- Get link
- X
- Other Apps
বিশেষ ক্ষেত্রে মোকদ্দমা কি কি?
কিভাবে সরকার বা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার দায়ের করতে হয়?
কিভাবে গণ-উপদ্রব বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে জন-দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে নাবালক এবং বিকৃত মস্তিক ব্যক্তি কর্তৃক কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হয়?
স্বার্থবিহীন মামলা কাকে বলে?
স্বার্থবিহীন মামলায় আরজিতে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
কিভাবে সরকার বা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার দায়ের করতে হয়?
কিভাবে গণ-উপদ্রব বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে জন-দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে নাবালক এবং বিকৃত মস্তিক ব্যক্তি কর্তৃক কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
কিভাবে নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হয়?
স্বার্থবিহীন মামলা কাকে বলে?
স্বার্থবিহীন মামলায় আরজিতে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
বিশেষ ক্ষেত্রে মোকদ্দমা [Sepcial Suits] কি কি?
১. সরকার বা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক মোকদ্দমা বা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা [ধারা ৭৯ থেকে ৮১ এবং আদেশ২৭]
২. সংস্থা কর্তৃক বা সংস্থার বিরুদ্ধে মোকদ্দমা [আদেশ ২৯]
৩. বিদেশী রাষ্ট্র বা বিদেশী নাগরিক কর্তৃক মোকদ্দমা [ধারা- ৮৩, ৮৪, ৮৫, ৮৬ ও ৮৭]
৪. শাসনতান্ত্রিক আইনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন জড়িত মোকদ্দমা [আদেশ ২৭ক]
৫. নাবালক বা বিকৃত মস্তিক ব্যক্তি কর্তৃক বা বিরুদ্ধে মোকদ্দমা [আদেশ ৩২]
৬. নি:স্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা [আদেশ ৩৩]
৭. স্বার্থবিহীন মামলা [Interpleader suit] [আদেশ ৩৫]
কিভাবে সরকার বা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক মোকদ্দমা বা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার দায়ের করতে হয়?
সরকারের পক্ষকে বা বিপক্ষে মোকদ্দমায় বাদী বা বিবাদীর নাম হবে বাংলাদেশ [ধারা ৭৯]। সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে নোটিশ প্রদানের বিধান দেওয়ানি কার্যবিধির ৮০ ধারা অনুযায়ী-
১.সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হলে, রেলওয়ে বিষয় সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে সরকারের সচিব বা জেলা কালেক্টর বরাবর এবং রেলওয়ে বিষয় সংক্রান্ত মামলায় রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর মোকদ্দমা দায়েরের ২ মাস পূর্বে নোটিশ পাঠাতে হবে [ধারা ৮০ (১)]।
২. নোটিশ প্রদানের ২ মাস পর সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে [ধারা ৮০ (১)]। তবে বাদী পক্ষ কোন প্রকার লিখিত বিজ্ঞপ্তি ছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করলে, আদালত সরকারকে লিখিত বিবৃতি পেশ করিতে সর্বনিম্ন ৩ মাস সময় মঞ্জুর করবে [ধারা ৮০ (২)]।
সরকারের বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমায় প্রদত্ত ডিক্রি সরকার কত দিনের মধ্যে মিটাবে তা আদালত নির্দিষ্ট করে দিবে এবং যদি উক্ত সময়ে ডিক্রিটি মেটানো না হয়, তাহলে আদালত সরকার বরাবর রিপোর্ট করবে। যদি ডিক্রিটি এমন রিপোর্টের ৩ মাস পরও অনিষ্পত্তি থাকে, তাহলে আদালত দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী ডিক্রি জারি করতে পারে। সরকার কর্তৃক বা বিরুদ্ধে কোনো মোকদ্দমা সরকার কর্তৃক উক্ত উদ্দেশ্যে নিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক আরজি বা লিখিত জবাব স্বাক্ষরিত হবে এবং সরকার কর্তৃক এইরূপে নিযুক্ত এবং মোকদ্দমার তথ্যাবলী সম্পর্কে সুপরিচিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সত্যতা প্রতিবাদন হবে। আদেশ ২৭ (১)।
কিভাবে গণ-উপদ্রব বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ৯১ ধারা অনুযায়ী গণ-উপদ্রবের ক্ষেত্রে অ্যাটর্নী জেনারেল অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি অ্যাটর্নী জেনারেলের লিখিত সম্মতিক্রমে কোন বিশেষ ধরনের ক্ষতি না হয়ে থাকলেও কোন ঘোষণা এবং নিষেধাজ্ঞা অথবা মোকদ্দমার পরিস্থিতির আলোকে অন্য কোন যথাযথ প্রতিকারের দাবীতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে।
কিভাবে জন-দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ৯২ ধারা অনুযায়ী কোন ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে সৃষ্ট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জিম্মার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অথবা অনুরূপ জিম্মার পরিচালনার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অ্যাটর্নী জেনারেল অথবা অ্যাটর্নী জেনারেলের লিখিত সম্মতিক্রমে উক্ত জিম্মায় স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বিবাদে জড়িত হোক বা না হোক, জন দাতব্য বিষয়ে যেমন কোন অছিকে অপসারণ করতে বা নতুন অছি নিয়োগ বা অছির উপর কোন সম্পত্তি ন্যস্তকরণ ইত্যাদি বিষয়ে ডিক্রি লাভের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে।
