Skip to main content

ফৌজদারী মামলার বিচার আসামীর অব্যাহতি চার্জ গঠন খালাস শাস্তি

ফৌজদারী মামলার বিচার প্রক্রিয়া (Trial of Criminal Cases)
আসামীর অব্যাহতি [Discharge of the Accused]
চার্জ গঠনের শুনানী ও অব্যাহতির আবেদন।
অব্যাহতির ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বিবেচনা করা হয়?
মামলার রেকর্ড কি? ও রেকর্ডের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র বলতে কি বুঝায়?
কখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কখন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়?
আসামীকে অব্যাহতি দিলে ফরিয়াদীর কি প্রতিকার রয়েছে?
চার্জ গঠন কাকে বলে? [Framing of Charge]
অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড বিরুদ্ধে প্রতিকার।
ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে দোষ স্বীকার না করলে পদ্ধতি।
ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে খালাস বা শাস্তির বিধান।
নালিশকারীর অনুপস্থিতি ও খালাস।
অভিযোগকারী কর্তৃক নালিশ প্রত্যাহার ও আত্মপক্ষ সমর্থনের আহ্বান।
কার্যক্রম বন্ধের ক্ষমতা যে ক্ষেত্রে কোন নালিশকারীর নেই ও যুক্তিতর্ক।
দায়রা আদালতে খালাস বা দণ্ডাদেশের রায়।

ফৌজদারী মামলার বিচার প্রক্রিয়া (Trial of Criminal Cases)

ফৌজদারী মামলার বিচার


ফৌজদারী মামলার বিচার হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ধারা ২৪১ থেকে ২৫০), ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে (ধারা ২৬০ থেকে ২৬৫) এবং দায়রা আদালতে (ধারা ২৬৫ক থেকে ২৬৫ঠ)।

“মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার পর সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত চার্জ শুনানীর জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে। উক্ত শুনানীর দিনে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির অব্যাহতি দরখাস্তেরও শুনানী করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে আদালত অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিতে পারে। অভিযুক্ত অপরাধ করেছে বলে মনে করার কারণ আছে বলে আদালত মনে করলে এবং অভিযুক্ত দোষ স্বীকার না করলে, আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করবে। এই চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে ফৌজদারী মামলার বিচার শুরু হয়”। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দায়রা আদালতে ফৌজদারী মামলার বিচারের ক্ষেত্রে কতিপয় পদ্ধতি একই প্রকৃতির। যেমন অব্যাহতি, চার্জ গঠন, দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড, শাস্তি বা খালাস ইত্যাদি। তাই, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার এবং দায়রা আদালতে বিচার একত্রে আলোচনা করা হলো।

আসামীর অব্যাহতি [Discharge of the Accused] [ধারা ২৪১ক ও ২৬৫গ]:

ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১ক ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অভিযুক্তকে অব্যাহতি এবং ২৬৫গ ধারায় দায়রা আদালত কর্তৃক অভিযুক্তকে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

চার্জ গঠনের শুনানী ও অব্যাহতির আবেদন :

ফৌজদারী মামলার বিচার শুরুর পূর্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১ক ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা ২৬৫গ ধারায় দায়রা আদালত চার্জ গঠনের শুনানীর জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করে। ২৪১ক ধারায় বা ২৬৫গ ধারায় উক্ত চার্জ গঠনের শুনানীর সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে অব্যাহতির আবেদন করতে পারে। ২৪১ক ধারায় ও ২৬৫গ ধারায় চার্জ গঠনের শুনানী এবং অব্যাহতির আবেদনের শুনানী একই দিনে হতে হবে। চার্জ শুনানী শেষে যদি আদালত মনে করে যে অভিযোগ ভিত্তিহীন, তাহলে চার্জ গঠন না করে তথা চার্জ গঠনের পূর্বে অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিবে।

অব্যাহতির ক্ষেত্রে কি কি  বিষয় বিবেচনা করা হয়?

