- Get link
- X
- Other Apps
রায় এবং ডিক্রি।
রায় সম্পর্কে মৌলিক নিয়ম কি কি?
মামলার খরচ।
সাধারণ খরচ কি?
কখন ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশ দেয়া হয়?
ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
কখন আদালত বিলম্বের জন্য খরচের আদেশ দিতে পারে?
রায় সম্পর্কে মৌলিক নিয়ম কি কি?
মামলার খরচ।
সাধারণ খরচ কি?
কখন ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশ দেয়া হয়?
ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
কখন আদালত বিলম্বের জন্য খরচের আদেশ দিতে পারে?
রায় এবং ডিক্রি [Judgment and Decree][আদেশ ২০ ]
রায় সম্পর্কে মৌলিক নিয়ম কি কি?
মোকদ্দমার শুনানী সমাপ্ত হবার পর আদালত তৎক্ষণাৎ কিংবা ভবিষ্যত কোন দিনে [পক্ষগণ বা তাদের কৌশলীদের উপর বিজ্ঞপ্তি প্রদানের] অনধিক ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করবে [আদেশ ২০, বিধি-১] । রায় ঘোষণা করার সময় প্রকাশ্য আদালতে বিচারক কর্তৃক রায় স্বাক্ষরিত এবং তারিখ দিতে হবে। রায়ে স্বাক্ষর করার পর ১৫২ ধারার বিধান এবং রিভিউ ছাড়া রায়ে কোন পরিবর্তন বা সংযোজন করা যাবে না [বিধি-৩]। শুধুমাত্র ১৫২ ধারার বিধান অনুযায়ী বা রিভিউ এর মাধ্যমে রায়ে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে। ১৫২ ধারা অনুযায়ী রায়, ডিক্রি বা আদেশে করণিক বা গাণিতিক ভুল অথবা কোন আকস্মিক ভ্রান্তি বা বিচ্যুতির কারণে কোন ভুল হলে যে কোন সময় আদালত নিজ উদ্যোগে কিংবা কোন পক্ষের আবেদনে তা শুদ্ধ বা সংশোধন করতে পারে। রায়ে মোকদ্দমার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, নির্ধারণযোগ্য বিষয়সমূহ, ঐ সকল বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত এবং অনুরুপ সিদ্ধান্তের কারণসমূহ উল্লেখ থাকবে [বিধি ৫]। রায় ঘোষণার তারিখ হতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আদালত ডিক্রি প্রণয়ন করবে। [বিধি-৫ক]। ডিক্রিতে মোকদ্দমার নম্বর, পক্ষগণের নাম ও বিবরণ এবং দাবীর বিবরণ, মঞ্জুরকৃত প্রতিকার, মোকদ্দমায় কি পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, সেট অফ (যদি থাকে) ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে [বিধি-৬]। ডিক্রিতে স্বাক্ষর করবে বিচারক এবং যে তারিখে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তারিখ ডিক্রিতে উল্লেখ থাকবে। সুতরাং ডিক্রির তারিখ হলো যে তারিখে রায় ঘোষণা করা হয় সেই তারিখ। [বিধি-৭]।
মামলার খরচ:
আদালত যে খরচের আদেশ প্রদান করে তার একটি মৌলিক উদ্দেশ্য হলো মোকদ্দমা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কোন পক্ষের যে খরচ হয় তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া। যেমন কোন পক্ষ ভুল এবং মিথ্যা দলিল দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করে বিচার বিলম্বিত করে। এই ক্ষেত্রে আদালত উক্ত পক্ষকে অপর পক্ষকে খরচ দেওয়ার আদেশ দিতে পারে। সাধারণত মোকদ্দমায় বিজয়ী পক্ষ খরচ পেয়ে থাকে। আদালত তিন ধরনের খরচের আদেশ দিয়ে থাকে।
১) সাধারণ খরচ।
২) ক্ষতিপূরণমূলক খরচ।
৩) বিলম্বের জন্য খরচ
সাধারণ খরচ কি?
৩৫ ধারায় আদালত সাধারণ খরচের আদেশ দিতে পারে। ৩৫ ধারায় আদালত মোকদ্দমার খরচার উপর সর্বোচ্চ ৬% বার্ষিক সুদ প্রদানের আদেশ দিতে পারে।
কখন ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশ দেয়া হয়?
