- Get link
- X
- Other Apps
দেওয়ানি আদালতের বিবিধ বিষয় miscellanous cases দেওয়ানী আদালতের সহজাত ক্ষমতা Inherent Power of the Court
কোন কোন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?
কোন কোন ব্যক্তিদের গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?
দেওয়ানী নিম্ন আদালতের ভাষা কি?
প্রত্যর্পণ কি?
দেওয়ানী আদালতের সহজাত ক্ষমতা কি?
কখন দেওয়ানী আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?
রায় ডিক্রি বা আদেশসমূহের সংশোধন কিভাবে করা হয়?
কখন দেওয়ানী কার্যধারায় ত্রুটি সংশোধন করা যায়?
কোন কোন ব্যক্তিদের গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?
দেওয়ানী নিম্ন আদালতের ভাষা কি?
প্রত্যর্পণ কি?
দেওয়ানী আদালতের সহজাত ক্ষমতা কি?
কখন দেওয়ানী আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?
রায় ডিক্রি বা আদেশসমূহের সংশোধন কিভাবে করা হয়?
কখন দেওয়ানী কার্যধারায় ত্রুটি সংশোধন করা যায়?
দেওয়ানি আদালতের বিবিধ বিষয়
কোন কোন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?
১৩২ ধারায় কতিপয় মহিলার ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন ব্যক্তিদের গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে?
১৩৫ ধারায় জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যান্য বিচারিক কর্মকর্তাকে দেওয়ানী প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ১৩৫ক ধারায় কোন পার্লামেন্ট সদস্যকে পার্লামেন্ট সভা চলাকালীন দেওয়ানী প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দেওয়ানী নিম্ন আদালতের ভাষা কি?
১৩৭ ধারায় অধস্তন আদালত বা নিম্ন আদালতের ভাষা কি হবে সেটা বিধান করা হয়েছে। অধস্তন আদালতের ভাষা কি হবে সেটা সরকার ঘোষণা করতে পারবে।
প্রত্যর্পণের আবেদন [Application for Restitution]
প্রত্যর্পণ [Restitution] কি?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুযায়ী আদালতের কোন ডিক্রি বা আদেশের কারণে দুইটি বিষয় ঘটতে পারে। যেমন-
১. মোকদ্দমার কোন পক্ষ কোন কিছু গ্রহণ করতে পারে, আবার
২. অন্য পক্ষ কোন কিছু হারাতে পারে।
পরবর্তীতে আদালতের এই ডিক্রি বা আদেশ যদি সংশোধন, পরিবর্তন বা পরিমার্জন হয় এবং এর ফলে কোন পক্ষ কোন কিছু পাওয়ার অধিকারী হলে, তাকে সেই বিষয়টি ফেরত বা প্রত্যর্পণ করতে হবে অর্থাৎ তাকে তার পূর্বের অবস্থানে প্রতিস্থাপন করতে হবে। আদালতের ডিক্রি জারিতে যে-সম্পত্তির দখল গ্রহণ করা হয়, ডিক্রি বাতিল হলে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে ওই সম্পত্তির দখল প্রত্যর্পণ করতে হয় সেই ব্যক্তির নিকট যে ব্যক্তি ডিক্রি জারিতে উক্ত সম্পত্তির দখল হারিয়েছিল। কোন পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত প্রত্যর্পণের আদেশ দিতে পারে। উদাহরণ: আদালত একটি মোকদ্দমায় বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রি দিলো। উক্ত একতরফা ডিক্রি কার্যকর করার কারণে বিবাদী সম্পত্তিতে তার দখল হারায়। পরবর্তীতে বিবাদী একতরফা ডিক্রি বাতিলের আবেদন করলে আদালত একতরফা ডিক্রি বাতিল করে আদেশ দিলো অর্থাৎ সম্পত্তিতে বিবাদীর দখল বহাল থাকলো । এই ক্ষেত্রে বিবাদী সম্পত্তিতে তার দখল ফেরত বা প্রত্যর্পণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এই ক্ষেত্রে আদালত এমন প্রত্যর্পণের আদেশ মঞ্জুর করে যে সিদ্ধান্ত দিবে তা ডিক্রি বলে গণ্য হবে। আরেকটি উদাহরণ: A, B এর বিরুদ্ধে ১০০০০০ টাকার একটি ডিক্রি পেলো । ডিক্রি জারির মাধ্যমে A উক্ত অর্থ আদায় করলো। ডিক্রিটি পরবর্তীতে আপীলে পরিবর্তন হলো। আপীলে উক্ত ডিক্রি পরিবর্তন হওয়ার কারণে ১৪৪ ধারার অধীন B উক্ত টাকা পরিশোধের তারিখ হতে সুদসহ উক্ত টাকা ফেরত পাওয়ার অধিকারী হবে।
