- Get link
- X
- Other Apps
সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
সাধারণ ব্যতিক্রম প্রমাণের ভার কার?
আইনের দৃষ্টিতে ভুল কত প্রকার?
ঘটনাগত ভুল কি?
আইনগত ভুল কি?
ঘটনাগত ভুলের শর্তসমূহ কি কি?
কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারিক কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাবে?
৭৭ এবং ৭৮ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক শিশুর কার্য ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
অপ্রকৃতিস্থ বা উন্মাদ ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
মাতাল ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
সম্মতির ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
কোন কোন সম্মতি সম্মতি না?
সরল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
সরল বিশ্বাসে কৃত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
সাধারণ ব্যতিক্রম প্রমাণের ভার কার?
আইনের দৃষ্টিতে ভুল কত প্রকার?
ঘটনাগত ভুল কি?
আইনগত ভুল কি?
ঘটনাগত ভুলের শর্তসমূহ কি কি?
কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারিক কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাবে?
৭৭ এবং ৭৮ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক শিশুর কার্য ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
অপ্রকৃতিস্থ বা উন্মাদ ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
মাতাল ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম?
সম্মতির ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
কোন কোন সম্মতি সম্মতি না?
সরল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
সরল বিশ্বাসে কৃত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম কি?
অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম সমূহ।
দণ্ডবিধির ৪র্থ অধ্যায়ে ফৌজদারী দায়ের সাধারণ ব্যতিক্রমসমূহ আলোচনা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় কিছু কার্য এবং কার্যবিরতিকে lacts and omission] ফৌজদারী দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সকল কার্য বা কার্যবিরতিগুলোকে ফৌজদারী দায়ের সাধারণ ব্যতিক্রম [General Exceptions) বলে।
সাধারণ ব্যতিক্রম প্রমাণের ভার কার? (Burden of Proof of Exceptions]
সাক্ষ্য আইনের ১০৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি দাবি করে তার কার্য বা কার্যবিরতি দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় উল্লেখিত কোন সাধারণ ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে, তবে তা প্রমাণের ভার উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায়।
দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় উল্লেখিত সাধারণ ব্যতিক্রমসমূহ এবং দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায় উল্লেখিত বিশেষ ব্যতিক্রমসমূহও |Special Exceptions] প্রমাণ করার ভার উক্ত ব্যতিক্রম দাবীকারী আসামী বা অভিযুক্ত ব্যক্তির। ৭৬ থেকে ১০৬ ধারা ছাড়াও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় বিশেষ ব্যতিক্রম উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত বিশেষ ব্যতিক্রমও দাবীকারী আসামীকে প্রমাণ করতে হবে। যেমন ৩০০ ধারায় খুনের ৫টি ব্যতিক্রম আছে বা ৪৯৯ ধারায় মানহানির ১০টি ব্যতিক্রম আছে। এই ব্যতিক্রম যে আসামী দাবী করবে, তাকেই তা প্রমাণ করতে হবে।
আইনের দৃষ্টিতে ভুল কাকে বলে? [Mistake] [ধারা ৭৬ এবং ৭৯]
দণ্ডবিধির ৭৬ এবং ৭৯ ধারা আইনের সাধারণ নীতি স্বীকৃতি দিয়েছে যে, ঘটনার অজ্ঞতা অব্যাহতির অজুহাত হতে পারে কিন্তু আইনের অজ্ঞতা (অব্যাহতির) কোনো অজুহাত নহে [ignorance of fact is excusable but ignorance of law is not excusable] যার ল্যাটিন ম্যাক্সিম হলো [Ignorantia facti excusat, ignorantia juris non excusat]
আইনের দৃষ্টিতে ভুল কত প্রকার?
