- Get link
- X
- Other Apps
Chapter XLIV -Of the Transfer of Criminal Cases
চুয়াল্লিশতম অধ্যায় -ফৌজদারি মামলা স্থানান্তর বিষয়ে
ধারা ৫২৫ক মােকদ্দমা ও আপিলের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের ক্ষমতা
যখন আপিল বিভাগের নিকট প্রতীয়মান হয়, এইরূপ স্থানান্তর ন্যায়বিচার কিংবা পক্ষসমূহ বা সাক্ষীগণের সাধারণ সুবিধার ধারার উন্নয়ন সৃষ্টি করবে, তখন আপিল বিভাগ কোন বিশেষ মােকদ্দমা বা আপিল হাইকোর্ট বিভাগের এক স্থায়ী বেঞ্চ হতে অন্য স্থায়ী বেঞ্চে কিংবা কোন হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চের অধিক্ষেত্রেভুক্ত যেকোন ফৌজদারি আদালত হতে অন্য কোন হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চের অধিক্ষেত্র একই বা উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন ফৌজদারি আদালতে স্থানান্তর করতে পারবেন।
২) যে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ কিংবা আদালতে মােকদ্দমা বা আপিল স্থানান্তরিত হয় সেই বেঞ্চ বা আদালত একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যে, প্রকৃতপক্ষে সেখানেই ঐ সমস্ত রুজু করা বা উপস্থিত করা হয়েছে।
ধারা ৫২৬ হাইকোর্ট বিভাগ মামলা স্থানান্তর করতে পারবেন কিংবা স্বয়ং উহার বিচার করতে পারবেন
১) হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি কখনও দৃষ্টিগােচর করা হয় যে-
ক) হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন কোন ফৌজদারি আদালতে ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান বা বিচার পাওয়া যাবে না, বা
খ) কোন অসাধারণ জটিল আইনের প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে, বা
গ) যে স্থানে বা স্থানের নিকট কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উহা পরিদর্শন করা উক্ত অপরাধের তুষ্টিজনক অনুসন্ধান বা বিচারের জন্য প্রয়ােজন হতে পারে,
ঘ) এই ধারা অধীন আদেশ দান করা হলে পক্ষসমূহ বা সাক্ষীগণের সাধারণভাবে সুবিধা হবে, বা
ঙ) ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্যে বা এই বিধির কোন বিধান অনুসারে এইরূপ একটি আদেশ হওয়া সমীচীন; তা হলে হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দিতে পারবেন যে-
অ. কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার এমন কোন আদালত করবেন, যে আদালত ১৭৭ হতে ১৮৩ ধারা (উভয় ধারাসহ) অনুসারে ক্ষমতাবান নন, কিন্তু অন্যভাবে উক্ত অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার করার যােগ্যতাসম্পন্ন ;
আ. কোন বিশেষ মামলা বা আপিল বা বিশেষ শ্রেণীর মামলা বা আপিল হাইকোর্ট বিভাগের কর্তৃত্বাধীন কোন ফৌজদারি আদালতের সমান বা তদপেক্ষা উর্ধ্বতন অধিক্ষেত্রের অনুরূপ অন্য কোন ফৌজদারি আদালতে স্থানান্তরিত করা হােক।
ই, কোন নির্দিষ্ট মােকদ্দমা বা আপিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থানান্তরিত ও বিচার হােক; বা
ঈ, বিচারের জন্য অন্য কোন আসামিকে স্বয়ং হাইকোর্ট বিভাগে বা দায়রা আদালতে প্রেরণ করা হােক।
২) যখন হাইকোর্ট বিভাগ স্বয়ং বিচারের জন্য কোন আদালত হতে কোন মামলা প্রত্যাহার করেন, তখন ইহা এইরূপ বিচারে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন, উক্ত আদালত যে পন্থা অনুসরণ করবেন যেন মামলাটি প্রত্যাহৃত হয় নাই।
৩) হাইকোর্ট বিভাগ নিম্ন আদালতের রিপাের্ট কিংবা স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষে আবেদনক্রমে কিংবা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কার্য করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, একই দায়রা বিভাগের এক ফৌজদারি আদালত হতে অন্য ফৌজদারি আদালতে কোন মােকদ্দমা স্থানান্তর করার জন্য যে পর্যন্ত না কোন দায়রা আদালতে দাখিল করার পর তিনি নাকচ করেন, সেই পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে কোন দরখাস্ত করা যাবে না।
