- Get link
- X
- Other Apps
অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান।
বিচার এবং অনুসন্ধানের সাধারণ স্থান।
বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের দায়।
অভিযোগের ধরন প্রসঙ্গে।
চার্জ বা অভিযোগ [Charge] কি?
পৃথক অপরাধসমূহের পৃথক চার্জ বা অভিযোগ গঠন করতে হবে।
অভিযোগসমূহের একত্রিকরণ।
ফৌজদারী কার্যবিধির ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ৭ শ্রেণীর ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
বিচার এবং অনুসন্ধানের সাধারণ স্থান।
বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের দায়।
অভিযোগের ধরন প্রসঙ্গে।
চার্জ বা অভিযোগ [Charge] কি?
পৃথক অপরাধসমূহের পৃথক চার্জ বা অভিযোগ গঠন করতে হবে।
অভিযোগসমূহের একত্রিকরণ।
ফৌজদারী কার্যবিধির ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ৭ শ্রেণীর ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান
[Place of Inquiry or Trial]
[ধারা ১৭৭ থেকে ১৮৯]
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৭ থেকে ১৮৯ পর্যন্ত অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন অপরাধের বিচার বা অনুসন্ধান কোন স্থানের আদালতে হবে তা নির্ধারণের পদ্ধতি এই সকল ধারাগুলোতে আলোচনা করা হয়েছে।
বিচার এবং অনুসন্ধানের সাধারণ স্থান [ধারা ১৭৭] :
১৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, যে আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থানীয় সীমার মধ্যে অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে, সেই আদালতে মামলাটির বিচার হবে। ১৭৯ ধারায় বলা হয়েছে ‘অপরাধ যে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে সংঘটিত হয় সেই আদালতে অথবা যে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে অপরাধের পরিণাম দেখা দিয়েছে সেই আদালতে উক্ত অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার করা যাবে।
বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের দায় [ধারা ১৮৮]
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৮ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪ ধারা উভয় একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৮ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪ ধারা বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন যেকোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী দুইটি (২) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে বিচার করা যাবে।
১.যখন বাংলাদেশের কোন নাগরিক বাংলাদেশের বাইরে কোন স্থানে কোন অপরাধ করে।
২.যখন কোন ব্যক্তি [বাংলাদেশী বা বিদেশী) বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোন জাহাজ বা বিমানে, তা যেখানেই থাকে না কেন, কোন অপরাধ করে।
অভিযোগের ধরন প্রসঙ্গে [ধারা-২২১-২৪০]
চার্জ বা অভিযোগ [Charge] কি?
ফৌজদারী কার্যবিধির ২২১ থেকে ২৪০ পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়বস্তু, গঠনপ্রণালী এবং আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণনা হয়েছে। অভিযোগের সারমর্মই হলো চার্জ। আসামী অপরাধ করেছে কিনা, কোন স্থানে করেছে এবং কোন সময়ে করেছে তা চার্জে উল্লেখ থাকে। রায় ঘোষণার পূর্বে যেকোনো পর্যায়ে আদালত অভিযোগ পরিবর্তন বা নতুন অভিযোগ গঠন করতে পারে [ধারা-২২৭/। অভিযোগ পরিবর্তনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়। চার্জে প্রয়োজনীয় কোন অপরাধ বা বিষয় উল্লেখ করতে কোন ভুল বা উল্লেখ না করা মোকদ্দমার কোন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য হবেনা। তবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যদি এটা অভিযুক্তকে বিভ্রান্ত করে বা ন্যায় বিচার বিঘ্ন করলে [ধারা ২২৫]।
পৃথক অপরাধসমূহের পৃথক চার্জ বা অভিযোগ গঠন করতে হবে [ধারা ২৩৩]
২৩৩ ধারায় বিধান করা হয়েছে, প্রত্যেকটি পৃথক অপরাধের জন্য পৃথক চার্জ বা অভিযোগ গঠন করতে হবে এবং এমন প্রত্যেকটি চার্জ বা অভিযোগ পৃথকভাবে বিচার করতে হবে।
ক একটি ক্ষেত্রে চুরির জন্য অভিযুক্ত এবং অন্য ঘটনায় মারাত্মক জখমের জন্য অভিযুক্ত। চুরি এবং মারাত্মক জখমের জন্য ক-এর বিরুদ্ধে পৃথকভাবে চার্জ গঠন করতে হবে এবং পৃথকভাবে বিচার করতে
অভিযোগসমূহের একত্রিকরণ
