Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ৮ ধারা ৯

কিভাবে স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করা যায়?
কোন কোন ক্ষেত্রে ৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায়?
কোন ব্যক্তি ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে?
কোন ব্যক্তি ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে?
কে দখলের অধিকারী ব্যক্তি?
কিভাবে সম্পত্তিতে স্বত্ত্ব সৃষ্টি হয়?
দখলি স্বত্ব কি?
৮ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?
৯ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?
যথাযথ আইনগত পন্থা ছাড়া বলতে কি বুঝায়?
৮ এবং ৯ ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে কি মোকদ্দমা দায়ের করা যায়?
৯ ধারার অধীন প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?

সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সম্পর্কে [Of Recovering Possession of Property]

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫ ধারায় প্রতিকার প্রদানের যে ৫ প্রকার পন্থা উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৫ক নং পন্থাটি হলো কোন সম্পত্তির দখল গ্রহণ এবং তা দাবীদারকে অর্পণ করা। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের দ্বিতীয় ভাগের প্রথম অধ্যায়ে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদানের এই পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিকার প্রদানের এই পন্থা ব্যবহার করে আদালত যে সকল শর্তে সম্পত্তি উদ্ধারের বা সম্পত্তির দখল উদ্ধারের প্রতিকার প্রদান করতে পারে তা ৮ থেকে ১১ ধারা পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ ও ৯ ধারায় স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার এবং ১০ ও ১১ ধারায় অস্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কিভাবে স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করা যায়?

৮ ধারায় বিধান করা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিতে দখলের অধিকারী ব্যক্তি তা দেওয়ানী কার্যবিধিতে উল্লেখিত পন্থায় পুনরুদ্ধার করতে পারে। অন্যদিকে ৯ ধারায় বিধান করা হয়েছে,যদি কোন ব্যক্তি স্থাবর সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত হয়-

ক. তার সম্মতি ছাড়া; এবং

খ. যথাযথ আইনগত পন্থা ব্যতীত

গ. তাহলে সে বা তার মাধ্যমে দাবীদার কোন ব্যক্তি মামলার মাধ্যমে তার দখল পুনরুদ্ধার করতে পারে, যদিও এইরুপ মামলায় অন্য যেকোন স্বত্ব দাবী করা যায়।

কোন কোন ক্ষেত্রে ৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায়?

সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি বা সম্পত্তির দখল উদ্ধারের জন্য ৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কোন ক্ষেত্রে ৮ ধারায় এবং কোন ক্ষেত্রে ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করবেন, এই বিষয়টি নির্ধারণ করতে নিম্নবর্ণিত জানা প্রয়োজন। ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায় স্বত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বা দখলি স্বত্বের উপর ভিত্তি করে। এই কারণে ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে যে ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব আছে বা দখলি স্বত্ব আছে। ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায় পূর্ববর্তী দখলের উপর ভিত্তি করে। যেক্ষেত্রে বাদীর সম্মতি এবং আইনগত পন্থা ছাড়া অর্থাৎ বলপূর্বক তাকে দখলচ্যুত করা হয়েছে , সেক্ষেত্রে ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায়।

উদাহরণ-১: ৮ ধারায় স্বত্ব বা দখলি স্বত্বের উপর ভিত্তি করে উচ্ছেদের মোকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে। A উত্তরাধিকারসূত্রে একখণ্ড জমির মালিক হয়। B উক্ত জমির দখলে ছিল এবং সে জমির মালিকানা দাবি করে। এই ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারসূত্রে স্বত্বের উপর ভিত্তি করে সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এবং B-কে উক্ত জমি হতে উচ্ছেদের জন্য A, ৮ ধারায় মামলা দায়ের করতে পারে।

উদাহরণ-২: A একখণ্ড জমির দখলে ছিল। B, A-কে সম্মতি এবং আইনগত পন্থা ব্যতীত উক্ত দখল হতে দখলচ্যুত করে । এই ক্ষেত্রে A তার পূর্ববর্তী দখলের উপর ভিত্তি করে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে। এই ক্ষেত্রে স্বত্ব বা মালিকানা ছিল কি ছিলনা তা বিবেচ্য বিষয় না। পূর্ববর্তী দখল ছিল কিনা এবং সম্মতি ছাড়া এবং আইনগত পন্থা ব্যতীত দখলচ্যুত করা হয়েছে কিনা তা ৯ ধারায় বিবেচ্য বিষয়। ৮ ধারার মোকদ্দমা স্বত্ব বা দখলি স্বত্বের উপর ভিত্তি করে যে মামলা দায়ের করা হয়, সেটা উচ্ছেদের মামলা (a suit for ejectment on the basis of title) নামেও পরিচিত।

কোন ব্যক্তি ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে?

