Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

কখন কোথায় কিভাবে ফৌজদারি মামলার রিভিশন করতে হয়

কোন কোন আদালত ফৌজদারী মামলার রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?
কোন আদালতের নিম্ন আদালতের নথি তলবের ক্ষমতা রয়েছে?
রিভিশন এর ক্ষেত্রে কোন আদালত অনুসন্ধানের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে?
হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন ক্ষমতা কতটুকু?
দায়রা জজের রিভিশনের ক্ষমতা কতটুকু?
কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায় না?
কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায়?
কত দিনের মধ্যে রিভিশন দায়ের করতে হয় বা রিভিশন দায়েরের তামাদি মেয়াদ কতদিন?
কত দিনের মধ্যে আপীল বা রিভিশন নিষ্পত্তি করতে হয়?

ফৌজদারী মামলার রিভিশন প্রসঙ্গে [Of Revision of Criminal Cases]


রিভিশন অর্থ হলো সংশোধন বা উৎকর্ষ সাধনার্থে পুনরীক্ষণ বা সতর্ক বিবেচনা। রিভিশন হলো নিম্ন আদালতের নথি পরীক্ষা করে উর্দ্ধতন আদালত কর্তৃক ভুলত্রুটি সংশোধন করা। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৫ থেকে ৪৪০ এবং ৪৪২ থেকে 88২ক পর্যন্ত রিভিশন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

কোন কোন আদালত রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?

ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে-

১. হাইকোর্ট বিভাগ

২. দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ

কোন আদালতের নিম্ন আদালতের নথি তলবের ক্ষমতা রয়েছে?

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৫ (১) ধারায় হাইকোর্ট বিভাগ এবং দায়রা জজ অধীনস্থ কোন ফৌজদারী আদালতের কোনো মামলার নথি তলব করতে পারে বা মামলার কোন কার্যক্রম পরীক্ষা করতে পারে। নিম্নলিখিত কারণে হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা জজ নিম্ন আদালতের নথি তলব বা পরীক্ষা করতে পারে:

১. অধীনস্থ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বা লিপিবদ্ধকৃত কোন দত্ত বা আদেশের নির্ভুলতা, বৈধতা বা যৌক্তিকতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হতে; বা

২. অধীনস্থ আদালতের মামলার কার্যক্রম রীতিসম্মত কিনা সে সম্পর্কে সন্তুষ্ট হতে।

উক্ত নথি পর্যালোচনা থাকাকালীন সময়ের জন্য হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা জজ কোনো দন্ড কার্যকর করা স্থগিতের আদেশ দিতে পারে; এবং যদি অভিযুক্ত আটক থাকে, তাহলে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে বা আসামীর নিজ মুচলেকায় জামিন দিতে পারে।

রিভিশন এর ক্ষেত্রে কোন আদালত অনুসন্ধানের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে?(Power to order inquiry):

৪৩৬ ধারায় হাইকোর্ট তার অধীনস্থ কোন আদালতকে বা দায়রা জজ তার অধীনস্থ কোন

১. চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিজেদের দ্বারা বা

২. তাদের অধীনস্থ কোন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অধিকতর অনসন্ধান করার আদেশ দিতে পারে এবং

৩. চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অনুসন্ধান করতে পারে বা তার অধীনস্থ কোনো ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিতে পারে নিম্ন বর্ণিত বিষয়ে-

i. ২০৩ ধারায় খারিজ হয়েছে এমন যেকোন নালিশ বিষয়ে বা

ii. ২০৪ (৩) ধারায় খারিজ করা হয়েছে এমন কোন নালিশ বিষয়ে বা

iii. যে মামলায় কোনো অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেই মামলায় অধিকতর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতে পারবে।

হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন ক্ষমতা কতটুকু?

৪৩৯ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগকে রিভিশন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মামলার নথি রিভাইজ করে রিভিশনের সময় হাইকোর্ট আসামীর শাস্তি বাড়াতে পারে। তবে হাইকোর্ট বিভাগ রিভিশন ক্ষমতা বলে খালাসের আদেশ দণ্ডে পরিণত করতে পারবে না এবং ৪৩৯ক ধারায় দায়রা জজের রিভিশন আদেশের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না। ধারা ৪৩৯ (৪)]। কারণ দায়রা জজ কর্তৃক রিভিশনে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।

দায়রা জজের রিভিশনের ক্ষমতা কতটুকু?

৪৩৯ক ধারায় দায়রা জজকে রিভিশন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন সংক্রান্ত যে সকল ক্ষমতা আছে দায়রা জজেরও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। ৪৩৯ক এর ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, দায়রা জজের কোন সাধারণ বা বিশেষ আদেশে কোন রিভিশনাল মামলা অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করা হলে অতিরিক্ত দায়রা জজ, দায়রা জজের সকল রিভিশনাল এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারবে। সুতরাং অতিরিক্ত দায়রা জজ-এর রিভিশন এখতিয়ার আছে।

কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায় না?

১. ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন যে সকল ক্ষেত্রে আপীল দায়ের করা যায় কিন্তু আপীল না করা হলে, যে পক্ষ আপীল করতে পারতো, সেই পক্ষ রিভিশন করতে পারবেনা [ধারা-৪৩৯ (৫)]।

২. দায়রা জজের নিকট রিভিশন দায়ের করা হলে উক্ত বিষয়ে দায়রা জজের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে দ্বিতীয় রিভিশন দায়ের করা যাবেনা (ধারা ৪৩৯ক (২)]।

কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায়?

১. দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে যখন আপীলের সুযোগ থাকে না, সেই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত আসামী রিভিশন দায়ের করতে পারে। যেমন- ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামীকে ৫ বৎসরের কারাবাস দিলো। এই ক্ষেত্রে আসামী দায়রা জজের নিকট আপীল করলো এবং দায়রা জজও দণ্ড বহাল রাখলো। এই ক্ষেত্রে কিন্তু আসামী হাইকোর্ট বিভাগে দ্বিতীয় আপীল করতে পারবেনা। কারণ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপীলের বিধান নেই। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আসামী হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন করতে পারবে।

২. পুলিশ কেইসে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ বা পাবলিক প্রসিকিউটর যদি ৪১৭ ধারায় আপীল না করে তবে সংবাদদাতা ৪৩৯ক ধারায় দায়রা জজের নিকট রিভিশন করতে পারবে।

৩. নালিশ খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করা যায়। (Against order of dismissal of complaint)

৪. আসামীর অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করা যায়।(Against order of discharge of an accused)

৫. আদালত নারাজি পিটিশন প্রত্যাখ্যান করলে রিভিশন করা যায়।(Rejection of Naraji Petition)

৬. ম্যাজিস্ট্রেট ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে আসামীকে মুক্তি দিলে রিভিশন করা যায়। (Order of release of an accused)

৭. খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপীল গ্রহণ প্রত্যাখ্যান (refusing admission of appeal) করা হলে, খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা কিন্তু রিভিশন করা যাবে (ধারা ৪১৭ (৪)]।

৮. ৪১২, ৪১৩ এবং ৪১৪ ধারায় যে সকল ক্ষেত্রে আপীল করা যায় না, সেই ক্ষেত্রে রিভিশন করা যাবে। যেমন-দোষ স্বীকারের উপর ভিত্তি করে আসামীকে দণ্ডিত করা হলে রিভিশন করা যায়। (Conviction on plea of guilty or conviction for guilty plead) তুচ্ছ মামলার ক্ষেত্রে যেমন- দায়রা আদালত ১ মাস বা তার কম অর্থদণ্ড দিলে বা আদালত ৫০ টাকা বা তার কম অর্থদণ্ড দিলে রিভিশন করা যায়।(ধারা ৪১৩)। সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষেত্রে অর্থদণ্ডের পরিমাণ ২০০ টাকার বেশি না হলে রিভিশন করা যায়। (ধারা ৪১৪।

৯. রায়ে আইনগত ভুল থাকলে রিভিশন করা যায়। যেমন- ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে দায়রা আদালত অভিযুক্তকে মুক্তি প্রদান করে। উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন দায়ের করা যেতে পারে। এখানে আইনগত ভুল হলো ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে অভিযুক্তকে মুক্তি প্রদানের কোন ক্ষমতা দায়রা আদালতের নেই।

কত দিনের মধ্যে রিভিশন দায়ের করতে হয় বা রিভিশন দায়েরের তামাদি মেয়াদ কতদিন?

হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন দায়েরের তামাদি মেয়াদ ৬০ দিন এবং দায়রা জজের নিকট রিভিশন দায়েরের তামাদি মেয়াদ ৩০ দিন। এই সময়ের পরও আদালত রিভিশন আবেদন গ্রহণ করতে পারে যদি তামাদি আইনের ৫ ধারায় যথেষ্ট কারণ দেখিয়ে বিলম্ব মওকুফের আবেদন করা যায়।

কত দিনের মধ্যে আপীল বা রিভিশন নিষ্পত্তি করতে হয়?

আপীলের ক্ষেত্রে প্রতিবাদী (respondent) কে এবং রিভিশনের ক্ষেত্রে অপরপক্ষকে নোটিশ জারির তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে আপীল বা রিভিশনটি নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময় আদালতের জন্য নির্দেশনামূলক কিন্তু বাধ্যতামূলক না (ধারা ৪৪২ক (১ এবং ২)।

তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করা আদালতের জন্য বিবেচনামূলক। কোন রিভিশনের আবেদনের ক্ষেত্রে দায়রা জজের আদেশই চূড়ান্ত। অর্থাৎ ফৌজদারী কার্যবিধিতে কোন দ্বিতীয় রিভিশনের বিধান নেই। ফৌজদারী কার্যবিধিতে কোন রিভিউ-এর সুযোগ নেই।

টপিকস

কোন কোন আদালত ফৌজদারী মামলার রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? কোন আদালতের নিম্ন আদালতের নথি তলবের ক্ষমতা রয়েছে? রিভিশন এর ক্ষেত্রে কোন আদালত অনুসন্ধানের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে? হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন ক্ষমতা কতটুকু? দায়রা জজের রিভিশনের ক্ষমতা কতটুকু? কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায় না? কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিশন দায়ের করা যায়? কত দিনের মধ্যে রিভিশন দায়ের করতে হয় বা রিভিশন দায়েরের তামাদি মেয়াদ কতদিন? কত দিনের মধ্যে আপীল বা রিভিশন নিষ্পত্তি করতে হয়?

ইউটিউব ভিডিও - কখন কোথায় কিভাবে ফৌজদারি মামলার রিভিশন করতে হয়

Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...