- Get link
- X
- Other Apps
যে সকল ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে আহ্বান করা যায় না তাদের বিবৃতি।
মৃত বা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তিদের সাক্ষ্য কখন প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন ক্ষেত্রে ৩২ ধারায় সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হবে?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা বা Dying Declaration কি?
মৃত্যুকালীন ঘোষণার বৈশিষ্ট্য সমূহ কি কি?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী মৃত্যু বরণ না করলে তার কি ফলাফল?
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা।
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতার শর্তসমূহ কি কি?
সাক্ষ্য আইনের ৩২ এবং ৩৩ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
মৃত বা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তিদের সাক্ষ্য কখন প্রাসঙ্গিক?
কোন কোন ক্ষেত্রে ৩২ ধারায় সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হবে?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা বা Dying Declaration কি?
মৃত্যুকালীন ঘোষণার বৈশিষ্ট্য সমূহ কি কি?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী মৃত্যু বরণ না করলে তার কি ফলাফল?
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা।
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতার শর্তসমূহ কি কি?
সাক্ষ্য আইনের ৩২ এবং ৩৩ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
যে সকল ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে আহ্বান করা যায় না তাদের বিবৃতি:
যে সকল ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসাবে আহ্বান করা যায় না যেমন যে ব্যক্তি মৃত বা যাকে খুঁজে পাওয়া যায় না বা যে সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা অযৌক্তিক বিলম্ব ও বায় ছাড়া যাকে হাজির করা যায় না ইত্যাদি, তাদের বিবৃতি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে তা প্রথমত সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারায় এবং দ্বিতীয়ত ৩৩ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৬০ ধারা অনুযায়ী মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে। অর্থাৎ যে বিষয় দেখা যায়, সেই বিষয় যে দেখেছে, সেই সাক্ষ্য নিবে। আবার যে বিষয় শোনা যায়, সেই বিষয় যে শুনেছে সেই সাক্ষ্য দিবে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি দিতে চায় বা যার মৌখিক বা লিখিত সাক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন, তাকে হাজিত করা সম্ভব নাও হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হাজির করা যায় না এমন ব্যক্তিদের লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি যিনি জানতে পেরেছে, তার শোনা সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে। অর্থাৎ মৌখিক সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হতে হবে এই নিয়মের ব্যতিক্রম সাক্ষ্য আইনের ৩২ ও ৩৩ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৩২ ও ৩৩ ধারায় উল্লেখিত শর্তে মৌখিক সাক্ষ্য প্রত্যক্ষ না হলেও তা প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
মৃত বা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তিদের সাক্ষ্য কখন প্রাসঙ্গিক?
সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী মৃত বা খুঁজে পাওয়া যায় না, ইত্যাদি ব্যক্তি কর্তৃক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য যে ক্ষেত্রসমূহে প্রাসঙ্গিক তা সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারায় বিধান করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী ৪ শ্রেণীর ব্যক্তির সাক্ষ্য, সাক্ষ্য হিসাবে প্রাসঙ্গিক যদিও তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে আহ্বান করা যায় না।
১. মৃত ব্যক্তি বা
২. খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তি বা
৩. যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম হয়েছে বা
৪. অযৌক্তিক বিলম্ব বা ব্যয় ছাড়া যে ব্যক্তিকে হাজির করা যায় না।
"সাক্ষা আইনের ৩২ ধারায় উপরের উল্লেখিত ৪ শ্রেণীর সাক্ষী যাদের সাক্ষ্য হিসাবে আহ্বান করা যায় না, তাদের সাক্ষ্য ৮টি ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে ৩২ ধারায় সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হবে?
