- Get link
- X
- Other Apps
পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]।
তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন [Substantive Law]।
যে সমস্ত আইন পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]।
যে সমস্ত আইন তত্ত্বগত আইন [Substantive Law]।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন।
ধারা ৫ -ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ।
তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন [Substantive Law]:
যে সমস্ত আইন পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]
যে সমস্ত আইন তত্ত্বগত আইন [Substantive Law]
তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন [Substantive Law]।
যে সমস্ত আইন পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]।
যে সমস্ত আইন তত্ত্বগত আইন [Substantive Law]।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন।
ধারা ৫ -ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ।
পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]:
যে আইনে কোন মোকদ্দমা বা মামলার বিচার করার
পদ্ধতি অর্থাৎ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা পর্যন্ত যে
সকল আইনী প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচার করতে হয়, সেই প্রক্রিয়া বা
পদ্ধতি বা নিয়ম যে আইনে উল্লেখ থাকে সেই নিয়ম সংশ্লিষ্ট আইনকে পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law or
Adjective Law) বলে। যেমন
ফৌজদারী কার্যবিধি, দেওয়ানী কার্যবিধি, তামাদি আইন ইত্যাদি। Procedural Law এবং Adjective Law উভয় পদ্ধতিগত আইন বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন [Substantive Law]:
যে আইন কোন অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করে, সৃষ্টি
করে এবং অর্পণ করে বা কোন শাস্তিকে সংজ্ঞায়িত করে এবং দায় আরোপ করে সেই আইনকে
তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন [Substantive Law] বলে। যেমন: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, দণ্ডবিধি ইত্যাদি। দণ্ডবিধিতে বিভিন্ন
অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, উক্ত অপরাধের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। এই কারণে
এটা তত্ত্বগত আইন। কিন্তু এই অপরাধের বিচার পদ্ধতি দণ্ডবিধিতে উল্লেখ করা হয়নি।
দণ্ডবিধিতে উল্লেখিত অপরাধের বিচার করার পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে ফৌজদারী
কার্যবিধিতে। এই কারণে ফৌজদারী কার্যবিধি হলো পদ্ধতিগত আইন।
যে সমস্ত আইন পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law]
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ -ফৌজদারী মামলার কার্যপ্রণালী বা ফৌজদারী মামলার বিচার পদ্ধতি সংক্রান্ত আইন।
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ -দেওয়ানী মোকদ্দমার কার্যপ্রণালী বা দেওয়ানী মোকদ্দমার বিচার পদ্ধতি সংক্রান্ত আইন।
সাক্ষ্য আইন; ১৮৭২ -মামলায় সাক্ষ্য সংক্রান্ত
আইন।
তামাদি আইন; ১৯০৮ -মামলা দায়েরের সময় এবং মামলা দায়েরের সময় গণনা সংক্রান্ত আইন।
যে সমস্ত আইন তত্ত্বগত আইন [Substantive Law]
দন্ডবিধি ১৮৬০ – ফৌজদারী অপরাধ
এবং শাস্তি সংক্রান্ত আইন
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ – দেওয়ানী প্রতিকার সংক্রান্ত আইন।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন
ধারা |Sectionsl
ফৌজদারি কার্যবিধিতে মোট ৫৬৫টি ধারা রয়েছে।
তফসিল [Schedules |
ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্তমানে বলবৎ আছে ৪টি তফসিল ।
১ম তফসিল- বাতিল।
দ্বিতীয় তফসিল- পেনাল কোডের অপরাধসমূহ কোন আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য, আমলযোগ্য এবং আমলঅযোগ্য অপরাধ, জামিনযোগ্য এবং জামিনঅযোগ্য অপরাধ ইত্যাদি
তৃতীয় তফসিল- ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাধারণ ক্ষমতা
চতুর্থ তফসিল- ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর আরোপযোগ্য অতিরিক্ত ক্ষমতা
পঞ্চম তফসিল- ফরমসমূহ
# দ্বিতীয় তফসিল [Second Schedule
দ্বিতীয় তফসিলে মোট কলাম আছে ৮টি।
দ্বিতীয় তফসিলের প্রথম কলাম- দণ্ডবিধির অধীন ধারা
দ্বিতীয় তফসিলের ২য় কলাম- অপরাধ
দ্বিতীয় তফসিলের ৩য় কলাম -ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে কি পারে না বা আমলযোগ্য বা আমলঅযোগ্য অপরাধ।
দ্বিতীয় তফসিলের ৪র্থ কলাম -প্রথমে ওয়ারেন্ট বা সমন ইস্যু করা হবে কিনা?
দ্বিতীয় তফসিলের ৫ম কলাম -অপরাধ জামিনযোগ্য নাকি জামিনঅযোগ্য
দ্বিতীয় তফসিলের ৬ষ্ঠ কলাম -অপরাধ আপসযোগ্য বা মীমাংসাযোগ্য [Compoundable) কিনা?
দ্বিতীয় তফসিলের ৭ম কলাম- দণ্ডবিধির অধীন উল্লেখিত শাস্তি
দ্বিতীয় তফসিলের ৮ম কলাম -যে আদালত কর্তৃক অপরাধটি বিচারযোগ্য।
ধারা ৫ -ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
দণ্ডবিধিতে উল্লেখিত অপরাধসমূহ এবং অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার করার ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে ৫ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির অধীন উল্লেখিত অপরাধসমূহের বিচার:
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫(১) ধারায় বিধান করা হয়েছে,
দণ্ডবিধির অধীন সকল অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লেখিত পদ্ধতিতে হবে।
অন্যান্য আইনের অধীন উল্লেখিত অপরাধসমূহের বিচার :
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫(২) ধারা অনুসারে
অন্যান্য যেকোন আইনের অধীন সকল অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লেখিত একই বিধানসমূহ অনুসারে করতে হবে। কিন্তু উক্ত অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচারের পন্থা ও স্থান নিয়ে কোন বিধান করা হলে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে।উদাহরণ :দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর অধীন উল্লেখিত অপরাধসমূহের ও উক্ত আইনের তফসিলে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান ও বিচার সম্পর্কে উক্ত আইনেই বিধান রয়েছে। সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এ বর্ণিত বিধান অনুসারে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান ও বিচার হবে। অথবা অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচার করার জন্য কোন বিধান না থাকলে, সেই ক্ষেত্রেও ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। বা অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচার করার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য করা হলে, সেই ক্ষেত্রেও ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।উদাহরণ :ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ৫০ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনে ভিন্ন কিছু না থাকলে, কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য। যেহেতু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর অধীন কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য করা হয়েছে, সেহেতু ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর অধীন কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিষ্পত্তি করতে হবে।সুতরাং ৫ ধারা অনুসারে দণ্ডবিধির অধীন উল্লেখিত অপরাধসমূহ এবং অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লেখিত বিধানসমূহ অনুসারে হবে। কিন্তু দণ্ডবিধি ব্যতীত অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচারের পন্থা ও স্থান উক্ত অন্যান্য আইনে উল্লেখ থাকলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচার উক্ত বিধানসমূহ অনুসারে হবে।