৮ ধারার অধীন, সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিতে দখলের অধিকারী ব্যক্তি স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে।

কোন ব্যক্তি ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে?

৯ ধারার অধীন স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করার মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে, সম্মতি ছাড়া এবং আইনগত পন্থা ব্যতীত-

১. যে ব্যক্তিকে দখলচ্যুত করা হয়েছে অথবা

২. তার দ্বারা দাবিদার কোন ব্যক্তি দখল পুনরুদ্ধার করার মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে।

কে দখলের অধিকারী ব্যক্তি?

৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে শুধুমাত্র দখলের অধিকারী ব্যক্তি। ৮ ধারায় স্থাবর সম্পত্তিতে 'দখলের অধিকারী’ বলতে মালিক বা দখলদার হিসাবে দখলের অধিকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে ।যেমন: চুক্তিবলে, উত্তরাধিকারসূত্রে বা অনুমতি সাপেক্ষে দখলের অধিকারী বা দখলি স্বত্বের উপর ভিত্তি করে দখলের অধিকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে। আপনি দখলের অধিকারী কারণ সম্পত্তিতে আপনার স্বত্ব আছে। সুতরাং যে স্বত্বের কারণে আপনি দখলের অধিকারী আপনাকে সেই স্বত্ব প্রমাণ করতে হবে। বা যে স্বত্বের কারণে আপনি দখল দাবী করছেন, আপনাকে সেই স্বত্ত্বই প্রমাণ করতে হবে। দখলে আছেন কিনা সেটা বিবেচ্য বিষয় না। ৮ ধারায় শুধুমাত্র যে, একজন স্থাবর সম্পত্তির মালিক তার স্বত্বের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে তা নয় বরং দখলের অধিকারী যে কোনো ব্যক্তি ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে, যদি সে সম্পত্তিতে তার স্বত্ব প্রমাণ করতে পারে।

কিভাবে সম্পত্তিতে স্বত্ত্ব সৃষ্টি হয়?

স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব সৃষ্টি হতে পারে উত্তরাধিকারসূত্রে বা অনুমতি সাপেক্ষে বা দানসূত্রে বা উইলসূত্রে বা চুক্তিবলে। যেমন:কোন স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের চুক্তির মাধ্যমে বা দখলি স্বত্বের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির স্বত্ব সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং সম্পত্তিতে স্বত্ব থাকার কারণে যে ব্যক্তি দখল উদ্ধারের অধিকারী শুধুমাত্র সেই ৮ ধারায় দখল উদ্ধারের জন্য বা বিবাদীকে উচ্ছেদের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে। যেমন: A, B এর বিরুদ্ধে স্বত্ব ঘোষণা এবং দখল উদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করে। বাদী, A প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে, সম্পত্তি বিষয়ে প্রথমে একটি দানপত্র হয় এবং পরবর্তীতে তার নিকট বিক্রয় করা হয়। আদালত A এর পক্ষে উক্ত সম্পত্তিতে স্বত্ব ঘোষণা এবং দখলের প্রতিকার মঞ্জুর করে।

দখলি স্বত্ব (Possessory Title) কি?