উপরে উল্লেখিত এই ৪ শ্রেণীর সাক্ষী যাদের সাক্ষ্য হিসাবে আহ্বান করা যায় না, তাদের সাক্ষ্য ৮টি ক্ষেত্রে ৩২ ধারা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ৩২ ধারায় যে শুধুমাত্র মৃত্যুকালীন ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা নয়, বরং উপরে উল্লেখিত ৪ শ্রেণীর ব্যক্তির নিম্নলিখিত ৮ প্রকৃতির বক্তব্য
সাক্ষ্য হিসাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
১. যখন এটা তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত হয়। ধারা ৩২ (১) অনুচ্ছেদ।
২. যে ক্ষেত্রে বিবৃতিদানকারী তার ব্যবসার স্বাভাবিক কাজকর্মের রীতি অনুযায়ী বিবৃতি দিয়েছিল। ধারা ৩২ (২) অনুচ্ছেদ।
৩. যদি বিবৃতিটা বিবৃতিদানকারীর আর্থিক বা মালিকানাগত স্বার্থের পরিপন্থী হয় এবং বিবৃতিটা যদি সত্য হয়, তাহলে বিবৃতিদানকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা বা ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানী মামলা দায়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। ধারা ৩২ (৩) অনুচ্ছেদ।
৪. যদি বিবৃতিটা জনগণের অধিকার, প্রথা বা সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মতামত সম্পর্কে হয়। ধারা ৩২ (৪) অনুচ্ছেদ।
৫. যদি বিবৃতিটা কোন বিদ্যমান রক্তের, বৈবাহিক বা দত্তকাণ সূত্রে কোন সম্বন্ধের সাথে সম্পর্কিত হয়। ধারা ৩২ (৫) অনুচ্ছেদ । উদাহরণ: প্রশ্ন হচ্ছে, মৃত 'ক' 'খ' এর পিতা ছিল কিনা? ''খ' তার পুত্র, এই মর্মে 'ক' যে বিবৃতি দিয়েছিল, তা প্রাসঙ্গিক ।
৬. সাক্ষ্য আইনের ৩২ (৬) অনুচ্ছেদে কোন বিবৃতি মৃত ব্যক্তিগণের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক সূত্রে, বিবাহসূত্রে বা দত্তকসূত্রে হলে এবং একই সাথে বিবৃতিটা পারিবারিক বিষয়ে কোন দলিল বা উইলে করা হয় বা কোন পারিবারিক বংশতালিকা বা কোন সমাধিপ্রস্তরে করা হয় (৩২ (৬) অনুচ্ছেদ)। ৫ এবং ৬ অনুচ্ছেদের মধ্যে পার্থক্য হলো ৫ অনুচ্ছেদের মধ্যে বক্তব্য মৌখিক বা লিখিত উভয় হতে পারে কিন্তু ৬ অনুচ্ছেদের অধীন বক্তব্যটি শুধুমাত্র লিখিত হতে হবে।
৭. যদি বিবৃতি এমন কোন দলিল, উইল বা অন্য দলিলের লিপিভুক্ত হয়, যা ১৩ ধারায় (ক) অনুচ্ছেদের উল্লিখিত কোন কারবারের সাথে সংশ্লিষ্ট (৩২(৭) অনুচ্ছেদ]।
৮. যদি বিবৃতি কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত হয়ে থাকে এবং বিচার্য বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক কোন মনোভাব বা ধারণা উহাতে ব্যক্ত হয় | ৩২ (৮) অনুচ্ছেদ।
মৃত্যুকালীন ঘোষণা বা Dying Declaration কি?