কিভাবে নাবালক এবং বিকৃত মস্তিক ব্যক্তি কর্তৃক কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ৩২ আদেশে নাবালক এবং বিকৃত মস্তিক সম্পন্ন ব্যক্তি কিভাবে মামলা করবে বা তার পক্ষে কিভাবে মামলা দায়ের করা যায় তা আলোচনা করা হয়েছে। নাবালক কর্তৃক প্রত্যেক মামলা তার নামে আসন্ন বন্ধু [Next friend) কর্তৃক দায়ের করতে হবে [৩২ আদেশের বিধি-১]। যদি বিবাদী নাবালক হয় তাহলে উপযুক্ত যেকোন ব্যক্তিকে আদালত বিবাদীর অভিভাবক হিসাবে নিয়োগ দিতে পারে। সাবালক এবং সুস্থ মস্তিকসম্পন্ন যে কোন ব্যক্তি নাবালকের পক্ষে আসন্ন বন্ধু হতে পারে বা বিবাদীর অভিভাবক হতে পারে। তবে হলো শর্ত হলো তার স্বার্থ নাবালকের স্বার্থের পরিপন্থী হবেনা এবং সে মামলার বাদী এবং বিবাদী হবেনা। যেক্ষেত্রে নাবালক আসন্ন বন্ধু ছাড়া মোকদ্দমা দায়ের করে সেক্ষেত্রে মোকদ্দমাটি রক্ষণীয় নয়।নাবালকের পক্ষে কোন মামলা আসন্ন বন্ধু ছাড়া দায়ের করা হলে বিবাদী দরখাস্ত করতে পারে আরজিটি খরচাসহ নথি থেকে অপসারণের জন্য। [৩২ আদেশের বিধি-২]
কিভাবে নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা [Suit by Paupers] দায়ের করতে হয়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৩ আদেশের বিধান অনুযায়ী নি:স্ব ব্যক্তি মামলা দায়ের করতে পারে। যে ব্যক্তি মোকদ্দমা দায়ের করতে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দিতে অক্ষম বা যে ক্ষেত্রে কোন কোর্ট ফি নির্ধারণ থাকে না, সেক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্র এবং মামলার বিষয়বস্তু ছাড়া ৫০০০ টাকার বেশি সম্পত্তি না থাকলে, উক্ত ব্যক্তি নি:স্ব ব্যক্তি বলে গণ্য হবে [৩৩ আদেশের বিধি-১]। নি:স্ব ব্যক্তি হিসাবে মামলা করার অনুমতির জন্য দায়েরকৃত কোন আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করতে পারে-
ক) যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনটি দাখিল না করা হয়; কিংবা
খ) আবেদনকারী নি:স্ব ব্যক্তি না হয়; কিংবা
গ) যেক্ষেত্রে তার অভিযোগ কোন কারণ উল্লেখ করেনি; কিংবা
ঘ) যেক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার ২ মাস অব্যবহিত পরে বা ঠিক পরে প্রতারণামূলকভাবে সম্পত্তি হস্তান্তর করে।
স্বার্থবিহীন মামলা [Interpleader Suit] কাকে বলে?
দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৮ ধারায় এবং ৩৫ আদেশে স্বার্থবিহীন মামলা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা বা কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি দাবি করে এবং যার নিকট তা দাবি করা হয় উক্ত সম্পত্তির উপর তার খরচার দাবি ব্যতীত যদি অন্য কোনো দাবিদাওয়া না থাকে এবং তিনি প্রকৃত মালিকের নিকট উক্ত সম্পত্তি বা অর্থ অর্পণ করতে প্রস্তুত থাকে, তবে সেই সম্পত্তি বা অর্থ কার নিকট অর্পণ করতে হবে সেই বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং নিজের খরচার দাবী আদায়ের জন্য উক্তরুপ দাবিদারগণের সকলের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা যায় তাহলো স্বার্থবিহীন মামলা।
উদাহরণ: A একটি সম্পত্তির দখলে আছে। C এবং D উক্ত সম্পত্তির দখল দাবী করে। উক্ত সম্পত্তিতে A কোন স্বার্থ দাবী করেনা কিন্তু সে উক্ত সম্পত্তি প্রকৃত মালিককে অর্পণ করতে চায়। A স্বার্থবিহীন মামলা দায়ের করতে পারে।
স্বার্থবিহীন মামলায় আরজিতে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
১. মামলার বিষয়বস্তুতে বাদীর খরচার দাবি ব্যতীত অপর কোনো স্বার্থ নিহিত নাই;
২. বিবাদীগণ পৃথক পৃথকভাবে তাদের দাবী উল্লেখ করেছে ;
৩. বাদী এবং বিবাদীর মধ্যে কোনোরূপ ষড়যন্ত্র নাই;
টপিকস
বিশেষ ক্ষেত্রে মোকদ্দমা কি কি?কিভাবে সরকার বা সরকারী কর্মচারী কর্তৃক বা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার দায়ের করতে হয়? কিভাবে গণ-উপদ্রব বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়? কিভাবে জন-দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিষয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়? কিভাবে নাবালক এবং বিকৃত মস্তিক ব্যক্তি কর্তৃক কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়? কিভাবে নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হয়? স্বার্থবিহীন মামলা কাকে বলে? স্বার্থবিহীন মামলায় আরজিতে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
ইউটিউব ভিডিও - দেওয়ানি কার্যবিধির অধীনে বিশেষ ক্ষেত্রে মোকদ্দমা Special Suits