Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

প্রমাণের দায়ভার Burden of Proof

বি.দ্র.-এই ভিডিওতে ভুলক্রমে "দেওয়ানী মানদণ্ড" বলা হয়েছে যা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভূল ছিল। শুদ্ধ হবে -"ফৌজদারী মানদণ্ড" ১. ফৌজদারী মানদণ্ড যা যুক্তি সংগত সন্দেহের উর্দ্ধে প্রমাণ বা সন্দেহাতীত প্রমাণ বলে গণ্য হয়। 

প্রমাণের দায়ভার অর্থ কি?
প্রমাণের মানদণ্ড নির্ধারণ করার পদ্ধতি কি?
ফৌজদারী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কি?
প্রমাণের দায়ভার এবং প্রমাণ দাখিলের দায়িত্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি?
কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের দায়ভার কার?
অন্যত্র থাকার অজুহাত প্রমাণ বা Proof of Alibi কি?
সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য করার জন্য যে ঘটনা প্রমাণ করা প্রয়োজন তা প্রমাণের দায়ভার কার?
অভিযুক্ত ব্যক্তির মামলাটি যে ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা প্রমাণের দায়ভার কার?
মৃত প্রমাণের দায়ভার কার?
জীবিত প্রমাণের দায়ভার কার?
সন্তানের বৈধতা নির্ধারণের প্রমাণ কি?

প্রমাণের দায়ভার বা Burden of Proof

সাক্ষ্য আইনের ১০১ থেকে ১১৪ ধারায় প্রমাণের দায় সম্পর্কে বলা হয়েছে।

প্রমাণের দায়ভার অর্থ কি?

সাধারণ অর্থে প্রমাণের দায়ভার অর্থ হলো প্রমাণ দাখিলের দায় বা দায়িত্ব। প্রমাণের দায়ভার অর্থ হলো মোকদ্দমার কোনো পক্ষের কোন বিচার্য তথ্য বা তথ্যাবলি প্রমাণ করার দায়িত্ব।

প্রমাণের মানদণ্ড নির্ধারণ করার পদ্ধতি কি?

একটি বিষয় কখন প্রমাণিত হয়েছে বা একটি বিষয় কখন প্রমাণিত বলে আদালত গণ্য করবে তা প্রমাণের মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কোনো পক্ষ একটি বিষয়কে এমন পর্যায়ে প্রমাণ করবে যেন আদালত বিষয়টি প্রমাণিত বলে গণ্য করতে পারে।

ফৌজদারী এবং দেওয়ানী উভয় মামলায় প্রমাণের পরিমাণ বা মাত্রার দুইটি মানদণ্ড আছে।

১. ফৌজদারী মানদণ্ড যা যুক্তি সংগত সন্দেহের উর্দ্ধে প্রমাণ বা সন্দেহাতীত প্রমাণ বলে গণ্য হয় এবং

২. দেওয়ানী মানদণ্ড যা সম্ভাব্য ভারসাম্যপূর্বক প্রমাণ  করা বলে গণ্য হয়।

ফৌজদারী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কি?

অপরাধ আইন বিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি হলো যে, একজন অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে গণ্য করা যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বিচারের মাধ্যমে দোষী বলে প্রমাণিত হয়। ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ যুক্তিসংগত সন্দেহের উর্দ্ধে প্রমাণ বা Proof beyond reasonable doubt করতে হবে। যুক্তিসংগত সন্দেহ অর্থ হলো এমন একটি সন্দেহ যার জন্য কোনো যুক্তি দেখানো যায়। সুতরাং যুক্তিসংগত সন্দেহের উর্দ্ধে প্রমাণ বা সন্দেহাতীত প্রমাণ অর্থ হলো এমন প্রমাণ যেখানে কোন যুক্তি দেখানো যায় না। ফৌজদারী মামলায় যুক্তিসংগত সন্দেহের উর্দ্ধে অভিযুক্তকে দোষী বলে প্রমাণের ভার প্রসিকিউশন পক্ষের উপর বর্তায় এবং এই প্রমাণের ভার কখনও পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষ বা অভিযোগকারী পক্ষ সর্বদা প্রমাণ করবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী। ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণ করার ভার অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায় না।

দেওয়ানী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কি?

