- Get link
- X
- Other Apps
আরজি Plaint কাকে বলে? কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে? আরজি ফেরত Return নাকচ প্রত্যাখান Rejection কাকে বলে ?
আরজি কাকে বলে?
আরজিতে কি কি সকল বিষয় উল্লেখ থাকে?
আরজি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আরজি গ্রহণের প্রণালী কি?
আরজি ফেরত এবং আরজি নাকচ বা প্রত্যাখান।
আরজি ফেরত কাকে বলে?
আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আরজি ফেরত সংক্রান্ত আরো তথ্য।
আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ (Rejection) কাকে বলে?
আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন না-মঞ্জুর করলে প্রতিকার কি?
আরজি ফেরত এবং আরজি প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পার্থক্য কি?
বাদী কর্তৃক আরজির সাথে কি কি কাগজপত্র দাখিল করবে?
আরজিতে কি কি সকল বিষয় উল্লেখ থাকে?
আরজি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আরজি গ্রহণের প্রণালী কি?
আরজি ফেরত এবং আরজি নাকচ বা প্রত্যাখান।
আরজি ফেরত কাকে বলে?
আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আরজি ফেরত সংক্রান্ত আরো তথ্য।
আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ (Rejection) কাকে বলে?
আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন না-মঞ্জুর করলে প্রতিকার কি?
আরজি ফেরত এবং আরজি প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পার্থক্য কি?
বাদী কর্তৃক আরজির সাথে কি কি কাগজপত্র দাখিল করবে?
আরজি [Plaint]
আরজি কাকে বলে?
আরজি হলো বাদীর প্লিডিংস যেখানে বাদী তার দাবীর বিবরণ উল্লেখ করে এবং যা দাখিলের মাধ্যমে মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । দেওয়ানী কার্যবিধির ২৬ ধারায় এবং ৪ নং আদেশে বলা হয়েছে, 'প্রত্যেক দেওয়ানী মোকদ্দমা আরজি দাখিলের মাধ্যমে বা নির্ধারিত হতে পারে এ রকম অন্য কোন পদ্ধতিতে দায়ের করতে হবে'।
আরজিতে কি কি সকল বিষয় উল্লেখ থাকে?
আদেশ ৭, বিধি ১ অনুযায়ী দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করতে হলে প্রথমে যে ডকুমেন্টটি প্রস্তুত করতে হবে সেটা হলো আরজি। এই আরজিতে কি কি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে তা ৭ আদেশের ১ বিধিতে বলা হয়েছে।
ক. যে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা হবে তার নাম।
খ. বাদীর নাম, বর্ণনা এবং বসবাসের স্থান।
গ. বিবাদীর নাম, বর্ণনা এবং বসবাসের স্থান।
ঘ. বাদী এবং বিবাদী নাবালক বা প্রতিবন্ধি হলে তার বিবরণ।
ঙ. মামলার কারণ ও কারন উৎপত্তির সময়।
চ. আদালতের এখতিয়ার নির্ধারণের জন্য তথ্যসমূহ।
ছ. বাদীর দাবিকৃত প্রতিকার।
জ. বাদী যে ক্ষেত্রে তার আংশিক দাবী পারস্পরিকভাবে পরিশোধে সম্মত হয়েছে বা বর্জন করেছে, সে ক্ষেত্রে দাবীর যে অংশ অনুরুপভাবে পরিশোধ বা বর্জন করা হয়েছে।
ঝ. আদালতে আর্থিক এখতিয়ার নির্ধারণের জন্য মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর আর্থিক মূল্য সংক্রান্ত বিবরণ।
আরজি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
আদালতের এখতিয়ার ও কোর্ট ফি নির্ধারণের জন্য আরজিতে মোকদ্দমার মূল্যবান উল্লেখ করতে হয়। (বিধি ১)। অর্থের মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আরজিতে দাবীকৃত অর্থের যথাযথ পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে কিন্তু অমীমাংসিত অর্থের হিসাবে ক্ষেত্রে বা মধ্যবর্তী মুনাফার ক্ষেত্রে আনুমানিক অর্থ লিখতে হবে। (বিধি ২)। স্থাবর সম্পত্তির মোকদ্দমার ক্ষেত্রে সম্পত্তি সনাক্ত করার জন্য সম্পত্তির বর্ণনা, সীমানা, বা সেটেলমেন্ট পর্চায় উল্লেখিত নম্বর উল্লেখ করতে হবে। [বিধি-৩]। যদি বাদী তামাদি আইনে নির্ধারিত সময়ের পর মোকদ্দমা দায়ের করে, সেক্ষেত্রে আরজিতে বাদী তামাদি হতে অব্যাহতির কারণ উল্লেখ করবে। [বিধি ৬]। ৭ আদেশের ১ বিধি অনুসারে আরজিতে ৯টি বিষয় উল্লেখ করতে হয়।
আরজি গ্রহণের প্রণালী কি?
