- Get link
- X
- Other Apps
একতরফা ডিক্রি Ex parte Decree কখন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়? প্রকাশ এবং পরিদর্শন Discovery & Inspection
একতরফা ডিক্রি কি?
একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার কি?
একতরফা ডিক্রি রদকরণে বিবাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?
সরাসরি একতরফা ডিক্রি রদ করার পদ্ধতি কি?
কখন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়?
প্রকাশ কাকে বলে?
প্রশ্ন দ্বারা কোন ঘটনা বা বিষয় কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
কোন দলিল কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
দলিল পরিদর্শন কি?
প্রকাশের আদেশ অমান্য করার ফলাফল কি?
প্রকাশ আদেশ অমান্যের কারণে রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ পক্ষের প্রতিকার কি?
একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার কি?
একতরফা ডিক্রি রদকরণে বিবাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?
সরাসরি একতরফা ডিক্রি রদ করার পদ্ধতি কি?
কখন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়?
প্রকাশ কাকে বলে?
প্রশ্ন দ্বারা কোন ঘটনা বা বিষয় কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
কোন দলিল কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
দলিল পরিদর্শন কি?
প্রকাশের আদেশ অমান্য করার ফলাফল কি?
প্রকাশ আদেশ অমান্যের কারণে রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ পক্ষের প্রতিকার কি?
একতরফা ডিক্রি [Ex parte Decree]
একতরফা ডিক্রি কি?
আদেশ ৯ বিধি ৬ অনুযায়ী বিবাদীর অনুপস্থিতিতে যে ডিক্রি প্রদান করা হয় তাহলো এক তরফা ডিক্রি। যেক্ষেত্রে মোকদ্দমার শুনানীর জন্য নির্ধারিত দিনে বাদী হাজির হয় কিন্তু বিবাদী হাজির হয়না, সেই ক্ষেত্রে যদি এটা প্রমাণ করা যায় যে, বিবাদী বরাবর সমন যথাযথভাবে জারি করা হয়েছিল, তাহলে আদালত মোকদ্দমাটি একতরফা বিচার করতে পারবে বা আদালত একতরফা ডিক্রি দিতে পারবে। আর যদি প্রমাণিত হয় যে, বিবাদী বরাবর সমন যথারীতি জারি করা হয়নি, তাহলে আদালত বিবাদী বরাবর দ্বিতীয় বার সমন জারির আদেশ দিতে পারে।
একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার কি?
আদেশ ৯ বিধি ৬ অনুযায়ী বিবাদীর হাজির না হওয়ার কারণে, আদালত একতরফা ডিক্রি দিলে, বিবাদী নিম্ন লিখিত প্রতিকার পেতে পারে;
১. বিধি ১৩ এর অধীন একতরফা ডিক্রি রদকরণের আবেদন করতে পারবে;
২. বিধি ১৩ক এর অধীন এবতরফা ডিক্রি সরাসরি রদকরণের আবেদন করতে পারবে;
৩. যেহেতু একতরফা ডিক্রি একটি ডিক্রি তাই ৯৬ ধারা অনুযায়ী আপীল করা যেতে পারে ;
৪. ৪৭ আদেশের ১ বিধির অধীন রিভিউর জন্য আবেদন করতে পারে।
একতরফা ডিক্রি রদকরণে বিবাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে?
আদেশ ৯ বিধি-১৩ অনুযায়ী কোন মোকদ্দমায় বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রি প্রদান করা হলে, তা রদ করার জন্য বিবাদী ৯ আদেশের ১৩ বিধির অধীন ডিক্রি প্রদানকারী আদালতে আবেদন করতে পারবে। তবে এই ক্ষেত্রে বিবাদী কে প্রমাণ করতে হবে যে,
১. তার বরাবর যথাযথভাবে সমন জারি করা হয়নি;
২. শুনানীর দিন উপযুক্ত কোন কারণে, সে হাজির হতে পারে নি;
সরাসরি একতরফা ডিক্রি রদ করার পদ্ধতি কি?
