- Get link
- X
- Other Apps
দেওয়ানী মোকদ্দমা স্থানান্তরের ক্ষমতা।
কে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে?
কোন কোন ক্ষেত্রে ২২ ধারা প্রযোজ্য?
কখন মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে হয়?
২২ ধারার অধীন বিবাদী কোথায় মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করবে?
স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের আদালতের সাধারণ ক্ষমতা।
২৪ ধারায় কোন আদালত স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
২৪ ধারায় আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
কোন কারণে আদালত স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ এবং ২৪ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
কে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে?
কোন কোন ক্ষেত্রে ২২ ধারা প্রযোজ্য?
কখন মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে হয়?
২২ ধারার অধীন বিবাদী কোথায় মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করবে?
স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের আদালতের সাধারণ ক্ষমতা।
২৪ ধারায় কোন আদালত স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
২৪ ধারায় আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
কোন কারণে আদালত স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ এবং ২৪ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
দেওয়ানী মোকদ্দমা স্থানান্তরের ক্ষমতা-ধারা ২২ থেকে ২৪
দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ থেকে ২৪ পর্যন্ত দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতাকে নিম্নলিখিত ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. যখন মোকদ্দমাটি একাধিক আদালতে দায়েরযোগ্য, তখন মোকদ্দমা স্থানান্তরের ক্ষমতা [ধারা ২২]
২. মোকদ্দমা, আপীল বা অন্যকোন কার্যক্রম স্থানান্তরের সাধারণ ক্ষমতা [ধারা ২৪]
৩. মোকদ্দমা, আপীল বা অন্যকোন কার্যক্রম প্রত্যাহারের সাধারণ ক্ষমতা [ধারা ২৪]
যে মোকদ্দমাটি একের অধিক আদালতে দায়েরযোগ্য তা স্থানান্তরের ক্ষমতা:
কে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে?
২২ ধারায় শুধুমাত্র বিবাদী মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে যদি মোকদ্দমাটি দুই বা ততোধিক আদালতের যে কোন একটিতে দায়েরযোগ্য হয় এবং তার মধ্যে যে কোন একটি আদালতে দায়ের করা যায়।
কোন কোন ক্ষেত্রে ২২ ধারা প্রযোজ্য?
২২ ধারায় আদালতকে মোকদ্দমা স্থানান্তরের সাধারণ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি বরং ২২ ধারা শুধুমাত্র ১৬ থেকে ২০ ধারার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ যেক্ষেত্রে বাদীর একাধিক কোর্টে মোকদ্দমা দায়ের করার সুযোগ আছে। যেক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২০ ধারা অনুসারে দুই বা ততোধিক আদালতের কোন মোকদ্দমা বিচার করার এখতিয়ার আছে এবং বাদী মোকদ্দমাটি কোন একটি আদালতে দায়ের করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে বিবাদী অন্যকোন আদালতে মোকদ্দমাটি স্থানান্তর করার আবেদন করতে পারে।
কখন মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে হয়?
যে কোন বিবাদী অপর পক্ষকে নোটিশ দিয়ে প্রথম সম্ভাব্য সুযোগে এবং যে ক্ষেত্রে মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় নির্ধারণের সময় বা তার পূর্বে অপর একটি আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে পারবে। আদালত এইরুপ আবেদন পাওয়ার পর অপর পক্ষের আপত্তি (যদি থাকে) শ্রবণ করে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতসমূহের কোনটিতে মামলা অগ্রসর হবে তা স্থির করবে।
২২ ধারার অধীন বিবাদী কোথায় মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করবে?
