Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Specific Performance of Contracts চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭

Chapter Two - Of the Specific Performance of Contracts

চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন প্রসঙ্গে

a) Contracts Which may be Specifically Enforced

ক) সুনির্দিষ্টভাবে যে সমস্ত চুক্তি বলবৎ করা যেতে পারে

আলােচনা ও প্রয়ােগ

চুক্তির সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন কাকে বলে? (What is specific performance of contract):

চুক্তিভঙ্গের কারণে চুক্তিতে আবদ্ধ পক্ষসমূহের মধ্যে কোন পক্ষ এমন ক্ষতির সম্মুখীন হন যার প্রতিকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে দেওয়া ন্যায়সঙ্গত যথাযথ এবং পর্যাপ্ত বলে বিবেচনা করা হয় না। তাই আর্থিক ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয়। এরূপ ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষকে যথাযথ এবং আইনগত প্রতিকার হিসেবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে প্রতিকার অনুমােদন করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট চুক্তির শর্তাবলী সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ এবং প্রতিপালন করার জন্য যথাযথ আদেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ অনুসারে চুক্তিভঙ্গকারী পক্ষ সংশ্লিষ্ট চুক্তির শর্তাবলী সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করতে বাধ্য হয়। তাই সংক্ষেপে বলতে গেলে‌ যে কর্মটি করার জন্য পক্ষগণ চুক্তিকে আবদ্ধ হয়েছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করাকে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন বলা হয়। অন্য কথায় চুক্তি অনুযায়ী চুক্তিতে উল্লেখিত পক্ষ দুইটি নিজ নিজ করণীয় কর্মের সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন বলা হয়। যে সকল চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যায় তা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ধারা ১২-এ উল্লেখ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ২৩ অনুযায়ী কিছু ব্যক্তি চুক্তি সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের জন্য মােকদ্দমা রুজু করতে পারে। অন্য দিকে কারাে বিরুদ্ধে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলবৎ করা যায় তা উক্ত আইনের ধারা ২৭-এ উল্লেখ রয়েছে ও কারাে বিরুদ্ধে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যায় না, তা ধারা ২৮-এ উল্লেখ রয়েছে।

আদালত যে সমস্ত ক্ষেত্রে একটি চুক্তির সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন কার্যকরী করতে পারে (Where court can enforce specific performance of contract):

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১২ অনুসারে আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের আদেশ প্রদান করা যায়ঃ

(ক) যখন চুক্তিবদ্ধ কর্ম সম্পাদন সম্পূর্ণভাবে কিংবা‌ আংশিকভাবে একটি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত। 

উদাহরণ ‘ক’, ‘খ’ এর কাছে কিছু পণ্য গচ্ছিত রাখে। পরে অন্যায়ভাবে ‘খ’ সে পণ্য অপরের কাছে হস্তান্তর করে। এইক্ষেত্রে পণ্যটি ‘ক’ এর কাছে ফেরত দেয়ার জন্য ‘খ’ এর উপর আইনগত বাধ্যবাধকতার উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে আদালত উক্ত পণ্যটি ‘ক’ এর কাছে ফেরত দেয়ার জন্য ‘খ’ কে আদালত নির্দেশ দিতে পারে।

(খ) যে কর্ম সম্পাদন করার জন্য চুক্তি সম্পাদিত হয়, কিন্তু তা সম্পাদিত না হওয়ার কারণে যে ক্ষতি হবে তার প্রকৃত দাম যদি নির্ণয় করা অসম্ভব হয়।

উদাহরণ: একজন মৃত চিত্রকরের চিত্র ও একটি দুস্প্রাপ্য চীনামাটির পাত্র ‘ক’, ‘খ’ এর কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয় ও ‘খ’ও সেটা ক্রয় করতে রাজি হয়। পরে ‘ক’ সেগুলাে বিক্রি করতে আগ্রহী না হলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চুক্তি পালনের আদেশ প্রদান করা যায়। কেননা এগুলাে না পেলে খ’ এর যে ক্ষতি হবে তা নিরূপণ করার কোন মানদণ্ড নেই।