আদেশ ৯ বিধি ১৩ক অনুযায়ী একতরফা ডিক্রি সরাসরি রদের জন্য ৯ আদেশের ১৩ক বিধির অধীন আবেদন করতে হবে। আদালত বিলম্ব অবসান ও বিচার ত্বরান্বিত করানোর জন্য, আদালতকে উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনের নির্দেশ না দিয়ে, সরাসরি একতরফা ডিক্রি রদের আদেশ দিতে পারে এবং একই সাথে বিবাদীকে অনধিক ৩০০০ টাকা খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারে। একতরফা ডিক্রি বাতিলের জন্য বা একতরফা ডিক্রি সরাসরি বাতিলের জন্য ৩০ দিনের মধ্যে বিবাদীকে আবেদন করতে হবে।
একতরফা ডিক্রি রদকরণ আবেদন অগ্রাহ্য করার বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?
আদেশ ৯ এর ১৩ বিধি অনুযায়ী কোন একতরফা ডিক্রি রদ করার জন্য আবেদন (আপীলযোগ্য মোকদ্দমায়) করা হলে এবং আদালত উক্ত আবেদন অগ্রাহ্য করে আদেশ দিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী আপীল দায়ের করতে পারবে [আদেশ ৪৩, বিধি ১(ঘ)] । কিন্তু একতরফা ডিক্রি রদকরণের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত আদেশ দিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বাদী আপীল দায়ের করতে পারবেনা।
আদালত কর্তৃক পক্ষগণের জবানবন্দি গ্রহণ:
কখন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়?
আদেশ ১০ বিধি ১ এবং ২ অনুযায়ী মোকদ্দমায় প্রথম শুনানীর সময় মোকদ্দমার পক্ষগণের মধ্যেকার প্রকৃত বিরোধ নির্ধারণ করার জন্য এবং পক্ষগণ বিষয়গুলো স্বীকার করে কি করেনা তা নির্ধারণ করার জন্য ১০ (১) আদেশ অনুযায়ী আদালত পক্ষগণের জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারে এবং ১০ (২) বিধি অনুযায়ী পক্ষগণ বা তাদের সঙ্গীদের মৌখিক জবানবন্দী নিতে পারে।
আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিলে করণীয়:
আদেশ ১০ বিধি ৪ অনুযায়ী যেক্ষেত্রে মোকদ্দমার কোন পক্ষ নিজে না এসে কোন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত হাজিরা দেয়, সেই ক্ষেত্রে আইনজীবী কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম হলে বা উত্তর দিতে অস্বীকার করলে, আদালত মোকদ্দমার শুনানী মুলতুবি রেখে উক্ত পক্ষকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারে [আদেশ ১০ বিধি ৪ (১)]। উক্ত নির্ধারিত দিনে এমন পক্ষ হাজির হতে ব্যর্থ হলে আদালত উক্ত পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করতে পারে। [আদেশ ১০ বিধি ৪ (২)]।
আদেশ ১০ এর ৪ বিধির অধীনে কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আদেশ হলো একটি আপীলযোগ্য আদেশ। সুতরাং ১০ আদেশের ৪ বিধির অধীনে আদালত কোন পক্ষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আদেশ দিলে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ আপিল করতে পারে।
প্রকাশ এবং পরিদর্শন Discovery & Inspection
প্রকাশ (Discovery) কাকে বলে?
