- Get link
- X
- Other Apps
মিথ্যা, তুচ্ছ অথবা বিরক্তিকর অভিযোগ।
ক্ষতিপূরণ [Compensation] প্রদানের আদেশ।
ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল।
কারাবাস এবং জরিমানা Fine প্রদানের আদেশ।
সংক্ষিপ্ত বিচার Summary Trial।
২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা।
সংক্ষিপ্ত বিচার Summary Trial (ধারা ২৬০ থেকে ধারা ২৬৫ পর্যন্ত)
২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা:
ক্ষতিপূরণ [Compensation] প্রদানের আদেশ।
ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল।
কারাবাস এবং জরিমানা Fine প্রদানের আদেশ।
সংক্ষিপ্ত বিচার Summary Trial।
২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা।
মিথ্যা, তুচ্ছ অথবা বিরক্তিকর অভিযোগ (ধারা ২৫০)
২৫০ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারী বা প্রাথমিক তথ্যদাতাকে মিথ্যা, তুচ্ছ (Frivolous)
বা বিরক্তিকর (Vexatious) অভিযোগ দায়েরের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিতে পারে।
ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করে তার নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা, তুচ্ছ বা বিরক্তিকর,
তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদের অব্যাহতি এবং খালাসের আদেশের পাশাপাশি, অভিযোগকারীকে
কারণ দর্শাতে বলবে যে, কেন আসামীকে বা আসামীদের ক্ষতিপূরণ দিবে না।
ক্ষতিপূরণ [Compensation] প্রদানের আদেশ:
ফরিয়াদী বা সংবাদদাতা যে কারণ দর্শাবেন, ম্যাজিস্ট্রেট তা বিবেচনা
করে যদি সন্তুষ্ট হন যে, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, তাহলে তিনি অভিযুক্ত
পক্ষকে অনধিক ১০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদানের জন্য ফরিয়াদী বা সংবাদদাতাকে নির্দেশ
দিতে পারে এবং তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হলে অনধিক ৫০০ টাকা প্রদানের আদেশ দিতে
পারবেন [ধারা ২৫০ (২)]। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে উক্ত
ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে, সে অনধিক ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড
ভোগ করবে [ধারা ২৫০ (২ক)]|
ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল [ধারা ২৫০ (৩)|
২৫০ ধারায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষতিপূরণের আদেশ দিলে বা
অন্য কোন ম্যাজিটে ১০০ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণের আদেশ দিলে, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত
আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ সম্পর্কিত বিষয়ে আপিল দায়ের
করতে পারবে।
কারাবাস এবং জরিমানা Fine প্রদানের আদেশ [ধারা ২৫০ (৫)]:
২৫০ (২) ধারায় যে অভিযোগকারী বা সংবাদদাতার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ
দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৬ মাসের
কারাবাস এবং অনধিক ৩০০০ টাকা জরিমানা করতে পারে।
সংক্ষিপ্ত বিচার Summary Trial (ধারা ২৬০ থেকে ধারা ২৬৫ পর্যন্ত)
সংক্ষিপ্ত বিচার বলতে এমন বিচার অন্তর্ভুক্ত করে যা দ্রুত নিষ্পত্তির
জন্য করা হয়। গুরুতর নয় এমন অপরাধ এবং যে অপরাধমূলক কাজের জন্য লঘু শাস্তি হয়, সেসব অপরাধ গুলোর বিচার
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে করা যায়। যে সকল ম্যাজিস্ট্রেট সংক্ষিপ্ত বিচার করতে
পারে এবং যে সকল অপরাধগুলো সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করা যায় তা ২৬০ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে
বিচারের প্রক্রিয়া এবং শাস্তি প্রদানের সীমা সম্পর্কে ২৬২ ধারায়
আলোচনা করা হয়েছে।
২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা:
নিম্নলিখিত ম্যাজিস্ট্রেটগণ সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারে-
ক) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
খ) ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
গ) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এমন
কোন ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ
সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে কোন অপরাধে কোন ব্যক্তি অপরাধী হলে তাকে দুই (২) বছরের
অধিক মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে না। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট
সর্বোচ্চ ২ বৎসরের কারাবাস দিতে পারে। এটা বলা হয়েছে ধারা ২৬২(২)এ। সংক্ষিপ্ত
বিচারের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ২০০ টাকার বেশি জরিমানা না করলে, তার বিরুদ্ধে আপীল
করা যাবে না। অর্থাৎ ২০০ টাকার বেশি জরিমানা করলে, আপীল করা যাবে (ধারা ৪১৪)।
টপিকস
মিথ্যা, তুচ্ছ অথবা বিরক্তিকর অভিযোগ। ক্ষতিপূরণ [Compensation] প্রদানের আদেশ। ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল। কারাবাস এবং জরিমানা Fine প্রদানের আদেশ। সংক্ষিপ্ত বিচার Summary Trial। ২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা।