- Get link
- X
- Other Apps
পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির ফলাফল।
পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
পক্ষদ্বয় উপস্থিত হলে কিংবা না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বাদীর প্রতিকার কি?
কত দিনের মধ্যে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়?
সমন জারি না হয়ে ফেরত আসলে কি করনীয়?
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ সরাসরি রদকরণের আবেদন।
আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে পার্থক্য কি?
পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
পক্ষদ্বয় উপস্থিত হলে কিংবা না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বাদীর প্রতিকার কি?
কত দিনের মধ্যে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়?
সমন জারি না হয়ে ফেরত আসলে কি করনীয়?
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ সরাসরি রদকরণের আবেদন।
আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে পার্থক্য কি?
পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
পক্ষগণ হাজির না হলে আদালত ৮৯ক ধারা অনুসরণ না করে ৯ আদেশে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করবে। সমনে নির্ধারিত শুনানীর তারিখে উভয় বা কোন একপক্ষ হাজির না হলে, সেই ক্ষেত্রে আদালত কি সিদ্ধান্ত দিবে তা নির্ভর করে কোন পক্ষ হাজির হয়নি এবং কেন হাজির হয়নি ইত্যাদির উপর। তবে এই ক্ষেত্রে ৯ আদেশের অধীন আদালত সাধারণত নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে-
১. মামলা খারিজের আদেশ
২. একতরফা ডিক্রি
বাদীর ব্যর্থতার কারণে আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ প্রদান করে এবং বিবাদীর ব্যর্থতার কারণে আদালত একতরফা ডিক্রি প্রদান করে। সুতরাং ৯ আদেশের অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিবে নাকি একতরফা ডিক্রি দিবে তা নির্ধারণ করতে দেখতে হবে উক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা কার বা কে দায়ী। যেমন বাদী উপস্থিত না হলে আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ প্রদান করে। কারণ এখানে বাদীর ব্যর্থতা রয়েছে। ধরা যাক বিবাদী হাজির হয়নি। কারণ হলো বাদী সমন জারির ফি পরিশোধ না করায়, বিবাদী বরাবর সময়ন দেওয়া হয়নি। এখানে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দিবে কারণ এখানে ব্যর্থতা হলো বাদীর।
পক্ষদ্বয় উপস্থিত হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে?
আদেশ ৯ বিধি ১ অনুযায়ী সমনে উল্লেখিত তারিখ হলো শুনানীর তারিখ। উক্ত শুনানীর তারিখে পক্ষগণ স্বয়ং কিংবা তাদের নিজ নিজ উকিলের মাধ্যমে বিচারালয়ে হাজিরা দিবেন এবং আদালত কর্তৃক ভবিষ্যতের কোন দিন পর্যন্ত মোকদ্দমার শুনানী মূলতবী না হলে, সেই দিন মোকদ্দমার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু যেহেতু ৮৯ক ধারায় মধ্যস্থতার বিধান আছে, সেহেতু উভয় পক্ষ হাজির হলে আদালত মোকদ্দমাটি মধ্যস্থতার মাধ্যমে মীমাংসার জন্য মধ্যস্থতাকারীর নিকট প্রেরণ করবে।
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ:
৯ আদেশের ২, ৩, ৫ এবং ৮ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারে। ৯ আদেশের ২ বিধি অনুযায়ী বাদী খরচ প্রদান না করার কারণে সমন জারি না হলে, মামলা খারিজ করা যায়। নির্ধারিত তারিখে যদি দেখা যায় যে, বাদী কোর্ট ফি প্রদান না করায় কিংবা উত্তরুপ সমন জারির জন্য প্রয়োজনীয় ডাক-মাশুল (যদি লাগে) না দেওয়ায় বিবাদীর উপর সমন জারি করা হয় নাই, তখন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারবে। ৯ আদেশের ৩ বিধি অনুযায়ী মোকদ্দমার কোন পক্ষই হাজির না হলে অর্থাৎ মোকদ্দমার শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখে, যদি বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষ হাজির না হয়, তাহলে আদালত মোকদ্দমা খারিজ করে দিতে পারে।
খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বাদীর প্রতিকার কি?
৯ আদেশের ৪ বিধি অনুযায়ী উপরের উল্লেখিত ২ এবং ৩ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজ করলে, বাদী নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে; বা মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের আবেদন করতে পারে; বা যেহেতু ২ এবং ৩ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজের আদেশ কোন ডিক্রি নয় এবং আপীলঅযোগ্য আদেশ। সুতরাং এর বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়।
কত দিনের মধ্যে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়?
মোকদ্দমা খারিজ আদেশের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে তা বাতিলের আবেদন করতে হবে।
সমন জারি না হয়ে ফেরত আসলে কি করনীয়?
৯ আদেশের ৫ বিধি অনুযায়ী সমন বিনা জারিতে ফেরৎ আসার ১ মাসের মধ্যে বাদী উক্ত সমন নতুন করে দেওয়ার জন্য আবেদন করবে কিন্তু বাদী ১ মাসের মধ্যে সমন নতুন করে দেওয়ার আবেদন না করলে, তখন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারে।
শুধুমাত্র বাদী হাজির না হলে কি করণীয়?
