- Get link
- X
- Other Apps
জামিন কাকে বলে?
জামিননামা বা জামিনের মুচলেকা কাকে বলে?
জামিনদার কাকে বলে?
জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন।
জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন।
আগাম জামিন কাকে বলে?
ফৌজদারি কার্যবিধির কোন কোন ধারায় আদালত আসামিকে জামিন দিতে পারে?
কিভাবে জামিনের জন্য মুচলেকা নির্ধারণ করতে হয়?
জামিন কাকে বলে? (What is Bail?)
জামিননামা বা জামিনের মুচলেকা কাকে বলে? (What is bail bond?):
জামিনদার কাকে বলে? [Who is surety?):
আগাম জামিন কাকে বলে? (ধারা ৪৯৮) What is Anticipatory
Bail?
ফৌজদারি কার্যবিধির কোন কোন ধারায় আদালত আসামিকে জামিন
দিতে পারে?
জামিননামা বা জামিনের মুচলেকা কাকে বলে?
জামিনদার কাকে বলে?
জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন।
জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন।
আগাম জামিন কাকে বলে?
ফৌজদারি কার্যবিধির কোন কোন ধারায় আদালত আসামিকে জামিন দিতে পারে?
কিভাবে জামিনের জন্য মুচলেকা নির্ধারণ করতে হয়?
জামিন সংক্রান্ত বিধান [ধারা ৪৯৬ থেকে ৪৯৮](Provisions as to Bail)
জামিন কাকে বলে? (What is Bail?)
পুলিশের হেফাজত হতে মুক্তি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে
নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিনদারের নিকট সমর্পণ
করাকেই জামিন বলে।
জামিনের ২ (দুটি) শর্ত
১. জামিননামা (bail bond)
২. জামিনদার (Surety)
জামিননামা বা জামিনের মুচলেকা কাকে বলে? (What is bail bond?):
জামিননামা হলো আদালতে রাখা একটি নির্ধারিত ফরম । যে ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় সেই ব্যক্তি এটা পূরণ করে সম্পাদন করে। আদালত বা পুলিশ জামিনের যে পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করে তা জামিননামায় উল্লেখ থাকে।
জামিনদার কাকে বলে? [Who is surety?):
জামিনদার হলো এমন ব্যক্তি যে জামিননামায় স্বাক্ষর করে এই শর্তে যে, যে ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে যদি জামিনের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় বা হাজির না হয় তাহলে জামিনদার জামিননামায় উল্লেখিত অর্থ পরিশোধ করবে।
জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন:[ধারা ৪৯৬]
৪৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি জামিনযোগ্য অপরাধে আটক হয় অথবা তাকে ওয়ারেন্ট ছাড়া আটক করা হয়, তাহলে তাকে যে আদালতে হাজির করা হবে সেই আদালত উক্ত আটক ব্যক্তিকে জামিন দিবে। (Shall be released on bail)। ৪৯৬ ধারায় Shall শব্দটি ব্যবহার করায়, এই ধারার অধীন জামিনযোগ্য অপরাধে জামিন পাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনগত অধিকার এবং জামিনযোগ্য অপরাধে জামিন দেওয়া আদালতের জন্য আদেশসূচক (imperative).
জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন।[ধারা-৪৯৭]
৪৯৭ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তিকে পুলিশ জামিন অযোগ্য অপরাধে আটক করে অথবা ওয়ারেন্ট ছাড়া আটক করে, তাহলে তাকে জামিন দেওয়া যেতে পারে। (may be released on bail)। ৪৯৭ ধারায় may শব্দটি ব্যবহার করায়, এই ধারার অধীন জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন পাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনগত অধিকার না। বরং জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন দেওয়া আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা (Discretionary Power)। আদালত ইচ্ছা করলে জামিন দিতে পারে আবার নাও দিতে পারে ।
কিন্তু জামিন অযোগ্য অপরাধে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিবে না (shall not be released on bail) যদি সে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডণীয় কোন অপরাধে অপরাধী বলে বিশ্বাস আদালতের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে। অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে
দণ্ডণীয় কোন অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন না দেওয়া আদালতের জন্য আদেশসূচক (imperative).।
জামিন অযোগ্য অপরাধের (যে কোন শাস্তিযোগ্য অপরাধের
ক্ষেত্রে) আদালত নিম্নলিখিত অভিযুক্তদের জামিন দিতে বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ
করতে পারে, যদি-
১. তার বয়স ১৬ বছরের নিচে হয়।
২. স্ত্রী লোক হয়;
৩. পীড়িত [sick) বা অক্ষম (infirm) লোক হয়।
আগাম জামিন কাকে বলে? (ধারা ৪৯৮) What is Anticipatory
Bail?