মিথ্যা বা হয়রানিকর দাবী বা অজুহাত এর জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৫ক ধারায় ক্ষতিপূরণমূলক খরচ এর জন্য আবেদন করা যায়। যদি কোন পক্ষ আপত্তি উত্থাপন করে যে, অপর পক্ষের দাবী বা অজুহাত হলো মিথ্যা বা হয়রানিকর, তখন আদালত উক্ত আপত্তি উত্থাপনকারীকে ক্ষতিপূরণস্বরুপ ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দিবে যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে-
১. উক্ত দাবী বা অজুহাত হলো মিথ্যা বা হয়রানিকর এবং
২. উক্ত দাবী বা অজুহাত সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
৩৫ক ধারায় আদালত সর্বোচ্চ ২০০০০ টাকা ক্ষতিপূরণমূলক খরচ এর আদেশ দিতে পারে। অর্থাৎ দেওয়ানী মামলায় সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণমূলক খরচ হলো ২০০০০ টাকা। আপীল ব্যতীত কোন মোকদ্দমা বা ডিক্রি জারির কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রমে মিথ্যা বা হয়রানিকর দাবী বা অজুহাত এর জন্য ক্ষতিপূরণমূলক খরচ এর আবেদন করা যায়। অর্থাৎ ৩৫ক আপীলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। ৩৫ক ধারায় ক্ষতিপূরণমূলক খরচ প্রদানের আদেশ দেওয়া আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক।
ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
৩৫ক ধারায় ক্ষতিপ্রণমূলক খরচের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়। কারণ ১০৪ ধারা অনুযায়ী ৩৫ক ধারায় প্রদত্ত ক্ষতিপূরণমূলক খরচ এর আদেশ হলো আপীলযোগ্য আদেশ । যেমন: ‘A’ মোকদ্দমার বিচার বিলম্ব করার জন্য মিথ্যা কারণ দেখিয়ে মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন করে। 'B' আপত্তি উত্থাপন করে যে ‘A’ এর মোকদ্দমা স্থানান্তরের দাবী হলো মিথ্যা এবং হয়রানিকর আদালত মোকদ্দমা স্থানান্তরের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এই ক্ষেত্রে ‘A’ কে আদালত আদেশ দিতে পারে যে 'B' কে ক্ষতিপূরণস্বরূপ খরচ প্রদান করার যা সর্বোচ্চ ২০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কখন আদালত বিলম্বের জন্য খরচের আদেশ দিতে পারে?
৩৫খ ধারায় আদালত অন্তর্বর্তীকালীন বিষয়ে আবেদন বিলম্বে করার কারণে খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারে। ৩৫খ (১) ধারা প্রযোজ্য হবে, যে ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বিষয়ে আবেদন বা লিখিত আপত্তি পেশ করতে ব্যর্থ হয়। ৩৫খ (২) প্রযোজ্য হবে, যে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন বিষয়ে কোন দরখাস্ত পূর্বেই পেশ করা সমীচিন ছিল কিন্তু করেনি। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আবেদন বা লিখিত আপত্তি পেশ না করা হলে, আদালত উক্ত আবেদন বা লিখিত আপত্তি শুনানীর জন্য গ্রহণ করতে পারে, শর্ত হলো যে পক্ষ নির্ধারিত সময়ে আবেদন বা লিখিত আপত্তি পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই পক্ষকে আদেশ দিতে পারে অপর পক্ষকে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা খরচ প্রদান করার [৩৫খ (১)]।লিখিত জবাব পেশের পরবর্তীতে মামলার কোন পক্ষ কোন বিষয়ে দরখাস্ত পেশ করেন, যা আদালতের মতে পূর্বেই পেশ করা যেত বা করা সমীচিন ছিল, সেই আবেদন আদালত গ্রহণ করবে যদি দরখাস্তকারী পক্ষ অপর পক্ষকে আদালতের নির্দেশক্রমে অনধিক ৩০০০ টাকা খরচ দেয়। যদি খরচ না দেয়, তাহলে দরখাস্ত বাতিল হবে [৩৫খ (২)]।
টপিকস
রায় এবং ডিক্রি। রায় সম্পর্কে মৌলিক নিয়ম কি কি? মামলার খরচ। সাধারণ খরচ কি? কখন ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশ দেয়া হয়? ক্ষতিপূরণমূলক খরচের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? কখন আদালত বিলম্বের জন্য খরচের আদেশ দিতে পারে?
ইউটিউব ভিডিও - রায় এবং ডিক্রি Judgment and Decree খরচ Costs