Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

আপীল শুনানী এবং মুলতুবি Hearing of and Adjournments in Appeal

আদালত কতসংখ্যক আপীল মুলতবি মঞ্জুর করতে পারে?
খরচ প্রদানে ব্যর্থতার ফলাফল কি?
কিভাবে আপীল পুনরুজ্জীবিত করা যায়? 
কি কি কারণে আদালত আপীল খারিজের আদেশ দিতে পারে?
আপীলকারী হাজির না হলে আদালত কি আদেশ দিবে?
নোটিশ জারির জন্য খরচ না দিলে আদালত কি আদেশ দিবে?
আপীল পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে আদালত কি আদেশ দিবে?
আপীল খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আপীল পুনঃগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের আবেদন তামাদি মেয়াদ কতদিন?
আপীল পুনঃগ্রহণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি?
আপীলের একতরফা শুনানী বলতে কি বুঝায়?
আপীল একতরফা শুনানীর বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? 
আপীল পুনঃশুনানীর তামাদি মেয়াদ কতদিন?
আপিল পুনঃ শুনানির আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি?
পাল্টা আপত্তি বা পাল্টা আপীল কি?
পাল্টা আপত্তি দায়েরের সময়সীমা কতদিন?
আপীল আদালত কি কি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?
কখন আদালত মোকদ্দমা পুনঃ প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে?
আপীল আদালত পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ দিলে প্রতিকার কি?
কখন আদালত বিচার্য বিষয় গঠন এবং বিচারে প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে?
আপিল আদালতের অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের কোন আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
নিঃসম্বল ব্যক্তির আপীল কিভাবে দায়ের করতে হয়?
কিভাবে আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করতে হয়?
কিভাবে আপিল বিভাগে আদেশ কার্যকর করা যায়?

আপীল শুনানী এবং মুলতুবি [Hearing of and Adjournments in Appeal]

আপীল আদালত আপীল শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করবে। কিন্তু যুক্তিযুক্ত কারণে আদালত আপীল শুনানী মূলতুবি ঘোষণা করতে পারে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৪১ আদেশের ১২ক বিধির অধীন আপীলে মূলতুবি বা সময় চেয়ে দরখাস্ত দায়ের করা যায়।

আপীলে মূলতুবি [Adjournment in Appeal]:

আদালত কতসংখ্যক আপীল মুলতবি মঞ্জুর করতে পারে?

৪১ আদেশের বিধি-১২ক অনুযায়ী আপীলে কোন পক্ষের অনুরোধক্রমে আপীল আদালত প্রত্যেক পক্ষকে প্রথম ৩টি শুনানী মূলতুবি মঞ্জুর করতে পারে কোন প্রকার খরচ ছাড়া। ৩ এর অধিক শুনানী মুলতুবি মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে আদালত উক্ত পক্ষকে নূন্যতম দুইশত টাকা (২০০) ও অনধিক ১০০০ টাকা খরচ অপর পক্ষকে প্রদানের নির্দেশ দিবে। এই ক্ষেত্রে খরচসহ সর্বোচ্চ কয়টি মুলতুবি মঞ্জুর করতে পারে তা উল্লেখ করা হয়নি।

খরচ প্রদানে ব্যর্থতার ফলাফল কি?

এইরূপ খরচ প্রদানের আদেশ যদি আপীলকারী পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে আপীলটি খারিজ হয়ে যাবে। যদি প্রতিবাদী বা respondent অমান্য করে, তাহলে আদালত আপীলটি একতরফা নিষ্পত্তি করতে পারে।

কিভাবে আপীল পুনরুজ্জীবিত করা [Revival of appeal] যায়?

যে পক্ষের খরচ প্রদানের ব্যর্থতার কারণে আপীলটি খারিজ হয়েছে বা একতরফা নিষ্পত্তি হয়েছে, সেই পক্ষ উক্ত আপীল পুনরুজ্জীবিত বা পুনরায় চালু করতে ৩০ দিনের মধ্যে ৪১ আদেশের ১২(২) বিধির অধীন উক্ত আপীল আদালতে আবেদন করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আদালত আবেদনকারীকে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারে। আবেদনকারী এমন খরচ জমা দিলে শুধুমাত্র তখনই আদালত আপীল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করতে পারে। ৪১ আদেশের ১২ক বিধির অধীনে আপিল পুনর্জীবিত করার আদেশ আদালত প্রত্যেক পক্ষের ক্ষেত্রে একবারের বেশি মঞ্জুর করবে না।

আপীল খারিজ [Dismissal of Appeal] এবং একতরফা আপীল শুনানী [Hearing Appeal Ex-parte]:

কি কি কারণে আদালত আপীল খারিজের আদেশ দিতে পারে?