দেওয়ানী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড হলো সম্ভাব্য ভারসাম্যপূর্বক প্রমাণ বা On balance of Probalities করা বলে গণ্য হয়। দেওয়ানী মামলায় প্রমাণের প্রাথমিক দায়ভার বাদীর উপর বর্তায়।

প্রমাণের দায়ভার বা Burden of proof এবং প্রমাণ দাখিলের দায়িত্ব বা Onus of Proof এর মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রমাণের দায়ভার এবং প্রমাণ দাখিলের দায়িত্ব এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পার্থক্য আছে। প্রমাণের দায়ভার সেই ব্যক্তির যিনি কোনো তথ্য প্রমাণ করতে বাধ্য এবং এটা কখনো পরিবর্তন হয় না, কিন্তু প্রমাণ দাখিলের দায়িত্ব সব সময় পরিবর্তনশীল অর্থাৎ এক পক্ষ হতে অন্য পক্ষের উপর বর্তায়। সাক্ষ্য আইনের সাধারণ নিয়ম হলো, যিনি অভিযোগ দায়ের করবে আইনত তা প্রমাণ করার দায়িত্ব উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায় অর্থাৎ প্রসিকিউশন পক্ষের বা অভিযোগকারীর বা বাদীর। প্রমাণের দায়ভার দুইটি বিষয়কে নির্দেশ করে। বিষয় দুইটি হলো-

১. মামলা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব বা The burden of establishing a case এবং

২. প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব বা The burden of introducing evidence

১০১ ধারায় প্রমাণের দায়ভার বলতে মামলা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ প্লিডিংসে বা অভিযোগে বা এজাহারে যে দাবী করা হয়, তা প্রমাণের দায়ভার সর্বদা দাবীকারী পক্ষের এবং এটা কখনও পরিবর্তন হয়না। সাক্ষ্য আইনের ১০১ ধারা অনুযায়ী, 'যিনি কোনো বিষয়ের অস্তিত্বের দাবি করে তদুপরি নির্ভরশীল কোনো আইনগত অধিকার বা দায় সম্পর্কে আদালতের রায় কামনা করে, তিনি সেই বিষয়ের অস্তিত্ব অবশ্যই প্রমাণ করবে। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো বিষয়ের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে বাধ্য থাকে, তখন বলা হয় যে, প্রমাণ করার দায়িত্ব সেই ব্যক্তির উপর ন্যস্ত থাকবে। উদাহরণ: A বলে যে B, C-কে হত্যা করেছে। A আদালতের নিকট B এর শাস্তির জন্য রায় কামনা করে। B যে C কে হত্যা করেছে তা প্রমাণের দায়ভার A এর উপর বর্তায়। আলোচ্য উদাহরণে হত্যার অভিযোগ করেছে A । অভিযোগটি বা B যে হত্যাকারী বা অপরাধী তা প্রমাণের ভার সর্বদা “A” এর উপর বর্তাবে এবং এই প্রমাণের ভার কখনও পরিবর্তন হয়ে B এর উপর বর্তাবে না। B যে খুন করেনি তা প্রমাণের ভার B এর উপর বর্তায় না। B যে হত্যা করেছে তা A প্রমাণ করতে পারলে মামলাটি প্রতিষ্ঠিত হবে।

সাক্ষ্য আইনের ১০২ ধারায় প্রমাণের দায়ভার বা Burden of proof বলতে প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব বা The burden of introducing evidence বোঝানো হয়েছে। প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব, উভয় পক্ষের দাখিল করা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে, ক্রমাগত পরিবর্তিত হতে থাকে এবং একপক্ষ হতে অন্য পক্ষের উপর বর্তাতে থাকে। সাক্ষ্য আইনের ১০২ ধারা অনুযায়ী মামলার বা মামলার কার্যক্রমে কোন পক্ষ হতে সাক্ষ্য দেওয়া না হলে যে পক্ষ মামলায় পরাজিত হবে, মামলার বিষয়বস্তু প্রমাণের দায়ভার সেই পক্ষের উপর বর্তায়। উদাহরণ: বন্ডের বকেয়া অর্থ আদায়ের জন্য A, B এর বিরুদ্ধ মোকদ্দমা দায়ের করেছে। B বন্ডের বিষয়টি স্বীকার করে কিন্তু দাবী করে যে, প্রতারণার মাধ্যমে A বন্ডেটি সম্পাদন করে। A প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে। যদি কোনো পক্ষ সাক্ষ্য প্রদান না করে তাহলে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হবেনা এবং এই কারণে মামলায় A জয়ী হবে। যেহেতু B পরাজিত হবে, তাই এই ক্ষেত্রে প্রমাণের ভার বা প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব B এর উপর বর্তাবে। এই মামলায় A হলো বাদী । ১০১ ধারা অনুযায়ী প্রমাণের ভার A এর উপর বর্তাবে কিন্তু ১০২ ধারা অনুযায়ী প্রমাণের ভারটি পরিবর্তন হয়ে B এর উপর অর্পিত হয়েছে। এখানে B এর উপর প্রমাণের দায়ভার অর্থ হলো প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব বা বস্তুটি যে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়েছে সেই সম্পর্কে প্রমাণ দাখিল করার দায়িত্ব।

কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের দায়ভার কার?