অভিযুক্ত ব্যক্তির অব্যাহতি পাওয়ার দরখাস্ত বিবেচনার সময় ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়রা আদালত মামলার রেকর্ড এবং উক্ত রেকর্ডের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজন মনে করলে, অভিযুক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি নিবে (যদি থাকে) এবং প্রসিকিউশন এবং অভিযুক্তকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিবে

মামলার রেকর্ড কি? ও রেকর্ডের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র বলতে কি বুঝায়?

২৪১ক ধারায় এবং ২৬৫গ ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির অব্যাহতির আবেদন শুনানীর সময় ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়রা আদালত (যেমনটি প্রযোজ্য) শুধুমাত্র মামলার রেকর্ড এবং উক্ত রেকর্ডের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা করবে। মামলার রেকর্ড অর্থ হলো ১৭৩ ধারায় দাখিলকৃত পুলিশ রিপোর্ট। রিপোর্টের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র অর্থ হলো পুলিশ কর্তৃক ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধকৃত সাক্ষীদের জবানবন্দি, ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধকৃত বিবৃতি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট, সুরতহাল রিপোর্ট, জব্দ তালিকা, মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি। দাখিলকৃত অনুসন্ধান রিপোর্ট বিবেচনা করা ছাড়া চার্জ গঠন করা যায় না।

কখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কখন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়?

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করার পর, যদি ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়রা আদালত মনে করে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন হবে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট ২৪১ক ধারায় এবং দায়রা আদালত ২৬৫গ ধারায় অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিতে পারে। কিন্তু অভিযুক্ত অপরাধ করেছে বলে অনুমান করার কারণ আছে বলে ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়রা আদালত মনে করলে, ম্যাজিস্ট্রেট ২৪২ ধারায় এবং দায়রা আদালত ২৬৫ঘ ধারায় চার্জ গঠন করবে।

আসামীকে অব্যাহতি দিলে ফরিয়াদীর কি প্রতিকার রয়েছে?

২৪১ক ধারার অধীন ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে অব্যাহতির আদেশ দিলে দায়রা জজের নিকট রিভিশন দায়ের করতে পারবে বা ২৬৫গ ধারায় দায়রা আদালত অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিলে, ফরিয়াদী বা রাষ্ট্রপক্ষ উক্ত অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন করতে পারে।

চার্জ গঠন কাকে বলে? [Framing of Charge] [ধারা ২৪২ ও ২৬৫ঘ]

বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট বা দায়রা আদালতে বিচারের জন্য মামলা পাঠানো হলে তখনই চার্জ গঠনের প্রশ্ন ওঠে। ২৪১ক ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট বা ২৬৫গ ধারায় দায়রা আদালত চার্জ গঠনের শুনানীর সময় যে সকল বিষয় বিবেচনা করে এবং উভয়পক্ষের শুনানীর পর যদি মনে করে যে, অভিযুক্ত অপরাধ করেছে বলে অনুমান করার যুক্তি আছে সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ২৪২ ধারায় এবং দায়রা আদালত ২৬৫ঘ ধারায় আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন করবে।

অভিযুক্ত অপরাধ করেছে বলে অনুমান করার যুক্তি থাকলে এবং অভিযুক্ত দোষ স্বীকার না করলে আদালত চার্জ গঠন করবে এবং চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড [Conviction on Plea of Guilty] [ধারা ২৪৩ ও ২৬৫ঙ]

ম্যাজিস্ট্রেট ২৪৩ ধারায় এবং দায়রা আদালত ২৬৫ঙ ধারায় অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দণ্ড দিতে পারে।

অভিযোগ গঠনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা দায়রা আদালত (যেমনটি প্রযোজ্য হয়) আসামীকে প্রশ্ন করবে যে, তাকে যে অপরাধে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বা তার বিরুদ্ধে যে অপরাধে চার্জ গঠন করা হচ্ছে সেই অপরাধটি করেছে বলে সে স্বীকার করে কিনা। যদি আসামী স্বীকার করে যে, সে অপরাধটি করেছে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট ২৪৩ ধারায় এবং দায়রা আদালত ২৬৫ঙ ধারায় অভিযুক্তকে দোষস্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ডিত করতে পারে।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড বিরুদ্ধে প্রতিকার:

ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪১২ ধারা অনুসারে, যেক্ষেত্রে অভিযুক্ত দোষ স্বীকার [pleads guilty] করেছে এবং দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে দণ্ডিত ব্যক্তি শুধুমাত্র শান্তির পরিমাণ বা বৈধতা ব্যতীত কোন আপীল করতে পারবেনা। যেহেতু দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো আপীলের বিধান নেই, সেহেতু এই ক্ষেত্রে ৪৩৯ বা ৪৩৯ক ধারায় রিভিশন দায়ের করতে পারবে।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে দোষ স্বীকার না করলে পদ্ধতি [ধারা ২৪৪ ও ২৬৫চ]

১.ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যদি ম্যাজিস্ট্রেট ২৪৩ ধারায় অভিযুক্তকে দণ্ডিত না করে বা অভিযুক্ত যদি এমন স্বীকৃতি প্রদান না করে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারীর বক্তব্য শ্রবণ করবে এবং নালিশকারীর সমর্থনে প্রদত্ত সকল সাক্ষ্য গ্রহণ করবে এবং আসামীর বক্তব্য শ্রবণ করবে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রদত্ত সাক্ষ্য প্রমাণও গ্রহণ করবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোন আদালত যখন নালিশ করে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট নালিশকারী হিসাবে কারো বক্তব্য শুনতে বাধ্য থাকবেনা।

২. ম্যাজিস্ট্রেট যদি উপযুক্ত মনে করে, তাহলে ফরিয়াদি বা আসামীর আবেদনক্রমে কোন সাক্ষীর প্রতি হাজির হওয়ার বা কোন দলিল বা বস্তু দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করতে পারে। অন্যদিকে ২৬৫চ ধারায় দায়রা আদালতে যদি অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার করে, বা অপরাধ স্বীকার করে না, বা বিচার প্রার্থনা করে বা ২৬৫ঙ ধারায় দণ্ডিত হয় না, তাহলে আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবে; এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে যেকোন সাক্ষীকে হাজির হতে বা কোন দলিল বা অন্য কিছু আদালতে উপস্থিত করতে বাধ্য করতে যেকোনো প্রসেস ইস্যু (সমন বা ওয়ারেন্ট জারি) করতে পারে।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে খালাস বা শাস্তির বিধান।[ধারা ২৪৫ ও ২৬৫ছ]

১. ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৪৪ ধারায় বর্ণিত সাক্ষ্য গ্রহণ সাক্ষ্য করে এবং তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যে অতিরিক্ত সাক্ষ্য (যদি থাকে)হাজির করতে বলে তা গ্রহণ করে এবং তিনি যদি উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করার পর ম্যাজিস্ট্রেট যদি আসামীকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করে, তাহলে তিনি খালাসের আদেশ লিপিবদ্ধ করবে।

২. শাস্তি

যখন ম্যাজিস্ট্রেট ৩৪৯ ধারা অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ না করে এবং আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে, তখন তিনি আসামীকে আইন অনুসারে দণ্ড দিতে পারে।

অন্যদিকে ২৬৫ছ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যের জন্য নির্ধারিত তারিখে, প্রসিকিউশন পক্ষের সমর্থনে হাজিরকৃত সকল সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করবে। আদালত তার বিবেচনামূলক ক্ষমতাবলে কোন একজন সাক্ষীর জেরা অন্যান্য সাক্ষীর বা সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারে, অথবা কোন সাক্ষীকে আরো জেরা করার লক্ষ্যে পুনরায় ডাকতে পারে।

নালিশকারীর অনুপস্থিতি ও খালাস [ধারা ২৪৭ ও ২৬৫জ]

২৪৭ ধারায় বিধান করা হয়েছে, যদি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশকারী বরাবর সমন ইস্যু করা হয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির হাজিরার জন্য নির্ধারিত দিনে অভিযুক্ত হাজির হয় কিন্তু নালিশকারী হাজির হয় না, সেই ক্ষেত্রে আদালত অভিযুক্তকে

