- Get link
- X
- Other Apps
কখন দ্বিতীয় মোকদ্দমা বা বিচার বারিত করার জন্য পূর্ববর্তী রায় প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারার অধীন পূর্ববর্তী মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন ক্ষেত্রে ৪১ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন আদালতের রায় ৪১ ধারায় প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন শর্তে সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারায় রায় প্রাসঙ্গিক হতে পারে?
কোন কোন ক্ষেত্রে ৪২ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
কখন বিচার আদালতের রায় প্রাসঙ্গিক?
বিচার আদালতের রায় কখন প্রাসঙ্গিক সেটা সাক্ষ্য আইনের ৪০ থেকে ৪৪ পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারা অনুসারে, দ্বিতীয় মোকদ্দমা বা বিচার বারিত করার জন্য পূর্ববর্তী রায় প্রাসঙ্গিক, সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারা অনুসারে প্রবেট, ইত্যাদি এখতিয়ার প্রয়োগে প্রদত্ত রায় প্রাসঙ্গিক, সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য রায়, আদেশ বা ডিক্রি প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য আইনের ৪২ ধারায় এবং সাক্ষ্য আইনের ৪০ থেকে ৪২ ধারা পর্যন্ত উল্লেখিত ক্ষেত্র ব্যতিত অন্য ক্ষেত্রে রায় সাক্ষ্য আইনের ৪৩ ধারায় প্রাসঙ্গিক এবং রায় নিতে প্রতারণা বা ষড়যন্ত্র সাক্ষ্য আইনের ৪৪ ধারা অনুসারে প্রমাণ করা যেতে পারে।
কখন দ্বিতীয় মোকদ্দমা বা বিচার বারিত করার জন্য পূর্ববর্তী রায় প্রাসঙ্গিক?
সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারায় দেওয়ানী কার্যবিধির দোবারা দোষ [Res judicata] এবং ফৌজদারী কার্যবিধির দোবারা সাজা [double jeopardy] নীতির প্রতিফলন হয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির ১১ ধারার দোবারা দোষ [Res judicatal অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত মামলা পুনরায় একই বিষয়ে এবং একই পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আদালতে শুরু করা যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি এমন মামলা দায়ের করে তাহলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দিবে । আবার ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০৩ ধারার দোবারা সাজা বা double jeopardy নীতি অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে একই অপরাধের জন্য দুইবার বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না । আপনি যদি দেওয়ানী কার্যবিধির দোবারা দোষ [Res judicata] এবং ফৌজদারী কার্যবিধির দোবারা সাজা [double jeopardy] নীতি অনুযায়ী কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা খারিজ করাতে চান তাহলে আদালতকে দেখতে হবে উক্ত মামলার উপর পূর্ববর্তী কোন রায় আছে কিনা। অর্থাৎ একই বিষয়ের উপর দ্বিতীয় মোকদ্দমা খারিজ করতে পূর্ববর্তী মোকাদ্দমার রায় কে প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য হিসাবে আদালতে দাখিল করতে হবে এবং এই কারণে সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারায় পূর্ববর্তী মামলার রায়কে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারার অধীন পূর্ববর্তী মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
নিম্নলিখিত নীতির উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় মোকদ্দমার বিচার বারিত করার জন্য ৪০ ধারার অধীন পূর্ববর্তী মোকদ্দমার রায় প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
১. দেওয়ানী মোকদ্দমায় দোবারা দোষ [Res judicata]
২. ফৌজদারী মামলায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০৩ ধারার অধীন
i. দোবারা সাজা [Double Jeopardy], বা
ii. পূর্বে খালাসপ্রাপ্ত [Autre fois acquit) বা পূর্বে দণ্ডপ্রাপ্ত [Autre fois convict] বা
iii. একই বিষয়ে কাউকে দুইবার বিচারের সম্মুখীন করা যায় না [nemo debet bis vexaril নীতির অধীনে পূর্ববর্তী মোকদ্দমার রায় প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে ৪১ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারার অধীন প্রবেট, ম্যাট্রিমোনিয়াল, অ্যাডমিরালটি এবং দেউলিয়াত্ব বিষয়ক এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কতিপয় রায়কে প্রাসঙ্গিক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং উক্ত রায়কে কতিপয় বিষয়ে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারার অধীন সেই সকল রায়কে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে যেগুলো বস্তুর বিরুদ্ধে রায় বা Judgment in rem। Judgment in rem' অর্থ হলো সুনির্দিষ্ট কোন বিষয়ের বিরুদ্ধে রায়। সুনির্দিষ্ট কোন বিষয়ের বিরুদ্ধে রায় বা Judgment in rem হতে পারে, যখন অধিকার, মর্যাদা বা সম্পত্তি-সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নে মীমাংসা করা হয়। এটা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্থলে কোনো সম্পত্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত কোন মামলা বর্ণনা করে। যেমন: অ্যাডমিরালটি মামলা জাহাজের মালিকের বিরুদ্ধে না হয়ে জাহাজের বিরুদ্ধে হয়। সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারার অধীন Judgment in rem প্রাসঙ্গিক হওয়ার কারণে এই ধারার অধীন বর্ণিত প্রবেট, বিবাহ, অ্যাডমিরালটি ও দেউলিয়া মামলার রায় শুধুমাত্র পক্ষদের উপর নহে, বরং অন্য সকলের উপর বাধ্যকর। কোন ব্যক্তি যে মামলার পক্ষ না, সেই মামলার সিদ্ধান্ত সাধারণত তার জন্য বাধ্যকর না। কিন্তু সাক্ষ্য আইনের অধীন Judgment in rem এই নিয়মের ব্যতিক্রম কারণ Judgment in rem এর ক্ষেত্রে আদালতের রায় শুধুমাত্র যে পক্ষগণের উপর বাধ্যকর তা নয় বরং অন্যান্য সকলের জন্যও বাধ্যকর যদিও তারা উক্ত মামলার পক্ষ না।
কোন কোন আদালতের রায় ৪১ ধারায় প্রাসঙ্গিক?
সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারায় ৪ শ্রেণীর এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালতের রায়কে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১. Probate বা উইল সংক্রান্ত দলিল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত,
২. Matrimonial বা বিবাহ সংক্রান্ত এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত
৩. Admiralty বা নৌ-চলাচল বিষয়ক আইনগত প্রশ্নের মীমাংসার জন্য আদালত এবং
৪. Insolvency jurisdiction বা দেউলিয়াত্ব বিষয়ক এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত।
কোন কোন শর্তে সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারায় রায় প্রাসঙ্গিক হতে পারে?
সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারার কোন রায় প্রাসঙ্গিক হবে যদি
১. রায়, আদেশ বা ডিক্রিটি প্রবেট, ম্যাট্রিমোনিয়াল, এডমিরালটি এবং দেউলিয়াত্ব এখতিয়ার প্রয়োগকারী ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হয় এবং
২. এমন রায় আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা আদালত
i. কোন ব্যাক্তিকে কোন আইনগত পরিচয় অর্পন করে বা তা থেকে বঞ্চিত করে বা
ii. কোন ব্যক্তিকে এমন আইনগত পরিচয়ের অধিকারী বলে ঘোষণা করে বা
ii. কোন ব্যক্তিকে সম্পূর্ণরূপে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে অধিকারী বলে ঘোষণা করে।
তবে ৪১ ধারায় প্রানেট, ম্যাট্রিমোনিয়াল, অ্যাডমিরালটি এবং দেউলিয়াত্ব এখতিয়ার প্রয়োগকারী ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রিকে কতিপয় ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রমাণ বা Conclusive proof হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণ: ক এবং খ এর মধ্যে সম্পাদিত বিবাহটি আদালত (ম্যাট্রিমোনিয়াল আদালত যেমন পারিবারিক আদালত) বাতিল বলে ঘোষণা করে। এবং ক ও খ যে এখন আর স্বামী এবং স্ত্রী (আইনগত পরিচয়) না, সেই সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্ত হলো চূড়ান্ত প্রমাণ এবং এই রায় শুধুমাত্র উক্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর নয় বরং যেকোন ব্যক্তির উপর বাধ্যকর এবং এটা চূড়ান্ত প্রমাণ।
কোন কোন ক্ষেত্রে ৪২ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
সাক্ষ্য আইনের ৪২ ধারায় জনসংশ্লিষ্ট প্রকৃতির বা Public Nature বিষয়ে আদালতের রায় প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের সাধারণ নিয়ম হলো রায়ের পক্ষ নয় এমন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত রায় বাধ্যকর হবেনা। কিন্তু এই নিয়মের প্রথম ব্যতিক্রম ৪১ ধারায় এবং দ্বিতীয় ব্যতিক্রম সাক্ষ্য আইনের ৪২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, একই পক্ষ হোক বা না হোক, জনসংশ্লিষ্ট প্রকৃতির বিষয় যেমন প্রথা, প্রেসক্রিপশন বা অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে আদালতের রায় প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। উদাহরণ: ক খ এর বিরুদ্ধে তার জমিতে অনধিকার প্রবেশের কারণে মামলা করে। 'খ উক্ত জমিতে সাধারণ জনগণের চলাচলের অধিকার আছে বলে দাবি করে। ক এই দাবি অস্বীকার করে। ক এবং গ এর মধ্যে উক্ত জমি নিয়ে পূর্বের কোন এক মামলায় আদালত উক্ত জমিতে সাধারণের চলাচলের অধিকার আছে বলে ডিক্রি প্রদান করেছিল। আদালতের এই ডিক্রি বর্তমানে ক এবং খ এর মধ্যকার মামলায় প্রাসঙ্গিক হবে। কিন্তু জনগণের চলাচলের যে অধিকার আছে সেটা চূড়ান্ত প্রমাণ হবে না অর্থাৎ এটাকে খন্ডন করা যাবে বা এটা খন্ডন যোগ্য প্রমাণ।
টপিকস
কখন বিচার আদালতের রায় প্রাসঙ্গিক? কখন দ্বিতীয় মোকদ্দমা বা বিচার বারিত করার জন্য পূর্ববর্তী রায় প্রাসঙ্গিক? কোন কোন ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইনের ৪০ ধারার অধীন পূর্ববর্তী মামলার রায় প্রাসঙ্গিক? কোন কোন ক্ষেত্রে ৪১ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক? কোন কোন আদালতের রায় ৪১ ধারায় প্রাসঙ্গিক? কোন কোন শর্তে সাক্ষ্য আইনের ৪১ ধারায় রায় প্রাসঙ্গিক হতে পারে? কোন কোন ক্ষেত্রে ৪২ ধারার অধীনে মামলার রায় প্রাসঙ্গিক?
ইউটিউব ভিডিও - কখন বিচার আদালতের রায় প্রাসঙ্গিক? Res judicata