আইনের দৃষ্টিতে ভুল [Mistake] দুই প্রকার
১. ঘটনাগত ভুল [Mistake of Fact]
২. আইনগত ভুল [Mistake of Law]
৭৬ এবং ৭৯ উভয় ধারা ঘটনাগত ভুল বা ভুলধারণায় সম্পাদিত কোন কার্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ঘটনাগত ভুল কি? [What is Mistake of Fact):
ঘটনাগত ভুল বা Mistake of Fact হলো অঘটনজনিত কোন ভুল এটা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন ভুল না। দণ্ডবিধির ৭৬ ধারায় বলা হয়েছে ‘কোন কিছু অপরাধ না যা সম্পাদিত হয় এমন ব্যক্তি দ্বারা যে আইনগত ভুলের কারণে নয় বরং ঘটনাগত ভুলের কারণে সরল বিশ্বাসে নিজেকে কাজটি করতে আইনবলে বাধ্যবলে বিশ্বাস করে’ ।
যেমন পুলিশ ‘A’-কে ‘B’ মনে করে সরল বিশ্বাসে ‘B’ কে গ্রেফতার করে। এটা Mistake of Fact বা ঘটনাগত ভুল এবং এটা কোন অপরাধ বলে গণ্য হবেনা। ঘটনার অজ্ঞতা বা ঘটনা জানিনা ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতির অজুহাত হতে পারে। [ignorance of fact is excusable]।
আইনগত ভুল কি? [Mistake of Law|
আইনগত ভুল বা Mistake of Law অর্থ হলো কোন প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে বিদ্যমান আইন বা অন্যভাবে কোন আইন সম্পর্কে ভুল ধারণা এবং একই সাথে আইন কি সেই সম্পর্কে ভুল ধারণা। আইন জানিনা এই কারণে কোন ব্যক্তি ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পেতে পারে না কারণ আইন জানিনা এটা ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাওয়ার কোন অজুহাত হতে পারে না (Ignorance of law is no excuse)।
ঘটনাগত ভুলের শর্তসমূহ কি কি? ৭৬ এবং ৭৯ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
৭৬ এবং ৭৯ উভয় ধারায় ঘটনাগত ভুলকে [Mistake of Fact] ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাওয়ার অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা গেলেও ৭৬ এবং ৭৯ ধারার মধ্যে পার্থক্য হলো
ক. ৭৬ ধারা প্রযোজ্য হবে যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে আইন বলে বাধ্য (A person believes himself to be bound by law) বলে মনে করে সরল বিশ্বাসে (good faith) কোন কাজ করে তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
খ. ৭৯ ধারা প্রযোজ্য হবে যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে আইন দ্বারা সমর্থিত বলে মনে করে IA person believes himself to be justified by law) সরল বিশ্বাসে (good faith) কোন কাজ করে তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারিক কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাবে? [Judicial Acts] [ধারা-৭৭ এবং ৭৮]
৭৭ ধারা বিচার কার্য সম্পাদনকারী বিচারকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং ৭৮ ধারা আদালতের আদেশ অনুসারে কার্য সম্পাদন করছে এমন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
৭৭ ধারার বিচার কার্য সম্পাদনকারী বিচারকের ক্ষেত্রে শর্তসমূহ কি কি?
৭৭ ধারার অধীন বিচারকের কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাবে যদি;
১. বিচারক বিচারিক কার্যসম্পাদনকালে এমন কার্যটি করে এবং
২. আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কার্যটি সম্পাদন করে এবং
৩. এমন ক্ষমতা আইন দ্বারা তাকে দেওয়া হয়েছে বলে সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস করে।
যেমন কোন বিচারক আইনের ভুল পাঠ করে মনে করে যে, কোন একটি বিষয় তার এখতিয়ারাধীন। এই বিশ্বাসে সে একটি আদেশ প্রদান করে। উক্ত আদেশের জন্য সে দায়ী হবেনা।
৭৮ ধারার আদালতের আদেশ অনুসারে কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে শর্তসমূহ কি কি?
৭৮ ধারা অনুযায়ী আদালতের আদেশ অনুসারে কার্যসম্পাদনকারী কোন কর্মকর্তার কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পেতে পারে যদি
১. তিনি কার্যটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী সম্পাদন করে এবং
২. যখন আদেশটি বলবৎ ছিল শুধুমাত্র উক্ত সময়ে কার্যটি সম্পাদন করে
৩. এই আদেশ দিতে আদালতের এখতিয়ার ছিল কি ছিলনা তা বিবেচ্য না কিন্তু যে কর্মকর্তা কার্যটি সম্পাদন করছে সে সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস করে আদালতের এমন এখতিয়ার ছিল।
যেমন বিচারকের আদেশ অনুযায়ী জল্লাদ কোন দণ্ডিত ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করলে, জল্লাদের এমন কার্য অপরাধ হবেনা।
৭৭ এবং ৭৮ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি?