২২ এবং ২৩ ধারা একত্রে মিলিয়ে পড়তে হবে। ২২ ধারার ক্ষেত্রে বিবাদী কোথায় আবেদন করবে তা ২৩ ধারায় বলা হয়েছে। ২২ এবং ২৩ ধারা এক সাথে পড়লে বলা যায়, দেওয়ানী মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন হাইকোর্ট ডিভিশনে বা জেলা জজের নিকট দায়ের করতে হবে।
১. যদি মোকদ্দমা দুই বা ততোধিক আদালতে দায়ের করা যায়, এবং উক্ত আদালতগুলো একই আপীল আদালতের এখতিয়ারাধীন হয়, সেই ক্ষেত্রে ২২ ধারা অনুযায়ী মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন সেই আপীল আদালতে দায়ের করতে হবে, যে আপীল আদালতের অধীন উক্ত আদালতগুলো অবস্থিত।
২. যখন অনুরুপ আদালতসমূহ ভিন্ন ভিন্ন আপীল আদালতের আওতাধীন হয় তখন হাইকোর্ট ডিভিশনে আবেদন পেশ করতে হয়। অর্থাৎ যে আদালত হতে মোকদ্দমা টি অন্য যে আদালতে স্থানান্তর করতে হবে, সেই দুইটি আদালত ভিন্ন ভিন্ন আপীল আদালতের এখতিয়ারাধীন হলে, মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করতে হবে।
বিষয়টিকে সহজে বলা যায়, একই জেলার অধীন এক আদালত থেকে অন্য আদালতে মোকদ্দমা স্থানান্তর করতে হলে জেলা জজের নিকট আবেদন করতে হবে। কারণ জেলার মধ্যে দেওয়ানী আদালতসমূহ জেলা জজের আপীল এখতিয়ারাধীন থাকে । অন্যদিকে, এক জেলার দেওয়ানী আদালত হতে অন্য জেলার দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে হবে হাইকোর্ট বিভাগে। কারণ ভিন্ন জেলায় অবস্থিত দেওয়ানী আদালতসমূহ হাইকোর্টের আপীল এখতিয়ারাধীন।
উদাহরণ-১: ক,খ-এর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা যুগ্ম জেলা জজ আদালত, যশোরে দায়ের করেছে। বিবাদী, 'খ' মোকদ্দমা টি যশোরের অন্য যুগ্ম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর করতে চায়। যেহেতু দুইটি আদালত একই আপীল আদালত অর্থাৎ যশোর জেলা জজের অধীন, তাই ২২ ধারা অনুযায়ী যশোর জেলা জজের নিকট আবেদন করতে হবে।
উদাহরণ-২ : 'ক' 'খ'-এর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা যুগ্ম জেলা জজ আদালত, যশোরে দায়ের করেছে। মোকদ্দমাটি কুষ্টিয়ার যুগ্ম জেলা জজের নিকট দায়ের করা যায় । 'খ' মোকদ্দমাটি যুগ্ম জেলা জজ আদালত কুষ্টিয়াতে স্থানান্তর করতে চায়। যেহেতু, যুগ্ম জেলা জজ, যশোর এবং যুগ্ম জেলা জজ, কুষ্টিয়া ভিন্ন আপীল আদালত (হাইকোর্ট ডিভিশন) এর অধীন, তাই মোকদ্দমাটি স্থানান্তরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।
স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের আদালতের সাধারণ ক্ষমতা:
২৪ ধারায় মোকদ্দমা, আপীল, বা অন্যান্য কার্যক্রম স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের সাধারণ ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
২৪ ধারায় কোন আদালত স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
২৪ ধারায় মামলা, আপীল বা অন্যান্য কার্যক্রম স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে
১. হাইকোর্ট বিভাগ এবং
২. জেলা জজ আদালত
২৪ ধারায় আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
২৪ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ কোন পক্ষের আবেদনক্রমে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে-
১. কোন মোকদ্দমা, আপীল বা অন্য কার্যক্রম স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারে বা
২. কোন মোকদ্দমা, আপীল বা অন্য কার্যক্রম প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে।
অর্থাৎ ২৪ ধারায় বাদী বা বিবাদী উভয় আবেদন করতে পারে।
কোন কারণে আদালত স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে?
