Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

দেওয়ানী কার্যবিধির প্রাথমিক আলোচনা তফসিল ধারা আদেশ বিধি Civil Procedure Code CPC

দেওয়ানী কার্যবিধি কি ধরনের আইন?
ধারা তাফসিল আদেশ এবং বিধি।
দেওয়ানী কার্যবিধির কয়টি তফসিল আছে ও কি কি?
ধারা, আদেশ এবং বিধিসমূহ কে সংশোধন করতে পারে?
সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা।
বিধি কাকে বলে?
বিধি প্রণয়ন কমিটি কিভাবে গঠন করা হয়?

দেওয়ানী কার্যবিধির প্রাথমিক আলোচনা

দেওয়ানী কার্যবিধি কি ধরনের আইন?


দেওয়ানী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]। দেওয়ানী মোকদ্দমার বিচার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি সংক্রান্ত আইন হলো দেওয়ানী কার্যবিধি। এই আইনে দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে দেওয়ানী কোর্টসমূহ কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবে, মোকদ্দমার পক্ষসমূহ কিভাবে মোকদ্দমা দায়ের করবে, মোকদ্দমার আরজি এবং লিখিত জবাব দাখিল করবে, সমন জারি, পক্ষসমূহের শুনানীর সময় উপস্থিতি, মোকদ্দমার শুনানী, রায় ঘোষণা, ডিক্রি জারি এবং বলবৎকরণ, আপীল, রিভিশন এবং রিভিউ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। তাই এটি একটি পদ্ধতিগত আইন |

দেওয়ানী কার্যবিধিতে ধারা ১৫৮টি। মোট অর্ডার বা আদেশ ৫১টি। দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বপ্রথম বিধিবদ্ধ হয় ১৮৫৯ সালে। দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন। আইনটি প্রণয়ন করা হয় ১৯০৮ সালে। আইনটি কার্যকর করা হয় ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি।সর্বশেষ সংশোধনী হয় ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯ক ধারায় সংশোধন করা হয় এবং the Legal Aid Act 2000 এর অধীন নিযুক্ত আইন সহায়তা কর্মকর্তাকে (Legal Aid Officer) মধ্যস্থতাকারী (mediator) হিসাবে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে মোট ৩টি তফসিল বলবৎ আছে।

ধারা তাফসিল আদেশ এবং বিধি:

দেওয়ানী কার্যবিধির ২টি অংশ। প্রথম অংশে ধারা এবং দ্বিতীয় অংশে তফসিল উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম অংশে মোট ১৫৮ টি ধারা রয়েছে। দ্বিতীয় অংশে মোট ৩ টি তফসিল বর্তমানে বলবৎ আছে।

দেওয়ানী কার্যবিধির কয়টি তফসিল আছে ও কি কি?

দেওয়ানি কার্যবিধিতে মোট ৩ টি তফসিল বর্তমানে বলবৎ আছে। প্রথম তফসিলে মোট ৫১টি আদেশ আছে। প্রত্যেক আদেশের অধীন বিধি থাকে। দ্বিতীয় তফসিল বাতিল। তৃতীয় তফসিলে রয়েছে কালেক্টর কর্তৃক ডিক্রি জারি। চতুর্থ তফসিলে রয়েছে সংশোধিত আইন সমূহ। পঞ্চম তফসিল বাতিল।

ধারা, আদেশ এবং বিধিসমূহ কে সংশোধন করতে পারে?

