- Get link
- X
- Other Apps
স্বীকারোক্তি Admission
মামলা স্বীকারের জন্য নোটিশ কি?
দলিল স্বীকারের জন্য নোটিশ কি?
ঘটনা স্বীকার করতে নোটিশ কি?
বিচার্য বিষয় কি?
বিচার্য বিষয় কত প্রকার?
বিচার্য বিষয় প্রণয়নের সময় আদালত কি কি বিষয় বিবেচনা করবে?
কতদিনের মধ্যে আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করবে?
কতদিনের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করবে?
কখন বিচার্য বিষয় গঠনের প্রয়োজন নেই?
বিচার্য বিষয় গঠনের পূর্বে আদালত কি সাক্ষী কিংবা দলিলপত্র পরীক্ষা করতে পারে?
কখন আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন এবং কর্তন করতে পারে?
কোন কোন মামলা আদালত প্রথম শুনানীতে নিষ্পত্তি করতে পারে?
সাক্ষীর প্রতি সমন এবং সাক্ষীর উপস্থিতি।
স্বীকারোক্তি কত প্রকার?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১২ নং আদেশ অনুযায়ী স্বীকারোক্তি তিন (৩) প্রকার ।
১। মামলা স্বীকারের নোটিশ [বিধি-১]
২। দলিল স্বীকার নোটিশ [বিধি-২]
৩। ঘটনা স্বীকারের জন্য নোটিশ [বিধি ৪]
মামলা স্বীকারের জন্য নোটিশ কি?
মোকদ্দমার যে কোন পক্ষ তার প্লিডিংসের (আরজি বা লিখিত জবাবের) মাধ্যমে বা লিখিত অন্যকোন উপায়ে অন্য পক্ষের মোকদ্দমার সামগ্রিক বা আংশিক অংশের সত্যতা স্বীকার করতে পারে। অথবা অপর পক্ষকে মোকদ্দমার উদ্দেশ্যে নোটিশে উল্লেখিত কোন তথ্যকে স্বীকার করার জন্য অপর পক্ষকে লিখিত নোটিশ দিয়ে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। [আদেশ ১২. বিধি ১]। ।
দলিল স্বীকারের জন্য নোটিশ কি?
নোটিশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে দলিল স্বীকার করার জন্য মোকদ্দমার একপক্ষ অন্য পক্ষকে আহ্বান করতে পারে [আদেশ ১২. বিধি ২]
ঘটনা স্বীকার করতে নোটিশ কি?
কোন পক্ষ শুনানীর জন্য নির্ধারিত দিনের পূর্বের ৯ দিনের মধ্যে যে কোন সময় মোকদ্দমার উদ্দেশ্যে নোটিশে উল্লেখিত কোন তথ্যকে স্বীকার করার জন্য অপর পক্ষকে লিখিত নোটিশ দিয়ে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। [আদেশ ১২. বিধি ৪] স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে আদালত রায় বা আদেশ দিতে পারে।
বিচার্য বিষয় গঠন [Framing of Issues]:
বিচার্য বিষয় কি?
আরজি দাখিল এবং লিখিত জবাব দাখিলের পর মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বিচার্য বিষয় নির্ধারণ এবং নিষ্পত্তি করা। দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ-১৪ অনুযায়ী ঘটনা কিংবা আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যখন একপক্ষ দৃড়ভাবে ঘোষণা করে এবং অন্য পক্ষ অস্বীকার করে, তখনই বিচার্য বিষয় উদ্ভব হয়। একপক্ষ কর্তৃক দৃঢ়ভাবে ঘোষিত এবং অপর পক্ষ কর্তৃক অস্বীকৃত প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি আলাদা বিচার্য বিষয়ের সৃষ্টি করবে।
বিচার্য বিষয় কত প্রকার?
বিচার্য বিষয় দুই প্রকার;
১. ঘটনা সংক্রান্ত বিচার্য বিষয় [Issues of fact]
২. আইন সংক্রান্ত বিচার্য বিষয় [Issues of Law]
বিচার্য বিষয়ের উদাহরণ কি?
১. মোকদ্দমা তামাদিতে বারিত কিনা?
২. মোকদ্দমাটির বিচার এখতিয়ার আদালতের আছে কিনা?
৩. রেস জুডিকাটার নীতি অনুযায়ী মোকদ্দমাটি খারিজ হবে কিনা? এগুলো হলো আইন সংক্রান্ত বিচার্য বিষয়।
বা
১. বাদী দখলের অধিকারী কিনা?
২. চুক্তিটি বৈধ কিনা?
৩. চুক্তিভঙ্গের জন্য বাদী ক্ষতিপূরণের অধিকারী কিনা?