১. যদি মামলাকারীর মনে যুক্তিযুক্ত আশঙ্কা থাকে যে, যে আদালতে মোকদ্দমাটি বিচারাধীন আছে সেই আদালতে সে ন্যায় বিচার নাও পেতে পারে;
২. যে ক্ষেত্রে বিচারক কোন একপক্ষের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়;
৩. মামলার বহুত্ব কমানোর জন্য;
৪. আদালতের কার্যক্রমের অপব্যবহার রোধ করতে;
৫. পক্ষদ্বয়ের সুবিধার জন্য ইত্যাদি।
জেনে রাখা ভালো যে, ২৪ ধারায় মোকদ্দমা, আপীল বা অন্যকোন কার্যক্রম স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আবেদন মোকদ্দমার যেকোন পর্যায়ে করা যায়।
দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ এবং ২৪ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
১. ২২ ধারায় শুধুমাত্র মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা যায় এবং যেক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২০ ধারা অনুসারে একাধিক আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যায় এবং কোন একটি আদালতে দায়ের করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে মোকদ্দমা অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য ২২ ধারায় আবেদন করা যায়। কিন্তু ২৪ ধারায় মামলা, আপীল এবং মোকদ্দমার কোন কার্যক্রম স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
২. ২২ ধারায় শুধুমাত্র বিবাদী মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে কিন্তু ২৪ ধারায় মোকদ্দমার উভয় পক্ষ অর্থাৎ বাদী এবং বিবাদী মোকদ্দমা, আপীল বা মোকদ্দমার কোন কার্যক্রম স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারে।
৩. ২২ ধারায় আদালত স্বপ্রোণদিত হয়ে মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারেনা কিন্তু কিন্তু ২৪ ধারায় আদালত স্বপ্রোণদিত হয়ে মামলা, আপীল বা কোন কার্যক্রম প্রত্যাহার বা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারে।
৪. যেক্ষেত্রে কোন মোকদ্দমা দুই বা ততোধিক আদালতে দায়েরযোগ্য বা বিচারযোগ্য শুধুমাত্র সেইক্ষেত্রে বিবাদী ২২ ধারায় মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে কিন্তু ২৪ ধারায় মামলার বহুত্ব কমানোর জন্য, আদালতের কার্যক্রমের অপব্যহার রোধ করতে, পক্ষদ্বয়ের সুবিধার জন্য মোকদ্দমা স্থানান্তর ना প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
৫. ২২ ধারায় নোটিশ প্রদান করা বাধ্যতামূলক কিন্তু ২৪ ধারায় নোটিশ দেওয়া আদেশসূচক।
সুতরাং প্রশ্ন হলো আপনি কখন ২২ ধারায় এবং কখন ২৪ ধারায় আবেদন করবেন। আপনি যদি বিবাদী হয়ে থাকেন এবং ১৬ থেকে ২০ ধারা অনুসারে যদি মোকদ্দমাটি ২ বা ততোধিক আদালতে দায়েরযোগ্য হয় এবং তার মধ্যে যেকোন একটি আদালতে দায়ের করা হয়, তাহলে মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন ২২ ধারায় করতে পারবেন।
অন্যদিকে আপনি বাদী বা বিবাদী যাই হোন না কেন, ২৪ ধারায় মোকদ্দমা, আপীল বা কোন কার্যক্রম স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার যুক্তি হতে পারে যে, যে আদালতে মোকদ্দমাটি বিচারাধীন আছে সেই আদালতে আপনি ন্যায় বিচার পাবেন না বা বিচারকের পক্ষপাতিত্বের কারণে আপনি মামলা আপিল বা কোন কার্যক্রম স্থানান্তর বা প্রত্যাহার করতে চান।
টপিকস
দেওয়ানী মোকদ্দমা স্থানান্তরের ক্ষমতা। কে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে? কোন কোন ক্ষেত্রে ২২ ধারা প্রযোজ্য? কখন মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করতে হয়? ২২ ধারার অধীন বিবাদী কোথায় মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করবে? স্থানান্তরের এবং প্রত্যাহারের আদালতের সাধারণ ক্ষমতা। ২৪ ধারায় কোন আদালত স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে? ২৪ ধারায় আদালত কি আদেশ দিতে পারে? কোন কারণে আদালত স্থানান্তরের বা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারে? দেওয়ানী কার্যবিধির ২২ এবং ২৪ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
ইউটিউব ভিডিও - দেওয়ানী মোকদ্দমা স্থানান্তরের ক্ষমতা Transfer of Civil Suits