৪) এই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য প্রত্যেকটি আবেদন পর্যবেক্ষণ (Motion) দ্বারা করতে হবে এবং আবেদনকারি এটর্নী জেনারেল না হলে এফিডেভিট বা শপথ দ্বারা পর্যবেক্ষণ (Motion) সমর্থন করতে হবে।
৫) কোন আসামি এই ধারার অধীন আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগ তাকে জামিনদারসহ কিংবা ব্যতিত এই শর্তে একটি মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ প্রদান করতে পারবেন যে, আদেশ দেওয়া হলে সে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক এই ধারার অধীন ক্ষতিপূরণস্বরূপ নির্ধারিত কোন পরিমাণ অর্থ আদেশের বিরােধিতাকারি ব্যক্তিকে প্রদান করবে।
৬) এই ধারার আবেদনের নােটিশ পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রদান
অনুরূপ আবেদনকারি প্রত্যেক আসামি আবেদনের কারণযুক্ত একটি নকলসহ পাবলিক প্রসিকিউটরকে লিখিতভাবে আবেদনপত্র সম্পর্কে নােটিশ দিবে এবং এইরূপ নােটিশ প্রদান ও আবেদনের শুনানির মধ্যে কমপক্ষে চব্বিশ ঘন্টা সময় অতিক্রান্ত না হওয়া অবধি আবেদনপত্রের গুণাগুণের ভিত্তিতে কোন আদেশ দেওয়া যাবে না।
৬ক) এই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়ােগের আবেদন অগ্রাহ্য করা হলে হাইকোর্ট বিভাগ যদি মনে করে যে, তুচ্ছ ও বিরক্তিকর ছিল, তা মামলার অবস্থা অনুসারে যথাযথ বলে বিবেচ্য এক হাজার টাকার অনধিক কোন পরিমাণ অর্থ প্রদান করার জন্য আবেদনকারিকে আদেশ দিতে পারবেন।
৭) এই ধারার কোন বিধান ১৯৭ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশকে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য করা যাবে না।
৮) ৮ম অধ্যায়ের অধীন কোন অনুসন্ধানের সময় বা বিচারের সময় আসামি পক্ষের বক্তব্য সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি আদালতকে জ্ঞাত করে যে, সে অত্র ধারার অধীন আবেদন করতে চায়, তা হলে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে আবেদন করবে, এই শর্তে প্রয়ােজন হলে জামিনদার ব্যতিত দুই শত টাকা অনধিক পরিমাণ অর্থের একটি মুচলেকা সম্পাদনের পর আদালত যেমন একটি সময়ের জন্য মূলতবী রাখবেন যা আবেদনপত্র পেশ ও সেই সম্পর্কে আদেশগ্রহণের জন্য যথেষ্ট। তবে শর্ত থাকে যে, এই উপধারার কোন বিধানের অধীন একই পক্ষের দ্বিতীয় বা পরবর্তী সংবাদ জ্ঞাপনের ফলে বা একাধিক আসামির মধ্যে একজন পূর্বেই এই উপধারার অধীন মূলতবী আদেশ গ্রহণ করে থাকলে অন্য কোন আসামির পরবর্তী সংবাদ জ্ঞাপনের ফলে আদালতকে মামলা মূলতবী রাখতে হবে না।
৯) ইতোপূর্বে যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, দায়রা আদালতের হাকিম যদি মনে করেন যে, যে ব্যক্তি এই ধারার অধীন আবেদন করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেছে, সেই ব্যক্তি এইরূপ আবেদন করার যুক্তিসঙ্গত সুযােগ পেয়েছিল এবং যথেষ্ট কারণ ব্যতিত সে উহার সুযােগ নিতে অপারগ হয়েছে, তা হলে (৮) উপধারার অধীন কোন বিচার মূলতবী রাখতে হবে না।
ব্যাখ্যা।-(৮) উপ-ধারা বা (৯) উপ-ধারার কোন কিছুই ৩৪৪ ধারার অধীন আদালতের ক্ষমতাকে সীমিত করবে না।
১০) কোন আপিল বিবেচনাৰ্থে গ্রহণের নিমিত্তে যুক্তিতর্ক (যদি থাকে) শুরু হওয়ার পূর্বে বা বিবেচনাৰ্থে গৃহীত আপিলের ক্ষেত্রে আপিলকারির যুক্তিতর্ক শুরু হওয়ার পূর্বে স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ যদি আদালতকে জানায় যে, সে উক্ত উপ-ধারার অধীন আবেদন করার ইচ্ছা করে, তা হলে সে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে এই শর্তে আবেদন করবে, এই শর্ত প্রয়ােজন হলে জামিনদার ব্যতিত দুইশত টাকার অনধিক পরিমাণ অর্থের একটি মুচলেকা সম্পাদনের পর আদালত এমন একটি সময়ের জন্য আপিল স্থগিত রাখবেন যা আবেদনপত্র পেশ ও সেই সম্পর্কে আদেশ প্রাপ্তির জন্য পর্যাপ্ত হবে।