৩২ (১) অনুচ্ছেদে মৃত্যুকালীন ঘোষণাকে সাক্ষ্য হিসাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। মৃত্যুকালীন ঘোষণা হলো কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার মৃত্যুর পূর্বে তার মৃত্যুর কারণ বা যে সকল ঘটনার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে সেই সম্পর্কে মৌখিক বা দালিলিক যেকোন বিবৃতি।
উদাহরণ: 'ক' 'খ'-কে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত । প্রশ্ন হলো 'ক' এর পাশবিক অত্যাচারের কারণে 'খ' এর মৃত্যু হয়েছে কিনা । 'খ' মৃত্যুর আগে তার মৃত্যুর কারণ হিসাবে 'ক' এর পাশবিক অত্যাচারকে দায়ী করে ডাক্তারের নিকট একটি বিবৃতি দিয়ে গেছে। 'খ' এর এমন বক্তব্য মৃত্যুকালীন ঘোষণা হিসাবে পরিচিত। যেহেতু 'খ' মারা গেছে, তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব না। এই ক্ষেত্রে 'খ' তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে যে বিবৃতি ডাক্তার দিয়ে গেছে, তা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে, যদিও ডাক্তার যে সাক্ষ্য দিয়েছে তা শোনা সাক্ষ্য।
মৃত্যুকালীন ঘোষণার বৈশিষ্ট্য সমূহ কি কি?
১. ৩২(১) ধারায় মৃত্যুকালীন ঘোষণাকে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে।
২. মৃত্যুকালীন ঘোষণা মৌখিক বা লিখিত বা ইশারায়ও হতে পারে।
৩. কোন ব্যক্তির মৃত্যুকালীন ঘোষণায় শুধু মাত্র তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বা যে সকল অবস্থা তার মৃত্যু
ঘটিয়েছে সে সম্পর্কিত যে বিবৃতি দেয় তা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে;
৪. মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী ব্যক্তি যখন সে মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদান করেছিল তখন সে মৃত্যু
প্রতীক্ষায় থাকুক বা না থাকুক, উক্ত মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রাসঙ্গিক হবে। অর্থাৎ মৃত্যু হতে পারে এমন
আশংকাই যে মৃত্যুকালীন ঘোষণা দিলে তা প্রাসঙ্গিক হবে তা নয় বরং যেকোন অবস্থায় মৃত্যুকালীন
ঘোষণা প্রদান করা হোক না কেন তা প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
৫. মৃত্যুকালীন ঘোষণা যেকোন ব্যক্তির নিকট প্রদত্ত হতে পারে। মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রাসঙ্গিক হতে হলে
এটা যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দিতে হবে এমন কোন বিধান নেই। যে ব্যক্তির নিকট দেওয়া হোক না
কেন, মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
৬. মৃত্যুকালীন ঘোষণা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করার আগে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে উক্ত ব্যক্তি মৃত।
৭. ৩২ (১) অনুচ্ছেদের অধীন মৃত্যুকালীন ঘোষণা দেওয়ানী এবং ফৌজদারী উভয় মামলায় গ্রহণযোগ্য হবে।
মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী মৃত্যু বরণ না করলে তার কি ফলাফল?
কোন আহত ব্যক্তি তার জখমের কারণ সম্পর্কে বক্তব্য দিলে তা মৃত্যুকালীন ঘোষণা হতে পারে যদি উক্ত ব্যক্তি পরবর্তীতে মারা যায়। কিন্তু যদি সে ( যে ব্যক্তিকে জখম করা হয়েছে) বেঁচে থাকে তখন তার বক্তব্য ৩২ ধারার অধীন মৃত্যুকালীন ঘোষণা বলে গণ্য হবে না। একজন গুরুতর জখম ব্যক্তি মারা যাবে এই আশংকাই তার মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তীতে সে যদি বেঁচে যায়, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুকালীন ঘোষণা সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা:
সাক্ষ্য আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী কোন সাক্ষী কোন মামলার বিচারিক কার্যক্রমে বা আইনত সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তির নিকট যে সাক্ষ্য
দেয় তা পরবর্তী মামলায় বা ঐ একই মামলার পরবর্তী পর্যায়ে কখন প্রাসঙ্গিক হতে পারে তা ৩৩ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে।
৩৩ ধারায় নিম্নলিখিত ৫টি ক্ষেত্রে প্রদত্ত সাক্ষ্য মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে প্রাসঙ্গিক হতে পারে;
১. যখন সাক্ষী মৃত্যুবরণ করে।
২. যখন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া না যায়।
৩. যখন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়ে।
৪. যখন বিপক্ষ সাক্ষীকে সরিয়ে রাখে।
৫. তাকে উপস্থিত করার জন্য যে সময় এবং অর্থের প্রয়োজন তা মামলার বিবেচনায় আদালত অযৌক্তিক মনে করলে প্রদত্ত সাক্ষ্য পরবর্তী মামলায় বা ঐ একই মামলার পরবর্তী পর্যায়ে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতার শর্তসমূহ কি কি?