তামাদি আইনের ১৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন স্থাবর সম্পত্তিতে কোনো ব্যক্তি বিরুদ্ধ দখল দাবী করলে উক্ত দাবীর ১২ (বারো) বৎসরের মধ্যে দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়। যখন বিবাদীর দখল বাদীর প্রতি বিরুদ্ধ দখলে পরিণত হয়, তখন থেকে ১২ বৎসরের মধ্যে বাদী দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করবে। যদি না করা হয়, তাহলে তামাদি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, উক্ত সম্পত্তিতে প্রকৃত মালিকের স্বত্ব বিলুপ্ত হয় এবং দখলদারের মালিকানা স্বত্ব সৃষ্টি হয়। যে ব্যক্তি বিরুদ্ধ দখল দাবী করছে, সে মালিকানা দাবী করে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেনা। বরং ৮ ধারায় দখল বা উচ্ছেদের মোকদ্দমায় বিবাদী বিরুদ্ধ দখল-কে পক্ষসমর্থন হিসাবে দেখাতে পারে। ৮ ধারার মোকদ্দমায় বাদী তার স্বত্ব প্রমাণ করতে পারলে, তখন স্বত্ব প্রমাণের ভার বিবাদীর উপর চলে যায় এবং বিবাদী তখন প্রমাণ করবে যে, বিরুদ্ধ দখলের দ্বারা তার স্বত্ব খাঁটি হয়েছে। বা দখলের জন্য মোকদ্দমা দায়েরকারী বাদী স্বত্ব দাবী করতে পারে এমনকি বিরুদ্ধ দখলও দাবী করতে পারে। যেমন কোন উইল বলে স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব দাবীকারী ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তিতে বিরুদ্ধ দখলের দাবীও করতে পারে। অন্যদিকে সম্পত্তিতে স্বত্ব নেই এমন কোন ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তিতে ১২ বৎসর যাবৎ দখলে থাকলে, তামাদি আইনের ২৮ ধারা অনুসারে, উক্ত ১২ বৎসর পর দখলকারী ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তিতে স্বত্ব বা মালিকানা অর্জন করে। পরবর্তীতে যদি সে অন্যকোন ব্যক্তি কর্তৃক দখলচ্যুত হয়, তাহলে সে তামাদি আইনের ১৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে উক্ত অনুপ্রবেশকারী বা বেআইনী দখলকারী ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করার জন্য পরবর্তী ১২ বৎসরের মধ্যে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে এবং বাদী তার পূর্ববর্তী ১২ বৎসর দখলের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমায় জয়যুক্ত হতে পারে।

৮ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?

৮ ধারার অধীন মোকদ্দমার ক্ষেত্রে বাদীকে প্রমাণ করতে হবে স্থাবর সম্পত্তিতে বাদীর স্বত্ত্ব ছিল। বাদীর উক্ত সম্পত্তিতে দখল ছিল কিনা তা প্রমাণ না করলেও চলে। অর্থাৎ ৮ ধারার অধীন আপনাকে দেখাতে হবে স্বত্ব বা মালিকানা আছে এবং তা চুক্তিবলে হোক বা উত্তরাধিকারসূত্রে হোক বা দখলি স্বত্ব হোক।

 ৯ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?

৯ ধারার অধীন স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমায়, বাদীকে প্রমাণ করতে হবে-

১. সম্পত্তিতে বাদীর দখল এবং বেদখল। অর্থাৎ তিনি সম্পত্তিটির দখলে ছিলেন এবং বিবাদী তাকে বেদখল করেছে। এই ক্ষেত্রে দখল বলতে কার্যত এবং আইনগত উভয় দখলকে বোঝানো হয়েছে।

২. বেদখলটি বাদীর সম্মতি ব্যতিরেকে এবং যথাযথ আইনগত পন্থা ছাড়া করা হয়েছে।

৩. বেদখলটি মামলা দায়েরের পূর্ববর্তী ৬ মাসের মধ্যে করা হয়েছে।

তামাদি আইনের ১৪২ এবং ১৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ৮ ধারার মামলায় প্রমাণ করতে হবে যে, মোকদ্দমা দায়েরের তারিখের পূর্বের ১২ বৎসরের মধ্যে সম্পত্তিতে বাদীর স্বত্ব বা মালিকানা ছিল। ৯ ধারায় মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আদালত স্বত্বের প্রশ্নের বিচার করবে না, বরং শুধুমাত্র নিম্নবর্ণিত ২টি প্রশ্নের সমাধান করবে-

১. বাদী দখলচ্যুত হওয়ার পূর্বে দখলে ছিল কিনা এবং

২. মোকদ্দমা দায়েরের পূর্বের ৬ মাসের মধ্যে বিবাদী বাদীর সম্মতি ব্যতিরেকে এবং আইনগত পন্থা ছাড়া বাদীকে দখলচ্যুত করেছে কিনা? যদি এই প্রশ্ন ২টির উত্তর ইতিবাচক হয় তাহলে আদালত বাদীকে ৯ ধারায় দখল অর্পণ করবে।

 যথাযথ আইনগত পন্থা ছাড়া বলতে কি বুঝায়?

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আইনগত পন্থা ব্যতীত দখলচ্যুত বাদীকে আদালত ৯ ধারায় প্রতিকার মঞ্জুর করতে পারে।