সাক্ষ্য আইনের ১০৩ ধারা অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট বিষয় প্রমাণের দায়ভার সেই ব্যক্তির উপর বর্তায় যে আদালতকে উক্ত বিষয়ের অস্তিত্ব বিশ্বাস করাতে চায়। যদি আইনে বিধান থাকে যে, কোনো নির্দিষ্ট তথ্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক প্রমাণ করতে হবে, তাহলে উক্ত তথ্য প্রমাণের দায়ভার উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায়। কোনো ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ করতে চাইলে, তাকে অবশ্যই তা প্রমাণ করতে হবে। যেমন ভাড়া হিসেবে প্রদত্ত অর্থ প্রমাণ করার দায়িত্ব ভাড়াটিয়ার। 

অন্যত্র থাকার অজুহাত প্রমাণ বা Proof of Alibi কি?

Alibi অর্থ হলো অন্যত্র থাকার অজুহাত। অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি এই মর্মে আত্মপক্ষসমর্থন করে দাবী করে যে, অপরাধ সংঘটনের সময় বা স্থানে তিনি ছিলেন না বরং অন্যত্র ছিল। সাক্ষ্য আইনের ১০৩ ধারা অনুযায়ী অন্যত্র থাকার অজুহাত বা Alibi প্রমাণের দায়ভার দাবী উপস্থাপনকারীর বা অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায়।

সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য করার জন্য যে ঘটনা প্রমাণ করা প্রয়োজন তা প্রমাণের দায়ভার কার?

সাক্ষ্য আইনের ১০৪ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো তথ্যের প্রাসঙ্গিকতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অন্য কোনো তথ্যের উপর নির্ভর করে, তাহলে উক্ত অন্য তথ্য প্রমাণ দাখিলের দায় সেই ব্যক্তির উপর বর্তায় যিনি এই ধরণের প্রমাণ দাখিল করতে ইচ্ছুক। যেমন: আপনি মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রমাণ করতে চান। মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রাসঙ্গিক এবং গ্রহণযোগ্য হবে যদি ঘোষণাকারী মৃত হয়। অর্থাৎ মৃত্যুকালীন ঘোষণাটির গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করছে ঘোষণাকারী মৃত কিনা সেই তথ্যের উপর। এখন ঘোষণাকারীর মৃত কিনা তা প্রমাণের বার সেই ব্যক্তির উপর বর্তাবে যে মৃত্যুকালীন ঘোষণা সাক্ষ্য হিসেবে দিতে চায়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির মামলাটি যে ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা প্রমাণের দায়ভার কার?

সাক্ষ্য আইনের ১০৫ ধারায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো প্রমাণের দায়ভার দাবী উপস্থাপনকারী আসামী বা অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাবে।

১. দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারার অধীন সাধারণ ব্যতিক্রম অর্থাৎ অপরাধটি যে দণ্ডবিধির সাধারণ ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হবে। অথবা

২. দণ্ডবিধির অন্যকোনো অংশে উল্লেখিত বিশেষ ব্যতিক্রম। যেমন হত্যার অপরাধটি যে দণ্ডবিধির ৩০০ ধারায় উল্লেখিত ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা আসামীকে প্রমাণ করতে হবে। বা

৩. অপরাধ সংজ্ঞায়িত করে এমন কোনো আইনে উল্লেখিত বিশেষ ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা আসামীকে প্রমাণ করতে হবে।

সাক্ষ্য আইনের ১০৫ ধারা শুধুমাত্র ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১০৫ ধারায় প্রমাণের দায়ভার আসামীর বা অভিযুক্ত ব্যক্তির বা ব্যতিক্রমের দাবী উপস্থাপনকারীর। উদাহরণ: “ক” আদালতে দাবী করে মানসিক অপ্রকৃতিস্থতার কারণে সে তার অপরাধমূলক কাজ সম্পর্কে জানতো না । 'ক' যে মানসিক অপ্রকৃতিস্থ ছিল তা প্রমাণের দায়িত্ব “ক” এর উপর।

