- Get link
- X
- Other Apps
সরকারী কর্মচারী দ্বারা বা সরকারী কর্মচারী বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত কি কি ধারা রয়েছে?
মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কি?
মিথ্যা সাক্ষ্যদান কাকে বলে?
মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কাকে বলে?
মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
সাক্ষ্য বিনষ্ট বা অদৃশ্য করে ফেলার শাস্তি কি?
অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপনের শাস্তি কি?
অপরাধের মিথ্যা অভিযোগের শাস্তি কি?
অপরাধীকে আশ্রয় এবং লুকিয়ে রাখার শাস্তি কি?
মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কি?
মিথ্যা সাক্ষ্যদান কাকে বলে?
মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কাকে বলে?
মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
সাক্ষ্য বিনষ্ট বা অদৃশ্য করে ফেলার শাস্তি কি?
অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপনের শাস্তি কি?
অপরাধের মিথ্যা অভিযোগের শাস্তি কি?
অপরাধীকে আশ্রয় এবং লুকিয়ে রাখার শাস্তি কি?
সরকারী কর্মচারী দ্বারা বা সরকারী কর্মচারী বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত কি কি ধারা রয়েছে?
ধারা ১৬১ থেকে ১৭১ পর্যন্ত সরকারী কর্মচারী দ্বারা বা সরকারী কর্মচারী বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত বিধান রয়েছে।
সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ঘুষ গ্রহণ ১৬১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং উক্ত অপরাধে সরকারি কর্মকর্তা যে কোন বর্ণনার ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডসহ বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবে। কোন ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তাকে কাজ করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুষ গ্রহণ করা ১৬২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং উক্ত দন্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাবাস যা ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডসহ দণ্ডিত হবে। সরকারী কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানোর জন্য ঘুষ গ্রহণ ১৬৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং উক্ত দন্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডসহ বা উভয়দণ্ডে দন্ডিত হবে।
মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কি? [Of False Evidence & Fabricating False Evidence] ধারা ১৯১ থেকে ২০৩
দণ্ডবিধির ১৯১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং ১৯২ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করা কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং ১৯৩ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন উভয়ের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে।
মিথ্যা সাক্ষ্যদান কাকে বলে?
১৯১ ধারা অনুযায়ী যে ব্যক্তি সত্যকথনের জন্য হলফ বা আইনের প্রকাশ্য বিধানবলে আইনত বাধ্য হয়ে বা কোন বিষয়ে কোন ঘোষণা করার জন্য আইনবলে বাধ্য হয়ে এমন কোন বিবৃতি দান করে, যা মিথ্যা এবং যা মিথ্যা বলে জানে, সেই ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্যদান করেছে বলে গণ্য হবে।
কোন ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্যদান করেছে বলে গণ্য হবে যদি সে-
১. শপথ বা আইনের প্রকাশ্য বিধানবলে সত্য বলতে বা কোন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়,
২. সে বাধ্য হয়ে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করে
I. যেটা মিথ্যা বা
II. যেটাকে সে মিথ্যা বলে জানে বা বিশ্বাস করে বা
III. সেটা যে সত্য না তা বিশ্বাস করে।
মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কাকে বলে?
১৯২ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করেছে বলে গণ্য হবে যদি সে কোন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করতে এমন কোন ঘটনা ঘটায় বা এমন কোন দলিল বা নথি তৈরী করে যা মিথ্যা এবং যেটা বিচারিক কার্যক্রমে বা সরকারী কর্মকর্তার নিকট বা সালিসকারীর নিকট সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
১৯৩ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন উভয় অপরাধের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে এবং উভয় অপরাধের শাস্তি একই। ১৯৩ ধারায় এই ক্ষেত্রে দুই ধরণের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিচারিক কার্যক্রমে মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবনের শাস্তি হতে পারে অর্থদণ্ডসহ যে কোন বর্ণনার কারাবাস যা ৭ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবনের শাস্তি হতে পারে অর্থদণ্ডসহ যেক বর্ণনার কারাবাস যা ৩ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে।
এখানে বলে রাখা দরকার যে, মিথ্যা সাক্ষ্যদান ইংলিশ আইনে Perjury নামে পরিচিত যার বাংলা অর্থ হলো মিথ্যা হলফ বা শপথভঙ্গ বা স্বেচ্ছায় মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া।
মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি?