যেমন: মোকদ্দমার বিবাদী পক্ষ দাবী করলো যে মোকদ্দমাটি বিচার করার এখতিয়ার আদালতের নেই। তাহলে বিচার্য বিষয় হলো আদালতের মোকদ্দমাটি বিচার করার এখতিয়ার আছে কিনা? আবার বিবাদী পক্ষ দাবী করলো মোকদ্দমাটি রেস জুডিকাটা নীতি অনুযায়ী খারিজ হবে। তাহলে বিচার্য বিষয় হতে পারে মোকদ্দমাটি রেস জুডিকাটা নীতি অনুযায়ী খারিজ হবে কিনা? আবার বাদী পক্ষ দাবী করলো মোকদ্দমা নির্ধারিত সময়ে দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু বিবাদী পক্ষ তা অস্বীকার করলো। এই ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হলো মোকদ্দমাটি তামাদিতে বারিত কিনা?
বিচার্য বিষয় প্রণয়নের সময় আদালত কি কি বিষয় বিবেচনা করবে?
বিচার্য বিষয় প্রণয়নের ক্ষেত্রে আদালত বাদীর আরজি এবং লিখিত বর্ণনা আমলে নিতে পারবে। বিচার্য বিষয় প্রণয়নের পূর্বে আদালত-
ক) আরজি এবং লিখিত জবাব পাঠ করবে।
খ) প্রয়োজন হলে মোকদ্দমার পক্ষগণকে পরীক্ষা করবে
গ) তারপর আইনের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির উপর পক্ষগণের কি বিরোধ তা নির্ধারণ করবে।
ঘ) তারপর যে সকল বিচার্য বিষয়ের উপর মোকদ্দমার সঠিক সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তা প্রণয়ণে অগ্রসর হবে। [আদেশ ১৪, বিধি ১(৫)]।
কতদিনের মধ্যে আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করবে? কতদিনের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করবে?
মামলার প্রথম শুনানী সময় কিংবা লিখিত জবাব দাখিলের (যেটা পরে ঘটে) তার ১৫ দিনের মধ্যে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে হবে [আদেশ ১৪, বিধি ১(৫)]। বিচার্য বিষয়াবলী প্রণয়নের পর ১২০ দিনের (একশত বিশ দিন) ভিতর আদালত সেই মামলার চুড়ান্ত শুনানীর তারিখ [Date of Final Hearing) নির্ধারণ করবে। [আদেশ ১৪, বিধি-৮]।
কখন বিচার্য বিষয় গঠনের প্রয়োজন নেই?
মোকদ্দমার প্রথম শুনানীর সময় বিবাদী আত্মপক্ষ সমর্থন না করলে আদালত বিচার্য বিষয় গঠন করবেনা আদেশ ১৪, [বিধি ১(৬)]। প্লিডিংসে যে সকল বিষয় উল্লেখ নেই, সেই সকল বিষয়ে আদালত বিচার্য বিষয় গঠন করবেনা। যেক্ষেত্রে বিবাদী একতরফা (exparte), সেই ক্ষেত্রে আদালত বিচার্য বিষয় গঠন করবে না। বাদীর আরজির যে সকল দাবীসমূহ বিবাদী লিখিত জবাবে অস্বীকার করেনি, সে ক্ষেত্রে আদালত বিচার্য বিষয় গঠন করবে না। যে সকল বিষয়ে পক্ষগণ একমত হয়েছে, সেই বিষয়ে বিচার্য বিষয় গঠনের প্রয়োজন নেই। যেক্ষেত্রে লিখিত জবাব দাখিলের পর একটি সম্মতিসূচক বা সোলে ডিক্রি (Consent Decree) প্রদান করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আদালত বিচার্য বিষয় গঠন করবে না।
বিচার্য বিষয় গঠনের পূর্বে আদালত কি সাক্ষী কিংবা দলিলপত্র পরীক্ষা করতে পারে?
আদেশ ১৪ বিধি ৪ অনুযায়ী ২টি ক্ষেত্রে আদালত বিচার্য বিষয় গঠনের পূর্বে সাক্ষী কিংবা দলিলপত্র পরীক্ষা করতে পারে।
১. যেক্ষেত্রে আদালত মনে করে যে, আদালতের সামনে হাজির নেই এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দী পরীক্ষা ছাড়া অথবা
২. মামলায় দাখিল করা হয়নি এমন কোন দলিল পরিদর্শন ব্যতীত মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় নির্ভুলভাবে প্রণয়ন করা যাবে না, এই দুটি প্রেক্ষাপটে আদালত-
১. অনধিক ১৫ দিনের জন্য বিচার্য বিষয় গঠন মুলতবি রাখতে পারেন এবং
২. প্রয়োজনীয় ব্যক্তিকে হাজির হতে এবং প্রয়োজনীয় দলিল দাখিল করতে সমন জারি করতে পারে।
কখন আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন এবং কর্তন করতে পারে?