(গ) যখন চুক্তিভুক্ত কর্মটি এমন হয় যে, তা বলবৎ না করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা পর্যাপ্ত প্রতিকার পাওয়া যায় না।

উদাহরণ : ‘ক’ তার পৈত্রিক স্মৃতিমণ্ডিত এক খন্ড জমি ক্রয়ের জন্য ‘খ’ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। পরে ‘খ’ তা বিক্রি করতে অস্বীকার করলে আদালত তাকে চুক্তিটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশ দিতে পারেন।

(ঘ) যখন এরূপ আশংকা থাকে যে, চুক্তিভূক্ত কর্ম সম্পাদন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না ।

উদাহরণ: পৃষ্ঠাঙ্কন ছাড়াই ‘ক’ মূল্যবান প্রতিদানের বিনিময়ে ‘খ’ এর নিকটে একটি প্রত্যর্থপত্র হস্তান্তর করে। পরে ‘ক’ দেউলিয়া হয়ে পড়ে ও ‘গ’ কে স্বত্বনিয়ােগী করে ‘খ’, ‘গ’ কে উক্ত প্রত্যর্থপত্রে পৃষ্ঠাংকন করতে বাধ্য করতে পারে, কেননা, ‘গ’, ‘ক’ এর দায় দায়িত্বের অধিকারী হয়েছে ও পৃষ্ঠাঙ্কন না করার কারণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য প্রদত্ত ডিক্রী অর্থহীন হবে।

ধারা ১২ যে সমস্ত ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদায়যােগ্য

এই অধ্যায়ে ভিন্নরূপ বিধিবদ্ধ না থাকলে যে কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে নিম্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে আদায়যােগ্য

ক) যেক্ষেত্রে সম্মতিভুক্ত কার্যসম্পাদন সম্পূর্ণ বা আংশিক একটি জিম্মার অন্তর্ভুক্ত হয়;

খ) যেক্ষেত্রে সম্মতিভুক্ত কার্যসম্পাদন না করলে কার্যতঃ যে ক্ষতি সাধিত হবে, তার নির্ণয়ের কোন মানদন্ডের অস্তিত্ব থাকে না;

গ) যেক্ষেত্রে সম্মতিভুক্ত কাজ এমন হয় যে, তা সম্পাদন না করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ কর্তৃক পর্যাপ্ত প্রতিকার অর্জন করা যায় না; বা

ঘ) যেক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা থাকে যে, সম্মতিভুক্ত কার্যসম্পাদন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না ।

ব্যাখ্যা: যদি না এবং যে সময় পর্যন্ত না ভিন্নরূপ কিছু প্রমাণিত হয়, আদালত ইহা অবশ্যই ধরে নিবে যে, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চুক্তিভঙ্গের পর্যাপ্ত প্রতিকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান দ্বারা অসম্ভব এবং অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চুত্তিভঙ্গের প্রতি তার তেমনভাবে করা যায়।

উদাহরণসমূহ

উপধারা-ক-এর-

১৯৭৩ সালের ৮নং আইন কর্তৃক বাতিলকৃত।

উপধারা-খ-এর

খ একজন মৃত চিত্রকরের একটি চিত্র এবং এক জোড়া কারুকার্যখচিত দুষ্প্রাপ্য চীনা মাটির পাত্র বিক্রয়ে রাজী হয় এবং ক তা কিনতে রাজী হয়। ক খ-কে এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে বাধ্য করতে পারে; কারণ এই কার্যসম্পাদন না করার কারণে কার্যতঃ যে ক্ষতি হবে তা নির্ণয়ের কোন মানদন্ড নেই।

উপধারা-গ-এর

ক খ-এর কাছে একটি বাড়ি ১০০০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। খ ক্রয়মূল্য প্রদান করলে তার নিকট বাড়ি হস্তান্তরের জন্য ক-এর নির্দেশ-সম্বলিত একটি ডিক্রির অধিকারী। 