আদেশ ৭ বিধি ৯ অনুযায়ী যে সকল দলিল বাদী আরজির সাথে পেশ করে (যদি থাকে), আরজির উপর সেই গুলির একটি তালিকা লিখে বা আরজির সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে। আরজি গৃহীত হলে যতজন বিবাদী রয়েছে, সাদা কাগজে আরজির ততসংখ্যক নকল পেশ করবে [বিধি ৯(১)]। বাদী আরজির সাথে যে তালিকা, সংক্ষিপ্ত বিবৃতি, নকল দাখিল করে তা আদালতের প্রধান কেরানী পরীক্ষাপূর্বক সেগুলো সঠিক থাকলে সেইগুলোতে স্বাক্ষর করবে।
আরজি ফেরত এবং আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যান:
দেওয়ানী কার্যবিধির ৭ আদেশের ১০ বিধিতে আরজি ফেরত এবং ৭ আদেশের ১১ বিধিতে আরজি প্রত্যাখ্যান বিষয়ে বিধান উল্লেখ করা হয়েছে।
আরজি ফেরত কাকে বলে?
বিধি-১০ অনুযায়ী আরজি ফেরত অর্থ হলো এখতিয়ারবিহীন আদালতে আরজি দাখিল করলে, আরজিটি এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে দাখিলের জন্য ফেরত দেওয়া। যদি এমন কোন আদালতে আরজি দাখিল করা হয় যে আদালতের উক্ত মোকদ্দমার বিচার করার আর্থিক বা আঞ্চলিক এখতিয়ার নেই, তখন এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে আরজিটি দাখিলের জন্য আদালত ফেরত দিতে পারে। মোকদ্দমার যেকোন পর্যায়ে আদালত আরজি ফেরতের আদেশ দিতে পারে।
আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার হলো-
১. বাদী আরজিটি এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে পুনরায় দাখিল করতে পারে বা
২. আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করতে পারে। কারণ দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৩ আদেশের ১ (ক) বিধি অনুযায়ী আরজি ফেরতের সিদ্ধান্ত একটি আপীলযোগ্য আদেশ।
আরজি ফেরত সংক্রান্ত আরো তথ্য:
আরজি ফেরতের ক্ষেত্রে আরজি দাখিলের তারিখ হলো আরজি পুনঃদাখিলের তারিখ। সুতরাং আরজি ফেরতের ক্ষেত্রে আরজি পুন্যদাখিলের তারিখ হতে মোকদ্দমার তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে। এইক্ষেত্রে প্রথম আদালতে যে সময় ব্যয় হয়েছে তা বাদ দিয়ে পুনঃদাখিলের তারিখ হতে তামাদির মেয়াদ গণনা করার জন্য তামাদি আইনের ১৪ ধারায় আবেদন করা যায়। মনে করুন 'ক' 'খ' এর বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেছে। মোকদ্দমার মূল্যমান অনুযায়ী মোকদ্দমা টি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়ের করতে হবে। সুতরাং যুগ্ম জেলা জজ, আরজিটি এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে দাখিলের জন্য ফেরত পাঠায়। এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে আরজিটি পুনরায় দাখিল করতে পারেন বা আরজি ফেরতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারেন। পুনরায় আরজিটি দাখিল করার পর যদি দেখেন তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে তামাদি আইনের ১৪ ধারায় প্রথম আদালতে ব্যয়িত সময় বাদ দিয়ে তামাদির মেয়াদ গণনা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ (Rejection) কাকে বলে?
