- Get link
- X
- Other Apps
অবৈধ লাভ কাকে বলে?
অবৈধ ক্ষতি কাকে বলে?
ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় কাকে বলে?
অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় কি?
৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় এর শর্তসমূহ কি কি?
অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ করলে যৌথ দায় কি?
কতিপয় কার্যের একটি সম্পাদনের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করলে যৌথ দায় কি?
অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে নিয়োজিত বা জড়িত থাকলে যৌথ দায় কি?
সাধারণ অভিপ্রায় এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য কি?
একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায় মধ্যে পার্থক্য কি?
[ধারা ৩৪] অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় কি? [Common Intention
& joint Liability):
একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায় মধ্যে পার্থক্য কি? [What is the difference
between Similar Intention and Common Intention?):
অবৈধ ক্ষতি কাকে বলে?
ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় কাকে বলে?
অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় কি?
৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় এর শর্তসমূহ কি কি?
অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ করলে যৌথ দায় কি?
কতিপয় কার্যের একটি সম্পাদনের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করলে যৌথ দায় কি?
অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে নিয়োজিত বা জড়িত থাকলে যৌথ দায় কি?
সাধারণ অভিপ্রায় এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য কি?
একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায় মধ্যে পার্থক্য কি?
অবৈধ লাভ এবং অবৈধ ক্ষতি [Wrongful Gain & Wrongful Loss]
দন্ডবিধির ২৩ ধারায় অবৈধ লাভ এবং অবৈধ ক্ষতি সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
অবৈধ লাভ কাকে বলে? [What is Wrongful Gain?]
অবৈধ লাভ অর্থ হলো বেআইনীভাবে এরুপ সম্পত্তি লাভ করা, যে সম্পত্তিতে লাভকারী ব্যক্তির
কোন আইনানুগ অধিকার নেই। যেমন ‘ক’ একটি ঘড়ি চুরি করলো। উক্ত ঘড়িতে চোর, ক-এর কোন
আইনানুগ অধিকার নেই। সুতরাং ক সম্পত্তিটি অবৈধ লাভ করেছে বলে গণ্য হবে।
অবৈধ ক্ষতি কাকে বলে? [What is Wrongful Loss?] :
অবৈধ ক্ষতি হলো বেআইনীভাবে এমন সম্পত্তির ক্ষতি, যাতে ক্ষতিগ্রস্থ লোকের আইনানুগ
অধিকার আছে। A, B এর একটি ঘড়ি চুরি করলো। এখানে B হলো ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি এবং উক্ত
ঘড়িতে B এর আইনানুগ অধিকার ছিল। সুতরাং চুরির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি, B এর অবৈধ
ক্ষতি হলো এবং চোর, A অবৈধ লাভ করলো। যখন কোন ব্যক্তিকে তার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করা
হয় বা তার নিকট হতে সম্পত্তি নিয়ে নেওয়া হয়, তখন যে ব্যক্তি এরুপ সম্পত্তি গ্রহণ
করে সে অবৈধ লাভ [Wrongful Gain) করেছে বলে গণ্য হবে এবং যে ব্যক্তির নিকট থেকে উক্ত
সম্পত্তি গ্রহণ করা হলো তার অবৈধ ক্ষতি [Wrongful Loss) হলো বলে গণ্য হবে।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, অবৈধ লাভ বা অবৈধ ক্ষতি কোন অপরাধ না কিন্তু কতিপয় অপরাধ
হয়েছে কিনা তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন চুরি, ডাকাতি, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ,
অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ইত্যাদি। অবৈধ লাভ বা অবৈধ ক্ষতি অবশ্যই সম্পত্তি
(স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি) সম্পর্কিত হতে হবে। যে ব্যক্তি অবৈধ ক্ষতির দাবী করবে
তাকে অবশ্যই উক্ত সম্পত্তিতে আইনগতভাবে অধিকারী হতে হবে।
ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় কাকে বলে? What is Vicarious Liability in Criminal Offence?