দেওয়ানী আদালতের সহজাত ক্ষমতা [Inherent Power of the Court] কি?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫১ ধারা অনুযায়ী অন্তর্নিহিত বা সহজাত বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যেটা লুপ্ত বা সরাসরি ব্যক্ত করা হয়নি। এই ক্ষমতা কোন আইন থেকে উৎপত্তি হয়নি বরং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে এবং আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে আদালত তার প্রতিষ্ঠার সময় এই ক্ষমতা সহজাতভাবে লাভ করে। দেওয়ানী কার্যবিধির বিধি বিধানসমূহ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। কারণ ভবিষ্যতে কোন মোকদ্দমায় সম্ভাব্য কোন ধরণের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। সেই সকল পরিস্থিতি আগে থেকে অনুমান করা আইন প্রণেতাদের পক্ষে সম্ভব না। এই সকল অপ্রত্যাশীত পরিস্থিতিতে দেওয়ানী কার্যবিধির বিধান দ্বারা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নাও হতে পারে। দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন এই সকল অপ্রত্যাশীত পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যক্ত কোন বিধি বিধান না থাকার পরও আদালত তার সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সকল পরিস্থিতিতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারে।
কখন দেওয়ানী আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় দুইটি উদ্দেশ্যে আদালত তার সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে;
১. ন্যায় বিচারের স্বার্থে এবং
২. আদালতের কার্যপ্রণালীর অপব্যবহার রোধ করতে।
রায় ডিক্রি বা আদেশসমূহের সংশোধন কিভাবে করা হয়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫২ ধারা অনুযায়ী রায়, ডিক্রি বা আদেশে করণিক [Clerical] বা গাণিতিক [Arithmetical] ভুল অথবা কোন আকস্মিক ভ্রান্তি [Accidental slip] বা বিচ্যুতির [Omission] কারণে কোন ভুল হলে যে কোন সময় আদালত নিজ উদ্যোগে কিংবা কোন পক্ষের আবেদনে তা শুদ্ধ বা সংশোধন করতে পারে।
কখন দেওয়ানী কার্যধারায় ত্রুটি সংশোধন করা যায়?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫৩ ধারা অনুযায়ী মোকদ্দমার কার্যধারায় কোন প্রকৃত প্রশ্ন বা বিচার্য বিষয় নির্ধারণের উদ্দেশ্যে আদালত যে কোন সময় কোন মামলার কার্যধারার ত্রুটি সংশোধন করতে পারে।
টপিকস
কোন কোন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে? কোন কোন ব্যক্তিদের গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে? দেওয়ানী নিম্ন আদালতের ভাষা কি? প্রত্যর্পণ কি? দেওয়ানী আদালতের সহজাত ক্ষমতা কি? কখন দেওয়ানী আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? রায় ডিক্রি বা আদেশসমূহের সংশোধন কিভাবে করা হয়? কখন দেওয়ানী কার্যধারায় ত্রুটি সংশোধন করা যায়?