২৩৩ ধারার পৃথক অপরাধের জন্য পৃথক চার্জ গঠন ও পৃথক বিচারের বিধান ২৩৪, ২৩৫, ২৩৬ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। অর্থাৎ ২৩৪, ২৩৫, ২৩৬ এবং ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক অপরাধসমূহ একত্রে চার্জ গঠন করে একত্রে বা যৌথভাবে বিচার করা যাবে।
একই ধরণের তিনটি (৩) অপরাধ এক (১) বৎসরের মধ্যে হলে একত্রে অভিযোগ গঠন করে একত্রে বিচার করা যাবে [২৩৪]।
২৩৫ ধারায় ৩টি ক্ষেত্রে একের অধিক অপরাধসমূহ একত্রে চার্জ গঠন করে যৌথভাবে বা একত্রে বিচার করা যাবে। ২৩৫(১) ধারায় বিধান করা হয়েছে, “অনেকগুলি কার্য যদি এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যেন একই কার্যের অংশ গঠন করে এবং একই ব্যক্তি উক্ত কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে একাধিক অপরাধ করে, ক্ষেত্রে এমন প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে একই বিচারে বিচার করা যেতে পারে”।
উদাহরণঃ ক ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে দিনের আলোয় ঘর ভাঙ্গে এবং ঘরে প্রবেশ করে খ-এর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার সংঘটন করে। ২৩৩ ধারা অনুসারে ক-এর বিরুদ্ধে অপথে গৃহে প্রবেশের জন্য ৪৫৪ ধারায় এবং ব্যভিচারের জন্য ৪৯৭ ধারায় পৃথকভাবে চার্জ গঠন করে পৃথকভাবে বিচার করতে হবে। কিন্তু যেহেতু এই দুইটি অপরাধ এমনভাবে সংযুক্ত যে এই অপরাধসমূহ একই কার্যের অংশ এবং একই ব্যক্তি সংঘটন করেছে, সেহেতু ২৩৫(১) ধারা অনুসারে এই দুইটি অপরাধসমূহে একই বিচারে বিচার করা যাবে। একই কার্যের অংশ হিসাবে একই ব্যক্তি একাধিক অপরাধ করলে ২৩৫(১) ধারা অনুসারে উক্ত প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য চার্জ গঠন করে একই বিচারে বিচারে করা যাবে।
২৩৬ ধারা অনুসারে কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকলে, অভিযুক্তকে সংঘটিত সকল বা এমন অপরাধসমূহের কোন একটি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করে একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
যে সকর ব্যক্তিদের একত্রে বা যৌথভাবে বিচার করা যেতে পারে [২৩৯]
ফৌজদারী কার্যবিধির ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ৭ শ্রেণীর ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে:
ক. একই কার্যে প্রক্রিয়ায় সংঘটিত একই অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে;
খ. কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপসহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ, বা এমন অপরাধ সংঘটনে প্রচেষ্টাকারী ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে। যেমন খুন সংঘটনকারী এবং খুনে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের একত্রে চার্জ গঠন করে একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
গ.২৩৪ ধারার অর্থ অনুসারে ১২ মাসের মধ্যে যৌথভাবে সংঘটিত একই প্রকারের একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
ঘ.একই কার্য প্রক্রিয়ায় সংঘটিত ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যাবে।
ঙ.যখন কোন এক ব্যক্তি চুরি, বলপূর্বক গ্রহণ, বা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ অপরাধে অভিযুক্ত এবং অন্য ব্যক্তি উক্ত চোরাই মাল গ্রহণ করেছে বা দখলে রেখেছে, সেই ক্ষেত্রে এই দুই ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
চ.যে ব্যক্তিগণ দণ্ডবিধির ৪১১ এবং ৪১৪ ধারায় চোরাই মালের জন্য অভিযুক্ত এবং যে অপরাধের দ্বারা উক্ত মালের দখল হস্তান্তর করা হয়েছে, এমন অপরাধদ্বয় একত্রে বিচার করা যাবে।
ছ.দণ্ডবিধির ১২নং অধ্যায়ের অধীন মুদ্রা সম্পর্কিত অপরাধ এবং এমন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্রচেষ্টার অপরাধ একত্রে বিচার করা যাবে।
টপিকস
অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান। বিচার এবং অনুসন্ধানের সাধারণ স্থান। বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধের দায়। অভিযোগের ধরন প্রসঙ্গে। চার্জ বা অভিযোগ [Charge] কি? পৃথক অপরাধসমূহের পৃথক চার্জ বা অভিযোগ গঠন করতে হবে। অভিযোগসমূহের একত্রিকরণ। ফৌজদারী কার্যবিধির ২৩৯ ধারায় উল্লেখিত ৭ শ্রেণীর ব্যক্তিদের একত্রে বিচার করা যেতে পারে।
Video অনুসন্ধান বিচারের স্থান অভিযোগের ধরন চার্জ কি অভিযোগসমূহের একত্রিকরণ