প্রকৃত অর্থে আরজি প্রত্যাখ্যান অর্থ হলো আরজি গ্রহণ না করা বা আরজি নাকচ করা। দেওয়ানী কার্যবিধির ৭ আদেশের ১১ বিধি অনুযায়ী আদালত আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যানের আদেশ দিতে পারে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৭ আদেশের ১১ বিধির অধীন ৪টি কারণে আদালত আরজি নাকচ বা প্রত্যাখান করতে পারে। কারণগুলো হলো-
ক. আরজিতে মোকদ্দমার কারণ উল্লেখ না করলে,
খ. আরজিতে দাবীকৃত প্রতিকারের মূল্য কম উল্লেখ করা হলে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উহা সংশোধন করতে ব্যর্থ হলে।
গ. অপর্যাপ্ত স্ট্যাম্প পেপারে আরজি লিখলে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাদী প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প পেপার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে।
ঘ. মোকদ্দমাটি আইন দ্বারা বারিত হলে। আইন দ্বারা বারিত এর একটি উদাহরণ হলো মোকদ্দমাটি যদি তামাদি দ্বারা বারিত হয়, তাহলে আদালত আরজি প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
উপরে উল্লেখিত ৪টি কারণ ছাড়াও, কোলকাতা হাইকোর্ট ২৫/০৭/১৯২৮ তারিখে এক নোটিফিকশন দ্বারা আরজি প্রত্যাখ্যানের নিম্নলিখিত আরও একটি কারণ যুক্ত করে। ৭ আদেশের ৯(১ক) বিধির বিধানসমূহ প্রতিপালন না করলে, আদালত আরজি প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ৯(১ক) বিধি অনুসারে, আরজি গৃহীত হলে যতজন বিবাদী রয়েছে, সাদা কাগজে আরজির ততসংখ্যক নকল দাখিল করতে হবে। সুতরাং আরজির সাথে প্রত্যেক বিবাদীর জন্য সমন ও আরজির কপি না দিলে, আদালত প্রয়োজনীয় সমন ও আরজির কপি সরবরাহ করার জন্য সময় (অনধিক ২১ দিন) নির্ধারণ করে দিবে।
আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাদী প্রয়োজনীয় সমন ও আরজির কপি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে, আদালত আরজি প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ১৯৪৭ সালের পূর্বে কোলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক যেকোন সংশোধন বাংলাদেশী আইনের অংশ এবং বাংলাদেশের অন্য আইনের মত একইভাবে কার্যকর। সুতরাং কোলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক অন্তর্ভুক্তকৃত ৯(১ক) বিধানটি আরজি প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। উপরে উল্লেখিত কারণে আদালত নিজ উদ্যোগে বা বিবাদী পক্ষ আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন করলে, আদালত আরজিটি প্রত্যাখ্যানের আদেশ দিতে পারে। আরজি প্রত্যাখ্যানের পূর্বে আরজি সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া আরজিতে মোকদ্দমার মূল্যমান কম দেখালে বা অপর্যাপ্ত স্ট্যাম্প পেপারে আরজি লিখলে এবং আরজির সাথে প্রত্যেক বিবাদীর জন্য সমন ও আরজির কপি না দিলে, আদালত সরাসরি আরজি প্রত্যাখ্যানের আদেশ দিবে না বরং উক্ত ত্রুটি সংশোধন করতে অর্থাৎ মূল্যমান সংশোধন করতে বা প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প কাগজ সরবরাহ করতে এবং প্রয়োজনীয় সমন ও আরজি কপি সরবরাহ করতে ২১ দিনের সময় দিবে। উক্ত সময়ের মধ্যে বাদী আরজি সংশোধন করতে ব্যর্থ হলে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে আদালত আরজি প্রত্যাখ্যানের আদেশ দিবে। কিন্তু আরজিতে মোকদ্দমার কারণ উল্লেখ না থাকলে বা মোকদ্দমাটি আইন দ্বারা বারিত হলে, আদালত আরজি সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে আরজি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
আরজি নাকচ বা প্রত্যাখান সম্পর্কে আরো তথ্য:
আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচের জন্য বিবাদী ৭ আদেশের ১১ বিধির অধীন আবেদন করতে পারে। ৬ আদেশের ১৭ বিধির অধীন প্লিডিংস বা আরজি বা লিখিত জবাব সংশোধনের সময় আদালত যে সময় নির্ধারণ করে দেয় বা নির্ধারণ করে না দিলে ১৪ দিন। অন্যদিকে ৭ আদেশের ১১ বিধির অধীন সংশোধনের সময় ২১ দিন।
আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আদালত আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ করলে বাদী নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারে।
১. ৭ আদেশের ১৩ বিধির অধীন পুনরায় একই কারণে নতুন আরজি দাখিল করতে পারে; বা
২. যেহেতু দেওয়ানী কার্যবিধির ২ (২) ধারা অনুযায়ী আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচের আদেশ একটি ডিক্রি, তাই এর বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।
আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন না-মঞ্জুর করলে প্রতিকার কি?
আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন না-মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত হলো একটি আদেশ এবং আপীলঅযোগ্য। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে বিবাদী আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন করে, সেই ক্ষেত্রে আদালত উক্ত আবেদন না-মঞ্জুর করলে, উক্ত না- মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত হলো একটি আদেশ এবং আপীলঅযোগ্য। সেহেতু রিভিশন দায়ের করা যাবে।
আরজি ফেরত এবং আরজি প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পার্থক্য কি?
১. আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো এই যে, আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ হলো একটি ডিক্রি এবং এর বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।
২. কিন্তু মোকদ্দমা খারিজ হলো একটি আদেশ। এটা আপীলযোগ্য হতে পারে আবার নাও হতে পারে। মোকদ্দমা খারিজের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে কি যাবে না তা নির্ভর করে, নির্দিষ্ট কোন বিধিতে মোকদ্দমা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার বিধান আছে কিনা। যেমন ৯ আদেশের অধীন শুনানীর দিনে বাদীর অনুপস্থিতির কারণে মোকদ্দমা খারিজ করা হলে, তার বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না কারণ এই ক্ষেত্রে আপীলের বিধান দেওয়ানী কার্যবিধিতে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু ১১ আদেশের ২১ বিধির অধীন বাদী মোকদ্দমার কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে। কারণ ৪৩ আদেশের ১(চ) বিধি অনুযায়ী, ১১ আদেশের ২১ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।
৩. আরজি প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে বাদী একই বিষয়ে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে [বিধি ১৩]।
মোকদ্দমা খারিজ হলে বাদী অনেক ক্ষেত্রে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে আবার নাও পারে। এটা নির্ভর করে কোন ক্ষেত্রে মোকদ্দমা খারিজ করা হয়েছে এবং উক্ত ক্ষেত্রে কি প্রতিকার আছে।
বাদী কর্তৃক আরজির সাথে কি কি কাগজপত্র দাখিল করবে?
বাদী আরজির সাথে কি কি কাগজপত্র বা দলিল দাখিল করবে তা ৭ আদেশের ১৪ থেকে ১৭ বিধি পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। বাদী যেসব দলিলের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমা দায়ের করে, তা আরজির সাথে দাখিল করতে হবে (বিধি ১৪)। বাদী তার দাবীর সমর্থন পূর্বক প্রমাণ হিসেবে অন্য কোন দলিলের উপর নির্ভর করলে এবং তা তার হস্তগত বা আওতাধীনে না থাকলে, সে ক্ষেত্রে উক্ত দলিল সমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং উক্ত দলিল কার দখলে বা হস্তগত তা উল্লেখ করে আরজির সাথে যুক্ত করবে [বিধি ১৫]।
আরজি দাখিলের সময় যে সকল দলিল দাখিল করা হয়নি তার অগ্রহণযোগ্যতা:
বিধি ১৮ অনুযায়ী সাধারণ নিয়ম হলো আরজির সাথে বাদী যে সকল দলিল দাখিল করেনি, আদালত সে সকল দলিল পরবর্তীতে দাখিলের অনুমতি দিবে না। ব্যতিক্রম প্রেক্ষাপটে আদালত এমন দলিল দাখিলের অনুমতি দিতে পারে। আর দাখিল করার সময় দাখিল না করলেও নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বাদী আদালতের অনুমতি ছাড়া দাখিল করতে পারবে-
১. যেসব দলিল বিবাদীর সাক্ষীকে জেরা করার জন্য দাখিল করা হয় বা
২. বিবাদী কর্তৃক উত্থাপিত কোন বিষয়ের উত্তর প্রদানের জন্য যে সব দলিল আদালতে হাজির করা হয় বা
৩. যেসব দলিল কেবলমাত্র কোন সাক্ষীকে তার স্মৃতিশক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দাখিল করা হয় । বিধি ১৮ (২)]
টপিকস
আরজি কাকে বলে? আরজিতে কি কি সকল বিষয় উল্লেখ থাকে? আরজি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আরজি গ্রহণের প্রণালী কি? আরজি ফেরত এবং আরজি নাকচ বা প্রত্যাখান। আরজি ফেরত কাকে বলে? আরজি ফেরত আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? আরজি ফেরত সংক্রান্ত আরো তথ্য। আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ (Rejection) কাকে বলে? আরজি নাকচ বা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? আরজি প্রত্যাখ্যানের আবেদন না-মঞ্জুর করলে প্রতিকার কি? আরজি ফেরত এবং আরজি প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পার্থক্য কি? বাদী কর্তৃক আরজির সাথে কি কি কাগজপত্র দাখিল করবে?