- Get link
- X
- Other Apps
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি।
মধ্যস্থতা কাকে বলে?
মধ্যস্থতার কার্যক্রম কিভাবে শুরু করা হয়?
কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে?
মধ্যস্থতার ফি নির্ধারণ।
মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদেশ দেওয়া।
সালিস কি?
মধ্যস্থতা কাকে বলে?
মধ্যস্থতার কার্যক্রম কিভাবে শুরু করা হয়?
কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে?
মধ্যস্থতার ফি নির্ধারণ।
মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদেশ দেওয়া।
সালিস কি?
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (Alternative Dispute Resolution) কি?
লিখিত জবাব দাখিলের পর উভয় পক্ষ হাজির হলে, আদালত মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নিবে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯ক থেকে ৮৯ঙ পর্যন্ত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির দুই (২টি) পন্থা আলোচনা করা হয়েছে।
ক) মধ্যস্থতা (Mediation)
খ) সালিসী (Arbitration)
মধ্যস্থতা [Mediation) কাকে বলে?
বর্তমানে আদালত মধ্যস্থতার জন্য বিরোধীয় বিষয়টি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে পাঠাতে বাধ্য। পূর্বে এটা ঐচ্ছিক ছিল। ২০১২ সালের সংশোধনীর মাধ্যমে ৮৯ক তে The Court May এর পরিবর্তে The Court Shall শব্দগুলো ব্যবহার করায়, মধ্যস্থতা করা আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হয়েছে।
মধ্যস্থতার কার্যক্রম কিভাবে শুরু করা হয়?
ধারা ৮৯ক (১) অনুযায়ী লিখিত জবাব দাখিলের পর যদি মোকদ্দমার উভয় পক্ষ নিজে বা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়, তাহলে আদালত শুনানী মুলতুবি রেখে-
ক. মোকদ্দমার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালত নিজে মধ্যস্থতা করতে পারে বা
খ. মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিরোধটি
১. The Legal Aid Act 2000 এর অধীন নিয়োগকৃত সংশ্লিষ্ট আইন সহায়তা কর্মকর্তার নিকট বা
২. মোকদ্দমার পক্ষগণের নিযুক্ত উকিল এর নিকট পাঠাতে পারে বা
৩. যেক্ষেত্রে কোন উকিল নিযুক্ত করা হয়নি, সেই ক্ষেত্রে মোকদ্দমার পক্ষ বা পক্ষগণের নিকট পাঠাতে পারে বা
8. জেলা জজ কর্তৃক তৈরীকৃত প্যানেল থেকে কোন একজন মধ্যস্থতাকারীর নিকট পাঠাতে পারে।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন মধ্যস্থতার এই বিধান অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর জন্য প্রযোজ্য না। কারণ অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর অধীন মধ্যস্থতা সম্পর্কিত আলাদা বিধান আছে। ২০১৭ সালে দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯ক ধারা সংশোধন করে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে The Legal Aid Act 2000 এর অধীন নিয়োগকৃত আইন সহায়তা কর্মকর্তা (Legal Aid Officer) যুক্ত করা হয়।
কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে?
৮৯ক (২) ধারা অনুযায়ী-
১. আদালত নিজে
২. পক্ষগণ কর্তৃক নিযুক্ত উকিল বা উক্ত উকিল কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোন উকিল যে উক্ত মোকদ্দমায় কোন পক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত হয়নি।
৩. অবসরপ্রাপ্ত কোন বিচারক
8. জেলা জজ কর্তৃক তৈরীকৃত প্যানেল থেকে কোন একজন মধ্যস্থতাকারী,
৫. অন্যকোন ব্যক্তি যাকে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে উপযুক্ত মনে করে।
তবে প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে না।
মধ্যস্থতার ফি নির্ধারণ:
৮৯ক (৩) ধারা অনুযায়ী মধ্যস্থতার ফি পক্ষগণ আইনজীবী, মক্কেলগণ এবং মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ করবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত নির্ধারণ করে দিবে এবং সেটা পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হবে।
মধ্যস্থতাকারী নিয়োগে ব্যর্থ হলে করণীয় কি?
৮৯ক (৪) ধারা অনুযায়ী মধ্যস্থতার আদেশ প্রদানের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পক্ষদ্বয় আদালতকে জানাবে যে, তারা কাউকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে কি না। যদি তারা নিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করবে। অর্থাৎ সর্বাধিক ১৭ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করতে হবে।
যে দিন আদালতকে নিয়োগ সম্পর্কে জানানো হয়েছে বা যে দিন আদালত মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ দিয়েছে, সে দিন হতে মধ্যস্থতাকারী ৬০ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতা সম্পন্ন করবে। তবে আদালত নিজের ইচ্ছায় বা পক্ষদ্বয়ের যৌথ আবেদনের প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত ৩০ দিন বাড়াতে পারে। অর্থাৎ সর্বাধিক ৯০ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতা শেষ করতে হবে।
মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদেশ দেওয়া:
৮৯ক (৫) ধারা অনুযায়ী মধ্যস্থতার ফলাফল যদি মোকদ্দমার বিরোধের আপস হয়, তাহলে আপস প্রতিবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আদালত আদেশ বা ডিক্রি দিবে। এই ক্ষেত্রে আদালত ২৩ আদেশের প্রাসঙ্গিক বিধান অনুসরণ করবে। অর্থাৎ ২৩ আদেশে যে আপস ডিক্রি বা সোলে ডিক্রির বিধান রয়েছে তা অনুসরণ করবে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯ক (১২) ধারা অনুযায়ী বলা যায় মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদালত কোন আদেশ বা ডিক্রি দিলে তার বিরুদ্ধে কোনরুপ আপীল কিংবা রিভিশন করা যাবে না। ৮৯গ ধারায় মধ্যস্থতায় আপীলের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সালিস Arbitration কি?
ধারা ৮৯খ] অনুযায়ী যদি মোকদ্দমার পক্ষগণ মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে সালিসীর মাধ্যমে মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি করবে এই কারণে মোকদ্দমাটি প্রত্যাহারের আবেদন করে, তাহলে আদালত উক্ত আবেদন মঞ্জুর করতে পারে এবং মোকদ্দমাটি প্রত্যাহারের অনুমতি দিতে পারে। বিরোধটি সালিস আইন, ২০০১ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে। সালিসীর মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি না করতে পারলে, পক্ষগণ মোকদ্দমাটি পুনরায় দায়ের করতে অধিকারী হবে।
টপিকস
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি। মধ্যস্থতা কাকে বলে? মধ্যস্থতার কার্যক্রম কিভাবে শুরু করা হয়? কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে? মধ্যস্থতার ফি নির্ধারণ। মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদেশ দেওয়া। সালিস কি?
ইউটিউব ভিডিও -বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি Alternative Dispute Resolution মধ্যস্থতা সালিসী