সাধারণত কোন ব্যক্তিকে পরার্থ বা অন্যের অপরাধমূলক কার্যের
জন্য দায়ী করা যায় না। ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় (Vicarious
Liability| প্রযোজ্য না। কারণ ফৌজদারী আইনের একটি সাধারণ নীতি হলো
প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের কার্যের জন্য দায়ী হবে, অন্যের কার্যের জন্য না। যেমন
পিতার খুনের অপরাধের জন্য সন্তান দায়ী হবেনা। কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম প্রেক্ষাপটে
দণ্ডবিধির অধীন পরার্থ দায় [Vicarious Liability) প্রযোজ্য করা হয়েছে। যেমন পিতা
এবং পুত্রের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুত্র গুলি করে কোন ব্যক্তিকে খুন করলে,
উক্ত ক্ষেত্রে পিতা এবং পুত্র উভয় দায়ী হবে যদিও পিতা গুলি করেনি। অর্থাৎ এই
ক্ষেত্রে পুত্রের কার্যের জন্য পিতাও দণ্ডিত হবে কারণ তাদের মধ্যে একটি হত্যার
পূর্ব পরিকল্পনা ছিল এবং এই ক্ষেত্রে পিতা এবং পুত্র যৌথভাবে দায়ী [Jointly
Liable] হবে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কোন অপরাধমূলক কার্য নিজে না করলেও তাকে অন্যের
কার্যের জন্য দায়ী করা যেতে পারে যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, সে অপরাধ সংঘটনে
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বা পূর্ব পরিকল্পনা বা অভিন্ন অভিপ্রায় অনুযায়ী
অংশগ্রহণ করেছে।
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির অধীন পরার্থ দায় [Vicarious Liability| প্রযোজ্য হতে পারে-
১. যেক্ষেত্রে অভিন্ন অভিপ্রায় বাস্তবায়নে কোন অপরাধ
সংঘটন করা হয় [ধারা ৩৪]
২. যেক্ষেত্রে সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কোন অপরাধ সংঘটন
করা হয় [ধারা ১৪৯]
৩. যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি অপরাধে সহায়তার জন্য দোষী হয়।
[ধারা ১০৯]
৪. যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী
হয় [ধারা ১২০খ)
৫. যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি খুনসহ ডাকাতির জন্য দোষী হয়
[ধারা ৩৯৬]। ৩৯৬ ধারায় ডাকাতির সময় যদি কোন একজন ডাকাত খুন করে, তাহলে সকলেই
খুনের জন্য দণ্ডিত হবে।
ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে যৌথ দায় সম্পর্কে দন্ডবিধির ৩৪, ৩৫,
৩৭ এবং ৩৮ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে:
[ধারা ৩৪] অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় কি? [Common Intention
& joint Liability):
দণ্ডবিধির ৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় [Common Intention| সম্পর্কিত নীতি আলোচনা করা হয়েছে। ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, যখন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের অভিন্ন অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করার জন্য
কোন অপরাধমূলক কাজ করে তখন তাদের প্রত্যেকে উক্ত অপরাধমূলক কাজের জন্য এমনভাবে
দায়ী হবে যেন কাজটি সে নিজে একা করেছিল।
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একই অভিপ্রায়ে অপরাধ করলে তাদের অপরাধ
করার অভিন্ন অভিপ্রায় [common Intention) ছিল বলে মনে করতে হবে।
অভিন্ন অভিপ্রায় অর্থ হলো পূর্ব পরিকল্পনা, মনের পূর্বের সমাবেশ, অপরাধ সংঘটনে
গঠিত দলের সকল সদস্যদের মধ্যে পূর্ব আলোচনা এবং উক্ত পরিকল্পনা বা আলোচনা অনুযায়ী
অপরাধ সংঘটন করা। এই অভিন্ন অভিপ্রায় নীতির উপর ভিত্তি করে কতিপয় ব্যক্তিকে
সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য যৌথভাবে দায়ী [Jointly Liable) করা
যাবে বা পরার্থে দায়ী [Vicarious Liable] করা যাবে।
৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় এর শর্তসমূহ কি কি?