১. বাড়িভাড়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও ভাড়াটিয়া কর্তৃক দখল বজায় রাখা হয়েছে। বাড়িওয়ালা বলপূর্বক ভাড়াটিয়াকে উক্ত বাড়ি হতে দখলচ্যুত করেছে। এটা 'যথাযথ আইনগত পন্থা ব্যতীত দখলচ্যুত করা হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং ভাড়াটিয়া দখল উদ্ধারের জন্য ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারবে যদিও বাড়িওয়ালা উক্ত বাড়ির মালিক। এমন মেয়াদ উত্তীর্ণ ভাড়াটিয়াকে বা লিজগ্রহীতাকে আদালত হতে উচ্ছেদের আদেশ নিয়ে উচ্ছেদ করতে হয়। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ভাড়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর উক্ত সম্পত্তিতে ভাড়াটিয়ার দখল যদিও বৈধ না কিন্তু এমন দখল আইন দ্বারা সুরক্ষিত বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারায় সুরক্ষিত। বাড়িওয়ালা আইন হাতে তুলে নিয়ে এমন মেয়াদ উত্তীর্ণ ভাড়াটিয়াকে দখলচ্যুত করতে পারেনা বরং আইনগত পন্থায় যেমন আদালত হতে উচ্ছেদের আদেশ দ্বারা উচ্ছেদ করতে পারে।

২. দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ২১ আদেশের ৯৫ বিধির অধীন দখল গ্রহণের জন্য নিলাম-ক্রেতা দায়িকের একজন ভাড়াটিয়াকে দখলচ্যুত করেছিল। এমন দখলচ্যুত করা 'আইনগত পন্থায় দখলচ্যুত করা হয়নি' হিসাবে আদালত সিদ্ধান্ত প্রদান করে এবং ভাড়াটিয়া কর্তৃক ৯ ধারায় দখল উদ্ধারের মোকদ্দমা আদালত বহাল রাখে। কারণ নিলাম-ক্রেতা ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলে নেওয়ার জন্য দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ২১ আদেশের ৯৬ বিধিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করেনি। ৯ ধারায় স্থাবর সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত ব্যক্তি কর্তৃক মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে দখলচ্যুত হওয়ার দিন হতে ৬ মাসের মধ্যে এবং এটা বলা হয়েছে তামাদি আইন ১৯০৮ এর ৩ অনুচ্ছেদে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির দখলের অধিকারী ব্যক্তি দেওয়ানি কার্যবিধিতে বর্ণিত পন্থায় তা উদ্ধার করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রিটি দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৩৫ এবং ৩৬ বিধি অনুযায়ী বলবৎ করা যেতে পারে।

৮ এবং ৯ ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে কি মোকদ্দমা দায়ের করা যায়?

কেউ যদি সরকার কর্তৃক কোন সম্পত্তি হতে বেদখল হয় তবে সেক্ষেত্রে ৯ ধারার বিধান মতে সরকারের বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে না। ৯ ধারায় বিধান করা হয়েছে, ‘এই ধারার অধীন সরকারের বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা দায়ের করা যাবেনা। তবে সরকারের বিরুদ্ধে ৮ ধারার বিধান মতে সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা এবং ৪২ ধারার অধীন স্বত্ত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা দায়েরে কোন বাধা নেই। যেহেতু সরকার আইনগত পন্থা ছাড়া কোন ব্যক্তিকে দখলচ্যুত করতে পারেনা, তাই যদি কোন ব্যক্তি মনে করে তাকে আইনগত পন্থা ব্যতীত দখলচ্যুত করা হয়েছে, তাহলে দখল উদ্ধারের জন্য সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে রিট করতে পারে।

৯ ধারার অধীন প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?

৯ ধারার বিধান অনুযায়ী দায়েরকৃত মামলায় প্রদত্ত কোন আদেশ বা ডিক্রির বিরুদ্ধে কোনো আপীল বা রিভিউ করা যাবে না। কিন্তু ৯ ধারায় প্রদত্ত কোন আদেশ বা ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যাবে। ৯ ধারায় প্রদত্ত কোন ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশন করলে হাইকোর্ট বিভাগে এবং আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করলে জেলা জজ বা হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করতে হবে। ৮ ধারায় প্রদত্ত কোনো ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে।

৯ ধারার মামলার ক্ষেত্রে কি দোবারা দোষ [Res-judicata] নীতি প্রযোজ্য?

বেআইনীভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিকার (Summary Remedy] দিয়েছে। যে ব্যক্তি দখলচ্যুত হয়েছে সে স্বত্ব প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র তার পূর্ববর্তী দখল প্রমাণ করে ৯ ধারায় দখল পুনরুদ্ধার করতে পারে। ৯ ধারায় স্থাবর সম্পত্তিতে দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করা হলে এবং উক্ত মামলায় আদালত ডিক্রি দিলেও উক্ত একই সম্পত্তি বিষয়ে স্বত্ব প্রমাণ করে দখল পুনরুদ্ধার করতে ৮ ধারায় নতুন মামলা দায়ের করা যাবে এবং এই ক্ষেত্রে ৯ ধারা কোন বাধা না । কারণ ৯ ধারায় বিধান করা হয়েছে, এরূপ সম্পত্তিতে তার স্বত্ব প্রমাণ করতে এবং দখল উদ্ধার করতে এই ধারার কোন কিছুই কোন ব্যক্তিকে মোকদ্দমা দায়ের করা হতে বারিত করবেনা। ৯ ধারার মামলায় যে পক্ষ পরাজিত হয় সেই পক্ষ উক্ত সম্পত্তিতে তার স্বত্ব প্রমাণ করে ৮ ধারায় নতুন মামলা দায়ের করতে পারবে এবং এই ক্ষেত্রে দোবারা দোষ [Res-judicata] নীতি প্রযোজ্য হবেনা। কিন্তু ৯ ধারার মামলায় যে পক্ষ পরাজিত হয় সেই পক্ষ পূর্ববর্তী দখলের উপর ভিত্তি করে নতুন করে ৯ ধারায় মামলা করতে পারবেনা এবং যদি করে তাহলে দোবারা দোষ [Res-judicata] নীতি অনুযায়ী মামলাটি খারিজ হবে। উদাহরণ: A, B এর বিরুদ্ধে দখল উদ্ধারের জন্য ৯ ধারায় মামলা দায়ের করলো। আদালত A এর বিরুদ্ধে ডিক্রি দিলো। পরবর্তীতে স্বত্ব প্রমাণ করে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য A ৮ ধারায় নতুন মামলা দায়ের করতে করতে পারবে। কিন্তু A দখলের জন্য ৯ ধারায় নতুন করে মামলা করতে পারবেনা কারণ দখলের বিষয়টি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।

যদি দখলচ্যুত বাদী ৬ মাসের মধ্যে মামলা দায়ের না করে?

যে বাদী তার সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত হয়েছে সে যদি দখলচ্যুত হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে ৯ ধারায় মামলা দায়ের না করে, তখন সে তার পূর্ববর্তী দখলের উপর ভিত্তি করে ৯ ধারায় দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেনা কিন্তু যদি সে সম্পত্তিতে তার স্বত্ব প্রমাণ করতে পারে তাহলে ৮ ধারায় মামলা করে সম্পত্তির দখল উদ্ধার করতে পারে। অর্থাৎ যদি দখলচ্যুত হওয়ার পর ৬ মাস অতিক্রম হয়ে যায় এবং ৯ ধারায় মামলা না করলে, পরবর্তী ১২ বৎসরের মধ্যে ৮ ধারায় সম্পত্তির দখল উদ্ধারের মামলা করা যেতে পারে যদি বাদী সম্পত্তিতে তার স্বত্ব প্রমাণ করতে পারে। যেমন: A, B -কে ভূমি হতে দখলচ্যুত করেছে। B ৬ মাসের মধ্যে দখল উদ্ধারের জন্য ৯ ধারায় মামলা দায়ের করেনি। এই ক্ষেত্রে স্বত্ব প্রমাণ করে দখল উদ্ধারের জন্য B ৮ ধারায় ১২ বৎসরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারবে।

৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত?

৮ ধারায় মূল্যের আনুপাতিক বা অ্যাডভেলোরাম কোর্ট ফি দিতে হবে। কিন্তু ৯ ধারায় মামলার বিষয়বস্তুর মূল্যের উপর যে অ্যাডভেলোরাম কোর্ট ফি আসে, তার অর্ধেক কোর্ট ফি দিতে হবে।

টপিকস

কিভাবে স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করা যায়? কোন কোন ক্ষেত্রে ৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করা যায়? কোন ব্যক্তি ৮ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে? কোন ব্যক্তি ৯ ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে? কে দখলের অধিকারী ব্যক্তি? কিভাবে সম্পত্তিতে স্বত্ত্ব সৃষ্টি হয়? দখলি স্বত্ব কি? ৮ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?  ৯ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে? যথাযথ আইনগত পন্থা ছাড়া বলতে কি বুঝায়? ৮ এবং ৯ ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে কি মোকদ্দমা দায়ের করা যায়? ৯ ধারার অধীন প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? ৯ ধারার মামলার ক্ষেত্রে কি দোবারা দোষ নীতি প্রযোজ্য? যদি দখলচ্যুত বাদী ৬ মাসের মধ্যে মামলা দায়ের না করে? ৮ এবং ৯ ধারায় মোকদ্দমার কোর্ট ফি কত? 

ইউটিউব ভিডিও - সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ৮ ধারা ৯

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a