আপীলকারীর ব্যর্থতার কারণে আপীল খারিজ হয়। আপীল আদালত ৪১ আদেশের ১১(২), ১৫ক, ১৭(১) এবং ১৮ বিধির অধীন আপীলকারীর ব্যর্থতার কারণে আপীল খারিজের আদেশ দিতে পারে।

আপীলকারী হাজির না হলে আদালত কি আদেশ দিবে?

৪১ আদেশের ১১ (২) এবং ১৭ (১) বিধির অধীন আপীলের শুনানীর জন্য নির্ধারিত দিনে আপীলকারী [appellant] উপস্থিত না হলে, আপীল আদালত আপীলটি খারিজ করে দিতে পারে।

নোটিশ জারির জন্য খরচ না দিলে আদালত কি আদেশ দিবে?

৪১ আদেশের ১৮ বিধির অধীন নোটিশ জারির জন্য যে খরচ প্রয়োজন তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপীলকারী জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রতিবাদীকে নোটিশ না দেওয়া হলে, আপীল আদালত আপীলটি খারিজ করে দিতে পারে।

আপীল পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে আদালত কি আদেশ দিবে?

৪১ আদেশের ১৫ক বিধির অধীন হাইকোর্ট বিভাগে আপীল গ্রহণের পর, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপীলকারী আপীল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে বা তদবির করতে ব্যর্থ হলে, হাইকোর্ট বিভাগ আপীলটি খারিজ করে দিতে পারে।

আপীল খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?

৪১ আদেশের ১১(২), ১৫ক, ১৭ (১) এবং ১৮ বিধির অধীন আপীল আদালত আপীলকারীর ব্যর্থতার কারণে আপীলটি খারিজের আদেশ দিলে, আপীলকারী-

১. ১৯ বিধির অধীন ৩০ দিনের মধ্যে আপীলটি পুনগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করতে পারে। বা

২. ১৯ক বিধির অধীন ৩০ দিনের মধ্যে আপীলটি সরাসরি পুনঃগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারে। 

৩. রিভিশন করতে পারবে কিন্তু আপীল করতে পারবেনা।

যেহেতু আপীল খারিজ কোন ডিক্রি বা আপীলযোগ্য আদেশ না, তাই এর বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না কিন্তু রিভিশন করা যায়। যেহেতু কোন মোকদ্দমার বিরুদ্ধে আপীল করা হয়েছে এবং সেই আপীল শুনানীতে আপীল খারিজের সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে, সুতরাং দ্বিতীয় আপীল করার সুযোগ নেই। কারণ দেওয়ানী কার্যবিধিতে দ্বিতীয় আপীলের সুযোগ নেই।

আপীল পুনঃগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের [re-admission or restoration of appeal] আবেদন তামাদি মেয়াদ কতদিন?

তদবিরের অভাবে বা prosecution অভাবে আপীল খারিজের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে আপীল পুনঃগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের আবেদন করতে হবে । তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ১৬৮ অনুচ্ছেদ।

আপীল পুনঃগ্রহণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি?

১৯ বিধির অধীন আপীল পুনগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের আবেদন না-মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করলে, উক্ত প্রত্যাখ্যান আদেশ হলো আপীলযোগ্য আদেশ এবং এর বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে । কিন্তু আপীল পুনগ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা।

আপীলের একতরফা শুনানী [hearing appeal exparte] বলতে কি বুঝায়?

৪১ আদেশের ১৭ (২) বিধির অধীন যেক্ষেত্রে আপীলকারী হাজির হয় কিন্তু প্রতিবাদী (respondent) হাজির হয়না, সেই ক্ষেত্রে আপীলটি একতরফা শুনানী হবে। অর্থাৎ আপীল শুনানীর জন্য নির্ধারিত দিনে প্রতিবাদী হাজির না হলে, একতরফা শুনানী হতে পারে।

আপীল একতরফা শুনানীর বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?