৩৪ ধারার অধীন অভিন্ন অভিপ্রায় [Common Intention] নীতি প্রয়োগ করে কতিপয় ব্যক্তিকে যৌথভাবে দায়ী করতে হলে নিম্নলিখিত
শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে;
১. সর্বনিম্ন ২ বা ততোধিক ব্যক্তি থাকতে হবে;
২. তারা কোন একটি অপরাধজনক কার্য সম্পাদন করবে;
৩. অভিন্ন অভিপ্রায় বাস্তবায়নে তারা এমন
অপরাধজনক কার্য সম্পাদন করবে;
৪. অপরাধজনক কার্যটি সংঘটনে তাদের সকলের অংশগ্রহণ
[Participation] থাকবে। অর্থাৎ দলগতভাবে অপরাধ সংঘটনে প্রকৃত
অংশগ্রহণ করা। এটা যথেষ্ট যদি সে নিকটে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকে। যেমন সে গেটে
পাহারাদার হিসেবে দাঁড়াতে পারে এবং তার সহযোগীদের কে আসন্ন কোন বিপদের বিষয় অবগত
করতে পারে।
দণ্ডবিধির ৩৪ ধারার মূল কথা হলো অভিন্ন অভিপ্রায় নিয়ে
সংঘটিত কোন অপরাধজনক কার্যের জন্য কতিপয় ব্যক্তিকে যৌথভাবে দায়ী [Joint Liable] করা যায়। ৩৪ ধারা হলো সাক্ষ্য আইনের একটি নীতি মাত্র এবং এটা কোন
স্বতন্ত্র বা মৌলিক অপরাধ [Substantive Offence] সৃষ্টি
করেনি। কতিপয় ব্যক্তি অভিন্ন অভিপ্রায় (common Intention) নিয়ে
অপরাধ করলে তাদের প্রত্যেকে একইভাবে দায়ী হবে এবং এমনভাবে শাস্তি পাবে যেমনটি
তারা দায়ী হতো বা শাস্তি পেতো যদি তারা পৃথক পৃথকভাবে অপরাধটি করতো। Common
Intention এর জন্য কোন ব্যক্তিকে দায়ী করতে হলে অপরাধটি অবশ্যই
সংঘটিত হতে হবে এবং সেখানে সর্বনিম্ন ২ জন আসামী থাকতে হবে। অভিন্ন অভিপ্রায় কোন
অপরাধ না বরং কতিপয় ব্যক্তিকে যৌধভাবে ফৌজদারী দায়ে অভিযুক্ত করার নীতি। যেমন
দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীন ৩ জন ব্যক্তিকে যৌথভাবে দায়ী করতে ৩৪ ধারার নীতি
প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণ: ক এবং খ গ কে হত্যার পরিকল্পনা করে। নির্দিষ্ট
তারিখ এবং সময়ে ক এবং খ গ কে হত্যা করে। ক এবং খ কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে হলে
তাদের দুই জনের যে খ কে হত্যা করার অভিন্ন অভিপ্রায় (Common intention) ছিল তা প্রমাণ করতে হবে।
[ধারা ৩৫] অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ করলে যৌথ দায় কি?
অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায় নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি কোন
অপরাধ করলে তারা প্রত্যেকে যৌথভাবে দায়ী হবে। অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায়
থাকলেই হবে। অপরাধটি একই সময়ে বা একই স্থানে বা একই কাজের ফলে না হলেও চলবে ।
‘ক’ এবং ‘খ’ ‘গ’ কে হত্যা করার জন্য একমত
হয় তাদের এই অপরাধমূলক অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করার জন্য মঙ্গলবারের দিন ‘ক’ ‘গ’
কে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং ‘খ’ ‘গ’ কে জোরপূর্বক বিষ পান করায়। এর ফলে ‘গ’ মারা যায়। যেহেতু ‘ক’ এবং ‘খ’ উভয় তাদের অপরাধ
সম্পর্কে জানতো এবং তাদের অপরাধ করার অভিন্ন অভিপ্রায় ছিল। তাই ‘গ’ এর মৃত্যুর জন্য ‘ক’ এবং ‘খ’ যৌথভাবে দায়ী হবে।
[ধারা ৩৭] কতিপয় কার্যের একটি সম্পাদনের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করলে যৌথ দায় কি?
যদি কতিপয় ব্যক্তি কতিপয় কার্যের মাধ্যমে কোন অপরাধ করে,
সেই ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত অপরাধ সংঘটনের সকল বা যে কোন একটি
কার্যের মাধ্যমে অপরাধটি সংঘটনে সহায়তা এককভাবে বা যৌথভাবে করলে সেই সহায়তাকারী
ব্যক্তি অন্য অপরাধীদের সাথে সমানভাবে দায়ী হবে।
[ধারা ৩৮] অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে নিয়োজিত বা জড়িত থাকলে যৌথ দায় কি?