দন্ডবিধির ১৯৪ ধারা অনুযায়ী-
১. মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে যদি কোন লোক মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে বা উদ্ভাবন করে, তাহলে যে লোক মিথ্যা সাক্ষ্য দিলো সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা সশ্রম কারাদণ্ড যার মেয়াদ ১০ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবে।
২. যদি মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের কারণে কোন নির্দোষ ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত হয় এবং তা কার্যকর করা হলে, যে ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দিলো সে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা সশ্রম কারাদণ্ড যার মেয়াদ ১০ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।
এখানে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ১৯৪ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। দণ্ডবিধির ১৯৬ থেকে ২০০ ধারা পর্যন্ত মিথ্যা সাক্ষ্য খাঁটি বলে ব্যবহার করার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৬ থেকে ২০০ ধারায় মিথ্যা জেনে সাক্ষ্য ব্যবহার, মিথ্যা সার্টিফিকেট ইস্যু বা স্বাক্ষর করা, মিথ্যা সার্টিফিকেট সত্য হিসাবে ব্যবহার করা, কোন ঘোষণা বা বক্তব্য মিথ্যা জেনে সত্য হিসাবে ব্যবহার করার শাস্তি হলো মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের বা মিথ্যা উদ্ভাবনের যে শাস্তি সেই শাস্তিতে দন্ডিত হবে। অর্থাৎ ৭ বৎসর পর্যন্ত যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সাক্ষ্য বিনষ্ট বা অদৃশ্য করে ফেলার শাস্তি কি? [Punishment for destroying and disappearing Evidence of offence)
দণ্ডবিধির ২০১ থেকে ২০৪ ধারা পর্যন্ত অপরাধের সাক্ষ্য বিনষ্ট করা সংক্রান্ত অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে জেনেও যে ব্যক্তি অপরাধীকে আইনগত শাস্তি হতে বাঁচানোর জন্য সাক্ষ্য বিনষ্ট করে, সে নিম্ন বর্ণিত শাস্তি পাবে।
যদি অপরাধটি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ হয়, তাহলে অর্থদণ্ডসহ ৭ বৎসর পর্যন্ত যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড। যদি অপরাধটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধ হয়, তাহলে ৩ বৎসর পর্যন্ত যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। যদি অপরাধটি অনধিক ১০ বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হয়, তাহলে উক্ত অপরাধটির জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের ১/৪ অংশ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে বা জরিমানাসহ বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবে।
অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপনের শাস্তি কি? [Dishonestly making false claim in court] :
দণ্ডবিধির ২০৯ ধারা অনুসারে, অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপন করার জন্য কোন ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাবাস যা ২ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
অপরাধের মিথ্যা অভিযোগের শাস্তি কি? [False Charge of Offence]
ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত শাস্তি নির্ধারিত হতে পারে।
ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যক্রম দায়ের বা মিথ্যা চার্জ দায়ের করার শাস্তি হতে পারে যেকোন বর্ণনার ২ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড, বা অর্থদণ্ডসহ বা উভয়দণ্ডে দন্ডিত হবে। যদি এমন ফৌজদারী কার্যক্রম মৃত্যুদণ্ডে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ৭ বৎসর বা ততোধিক কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধের মিথ্যা চার্জ এর উপর ভিত্তি করে দায়ের করা হয়, তাহলে অভিযোগকারী যেকোন বর্ণনার ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
যেমন: মিথ্যা এজাহার বা অভিযোগ দায়ের এই ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরাধীকে আশ্রয় এবং লুকিয়ে রাখার শাস্তি কি? [Punishment for harbouring and screening offender]
দণ্ডবিধির ২১২ থেকে ২১৬ক ধারায় অপরাধীকে আশ্রয় এবং লুকিয়ে রাখার শাস্তির বিধান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধের আসামীকে শাস্তি হতে বাঁচানোর জন্য আশ্রয় দেয়, সে ৫ বৎসর পর্যন্ত যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। যে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ১০ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধের আসামীকে শাস্তি হতে বাঁচানোর জন্য আশ্রয় দেয়, সে ৩ বৎসর পর্যন্ত যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। যদি অপরাধটি মেয়াদ ১ বৎসর শাস্তিযোগ্য হয় এবং ১০ বৎসর পর্যন্ত না, সেই ক্ষেত্রে কোন অপরাধের আসামীকে শাস্তি হতে বাঁচানোর জন্য আশ্রয় দেয়, সে উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের ১/৪ অংশে দণ্ডিত হতে পারে বা জরিমানাসহ বা উভয়দণ্ডে দন্ডিত হবে।
এখানে বলে রাখা দরকার যে, দণ্ডবিধির ২১২ ধারার অধীন অপরাধীকে আশ্রয় দানের জন্য বা অপরাধীকে লুকিয়ে রাখার জন্য শাস্তি বিধান করা হয়েছে। কিন্তু অপরাধীকে তার স্বামী বা স্ত্রী আশ্রয় দিলে স্বামী বা স্ত্রী ২১২ ধারায় দণ্ডিত হবেনা। অর্থাৎ ২১২ ধারা স্বামী বা স্ত্রীর জন্য প্রযোজ্য হবেনা।
টপিকস
সরকারী কর্মচারী দ্বারা বা সরকারী কর্মচারী বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত কি কি ধারা রয়েছে? মিথ্যা সাক্ষ্যদান এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কি? মিথ্যা সাক্ষ্যদান কাকে বলে? মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন কাকে বলে? মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি? মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা উদ্ভাবনের শাস্তি কি? সাক্ষ্য বিনষ্ট বা অদৃশ্য করে ফেলার শাস্তি কি? অসাধুভাবে আদালতে মিথ্যা দাবী উত্থাপনের শাস্তি কি? অপরাধের মিথ্যা অভিযোগের শাস্তি কি? অপরাধীকে আশ্রয় এবং লুকিয়ে রাখার শাস্তি কি?
ইউটিউব ভিডিও - সরকারী কর্মচারীর অপরাধ বিষয়ক মিথ্যা সাক্ষ্যদান উদ্ভাবন Fabricating False Evidence