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারাসমূহ শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ সংশোধন করতে পারে। প্রথম তফসিলে উল্লেখিত আদেশ এবং বিধিসমূহ সংসদ এবং সুপ্রীম কোর্ট উভয় সংশোধন করতে পারে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৬৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ সকল আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের ক্ষমতা রাখে। অন্যদিকে দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ১২২ ধারা অনুসারে, সুপ্রীম কোর্ট দেওয়ানী কার্যবিধির বিধি প্রণয়নসহ বিধিসমূহ বাতিল, পরিবর্তন বা সংযোজন করতে পারে। ১২২ ধারায় সুপ্রীম কোর্টকে দেওয়ানী কার্যবিধির বিধি প্রণয়ন ও সংশোধন করার ক্ষমতা দেওয়া হলেও, সংবিধানে জাতীয় সংসদকে আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেটাকে খর্ব করা হয়নি। কারণ সংবিধান হলো সর্বোচ্চ আইন। জাতীয় সংসদ যে দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন আদেশ ও বিধিসমূহ সংশোধন করতে পারে তার বড় উদাহরণ হলো ২০১২ সালে দেওয়ানী কার্যবিধির সংশোধন। Code of Civil Procedure (Amendment) Act, 2012 এর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৫ এর ১(১) বিধি, ৯ বিধি ও ৯ক বিধি প্রতিস্থাপন করে। আবার আদেশ ৮ এর ১(১) বিধি সংশোধন করে লিখিত জবাব দাখিলের মেয়াদ সমন জারি হতে ৩০ কার্যদিবস নির্ধারণ করে। আবার ৯ আদেশের ৫ বিধি সংশোধন করে ৩ মাসের পরিবর্তে ১ মাস নির্ধারণ করে। দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর প্রথম তফসীলে উল্লেখিত আদেশ এবং বিধিসমূহ সুপ্রিম কোর্ট সংশোধন করতে পারলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কখনো এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি।

সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা-ধারা ১২২ ও ধারা ১২৩

বিধি Rule কাকে বলে?

দেওয়ানী কার্যবিধির ২ (১৮) ধারা অনুযায়ী বিধি বলতে প্রথম সিডিউলে বর্ণিত নিয়ম বা ফর্ম বা দেওয়ানী কার্যবিধির ১২২ ধারার অধীন প্রণীত নিয়মগুলো বিধি নামে পরিচিত।

সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ণের ক্ষমতা কতটুকু?

১২২ ধারায় সুপ্রীম কোর্টকে বিধি প্রণয়ণের নিম্নলিখিত ২টি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
১. সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের (হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপীল বিভাগের] পদ্ধতি সম্পর্কিত বিধি প্রণয়ণের ক্ষমতা;
২. দেওয়ানী আদালতের পদ্ধতি সম্পর্কে এবং প্রথম তফসিলের যেকোন নিয়ম বাতিল, পরিবর্তন বা সংযোজন করার ক্ষমতা।

বিধি প্রণয়ন কমিটি কিভাবে গঠন করা হয়?

দেওয়ানী কার্যবিধির ১২২ ধারায় বিধি প্রণয়নের যে বিধান আছে সেই উদ্দেশ্যে ১২৩ ধারা অনুযায়ী বিধি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা যাবে। কমিটির গঠন: সদস্যঃ সর্বমোট ৬ জন সদস্য নিয়ে বিধি প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। সদস্যগণ হলেন-

ক. সুপ্রীম কোর্টের তিন (৩) জন বিচারক নিয়ে যাদের মধ্যে একজন সর্বনিম্ন ৩ বছর জেলা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে;
খ. উক্ত আদালতে অ্যাডভোকেট হিসাবে প্রাক্টিস করছে এমন ২ জন অ্যাডভোকেট;
গ. হাইকোর্ট বিভাগের অধীনস্থ দেওয়ানী আদালতের একজন বিচারক।
সদস্যগণের নিয়োগ : এই কমিটির সদস্যরা প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবে এবং তিনি উক্ত কমিটির সভাপতি মনোনীত করবেন এবং সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দিবেন।
কমিটির মেয়াদ:এই কমিটির প্রত্যেক সদস্য প্রধান বিচারপতি কর্তৃক উল্লিখিত মেয়াদ পর্যন্ত পদে বহাল থাকবে।

টপিকস 

দেওয়ানী কার্যবিধি কি ধরনের আইন? ধারা তাফসিল আদেশ এবং বিধি। দেওয়ানী কার্যবিধির কয়টি তফসিল আছে ও কি কি? ধারা, আদেশ এবং বিধিসমূহ কে সংশোধন করতে পারে? সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা। বিধি কাকে বলে? বিধি প্রণয়ন কমিটি কিভাবে গঠন করা হয়?

Lessons in English


Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a