কোনো অপরাধের জন্য যে ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং যার
জন্য তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে, এমন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পূর্বে জামিন
দেওয়া হলো আগাম জামিন। ৪৯৮ ধারায় আগাম জামিনের আবেদন করা যায়। আগাম জামিনের
আবেদন হাইকোর্ট বিভাগে বা দায়রা জজের নিকট দায়ের করা যায়। কারণ ৪৯৮ ধারায় আগাম
জামিনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।–
১. হাইকোর্ট বিভাগ এবং
২. দায়রা জজ।
আসামীকে আদালত আগাম জামিন দিতে পারে যদি-
১. নিম্ন আদালতে তার পক্ষে হাজির হওয়া কোনো কারণে সম্ভব না
হলে।
২. রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করার জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে
ফৌজদারী মামলা করা হলে:
৩. আদালত বিশেষ অবস্থায় স্ববিবেচনায় সংগত মনে করলে
ফৌজদারি কার্যবিধির কোন কোন ধারায় আদালত আসামিকে জামিন
দিতে পারে?
১. পুলিশ ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না
পারলে আদালত আসামিকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে।
২. ১৮০ দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচার
শেষ না করতে পারলে এবং ৩৬০ দিনের মধ্যে দায়রা আদালত বিচার শেষ না করতে এবং অপরাধী
জামিনঅযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হলে আদালত ৩৩৯ সি (৪) ধারায় আসামিকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে ।
৩. ৪২৬ এর ১ থেকে ২খ ধারায় আপীল চলাকালীন
সময় দণ্ড স্থগিত করে জামিনে মুক্তি দিতে পারে ।
৪. খালাসের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে আদালত ৪২৭
ধারায় আসামীকে গ্রেফতার এবং জামিনের আদেশ দিতে পারে।
৫. নিম্ন আদালতের নথি পরীক্ষাকালীন সময়
পর্যন্ত বা রিভিশন চলাকালীন সময় আদালত ৪৩৫ ধারায় আসামিকে জামিনে
মুক্তি দিতে পারে ।
৬. জামিনযোগ্য এবং জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে
আদালত ৪৯৬ এবং ৪৯৭ ধারায় আসামিকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে ।
৭. ৪৯৮ ধারায় আদালত আসামিকে আগাম জামিন দিতে পারে।
কিভাবে জামিনের জন্য মুচলেকা নির্ধারণ করতে হয়? [ধারা ৪৯৮]
৪৯৮ ধারায় বলা হয়েছে, জামিনের জন্য মুচলেকার অর্থের
পরিমাণ মামলার যথাযথ পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে এবং এটা অত্যাধিক
হবেনা। হাইকোর্ট বা দায়রা আদালত যেকোনো সময় যে কোন ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করার
বা পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটকে দাবিকৃত জামিন হ্রাস করার নির্দেশ দিতে পারে।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, আদালত বেইল বন্ডের জন্য অধিক
পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করলে উক্ত অর্থ যুক্তি সংগত হারে কমানোর জন্য আবেদন করতে হয়
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায়। ৫০০ ধারা অনুযায়ী, মুচলেকা সম্পাদিত হওয়ার সাথে
সাথে যে ব্যক্তির উপস্থিতির জন্য এমন মুচলেকা সম্পাদন করা হয়েছিল, তাকে জামিনে
মুক্তি দিতে পারে।
টপিকস
জামিন কাকে বলে? জামিননামা বা জামিনের মুচলেকা কাকে বলে? জামিনদার কাকে বলে? জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন। জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন আবেদন। আগাম জামিন কাকে বলে? ফৌজদারি কার্যবিধির কোন কোন ধারায় আদালত আসামিকে জামিন দিতে পারে? কিভাবে জামিনের জন্য মুচলেকা নির্ধারণ করতে হয়?