Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

অপরাধ দমন শান্তি-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ গণ উপদ্রব নিবারণের জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা

অপরাধ দমন [Prevention of Offences]।
[ধারা ১০৬ থেকে ১২৬ক] শান্তি এবং সদাচরণের জন্য মুচলেকা।
শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা। ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি রক্ষা বা সদাচরণের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারে।
মুচলেকা না প্রদানের শাস্তি।
বেআইনী সমাবেশ কি?
১৪৪ ধারা জারি।
যখন ১৪৪ ধারা জারি করা যায়।
স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ।

 অপরাধ দমন [Prevention of Offences]

ফৌজদারী কার্যবিধিতে অপরাধ দমন, শান্তি-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ কিংবা গণ উপদ্রব নিবারণের জন্য কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) কে দেওয়া হয়েছে ।

১. শান্তি রক্ষা ও সদাচরণের জন্য মুচলেকা (ধারা-১০৬-১২৬ ক)

২. বেআইনী সমাবেশ (ধারা-১২৭-১৩২)

৩. জনসাধারণের উৎপাত (ধারা-১৩২ক-১৪২)

৪. উৎপাত বা আসন্ন বিপদের জরুরী ক্ষেত্রে আদেশ (১৪৪ ধারা জারী)

৫. স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ (ধারা ১৪৫)


[ধারা ১০৬ থেকে ১২৬ক] শান্তি এবং সদাচরণের জন্য মুচলেকা

ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৬ ধারায় মুচলেকার আদেশের উদ্দেশ্য হলো অপরাধ প্রবণ ব্যক্তি যাতে ভবিষ্যতে কোন অপরাধ না করে । ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৬ থেকে ১২৬ক পর্যন্ত সাধারণত নিম্নলিখিত ২টি উদ্দেশ্যে মুচলেকার আদেশ দেওয়া হয়।

১. শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা [Security for keeping the peace]

২. সদাচরণের জন্য মুচলেকা [Security for good behaviour]

শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা

[ধারা ১০৬ থেকে ১৫৩]

১. দণ্ডিত হবার পর শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা [ধারা-১০৬]

২. অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষার মুচলেকা [ধারা-১০৭]

১০৬ ধারার অধীনে দন্ডিত হবার পর শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা দেওয়া হয়। যে আদালতে আসামী দন্ডপ্রাপ্ত হয় সেই আদালত তিন (৩) বছরের অনধিক সময়ের জন্য শান্তি রক্ষার জন্য আসামীকে মুচলেকা প্রদানের আদেশ দিতে পারে। আবার ১০৭ ধারার অধীনে (দন্ডিত হওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া) অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা দিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে উক্ত মুচলেকা ১ বছরের অধিক সময়ের জন্য হবে না।

১০৬ ধারায় দন্ডিত হওয়ার পর শান্তিরক্ষার জন্য মুচলেকার আদেশ আপীল আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগ ও তার রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগে দিতে পারে। যে দণ্ডের সাথে শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা দেওয়া হয়েছিল, সেই দণ্ডটি আপীলে বাতিল হলে, উক্ত মুচলেকা বা বণ্ড বাতিল হয়ে যাবে। ১০৬ এবং ১০৭ ধারার মধ্যে পার্থক্য হলো এই যে, ১০৬ ধারায় যে আদালত আসামীকে দণ্ড দেয় সেই আদালত শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারে। ১০৭ ধারার অধীন, শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকার আদেশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে পারে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি রক্ষা বা সদাচরণের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারে

ধারা - ১০৭ ( দণ্ডিত হওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া) অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকার আদেশ (সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য)

ধারা - ১০৮ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বিষয় প্রচারকারী ব্যক্তির সদাচরণের মুচলেকা (সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য)

ধারা - ১০৯ ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সদাচরণের মুচলেকা (সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য)

ধারা - ১১০ অভ্যাসগত অপরাধীদের সদাচরণের মুচলেকা (সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য)

১০৭ থেকে ১১০ ধারা পর্যন্ত যে ব্যক্তিকে কেন মুচলেকা দিবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাকে মুচলেকা দেওয়ার আদেশ ১১৮ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট দিতে পারে। এই মুচলেকার পরিমাণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে এবং এটা অত্যাধিক হবে না। ম্যাজিস্ট্রেট ১১৮ ধারায় মুচলেকার আদেশ দিলে তা আপীলযোগ্য আদেশ।


মুচলেকা না প্রদানের শাস্তি:

যে ব্যক্তিকে মুচলেকার আদেশ দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি মুচলেকা প্রদান না করলে, জামানত খেলাপের জন্য আদালত তাকে কারাদণ্ড দিতে পারে যার মেয়াদ ৩ বছরের অধিক হবে না [ধারা-১২৩(৩) । মুচলেকা দিতে অপারগতার জন্য যে ব্যক্তি কারারুদ্ধ হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাকে মুক্তি দিতে পারে যদি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করে দণ্ডিত ব্যক্তিকে মুক্তি দিলে সমাজের বা কোন লোকের বিপদ ঘটবে না।


১০৬ এবং ১০৭ ধারার অধীন শান্তি রক্ষার মুচলেকা দিতে না পারার ফলে যে কারাদণ্ড হবে তা বিনাশ্রম হবে। ১০৮ ধারার অধীন সদাচরণের মুচলেকা দিতে ব্যর্থ হবার কারণে প্রদত্ত কারাদণ্ড বিনাশ্রম হবে। অন্যদিকে ১০৯ এবং ১১০ ধারার অধীন সদাচরণের মুচলেকা দিতে ব্যর্থ হবার কারণে প্রদত্ত কারাদণ্ড সশ্রম বা বিনাশ্রম হতে পারে। মুচলেকা না প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তি দণ্ডপ্রাপ্ত হলে সে উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেনা কিন্তু রিভিশন করতে পারবে।

বেআইনী সমাবেশ কি?

[Unlawful Assemblies]

[ধারা ১২৭ থেকে ১৩২]


১২৭ ধারা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দিতে পারে। যদি অন্য কোন উপায়ে ছত্রভঙ্গ করা না যায়, তখন জন নিরাপত্তার স্বার্থে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে একটি বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা যায়।মেট্রোপলিটন এলাকায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ দ্বারা বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দিতে পারে

পুলিশ কমিশনার এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সর্বোচ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

১৪৪ ধারা জারি

যে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে

ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করতে পারে-

১. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা

২. সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যকোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা

৩. ১৪৪ ধারার অধীন দায়িত্বপালন করতে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

যখন ১৪৪ ধারা জারি করা যায়:

যদি এমন ম্যাজিস্ট্রেট মনে করে যে, তার ১৪৪ ধারার নির্দেশ-

১. আইনসঙ্গতভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির প্রতি প্রতিবন্ধকতা, বিরক্তি বা আঘাত বা প্রতিবন্ধকতা, বিরক্তি বা আঘাতের ঝুঁকি সম্ভবত প্রতিরোধ করবে বা নিবারণে সহায়তা করবে; বা

২. মনুষ্য জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার প্রতি বিপদ সম্ভবত প্রতিরোধ করবে বা নিবারণে সহায়তা করবে; বা 

৩. কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা সম্ভবত প্রতিরোধ করবে বা নিবারণে সহায়তা করবে;

সেই ক্ষেত্রে আশু প্রতিরোধ বা দ্রুত প্রতিকার বিধান করতে, এমন ম্যাজিস্ট্রেট কোন ব্যক্তিকে কোন কার্য করা হতে বিরত থাকতে বা যে কোন ব্যক্তিকে তার দখলীয় বা পরিচালনাধীন কোন সম্পত্তির ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারে।

স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ

[Disputes as to Immovable Property]

[ধারা ১৪৫ থেকে ১৪৮]

১৪৫ ধারার অধীন স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ দেখা দিলে জেলা ম্যাজিস্টেট বা সরকার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ প্রদান করে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৫ ধারার আদেশ জারি করবে যদি তার অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে জমি বা পানি বা উহার সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিরোধ রয়েছে যা শান্তিভঙ্গ করতে পারে। ১৪৫ ধারার আদেশের অব্যবহিত পূর্ববর্তী ২ (দুই) মাসের মধ্যে যে পক্ষকে বলপূর্বক এবং বেআইনীভাবে বেদখল করা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত বেদখলকৃত ব্যক্তিকে উক্ত তারিখে দখলদার বলে মনে করবে। ১৪৪ থেকে ১৪৮ ধারা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত সকল আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়।

টপিকস

অপরাধ দমন [Prevention of Offences]। [ধারা ১০৬ থেকে ১২৬ক] শান্তি এবং সদাচরণের জন্য মুচলেকা। শান্তি রক্ষার জন্য মুচলেকা। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি রক্ষা বা সদাচরণের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারে। মুচলেকা না প্রদানের শাস্তি। বেআইনী সমাবেশ কি? ১৪৪ ধারা জারি। যখন ১৪৪ ধারা জারি করা যায়। স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ।

Video অপরাধ দমন শান্তি-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ গণ উপদ্রব নিবারণের জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a