৪১ আদেশের ১৭ (২) বিধির অধীন আপীল আদালত প্রতিবাদীর অনুপস্থিতির কারণে আপীলটি একতরফা শুনানী করে রায় ঘোষণা করলে প্রতিবাদী ৪১ আদেশের ২১ বিধির অধীন আপীলটি পুনঃশুনানীর জন্য আবেদন করতে পারে বা ৪১ আদেশের ২১ক বিধির অধীন আপীলটি সরাসরি পুনঃশুনানীর জন্য আবেদন করতে পারে বা আপীল করতে পারবেনা কিন্তু রিভিশন করতে পারবে। আপীল সরাসরি পুনঃশুনানীর আবেদন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আদালত প্রতিবাদীকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারে।

আপীল পুনঃশুনানীর তামাদি মেয়াদ কতদিন?

যে আপীলের একতরফা শুনানী হয়েছে, পুনরায় তার শুনানীর জন্য দরখাস্ত দায়ের করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। তামাদি আইন, ১৯০৮, অনুচ্ছেদ ১৬৯।

আপিল পুনঃ শুনানির আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি?

আপিল পুনঃ শুনানির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রদত্ত কোন আদেশ হলো আপীলযোগ্য আদেশ এবং এক্ষেত্রে সংক্ষুদ্ধ প্রতিবাদী আপিল করতে পারে। আপিল শুনানির আবেদন মঞ্জুর করে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না।

পাল্টা আপীল বা পাল্টা আপত্তি [Cross-objection] :

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ৪১ আদেশের ২২ বিধিতে পাল্টা আপত্তি সংক্রান্ত বিধান আছে।

পাল্টা আপত্তি বা পাল্টা আপীল কি?

দেওয়ানী কার্যবিধির ৪১ আদেশের ২২ বিধিতে বলা হয়েছে, রেসপন্ডেট বা প্রতিবাদী ডিক্রির কোনো অংশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের না করেও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীলে যে-আপত্তি উত্থাপন করতে পারতো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপর পক্ষের দায়েরকৃত আপিলের পাল্টা আপত্তি দাখিল করে তা করতে পারে। যেক্ষেত্রে কোন মোকদ্দমায় আদালত সিদ্ধান্ত আংশিক বাদীর অনুকূলে এবং আংশিক বিবাদীর অনুকূলে প্রদান করে, সেই ক্ষেত্রে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ (বাদী বা বিবাদী) আপীল দায়ের করতে পারে এবং বিরোধী পক্ষ নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে-

i. ডিক্রির যে অংশ তার বিরুদ্ধে সেই অংশের বিরুদ্ধে তিনি আপীল দায়ের করতে পারে। এই ক্ষেত্রে একই ডিক্রির বিরুদ্ধে ২টি আপীল হয়। একটি আপীল বাদী কর্তৃক এবং অন্যটি বিবাদী কর্তৃক। এটাই পাল্টা আপীল হিসাবে পরিচিত এবং উভয় আপীল একত্রে নিষ্পত্তি করা হবে।

ii. ডিক্রির যে অংশ তার বিরুদ্ধে সেই অংশের বিরুদ্ধে তিনি আপীল দায়ের না করে বরং তিনি উক্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করতে পারে। এমন আপত্তি 'পাল্টা আপত্তি' হিসাবে পরিচিত। 

iii. অথবা তার বিরুদ্ধে ডিক্রি প্রদানে বিচারিক আদালত যে যুক্তি দিয়েছে সেটা মেনে নিয়ে পাল্টা আপীল বা আপত্তি কোনটি দায়ের নাও করতে পারে।

প্রতিবাদী যে ক্ষেত্রে পৃথক আপীল করতে পারতো কিন্তু করেনি এবং নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিকৃত ডিক্রির কোন সঙ্গত কারণ সমর্থন না করলে, সেই ক্ষেত্রে তিনি পাল্টা আপত্তি দায়ের করতে পারে।

পাল্টা আপত্তি দায়েরের সময়সীমা কতদিন?

আপীল শুনানীর জন্য ধার্য দিন সম্পর্কে প্রতিবাদী বা তার উকিলের প্রতি নোটিশ জারির তারিখ হতে ১ মাসের মধ্যে আপীল আদালতে পাল্টা আপত্তি দায়ের করতে পারে বা আপীল আদালত পাল্টা আপত্তি দাখিলের জন্য অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করলে, উক্ত মঞ্জুরিকৃত সময়ের মধ্যে পাল্টা আপত্তি দাখিল করতে পারে।

আপিল আদালতের ক্ষমতা [Power of Appellate Court]:

আপীল আদালত কি কি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?

আপীল আদালত কি কি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে তা ১০৭ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই সকল ক্ষমতা সম্পর্কিত বিস্তারিত বিবরণ আদেশ ৪১ এর ২৩ থেকে ২৯ এবং ৩৩ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপীল আদালতের যে সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, তাহলো-

ক. কোন মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করতে পারে।

খ. কোন মোকদ্দমা পুনঃপ্রেরণ করতে পারে।

গ. বিচার্য বিষয় গঠন এবং সেইগুলি বিচারার্থে প্রেরণ করতে পারে।

ঘ. অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ অথবা অনুরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য তলব করতে পারে।

কখন আদালত মোকদ্দমা পুনঃ প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে?

১০৭ ধারায় আপীল আদালতকে কোন মোকদ্দমা পুনঃপ্রেরণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোন কোন প্রেক্ষাপটে আপীল আদালত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে তা আদেশ ৪১ এর ২৩ এবং ২৫ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা বিচারের সময়ে নিম্ন আদালত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করে থাকলে তা বিবেচনা করার জন্য বা প্রাথমিক প্রশ্নে মামলা নিষ্পত্তি করে থাকলে, আপীলে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হলে, আপীল আদালত মামলাটি পুনর্বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে পুনঃপ্রেরণ করতে পারবে।

আপীল আদালত পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ দিলে প্রতিকার কি?

৪১ আদেশের ২৩ বিধির অধীন আপীল আদালত মোকদ্দমা পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ দিলে তার বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।

কখন আদালত বিচার্য বিষয় গঠন এবং বিচারে প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে?

আদেশ ৪১ এর ২৫ বিধি অনুযায়ী আপীল আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করে তা বিচারের জন্য ফেরত পাঠাতে পারে। যে আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা হয়েছে, সেই আদালত কোন বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে বা বিচার করা হতে বা কোন ঘটনাগত বিষয় নির্ধারণ করা হতে বিরত থাকলে, আপীল আদালত মোকদ্দমার সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য যে সকল বিচার্য বিষয় গঠন প্রয়োজনীয় বলে মনে করে, সেই সকল বিচার্য বিষয় গঠন করে আদালত বিচারের জন্য ফেরত পাঠাতে পারে।

কখন আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রদানের আদেশ দিতে পারে?

আপীল আদালত কর্তৃক অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষমতা ১০৭ ধারায় দেওয়া হয়েছে। কোন কোন প্রেক্ষাপটে আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে তা ৪১ আদেশের ২৭ বিধিতে বলা হয়েছে। আপীলের পক্ষগণ আপীল আদালতে মৌখিক কিংবা দালিলিক কোন প্রকার অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থানের অধিকারী হবে না। কিন্তু যে আদালতের ডিক্রি হতে আপীল দায়ের করা হয়েছে, সেই আদালত এরুপ কোন সাক্ষ্য যা গ্রহণ করা উচিত ছিল কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল, সেই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করা যেতে পারে। রায় প্রদানের সুবিধার্থে বা যে ক্ষেত্রে আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেয়, সেই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করা যেতে পারে।

আপিল আদালতের অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের কোন আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?

আপীল আদালতে অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের কোন আবেদন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যানের কোন আদেশ আপীলযোগ্য না কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যাবে।

নিঃসম্বল ব্যক্তির আপীল [Pauper Appeals] কিভাবে দায়ের করতে হয়?