১. খালাস দিতে পারে বা

২. পরবর্তী কোন তারিখ পর্যন্ত মামলার শুনানী মুলতুবি রাখতে পারে কিন্তু অভিযোগকারী যদি সরকারী কর্মচারী হয় এবং তার ব্যক্তিগত হাজিরা প্রয়োজন না হলে, ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ব্যক্তিগত হাজির অব্যাহতি দিতে পারে এবং ম্যাজিস্ট্রেট মামলায় অগ্রসর হতে পারবে। অন্যদিকে ২৬৫জ ধারা মোতাবেক দায়রা আদালত প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগকারী পক্ষ ও আসামী পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করার পর আদালত যদি মনে করে যে, আসামী অপরাধ করেছে এরুপ কোন সাক্ষ্য নেই, তাহলে আদালত আসামীকে খালাস দেওয়ার আদেশ লিপিবদ্ধ করবে।

অভিযোগকারী কর্তৃক নালিশ প্রত্যাহার ও আত্মপক্ষ সমর্থনের আহ্বান (ধারা ২৪৮ ও ২৬৫ঝ)

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪৮ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের পূর্বে যে কোন সময় অভিযোগকারী নালিশ প্রত্যাহার করতে পারে। অভিযোগকারী নালিশ প্রত্যাহার করলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে খালাস (Acquittal) দিবে। অন্যদিকে ২৬৫ঝ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত

১. যেক্ষেত্রে আসামীকে ২৬৫জ ধারা অনুসারে খালাস দেওয়া হয়না, তখন তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের আহ্বান করার এবং তজ্জন্য কোন সাক্ষ্য থাকলে তা উপস্থিত করার আহ্বান জানাবে।

২. আসামী কোন লিখিত বিবৃতি দাখিল করলে আদালত নথিভুক্ত করবে।

কার্যক্রম বন্ধের ক্ষমতা যে ক্ষেত্রে কোন নালিশকারীর নেই ও যুক্তিতর্ক (ধারা ২৪৯ ও ২৬৫ঞ)

ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৪৯ ধারা অনুযায়ী Complaint ব্যতীত অন্যভাবে রুজুকৃত একটি ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে অন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেট। ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে মুক্তি (Release) দিতে পারে। অন্যদিকে ২৬৫ঞ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত আসামী পক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পর, প্রসিকিউশন তার মামলার সারসংক্ষেপ দাখিল করবে এবং আসামী বা তার উকিল উহার উত্তর প্রদানে অধিকারী হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যখন আসামীর উকিল আইনগত কোন প্রশ্ন উত্থাপন করে, তখন এরুপ আইনগত প্রশ্নের প্রসিকিউশন অনুমতিক্রমে তার বক্তব্য পেশ করতে পারবে।

দায়রা আদালতে খালাস বা দণ্ডাদেশের রায় (ধারা ২৬৫ট):

যুক্তিতর্ক এবং আইনগত প্রশ্ন (যদি থাকে) শ্রবণের পর আদালত মামলার রায় ঘোষণা করবে।

টপিকস

ফৌজদারী মামলার বিচার প্রক্রিয়া (Trial of Criminal Cases). আসামীর অব্যাহতি [Discharge of the Accused]. চার্জ গঠনের শুনানী ও অব্যাহতির আবেদন। অব্যাহতির ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বিবেচনা করা হয়? মামলার রেকর্ড কি? ও রেকর্ডের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র বলতে কি বুঝায়? কখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কখন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়? আসামীকে অব্যাহতি দিলে ফরিয়াদীর কি প্রতিকার রয়েছে? চার্জ গঠন কাকে বলে? [Framing of Charge] অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড। অভিযোগের সত্যতা স্বীকারের ভিত্তিতে দণ্ড বিরুদ্ধে প্রতিকার। ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে দোষ স্বীকার না করলে পদ্ধতি। ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতে খালাস বা শাস্তির বিধান। নালিশকারীর অনুপস্থিতি ও খালাস। অভিযোগকারী কর্তৃক নালিশ প্রত্যাহার ও আত্মপক্ষ সমর্থনের আহ্বান। কার্যক্রম বন্ধের ক্ষমতা যে ক্ষেত্রে কোন নালিশকারীর নেই ও যুক্তিতর্ক। দায়রা আদালতে খালাস বা দণ্ডাদেশের রায়।

Video ফৌজদারী মামলার বিচার আসামীর অব্যাহতি চার্জ গঠন খালাস শাস্তি

Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়