মৃত বা জীবিত প্রমাণের দায়ভার:

যখন প্রশ্ন হলো কোনো ব্যক্তি জীবিত না মৃত, সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি জীবিত না মৃত তা প্রমাণের দায়ভার কার তা সাক্ষ্য আইনের ১০৭ এবং ১০৮ ধারায় বলা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ১০৭ ধারায় মৃত প্রমাণ এবং সাক্ষ্য আইনের ১০৮ ধারায় জীবিত প্রমাণের দায়ভার আলোচনা করা হয়েছে।

মৃত প্রমাণের দায়ভার কার?

সাক্ষ্য আইনের ১০৭ ধারা অনুযায়ী বিগত ৩০ বৎসরের মধ্যে যে লোক জীবিত ছিল সে লোককে যে ব্যক্তি মৃত বলে দাবী করে তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে উক্ত ব্যক্তি মৃত। অর্থাৎ সাক্ষ্য আইনের ১০৭ ধারায় বিগত ৩০ বৎসর যাবৎ জীবিত ব্যক্তিকে আদালত জীবিত বলে অনুমান করতে বাধ্য। এইক্ষেত্রে যে ব্যক্তি মৃত বলে দাবী করে তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে উক্ত ব্যক্তি মৃত ।

জীবিত প্রমাণের দায়ভার কার?

সাক্ষ্য আইনের ১০৮ ধারা অনুযায়ী যে ব্যক্তি সম্পর্কে ৭ বছর যাবৎ কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নাই সে জীবিত আছে তা প্রমাণের দায়িত্ব সেই ব্যক্তির উপর বর্তায় যে দাবী করে যে উক্ত ব্যক্তি জীবিত। অর্থাৎ সাক্ষ্য আইনের ১০৮ ধারা অনুযায়ী ৭ বৎসর যাবৎ খবর পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তিকে আদালত মৃত অনুমান করতে বাধ্য। এইক্ষেত্রে যে ব্যক্তি দাবী করে যে উক্ত ব্যক্তি জীবিত আছে তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে উক্ত ব্যক্তি জীবিত আছে।

সন্তানের বৈধতা নির্ধারণের প্রমাণ কি?

সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় সন্তানের বৈধতার অনুমান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কোন সন্তানের বৈধতার প্রশ্ন উঠলে, তা নির্ধারণের সাক্ষ্যগত দিক সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় আদালত কোন সন্তানকে বৈধ বলে অনুমান করবে যদি সন্তানটি-

১. তার পিতা ও মাতার মধ্যে বৈধ বিবাহ স্থির থাকাকালীন অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করে; অথবা

২. পিতা মাতার বিবাহ বিচ্ছেদের ২৮০ দিনের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে এবং উক্ত সময়ে তার মাতা অবিবাহিত ছিল। উপরে উল্লেখিত শর্তে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে, উক্ত সন্তান যে তার পিতার বৈধ সন্তান এটি তার চূড়ান্ত প্রমাণ হবে। ১১২ ধারায় সন্তানের বৈধতার অনুমান চূড়ান্ত প্রমাণ হলেও এটা খণ্ডনযোগ্য আইনসম্পর্কিত অনুমান।

টপিকস

প্রমাণের দায়ভার অর্থ কি? প্রমাণের মানদণ্ড নির্ধারণ করার পদ্ধতি কি? ফৌজদারী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কি? দেওয়ানী মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কি? প্রমাণের দায়ভার এবং প্রমাণ দাখিলের দায়িত্ব এর মধ্যে পার্থক্য কি? কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের দায়ভার কার? অন্যত্র থাকার অজুহাত প্রমাণ বা Proof of Alibi কি? সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য করার জন্য যে ঘটনা প্রমাণ করা প্রয়োজন তা প্রমাণের দায়ভার কার? অভিযুক্ত ব্যক্তির মামলাটি যে ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা প্রমাণের দায়ভার কার? মৃত প্রমাণের দায়ভার কার? জীবিত প্রমাণের দায়ভার কার? সন্তানের বৈধতা নির্ধারণের প্রমাণ কি?

ইউটিউব ভিডিও - প্রমাণের দায়ভার Burden of Proof

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a