূল্যের কোর্ট ফি দিয়ে আরজি দাখিল করা হয়েছে এবং আদলতের নির্দেশ অনুসারে বাদী আদালত প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট কোর্ট ফি দিতে অপারগতা প্রদর্শন করেছে।
(8) যেক্ষেত্রে আরজি দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি প্রচলিত কোন আইন দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিধায় চলতে দেওয়া যায় না।
এইভাবে, উপরে উল্লেখিত কারণসমূহের যে কোন একটির দ্বারা আরজি প্রত্যাখ্যাত হলে, সেক্ষেত্রে বাদীকে একই কারণে তামাদি সাপেক্ষে পুনরায় মামলা করার অধিকার হতে দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১৩নং বিধির কারণে বঞ্চিত করা যাবে না ।
প্রশ্ন: আইনের বিধান উল্লেখসহ আরজি খারিজের দরখান্ত মুসাবিদা করুন”। এই প্রশ্নটি বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ৩১ জুলাই ২০১৫ এবং ৮ এপ্রিল ২০০৫ এসেছিল।
মোকাম: ৩য় যুগ্ম জজ আদালত, যশোর
সূত্র: দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-১৫১/২০১০
নুরুল আলম
পিতা: মো: কাওছার আলম
৬৬/এ, বড় বাজার,
কোতয়ালী, যশোর,
..................বাদী
বনাম
মোঃ মুছা ইব্রাহিম
পিতা: হানিফ ইব্রাহিম
১০৫/খ, চাঁদের হাট, চট্টগ্রাম
........বিবাদী/দরখাস্তকারী
বিষয়: বিবাদী পক্ষে দেওয়ানী কার্যবিধির ৭ আদেশের ১১ বিধি অনুযায়ী বাদীর আরজি খারিজের আবেদন।
বিবাদী পক্ষের আবেদন এই যে,
১. গত ০৩/০৬/২০১০ ইং তারিখে বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে সম্পাদিত জমি বিক্রয়ের একটি বায়না চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের জন্য অত্র আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেছিল।
২. বায়না চুক্তি অনুযায়ী সম্পত্তির বা মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর আর্থিক মূল্য ছিল ৬,০০,০০০/- টাকা। মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর আর্থিক মূল্য অনুযায়ী মোকদ্দমার কোর্ট ফি- ৬০০০ টাকা হলেও, বাদী পক্ষ তার আরজিতে মোকদ্দমার সম্পত্তির মূল্যমান কম দেখায় এবং অপর্যাপ্ত স্ট্যাম্প পেপারে আরজি দাখিল করে।
৩. গত ২০/০৭/২০১০ ইং তারিখে বিবাদী লিখিত জবাবে এই বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে দাবী করলে, আদালত বাদীকে ১৫ দিনের অর্থাৎ ০৪/০৮/২০১০ তারিখের মধ্যে মোকদ্দমার মূল্যমান সংশোধন করে পর্যাপ্ত স্ট্যাম্প পেপারে আরজি দাখিলের আদেশ প্রদান করে।
৪. উক্ত ০৪/০৮/২০১০ ইং তারিখের মধ্যে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাদীপক্ষ মোকদ্দমার মূল্যমান সংশোধন করে নির্দিষ্ট স্ট্যাম্প পেপারে আরজি দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
৫. যেহেতু বাদী আদালতের নির্ধারিত সময়ে মোকদ্দমার মূল্যমান সংশোধন করে নির্দিষ্ট স্ট্যাম্প পেপারে আরজি দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই বাদীর আরজিটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৭ নং আদেশের ১১ বিধির খ এবং গ উপদফা অনুযায়ী খারিজযোগ্য ।
৬. মোকদ্দমার শুনানীকালে অন্যান্য আইনগত বিষয় উপস্থাপন করা হবে।
অতএব মাননীয় আদালতের নিকট প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত বিষয়াদি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনাপূর্বক ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর আরজি খারিজ করার জন্য বিবাদীর আবেদন মঞ্জুর করতে একান্ত মর্জি হয়।
এবং
আদালতের এমন আদেশের জন্য বিবাদী পক্ষ চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
অদ্য তারিখ
হলফনামা
আমি মোঃ মুছা ইব্রাহিম, পিতা: হানিফ ইব্রাহিম, ১০৫/খ, চাঁদের হাট, চট্টগ্রাম,পেশা: অধ্যাপনা, বয়স: ৪৫, ধর্ম: ইসলাম, জাতীয়তা: জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয় নং.....এই মর্মে শপথপূর্বক ঘোষণা করছি যে;
১. আমি অত্র মামলার বিবাদী এবং দরখাস্তকারী।
২. আমি অত্র মোকদ্দমার বিষয়বস্তু জানি এবং আমি দরখাস্তটি দায়ের করছি এবং অত্র হলফনামা সম্পাদন করতে সক্ষম।
৩. অত্র দরখাস্তের বিবরণসমূহ আমার জ্ঞান মতে সত্য এবং সঠিক।
অত্র হলফনামা ও দরখাস্তের বিবরণ আমার জ্ঞান এবং বিশ্বাসমতে সঠিক এবং সত্য জেনে আমি অত্র হলফনামায় ১০/০৯/২০১০ ইং তারিখে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আদালতের হলফনামা পরিচালনাকারী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত হয়ে নিজ নাম স্বাক্ষর করলাম।
হলফকারীর স্বাক্ষর:
তাং-
হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সামনে অত্র হলফনামায় তার নিজ নাম স্বাক্ষর করেছে। আমি তাকে সনাক্ত করলাম।
অ্যাডভোকেট
অদ্য তাং ১০/০৯/২০১০, হলফকারী
আমার সামনে অত্র হলফনামায় তার
নিজ নাম দস্তখত করেছে।
হলফনামা পরিচালনাকারী/
হলফনামা কমিশনারের
দস্তখত এবং সীল
হলফনামা কমিশনারের
দস্তখত এবং সীল