দেওয়ানী কার্যবিধিতে প্রকাশ অর্থ হলো এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষকে তার দখলে বা এখতিয়ারে যে বিষয় রয়েছে তা প্রকাশ করতে বাধ্য করা। বিরোধী পক্ষের দখলে আছে মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় সম্পর্কিত এমন কোন দলিল বা বিষয় বিরোধী পক্ষকে প্রকাশ করতে বলতে পারে, তখন মোকদ্দমার কোন পক্ষ ১১ আদেশ অনুসারে আবেদন করতে পারে। প্রকাশ ২ (দুই) প্রকার-
১. প্রশ্ন দ্বারা কোন ঘটনা বা বিষয় প্রকাশ করা
২. কোন দলিল প্রকাশ করা।
প্রশ্ন দ্বারা কোন ঘটনা বা বিষয় কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
যখন কোন পক্ষ তার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কোন বিষয় সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চায়, তখন সে তার প্রতিপক্ষের নিকট প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কতিপয় প্রশ্ন বা প্রশ্নমালা করতে পারে। এটাকে বলা হয় প্রশ্নমালা দ্বারা কোন মামলায় একপক্ষ অপর পক্ষের জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে, বিচার্য বিষয় গঠনের তারিখ হতে ১০ দিনের মধ্যে লিখিতরূপে প্রশ্নমালা প্রদান করতে পারে। এই ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া আদালতের জন্য বিবেচনামূলক। ১০ দিনের মধ্যে বা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হতে পারে এমন দিনের মধ্যে হলফনামাসহ উক্ত প্রশ্নমালার উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নমালা অযৌক্তিকভাবে বা বিরক্তিকরভাবে উপস্থাপিত হলে প্রশ্নমালাটি রদ করা যেতে পারে এবং প্রশ্নমালাটি দীর্ঘ শব্দবহুল, যাতনাদায়ক, অপ্রয়োজনীয় বা কুৎসামূলক হলে, তা কর্তন করা যেতে পারে। প্রশ্নমালা রদ বা কর্তনের জন্য আবেদন করতে পারে যে পক্ষকে প্রশ্নমালার উত্তর প্রদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে সেই পক্ষকে।
কোন দলিল কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
আদেশ ১১ এর ১২ বিধির অধীন যখন কোন পক্ষ তার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কোন দলিল বিষয়ে কোন তথ্য জানতে চায়, তখন সে আদালতের নিকট তার প্রতিপক্ষকে উক্ত দলিল প্রকাশ করার জন্য বাধ্য করতে আবেদন করতে পারে। আদালত উক্ত আবেদন মঞ্জুর করতে পারে বা মুলতুবি করতে পারে। যে পক্ষকে তার এখতিয়ারাধীন দলিল প্রকাশের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে সে দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য।
দলিল পরিদর্শন [Inspection of documents] কি?
১১ আদেশের ১৫ থেকে ১৯ বিধি পর্যন্ত দলিল পরিদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মোকদ্দমার প্রত্যেক পক্ষ অপর পক্ষকে তার আরজি বা লিখিত জবাব বা শপথনামায় যে দলিলের বিষয় উল্লেখ করেছে, তা পরিদর্শনের জন্য নোটিশ দিতে পারে [বিধি ১৫]। যে পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হলো সেই পক্ষ উক্ত নোটিশ বিষয়ে কোন আপত্তি থাকলে তা এবং নোটিশ অনুসারে দলিল কখন এবং কোথায় দেখানো হবে সেটা ১০ দিনের মধ্যে জানাবে [বিধি ১৭]।
প্রকাশের আদেশ অমান্য করার ফলাফল কি?
১. দেওয়ানী কার্যবিধির ১১ আদেশের ২১ বিধির অধীন আদালত বাদীর মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারে বা বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থন বাতিলের আদেশ দিতে পারে যদি সে আদালতের আদেশ অনুযায়ী মোকদ্দমা সম্পর্কিত কোন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয় বা
২. কোন দলিল প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়; বা
৩. দলিল পরিদর্শন করাতে ব্যর্থ হয়।
প্রকাশ আদেশ অমান্যের কারণে রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ পক্ষের প্রতিকার কি?
আদেশ ১১ এর ২১ বিধির অধীন বাদীর বিরুদ্ধে মোকদ্দমা খারিজের আদেশ বা বিবাদীর বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন বাতিলের আদেশ হলো আপীলযোগ্য আদেশ। তাই এই ক্ষেত্রে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ আপীল করতে পারবে।
টপিকস
একতরফা ডিক্রি কি? একতরফা ডিক্রির বিরুদ্ধে বিবাদীর প্রতিকার কি? একতরফা ডিক্রি রদকরণে বিবাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে? সরাসরি একতরফা ডিক্রি রদ করার পদ্ধতি কি? কখন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়? প্রকাশ কাকে বলে? প্রশ্ন দ্বারা কোন ঘটনা বা বিষয় কিভাবে প্রকাশ করা হয়? কোন দলিল কিভাবে প্রকাশ করা হয়? দলিল পরিদর্শন কি? প্রকাশের আদেশ অমান্য করার ফলাফল কি? প্রকাশ আদেশ অমান্যের কারণে রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ পক্ষের প্রতিকার কি?