যে ক্ষেত্রে কতিপয় ব্যক্তি কোন অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে
নিয়োজিত বা জড়িত হয়, সেক্ষেত্রে তারা সেই কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে দোষী
সাব্যস্ত হতে পারে।
সাধারণ অভিপ্রায় এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য কি?(Difference between Common Intention and Common Object] : ধারা ৩৪ এবং ধারা ১৪৯ মধ্যে পার্থক্য কি?:
১.পূর্ব পরিকল্পনা
৩৪ ধারায় সাধারণ অভিপ্রায় হলো কোন অপরাধ সংঘটনের পূর্বে পরিকল্পিত পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরাধ করা। অর্থাৎ সাধারণ অভিপ্রায়ের ক্ষেত্রে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরাধ সংঘটিত হয়।
কিন্তু
কিন্তু ১৪৯ ধারায় সাধারণ উদ্দেশ্যর ক্ষেত্রে কোন সাধারণ অভিপ্রায় বা
পূর্ব পরিকল্পনা নাও থাকতে পারে।
২. সংখ্যাগত পার্থক্য
৩৪ ধারা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ বা ততোধিক এমনকি সেটা ৫ জনের কমও হতে পারে। ৩৪ ধারা প্রয়োগ করে সর্বনিম্ন ২ জনকে দণ্ডিত করা যায়।
কিন্তু
১৪৯ ধারার অধীন সাধারণ উদ্দেশ্য প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ জন ব্যক্তি থাকতে হবে (৫ বা ততোধিক)। ১৪৯ ধারা প্রয়োগ করে
সর্বনিম্ন ৫ জনকে দণ্ডিত করা যায়।
৩. অংশগ্রহণ এবং উপস্থিতি
৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় এর ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনে প্রকৃত অংশগ্রহণ (actual participation) থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে উপস্থিতি [Presence] গুরুত্বপূর্ণ না। শুধুমাত্র উপস্থিত থাকা ৩৪
ধারায় দায়ী করার জন্য
যথেষ্ট না বরং কোন কার্যের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
কিন্তু
১৪৯ ধারার ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ [Participation] প্রয়োজনীয় না। সাধারণ উদ্দেশ্য নিয়ে বেআইনী সমাবেশের সদস্য হিসাবে অপরাধ সংঘটনে শুধুমাত্র উপস্থিতি [Mere presence] যথেষ্ট। অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ করুক বা না
করুক শুধুমাত্র সাধারণ
উদ্দেশ্য নিয়ে বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়ার জন্য ১৪৯ ধারায় অপরাধী হবে।
8. স্বতন্ত্র অপরাধ [Substantive Offence]
৩৪ ধারা কোন স্বতন্ত্র অপরাধ সৃষ্টি করেনা বরং কতিপয়
ব্যক্তিকে যৌথভাবে দায়ী করার জন্য এটা সাক্ষ্য আইনের একটি নীতি।
কিন্তু
১৪৯ ধারা ও স্বতন্ত্র অপরাধ সৃষ্টি করেনা বরং বেআইনী সদস্য
হিসাবে পরার্থে দায়ী হবে যদি বেআইনী সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কোন অপরাধ
সংঘটন করে।
একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায় মধ্যে পার্থক্য কি? [What is the difference
between Similar Intention and Common Intention?):
একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায়ের মধ্যে পার্থক্য আছে।
অভিন্ন অভিপ্রায় হতে হলে কোন নির্দিষ্ট কার্য করতে পূর্বপরিকল্পনা থাকতে হবে।
কিন্তু একই অভিপ্রায়ের ক্ষেত্রে পূর্বপরিকল্পনা প্রয়োজনীয় না। যেমন
৪ জন ব্যক্তির চুরি করার অভিপ্রায় থাকতে পারে। কিন্তু চুরির বিষয়ে তাদের মধ্যে
কোন পূর্ব আলোচনা হয়নি। তারা একই দিনে একই স্থানে চুরি করতে গেলো। এই ক্ষেত্রে
তাদের যে চুরি করার অভিন্ন অভিপ্রায় আছে তা বলা যাবেনা যদিও তাদের অভিপ্রায় একই।
যদি এই ৪ জন্য ব্যক্তি তাদের এই একই অভিপ্রায় বা চুরির বিষয়টি নিয়ে পূর্ব
পরিকল্পনা করতো তাহলে তাদের মধ্যে চুরি করার অভিন্ন অভিপ্রায় সৃষ্টি হতো।
টপিকস
অবৈধ লাভ কাকে বলে? অবৈধ ক্ষতি কাকে বলে? ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় কাকে বলে? অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় কি? ৩৪ ধারায় অভিন্ন অভিপ্রায় এবং যৌথদায় এর শর্তসমূহ কি কি? অপরাধমূলক জ্ঞান এবং অভিপ্রায় নিয়ে অপরাধ করলে যৌথ দায় কি? কতিপয় কার্যের একটি সম্পাদনের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করলে যৌথ দায় কি? অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে নিয়োজিত বা জড়িত থাকলে যৌথ দায় কি? সাধারণ অভিপ্রায় এবং সাধারণ উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য কি? একই অভিপ্রায় এবং অভিন্ন অভিপ্রায় মধ্যে পার্থক্য কি?
ইউটিউব ভিডিও - অবৈধ লাভ ক্ষতি কাকে বলে ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে পরার্থ দায় কাকে বলে