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪ আদেশের ৫ বিধির অধীন আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন বা কর্তন করতে পারে। মোকদ্দমার পক্ষগণের মধ্যেকার বিরোধ নির্ধারণের জন্য ডিক্রি প্রদানের পূর্বে যে কোন সময় আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন কিংবা অতিরিক্ত বিচার্য বিষয় গঠন করতে পারে। ডিক্রি প্রদানের পূর্বে যে কোন সময়, বিচার্য বিষয় কর্তন করতে পারবে যদি আদালত মনে করে বিচার্য বিষয়টি-
১. ভ্রান্তভাবে বা ভুলভাবে গঠিত হয়েছে; বা
২. ভুলভাবে প্রবর্তিত হয়েছে।
কোন কোন মামলা আদালত প্রথম শুনানীতে নিষ্পত্তি করতে পারে?
আদালত যে সকল ক্ষেত্রে মোকদ্দমার প্রথম শুনানীতে রায় ঘোষণা করতে পারে, তা দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ আদেশের ১ থেকে ৪ বিধি পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রথম শুনানীতে মোকদ্দমার রায় ঘোষণা করতে পারে;
যেক্ষেত্রে মোকদ্দমার প্রথম শুনানীর দিন এটা প্রতীয়মান হয় যে, পক্ষগণের মধ্যে আইন সংক্রান্ত কিংবা ঘটনা সংক্রান্ত কোন বিচার্য বিষয় নেই, সেই ক্ষেত্রে আদালতকে রায় ঘোষণা করতে হবে [বিধি ১]। যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক বিবাদী থাকে এবং যেক্ষেত্রে বাদীর সাথে উক্ত বিবাদীদের মধ্যে কোন একজনের কোন বিচার্য বিষয় বা বিরোধ থাকে না, সেই ক্ষেত্রে আদালত উক্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে বা পক্ষে রায় ঘোষণা করতে পারে [বিধি ২]। যে ক্ষেত্রে মোকদ্দমার কোন পক্ষের আইনজীবী মোকদ্দমার কোন নির্দিষ্ট অংশ স্বীকার করেছে যা মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি করার জন্য যথেষ্ট, সেই ক্ষেত্রে আদালত রায় ঘোষণা করতে পারে । যেক্ষেত্রে মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় গঠন করা হয়েছে এবং আদালত মনে করে যে আরও কোন যুক্তিতর্ক বা সাক্ষ্যের প্রয়োজন নেই, সেই ক্ষেত্রে আদালত তাৎক্ষণিক রায় ঘোষণা করতে পারে [বিধি ৩]। যেক্ষেত্রে মোকদ্দমার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সমন দেওয়া হয়েছে এবং কোন পক্ষ যে সকল সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে সেটা দাখিল করতে কোন কারণ ছাড়া উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছে, সেইক্ষেত্রে আদালত তাৎক্ষণিক রায় ঘোষণা করতে পারে।
সাক্ষীর প্রতি সমন এবং সাক্ষীর উপস্থিতি:
কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দিতে বা দলিল দাখিল করতে বাধ্য করতে প্রয়োজনীয় নিয়ম সম্পর্কে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৬ আদেশে এবং ধারা ৩০ থেকে ৩২ পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। যে ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিতে বা কোন দলিল হাজির করতে আদালত সমন দিয়েছে, সেই সাক্ষী কোন প্রকার যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া হাজির না হলে বা দলিল হাজির না করলে আদালত তাকে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বা দলিল হাজির করতে ঘোষণা দিতে পারে, গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট দিতে পারে বা উক্ত ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিতে পারে । আদালতের আদেশ অনুযায়ী সাক্ষী হাজির হতে ব্যর্থ হলে, আদালত তাকে ১৬ আদেশের ১২ বিধির অধীনে অনধিক ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করতে পারে। ১৬ আদেশের ১০ বিধির অধীন বা ১৬ আদেশের ২০ বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়।
টপিকস
স্বীকারোক্তি কত প্রকার? মামলা স্বীকারের জন্য নোটিশ কি? দলিল স্বীকারের জন্য নোটিশ কি? ঘটনা স্বীকার করতে নোটিশ কি? বিচার্য বিষয় কি? বিচার্য বিষয় কত প্রকার? বিচার্য বিষয় প্রণয়নের সময় আদালত কি কি বিষয় বিবেচনা করবে? কতদিনের মধ্যে আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করবে? কতদিনের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করবে? কখন বিচার্য বিষয় গঠনের প্রয়োজন নেই? বিচার্য বিষয় গঠনের পূর্বে আদালত কি সাক্ষী কিংবা দলিলপত্র পরীক্ষা করতে পারে? কখন আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন এবং কর্তন করতে পারে? কোন কোন মামলা আদালত প্রথম শুনানীতে নিষ্পত্তি করতে পারে? সাক্ষীর প্রতি সমন এবং সাক্ষীর উপস্থিতি।
ইউটিউব ভিডিও -স্বীকারোক্তি Admission বিচার্য বিষয় কি? Framing of Issues