ধারা ৫২৬খ দায়রা জজের মামলা হস্তান্তর করার ক্ষমতা
১) যখন কোন দায়রা জজের নিকট প্রতীয়মান করা হয় যে, ন্যায়বিচারেরর উদ্দেশ্যে এই ধারার অধীন কোন আদেশ দান করা সমীচীন, তখন তিনি তার দায়রা বিভাগাধীন এক ফৌজদারি আদালত হতে অপর ফৌজদারি আদালতে কোন মামলা স্থানান্তর করতে আদেশ দিতে পারেন।
২) দায়রা জজ অধঃস্তন আদালতের রিপাের্টের ভিত্তিতে বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষের কোন আবেদনের ভিত্তিতে বা তার নিজস্ব উদ্যোগে এইরূপ কাজ করতে পারেন।
৩) ৫২৬ ধারার (৪) হতে (১০) উপধারার (উভয় ধারা অন্তর্ভূক্ত) বিধানানুসারে দায়রা জজের নিকট দরখাস্ত করার ব্যাপারে ৫২৬ ধারা (১) উপ-ধারা অনুযায়ি হাইকোর্ট বিভাগে দরখাস্ত করার পদ্ধতি প্রযােজ্য হবে।
ধারা ৫২৮ দায়রা জজ সহকারি দায়রা জজের নিকট হতে মােকদ্দমা উঠিয়ে নিতে পারেন
১) দায়রা জজ তার অধঃস্তন যুগ্ম দায়রা জজের নিকট হতে মােকদ্দমা নিতে পারেন কিংবা তাকে যে মােকদ্দমা প্রদান করেছিলেন তা তলব করতে পারবেন।
১ক) দায়রা জজ কোন অতিরিক্ত দায়রা জজকে যে মােকদ্দমা বা আপিল প্রদান করেছিলেন উক্ত অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট সেই মােকদ্দমা বিচার বা আপিলের শুনানি শুরু হওয়ার পূর্বে তিনি তা ফিরাইয়া নিতে পারবেন।
১খ) যেক্ষেত্রে দায়রা জজ (১) উপ-ধারার অধীন কোন মােকদ্দমা প্রত্যাহার নিয়া নেন বা ফেরত নেন কিংবা (১ক) উপ-ধারার অধীন কোন মােকদ্দমা বা আপিল ফেরৎ নেন, সেক্ষেত্রে তিনি নিজ আদালতে উক্ত মােকদ্দমা বিচার করতে বা নিজে উক্ত আপিল শ্রবণ করতে পারবেন কিংবা অত্র আইনের বিধান মতে তা বিচার বা শুনানির জন্য অন্য কোন আদালতে প্রদান করতে পারবেন।
২) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মােকদ্দমা উঠিয়ে নিতে কিংবা প্রেরণ করতে পারবেন
চীফ মেট্রোপলিটন বা কোন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধঃস্তন কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে কোন মােকদ্দমা উঠিয়ে নিতে পারবেন বা তাকে যে মামলা প্রদান করেছিলেন, তা ফিরাইয়া নিতে পারবেন এবং নিজে এইরূপ মামলার ইনকোয়ারি বা বিচার করতে পারবেন, বা এইরূপ মামলার ইনকোয়ারি বা বিচারের যােগ্যতাসম্পন্ন অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তা ইনকোয়ারি বা বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারবেন।
৩) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কতিপয় শ্রেণীর মােকদ্দমা উঠিয়ে লইবার ক্ষমতা
সরকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টের অনুমােদনসাপেক্ষে এই মর্মে ক্ষমতা প্রদান করতেৎপারবেন যে, তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ শ্রেণীর মােকদ্দমা বা কোন বিশেষ শ্রেণীর মােকদ্দমা তার অধঃস্তন কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে নিতে পারবেন।
৪) কোন ম্যাজিস্ট্রেট ১৯২ ধারার (২) উপ-ধারার অধীন কোন মােকদ্দমা অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদান করেছেন, সেই মােকদ্দমা তিনি ফিরাইয়া নিতে এবং নিজে উহার ইনকোয়ারি বা বিচার করতে পারবেন।
৫) কোন ম্যাজিস্ট্রেট এই ধারার অধীন কোন আদেশ দানের সময় তার এইরূপ আদেশ প্রদানের কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
৬) ১৯৪৯ সনের প্রশাসনিক আদেশ এর তফসিল বলে বাতিলকৃত।