৯ আদেশের ৮ বিধি অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে মোকদ্দমার শুনানীর দিন, বাদী হাজির হয় না, সেক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর দাবী বা উহার কোন অংশ স্বীকার না করলে, আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারে। কিন্তু যদি বিবাদী বাদীর দাবি স্বীকার করে, তাহলে আদালত বাদীর অনুকূলে এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে ডিক্রি জারি করবে ।
মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে বাদীর কি প্রতিকার আছে?
বাদী হাজির না হওয়ার কারণে ৮ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বাদী নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারে-
১. মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের জন্য ৯ বিধির অধীন আবেদন করতে পারে ;
২. খারিজ আদেশ সরাসরি বাতিলের জন্য ৯ক বিধির অধীন আবেদন করতে পারে;
কিন্তু ৮ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে, বাদী উক্ত একই কারণে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেনা। মোকদ্দমা খারিজ আদেশের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে ৯ বিধির অধীন খারিজ আদেশ বাতিলের আবেদন করতে হবে। আদেশ ৯ এর ৯ বিধির অধীন আপীলযোগ্য মোকদ্দমায়, মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের আবেদন করা হলে এবং আদালত উক্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদেশ প্রদান করলে, উক্ত প্রত্যাখ্যান আদেশের বিরুদ্ধে আদেশ ৪৩ (১গ) অধীন আপীল করা যাবে।
মোকদ্দমা খারিজ আদেশ সরাসরি রদকরণের আবেদন:
বাদী হাজির না হওয়ার কারণে ৮ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে, উক্ত খারিজ আদেশ সরাসরি বাতিলের জন্য ৯ক বিধির অধীন আবেদন করা যায়। এমন আবেদন অবশ্যই হলফনামাসহ করতে হবে। আদালত বিলম্ব এড়ানোর ও বিচার ত্বরানিত করার জন্য, আদালতকে সন্তুষ্ট করার জন্য পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ বাদীকে না দিয়ে, আদালত খারিজ আদেশ রদের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে আদালত বাদীকে সর্বোচ্চ ১০০০ (এক হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারে এবং আদালত একবারের অধিক মোকদ্দমা খারিজ আদেশ সরাসরি বাতিলের আদেশ দিবে না।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক। আদেশ ৯ বিধি ২, ৩, ৫ এবং ৮ এর অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজ আদেশ দিলেও, সকল খারিজ আদেশের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রতিকার একই না। যেমন ২ এবং ৩, ৫ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজ আদেশ দিলে উক্ত ক্ষেত্রে বাদী নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে বা খারিজ আদেশ বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারে। কিন্তু ৮ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজ আদেশ দিলে, উক্ত ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের আবেদন করা যায় কিন্তু নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করা যায় না। মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের জন্য বা একতরফা ডিক্রি বাতিলের জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করতে হবে।
আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে পার্থক্য কি?
আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো এই যে, আরজি প্রত্যাখ্যান বা নাকচ হলো একটি ডিক্রি এবং এর বিরুদ্ধে আপীল করা যায়। কিন্তু মোকদ্দমা খারিজ হলো একটি আদেশ। এটা আপীলযোগ্য হতে পারে আবার নাও হতে পারে। মোকদ্দমা খারিজের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে কি যাবে না তা নির্ভর করে, নির্দিষ্ট কোন বিধিতে মোকদ্দমা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার বিধান করা হয়েছে কিনা। যেমন ৯ আদেশের অধীন মোকদ্দমা খারিজ করা হলে, তার বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না কারণ এই ক্ষেত্রে আপীলের বিধান দেওয়ানী কার্যবিধিতে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু ১১ আদেশের ২১ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে কারণ ৪৩ আদেশের ১(চ) বিধি অনুযায়ী, ১১ আদেশের ২১ বিধির অধীন আদালত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।
দ্বিতীয় একটি পার্থক্য হলো, আরজি প্রত্যাখ্যান করা হলে উক্ত একই বিষয়ে নতুন করে আরজি দাখিল করা যায়। মোকদ্দমা খারিজ হলে অনেক ক্ষেত্রে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আবার অনেক ক্ষেত্রে করা যায় না। যেমন ৯ আদেশের ৮ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজ হলে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করা যাবেনা বরং মোকদ্দমা খারিজ আদেশ বাতিলের আবেদন করতে হবে। আবার ৯ আদেশের ৫ বিধির অধীন মোকদ্দমা খারিজ হলে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে।
টপিকস
পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির ফলাফল। পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে? পক্ষদ্বয় উপস্থিত হলে কিংবা না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে? মোকদ্দমা খারিজ আদেশ। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বাদীর প্রতিকার কি? কত দিনের মধ্যে খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়? সমন জারি না হয়ে ফেরত আসলে কি করনীয়? মোকদ্দমা খারিজ আদেশ সরাসরি রদকরণের আবেদন। আরজি প্রত্যাখ্যান এবং মোকদ্দমা খারিজের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইউটিউব ভিডিও -পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হলে আদালত কি আদেশ দিতে পারে? Attendance of Parties