- Get link
- X
- Other Apps
কিভাবে ফৌজদারী আপীল দায়ের করতে হয় এবং আপীল দায়েরের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি কি?
আপীলের পিটিশন বা দরখাস্ত কখন দাখিল করতে হবে?
যখন আপীলকারী জেলে থাকে, তখনকার আপীলের পদ্ধতি কি?
কখন আপীল সংক্ষিপ্তভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়?
আপীল নিষ্পত্তিতে আপীল আদালতের ক্ষমতা কতটুকু?
আপীল চলমান থাকলে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন দেওয়ার ক্ষমতা।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল আদালত দণ্ড স্থগিত করে আসামীকে জামিন দিতে পারে?
কখন আদালত আপিল শুনানিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে?
ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আপীল আদালত কর্তৃক অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণ বা সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিতে পারে?
কখন আপীল বাতিল হয়?
কোন কোন ক্ষেত্রে দায়েকৃত আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকারীর মৃত্যুতে আপীল বাতিল হবে?
আপীলের পিটিশন বা দরখাস্ত কখন দাখিল করতে হবে?
যখন আপীলকারী জেলে থাকে, তখনকার আপীলের পদ্ধতি কি?
কখন আপীল সংক্ষিপ্তভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়?
আপীল নিষ্পত্তিতে আপীল আদালতের ক্ষমতা কতটুকু?
আপীল চলমান থাকলে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন দেওয়ার ক্ষমতা।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল আদালত দণ্ড স্থগিত করে আসামীকে জামিন দিতে পারে?
কখন আদালত আপিল শুনানিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে?
ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আপীল আদালত কর্তৃক অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণ বা সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিতে পারে?
কখন আপীল বাতিল হয়?
কোন কোন ক্ষেত্রে দায়েকৃত আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকারীর মৃত্যুতে আপীল বাতিল হবে?
কিভাবে ফৌজদারী আপীল দায়ের করতে হয় এবং আপীল দায়েরের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি কি?
আপীলের পিটিশন বা দরখাস্ত কখন দাখিল করতে হবে? (Petition of Appeal) ধারা ৪১৯ এবং আপীল দায়েরের পদ্ধতি কি? কিভাবে ফৌজদারি মামলার আপিল করতে হয়?
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪১৯ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকটি আপীল দায়ের করতে হবে পিটিশন বা দরখাপ্ত আকারে। আপীলের পিটিশন আপীলকারী বা তার উকিল দাখিল করবে। যে রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হচ্ছে তার কপি আপীলের পিটিশনের সাথে দাখিল করতে হবে।
যখন আপীলকারী জেলে থাকে, তখনকার আপীলের পদ্ধতি কি?
যদি আপীলকারী জেলে থাকে, তাহলে সে তার আপীলের পিটিশন এবং পিটিশনের সাথে দাখিলকৃত রায় ও আদেশের কপি জেলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করতে পারে এবং উক্ত কর্মকর্তা পিটিশনটি সঠিক আপীল আদালতে পাঠাবে (ধারা ৪২০)।
কখন আপীল সংক্ষিপ্তভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়? (Summary Dismissal of Appeal):
৪২১ ধারায় আপীল আদালত কোন আপীল সংক্ষিপ্তভাবে খারিজ করে দিতে পারে যদি তিনি মনে করেন আপীলে হস্তক্ষেপ করার মত কোন কারণ নেই বা আপিল করার কোন কারণ নেই।
আপীল নিষ্পত্তিতে আপীল আদালতের ক্ষমতা কতটুকু?
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২৩ ধারায় ফৌজদারী আপীল নিষ্পত্তিতে আপীল আদালতের ক্ষমতা আলোচনা করা হয়েছে। আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আপীল আদালত নিম্নলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে-
১. আপীল খারিজ করতে পারে যদি আপীলের কোন কারণ না থাকে বা
২. খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে
I. খালাস আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারে,
II. অধিকতর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতে পারে,
III. অভিযুক্তকে পুনরায় বিচারের জন্য নির্দেশ দিতে পারে বা অভিযুক্তকে দোষী পেলে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে পারে।
৩. দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে শাস্তি বাতিল করতে পারে, আসামীকে খালাস বা অব্যাহতি দিতে পারে বা পুনরায় আসামীকে বিচার করার আদেশ দিতে পারে বা শাস্তি বহাল রাখতে পারে বা শাস্তি কমাতে পারে ইত্যাদি।
৪. দণ্ডবৃদ্ধির আপীলের ক্ষেত্রে শাস্তি পরিবর্তন করতে পারে বা আসামীকে খালাস বা অব্যাহতি দিতে পারে বা তাকে পুনরায় বিচারের আদেশ দিতে পারে বা শাস্তি বহাল রাখতে পারে বা শাস্তির পরিমান বাড়াতে বা কমাতে পারে।
৫. অন্যান্য আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে আদেশ পরিবর্তন বা বাতিল করতে পপারে অভিযুক্ত যে অপরাধ করেছে সেই অপরাধের জন্য যে শাস্তি দেওয়া যেত, আপীল আদালত তার থেকে অধিক দণ্ড দিবেনা।
আপীল চলমান থাকলে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন দেওয়ার ক্ষমতা (ধারা-৪২৬):
আপীল চলমান থাকলে দণ্ড স্থগিত এবং জামিনের জন্য ৪২৬ ধারায় আবেদন করা যায়। ৪২৬ ধারায় আপীল আদালতকে আপীল চলাকালীন সময় দণ্ড স্থগিত এবং আসামীকে জামিন দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল আদালত দণ্ড স্থগিত করে আসামীকে জামিন দিতে পারে?
৪২৬ ধারা অনুযায়ী আপীল চলমান থাকাকালে আপীল আদালতে যে দণ্ডাদেশ বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হয়েছে, সেই দণ্ডাদেশ বা আদেশ কার্যকর করা স্থগিত করতে পারে এবং আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে [৪২৬ (১)]।
বিচারিক আদালত কর্তৃক কোন ব্যক্তি অনধিক ১ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান থাকলে এবং বিচারিক আদালত যদি মনে করে যে, উক্ত ব্যক্তি আপীল দায়ের করতে পারে তাহলে বিচারিক আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে [৪২৬ (২ক)।
হাইকোর্ট বিভাগ যদি সন্তুষ্ট হয় যে, দণ্ডিত ব্যক্তিকে আপীল বিভাগে অনুমতি সাপেক্ষে আপীল [leave to Appeal] করার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন হাইকোর্ট বিভাগ যে দণ্ড দিয়েছে আপীল চলাকালীন সময় উক্ত দণ্ড স্থগিত বা আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে [৪২৬(২খ)]।
কখন আদালত আপিল শুনানিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে? (ধারা ৪২৭):
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪১৭ ধারায় খালাসের বিরুদ্ধে বা ৪১৭ক ধারায় অপর্যাপ্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ বা অন্যকোনো আপীল আদালত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারে। গ্রেফতার করে যে আদালতে হাজির করা হয় উক্ত আদালত আসামীকে কারাগারে পাঠাতে পারে বা জামিনে মুক্তি দিতে পারে।
ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আপীল আদালত কর্তৃক অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণ বা সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিতে পারে?
৪২৮ ধারার অধীন আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে বা বিচারকারী আদালতকে অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারে।
কখন আপীল বাতিল হয়? [Abatement of Appeals) ধারা ৪৩১:
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩১ ধারায় আপীল বাতিলের বিধান আলোচনা করা হয়েছে।
৪৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ৪১৭ বা ৪১৭ক ধারার অধীন প্রত্যেকটি আপীল অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুতে চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে, এবং এই অধ্যায়ের অধীন অন্যান্য প্রত্যেকটি আপীল (অর্থদণ্ডের বিরুদ্ধে আপীল ব্যতীত) আপীলকারীর মৃত্যুতে চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে।
ফৌজদারী মামলা বা আপীল বাতিল হবে যদি অভিযুক্ত মারা যায়। সুতরাং কে মারা গেলে আপীল বাতিল হবে, তা নির্ধারণ করতে হলে দেখতে হবে, আপীল চলাকালীন সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেছে কিনা। এটা নির্ধারণ করতে দেখতে হবে আপীলটি কে করেছে।
৪১৭ ও ৪১৭ক ধারার অধীন দায়েরকৃত আপীল আসামীর মৃত্যুতে বাতিল হবে:
৪১৭ ধারার অধীন খালাসের বিরুদ্ধে আপীল এবং ৪১৭ক ধারার অধীন অপর্যাপ্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে আসামী মারা গেলে আপীল বাতিল হবে। কারণ খালাস এবং অপর্যাপ্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবে আপীল করবে পাবলিক প্রসিকিউটর বা অভিযোগকারী।
কোন কোন ক্ষেত্রে দায়েকৃত আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকারীর মৃত্যুতে আপীল বাতিল হবে?
অন্যদিকে ৪০৭, ৪০৮ বা ৪১০ ধারায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আপীলকারী মারা যাওয়া মানে অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা যায় এবং এই কারণে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকারী মারা গেলে আপীলটি বাতিল হয়।
এখানে বলে রাখা ভালো যে,
১. জরিমানার বা অর্থদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল হলে আপীলকারী মারা গেলেও, আপীলটি পন্ড বা বাতিল হবেনা এবং আপীলকারীর আইনগত প্রতিনিধিরা স্থলাভিষিক্ত হবে। প্রতিবাদী [respondent] কে আপীলের নোটিশ জারির তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে আদালত আপীল নিষ্পত্তি করবে। এই সময় আদালতের জন্য নির্দেশনামূলক কিন্তু বাধ্যতামূলক না [ধারা ৪৪২ক (১ এবং ২)
টপিকস
কিভাবে ফৌজদারী আপীল দায়ের করতে হয় এবং আপীল দায়েরের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি কি? আপীলের পিটিশন বা দরখাস্ত কখন দাখিল করতে হবে? যখন আপীলকারী জেলে থাকে, তখনকার আপীলের পদ্ধতি কি? কখন আপীল সংক্ষিপ্তভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়? আপীল নিষ্পত্তিতে আপীল আদালতের ক্ষমতা কতটুকু? আপীল চলমান থাকলে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন দেওয়ার ক্ষমতা। কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল আদালত দণ্ড স্থগিত করে আসামীকে জামিন দিতে পারে? কখন আদালত আপিল শুনানিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে? ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আপীল আদালত কর্তৃক অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণ বা সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিতে পারে? কখন আপীল বাতিল হয়? কোন কোন ক্ষেত্রে দায়েকৃত আপীলের ক্ষেত্রে আপীলকারীর মৃত্যুতে আপীল বাতিল হবে?
ইউটিউব ভিডিও - কিভাবে ফৌজদারী আপীল দায়ের করতে হয় আপীল দায়েরের পদ্ধতি