৭৭ ধারা অনুযায়ী বিচারকার্য সম্পাদনকারী বিচারকের কার্য এবং ৭৮ ধারা অনুযায়ী আদালতের আদেশ অনুযায়ী কার্য সম্পাদনকারী ব্যক্তির কার্য অপরাধ বলে গণ্য হবেনা।
৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক শিশুর কার্য ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম। [ধারা ৮৩]
৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক অপরিণত বোধ শক্তিসম্পন্ন শিশুর কাজ কোন অপরাধ নয়। অর্থাৎ ৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক শিশুর ফৌজদারী কার্য শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শর্তটি হলো শিশুর বোধ শক্তি এতদূর পরিপক্কতা লাভ করেনি যে, সে তার নিজের কার্যের প্রকৃতি এবং পরিণতি বিচার করতে পারে।
[ধারা ৮৪] অপ্রকৃতিস্থ বা উন্মাদ ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম: [General Exception for the Act of a person of unsound mind]
৮৪ ধারার অধীন অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির কার্য অপরাধ বলে গণ্য হবেনা যদি নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ হয়।
১. কার্য সংঘটনের সময় কার্যসম্পাদনকারী অবশ্যই অপ্রকৃতিস্থ হতে হবে;
২. সে কার্যের প্রকৃতি বুঝতে বা সে যে কার্য করছে তা যে বেআইনী বা আইনের পরিপন্থী তা বুঝতে অক্ষম ছিল।
মাতাল ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম [ধারা ৮৫ এবং ৮৬]
দণ্ডবিধির ৮৫ এবং ৮৬ ধারায় নেশাগ্রস্থ বা মাতাল অবস্থায় কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং মাতাল বা নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি ৮৫ বা ৮৬ ধারার শর্তপূরণ করলে তার কার্য অপরাধ বলে গণ্য হবেনা। ৮৫ ধারার অধীন অনিচ্ছাকৃত নেশাগ্রস্থতার কারণে বিচারশক্তিহীন ব্যক্তির কার্য অপরাধ বলে গণ্য হবেনা যদি
১. অভিযুক্ত ব্যক্তি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কার্যটি সংঘটন করেছিল;
২. এমন নেশার কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি
ক) সে যে কার্যটি করেছে তার প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে অক্ষম ছিল বা
খ) সে জানতো না যে, সে যেটা করছে সেটা বেআইনী বা আইনের পরিপন্থী ছিল।
৩. যে জিনিসটা তাকে নেশাগ্রস্থ করেছিল তাকে সেটা খাওয়ানো বা প্রদান করা হয়েছিল
ক) তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে [Against his will] বা
খ) তার অগোচরে (Without his knowledge)
সম্মতির ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম [ধারা ৮৭ থেকে ৯০]
দণ্ডবিধির ৮৭ থেকে ৮৯ ধারা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির অভিভাবকের সম্মতি নিয়ে সংঘটিতক ক্ষতি অপরাধ বলে গণ্য হবে কিনা তা আলোচনা করা হয়েছে। ৯০ ধারায় বলা হয়েছে কোনটি সম্মতি না এবং ৯১ ধারায় বলা হয়েছে যেটা অপরাধ সেটাকে শুধুমাত্র সম্মতি বৈধতা দিতে পারেনা। বিষয়টি ল্যাটিন ম্যাক্সিম Volenti non fit injuria অর্থাৎ যে সম্মতি দেয় সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়না এই ম্যাক্সিম এর উপর প্রতিষ্ঠিত।
৮৭ ধারার অধীন কোন কিছু অপরাধ বলে গণ্য হবেনা যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৮ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তির সম্মতি নিয়ে [With Consent] এমন কোন কাজ করে যেটা
১. অভিযুক্ত ব্যক্তি মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত ঘটানোর অভিপ্রায় ছাড়া করে বা
২. সে জানেনা যে এমন কাজ সম্ভবত মৃত্যু বা গুরুতর জখম ঘটাতে পারে
৮৮ ধারার অধীন কোন কিছু অপরাধ বলে গণ্য হবেনা যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি
১. অন্যকোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানোর অভিপ্রায় ছাড়া এবং
২. উক্ত ব্যক্তির মঙ্গলার্থে সরল বিশ্বাসে [In good faith] এবং তার সম্মতিসহ [With his consent] কার্যটি সংঘটন করে
৮৯ ধারার অধীনে কোন কিছু অপরাধ বলে গণ্য হবেনা যদি
১. কার্যটি ১২ বছরের কম বয়সের শিশু বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির মঙ্গলার্থে করা হয়; এবং