উপরে উল্লেখিত ৫টি শ্রেণীর ব্যক্তিগণের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য করতে হলে নিম্নলিখিত ৪ টি শর্ত পূরণ করতে হবে:
১. সাক্ষ্যটি কোনো বিচারিক কার্যক্রমে বা সাক্ষ্য নিতে আইনবলে ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির নিকট প্রদত্ত হবে;
২. মামলার কার্যক্রমটি একই পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বা তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের মধ্যে হতে হবে;
৩. মামলার প্রথম কার্যক্রমে সাক্ষীকে জেরা করার অধিকার এবং সুযোগ বিরোধী পক্ষের ছিল;
৪. মামলার প্রথম এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিচার্য বিষয়সমূহ মৌলিকভাবে একই ছিল।
উদাহরণ: 'ক', 'গ' এবং 'ঘ' এর মধ্যেকার একটি মামলায় সাক্ষ্য দেয় যে, সে 'গ' কে 'ঘ' এর বাড়ি থেকে বাইসাইকেল চুরি করতে দেখেছিল । পরবর্তীতে 'ক' মারা যায় । ক এর প্রদত্ত সাক্ষ্য চুরির সত্যতা প্রমাণের জন্য উক্ত মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে প্রাসঙ্গিক হতে পারে অথবা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পরবর্তী কোন মামলায় প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
সাক্ষ্য আইনের ৩২ এবং ৩৩ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
সাক্ষ্য আইনের ৩২ এবং ৩৩ ধারার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারায় যে সকল ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে আহ্বান করা যায় না যেমন মৃত ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য করতে হলে এটা প্রয়োজনীয় নয় যে উক্ত ব্যক্তির সাক্ষ্যটি কোনো বিচারিক কার্যক্রমে বা সাক্ষ্য নিতে আইনবলে ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির নিকট দিতে হবে। কিন্তু সাক্ষ্য আইনের ৩৩ ধারায় সাক্ষ্য প্রযোজ্য হবে যদি কোনো বিচারিক কার্যক্রমে বা সাক্ষ্য নিতে আইনবলে ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির নিকট সাক্ষ্য দিলে এবং পরবর্তীতে উক্ত সাক্ষী মারা গেলে বা তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে। অর্থাৎ ৩২ ধারায় সাক্ষ্য দেওয়া হয়না বরং বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ৩৩ ধারায় বিচারিক কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সাক্ষ্যটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে উক্ত সাক্ষী মারা গেলে বা তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে উক্ত সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হবে।
টপিকস
যে সকল ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে আহ্বান করা যায় না তাদের বিবৃতি। মৃত বা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ব্যক্তিদের সাক্ষ্য কখন প্রাসঙ্গিক? কোন কোন ক্ষেত্রে ৩২ ধারায় সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হবে? মৃত্যুকালীন ঘোষণা বা Dying Declaration কি? মৃত্যুকালীন ঘোষণার বৈশিষ্ট্য সমূহ কি কি? মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী মৃত্যু বরণ না করলে তার কি ফলাফল? প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা। প্রমাণের জন্য পরবর্তী কার্যক্রমে কতিপয় সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতার শর্তসমূহ কি কি? সাক্ষ্য আইনের ৩২ এবং ৩৩ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?