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ৪৪ আদেশে নিঃসম্বল ব্যক্তি কর্তৃক আপীল দায়ের সম্পর্কিত বিধান করা হয়েছে। আদেশ ৪৪ অনুযায়ী আপীল দায়ের করার অধিকারী কোন ব্যক্তি, যে আপীলের স্মারকলিপির জন্য আবশ্যকীয় কোর্ট ফি প্রদান করতে অসমর্থ, সে আপীলের সঙ্গে একটি আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবে এবং নিঃসম্বল ব্যক্তি কর্তৃক মোকদ্দমা দায়ের করা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধান প্রযোজ্য হবে। নি:স্ব হিসাবে আপীল করার অনুমতি দরখাস্ত দায়েরের তামাদির মেয়াদ ৩০ দিন [তামাদি আইন, ১৭০ অনুচ্ছেদ]। যে ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল হবে, সেই ডিক্রির তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে নিঃসম্বল ব্যক্তি হিসেবে আপিল করার অনুমতি দরখাস্ত করতে হবে।

কিভাবে আপীল বিভাগে আপীল [Appeals to the Appellate Division] দায়ের করতে হয়?

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ১০৯ থেকে ১১২ ধারা পর্যন্ত এবং ৪৫ আদেশে আপীল বিভাগে আপীল সংক্রান্ত বিধান করা হয়েছে। ১০৮ ধারা অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের রায়, আদেশ বা ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল চলে । যে কেউ আপীল বিভাগে আপীল করতে চাইলে যে আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেই আদালতেই দরখাস্তের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রত্যেকটি আপীলের দরখাস্তে আপীলের কারণসমূহ উল্লেখ করতে হবে এবং এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রার্থনা করতে হবে যে, টাকার অংক বা মূল্য এবং প্রকৃতি সম্পর্কে মোকদ্দমাটি ১১০ ধারার শর্তাবলী পূরণ করে বা অন্য কোন কারণে মোকদ্দমাটি আপীল বিভাগে আপীল করার উপযুক্ত। যদি প্রত্যয়নটি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে আপীলের দরখাস্ত বা পিটিশন খারিজ হিসাবে গন্য হবে। যেক্ষেত্রে প্রত্যয়নপত্র মঞ্জুর করা হয়, সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারী, প্রত্যয়নপত্র মঞ্জুরের তারিখ হতে ৬ (ছয়) সপ্তাহের মধ্যে জামানত প্রদান করবে [আদেশ ৪৫ বিধি ৭]।

কিভাবে আপিল বিভাগে আদেশ কার্যকর করা যায়?

যে ব্যক্তি আপিল বিভাগে আদেশ কার্যকর করতে চায়, সে আপিলে প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের সত্যায়িত নকলসহ দরখাস্ত দ্বারা আবেদন করবে এবং যে আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে সে আদালতে আবেদন করতে হবে। [আদেশ ৪৫ বিধি ১৫]।

টপিকস

আদালত কতসংখ্যক আপীল মুলতবি মঞ্জুর করতে পারে? খরচ প্রদানে ব্যর্থতার ফলাফল কি? কিভাবে আপীল পুনরুজ্জীবিত করা যায়? কি কি কারণে আদালত আপীল খারিজের আদেশ দিতে পারে? আপীলকারী হাজির না হলে আদালত কি আদেশ দিবে? নোটিশ জারির জন্য খরচ না দিলে আদালত কি আদেশ দিবে? আপীল পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে আদালত কি আদেশ দিবে? আপীল খারিজরে বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? আপীল পুনঃগ্রহণ বা পুনরুদ্ধারের আবেদন তামাদি মেয়াদ কতদিন? আপীল পুনঃগ্রহণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি? আপীলের একতরফা শুনানী বলতে কি বুঝায়? আপীল একতরফা শুনানীর বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? আপীল পুনঃশুনানীর তামাদি মেয়াদ কতদিন? আপিল পুনঃ শুনানির আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে প্রতিকার কি? পাল্টা আপত্তি বা পাল্টা আপীল কি? পাল্টা আপত্তি দায়েরের সময়সীমা কতদিন? আপীল আদালত কি কি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? কখন আদালত মোকদ্দমা পুনঃ প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে? আপীল আদালত পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ দিলে প্রতিকার কি? কখন আদালত বিচার্য বিষয় গঠন এবং বিচারে প্রেরণ করার আদেশ দিতে পারে? কখন আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রদানের আদেশ দিতে পারে? আপিল আদালতের অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের কোন আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার কি? নিঃসম্বল ব্যক্তির আপীল কিভাবে দায়ের করতে হয়? কিভাবে আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করতে হয়? কিভাবে আপিল বিভাগে আদেশ কার্যকর করা যায়? 

ইউটিউব ভিডিও - আপীল শুনানী এবং মুলতুবি Hearing of and Adjournments in Appeal

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a