২. কার্যটি সরল বিশ্বাসে সংঘটন করা হলে; এবং
৩. কার্যটি উক্ত শিশু বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির অভিভাবক বা তার আইনগত তত্ত্বাবধায়ক এর ব্যক্ত বা অব্যক্ত সম্মতি নিয়ে সংঘটন করা হলে
[ধারা ৯০] কোন কোন সম্মতি সম্মতি না [What are not consents]
৯০ ধারার অধীন নিম্নলিখিত সম্মতিগুলো সম্মতি বলে গণ্য হবেনা
১. ক্ষতির ভয়ে কোন সম্মতি দেয়া হলে তা সম্মতি বলে গণ্য হবে না। [Consent given under a fear of injuryl
২. বিষয়ের ভুল বর্ণনার কারণে প্রদত্ত সম্মতি দেয়া হলে তা সম্মতি বলে গণ্য হবে না। [Consent given under misconception of fact]
৩. অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি কর্তৃক সম্মতি দেয়া হলে তা সম্মতি বলে গণ্য হবে না। [Consent given by an insane person]
৪. মাতাল ব্যক্তি কর্তৃক সম্মতি দেয়া হলে তা সম্মতি বলে গণ্য হবে না। [Consent given by an intoxicated person]
৫. ১২ বছরের কম বয়স্ক ব্যক্তি কর্তৃক সম্মতি দেয়া হলে তা সম্মতি বলে গণ্য হবে না। [Consent given by a child under 12 years of age]
সরল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম [Good Faith] [ধারা ৮৮ থেকে ৯৩]
দণ্ডবিধির ৮৮ এবং ৮৯, ৯২ এবং ৯৩ ধারায় সরল বিশ্বাস নিয়ে সম্পাদিত কার্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
[ধারা ৯২] সম্মতি ব্যতীত কোন ব্যক্তির মঙ্গলার্থে সরল বিশ্বাসে কৃত কার্য:
৮৮, ৮৯ এবং ৯২ ধারার মধ্যে পার্থক্য হলো ৮৮ এবং ৮৯ ধারায় সম্মতিসহ সরল বিশ্বাসে [In good faith with consent] অপরের মঙ্গলার্থে সম্পাদিত কার্য কোন অপরাধ না কিন্তু ৯২ ধারায় সম্মতি ছাড়া সরল বিশ্বাসে [In good faith without consent] অপরের মঙ্গলার্থে সম্পাদিত কোন কার্য অপরাধ হবে না যদি নিম্নলিখিত শর্তপূরণ হয়।
১. কার্যটি কোন ব্যক্তির মঙ্গলার্থে সংঘটন করা হয়েছে।
২. এটা সরুল বিশ্বাসে সংঘটন করা হয়েছে
৩. কার্যটি এমন প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তির মঙ্গলার্থে কার্যটি করা হয়েছে তার সম্মতি নেওয়া অসম্ভব ছিল।
যেমন একজন ব্যক্তি হঠাৎ দূর্ঘটনার সম্মুখীন হলো এবং তার মাথায় ক্ষত হলো। এই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির সম্মতি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব নাও হতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে ডাক্তার যদি সরুল বিশ্বাসে উক্ত ব্যক্তির মঙ্গলার্ধে তার চিকিৎসা করে এবং উক্ত ব্যক্তি মারা গেলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবেনা।
[ধারা ৯৩] সরুল বিশ্বাসে কৃত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম [Communication made in good faith]
দণ্ডবিধির ৯৩ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তির মঙ্গলের জন্য কোন সংবাদ প্রেরিত হয় তাহলে যে ব্যক্তির নিকট উক্ত সংবাদ প্রেরিত হয় সে ব্যক্তির কোন ক্ষতি সাধন হলে কাজটি যেহেতু সরুল বিশ্বাসে সংঘটিত হয়েছে তাই সেটা কোন অপরাধ হবে না।
টপিকস
সাধারণ ব্যতিক্রম কি,সাধারণ ব্যতিক্রম প্রমাণের ভার কার, আইনের দৃষ্টিতে ভুল কত প্রকার,আইনের দৃষ্টিতে ভুল কত প্রকার,ঘটনাগত ভুল কি,আইনগত ভুল কি,ঘটনাগত ভুলের শর্তসমূহ কি কি,কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারিক কার্য ফৌজদারী দায় হতে অব্যাহতি পাবে,৭৭ এবং ৭৮ ধারার মধ্যে পার্থক্য কি,৯ বৎসরের অধিক কিন্তু ১২ বৎসরের কম বয়স্ক শিশুর কার্য ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম,অপ্রকৃতিস্থ বা উন্মাদ ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম,মাতাল ব্যক্তির কার্যের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম,সম্মতির ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম,কোন কোন সম্মতি সম্মতি না,সরল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম,সরুল বিশ্বাসে কৃত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যতিক্রম।