এ্যাক্ট অব ইনকরপােরেশন কর্তৃক আরােপিত কতিপয় বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তের জন্য একটি রেলওয়ে কোম্পানি খ-এর সাথে রেলপথ দ্বারা বিচ্ছিন্ন খ-এর জমির সাথে সংযােগ স্থাপনের জন্য রেলপথের মধ্য দিয়ে একটি আর্চওয়ে নির্মাণ, কতিপয় নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে একটি রাস্তা নির্মাণ, এই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট বার্ষিক অর্থ প্রদান এবং চুক্তিতে যেমনিভাবে নির্দেশ রয়েছে, তেমনিভাবে একটি সাইডিং এবং প্ল্যাটফরম নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। খ এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের অধিকারী; কারণ, ইহার সুনির্দিষ্ট সম্পাদনে তার স্বার্থ শুধু টাকা দ্বারা পর্যাপ্তভাবে ক্ষতিপূরণ করা যায় না, এবং আদালত আর্চওয়ে রাস্তা, সাইডিং এবং প্ল্যাটফরম নির্মাণ দেখাশুনার জন্য একজন সঠিক ব্যক্তিকে নিয়ােগ প্রদান করতে পারেন।

ক বিশেষ ধরণের নির্দিষ্ট সংখ্যক রেলওয়ে শেয়ার বিক্রয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তা কিনতে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনে বাধ্য করতে পারে; কারণ শেয়ার সংখ্যার দিক থেকে সীমাবদ্ধ এবং তা সব সময় বাজারে পাওয়া যাবে না এবং সেগুলাের দখল একজন শেয়ারহােল্ডারের মর্যাদা বহন করে, যা অন্য কোনভাবে করা যায় না।

ক খ-এর জন্য ছবি আঁকার ব্যাপারে খ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তিনটি ছবির জন্য ১০০০ টাকা প্রদান করতে একমত হয় । ছবি আঁকা সম্পন্ন হয়েছে। ১০০০ টাকা প্রদানের বিনিময়ে খ উক্ত ছবিগুলাে পাওয়ার অধিকারী।

উপধারা-ঘ-এর

ক পৃষ্ঠাংকন ছাড়াই, কিন্তু মূল্যবান প্রতিদানের বিনিময়ে খ-এর কাছে একটি প্রমিসরি নােট হস্তান্তর করে। ক দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং গ-কে স্বত্বনিয়ােগী নিযুক্ত করে। খ গ-কে উক্ত নােটে পৃষ্ঠাংকনে বাধ্য করতে পারে। কারণ, গ, ক-এর দায়দায়িত্বের ও উত্তরাধিকরী হয়েছে ও নােটে পৃষ্ঠাংকন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রদত্ত ডিক্রিও নিরর্থক হবে।

ধারা ১৩ যে চুক্তির বিষয়বস্তু অংশতঃ বিলুপ্ত হয়েছে

চুক্তি আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ এর ৯নং আইন) এর ধারা-৫৬ এর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও চুক্তি সম্পাদনের সময় অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু চুক্তি অনুসারে কার্যসম্পাদনের সময় অংশতঃ বিলুপ্তি হেতু চুক্তি অনুসারে‌ কার্যসম্পাদন পুরােপুরি অসম্ভব নয়।

উদাহরণসমূহ

ক) ‘ক’, ‘খ’-এর কাছে একটি বাড়ি এক লক্ষ টাকায় বিক্রয়ে চুক্তিবদ্ধ হল । চুক্তি সম্পন্নের পরদিন ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়ে গেল। এখন ক্রয়মূল্য প্রদানের মাধ্যমে খ-কে চুক্তিতে তার অংশের কার্যসম্পাদনে বাধ্য করা যেতে পারে।

খ) ‘খ’ কর্তৃক দেয় নির্দিষ্ট অংকের টাকার মাধ্যমে ‘ক’ ‘খ’-কে সারা জীবনের জন্য বার্ষিক বৃত্তি প্রদানের চুক্তিবদ্ধ হল। চুক্তি সম্পন্নের পর দিন খ ঘােড়ার পিঠ থেকে পড়িরা মারা গেল। ‘খ’-এর প্রতিনিধিকে উক্ত অর্থ পরিশােধ করতে বাধ্য করা যেতে পারে।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ১৩ উপর আলােচনা ও প্রয়ােগ

১৩ ধারার উদ্দেশ্য ও আওতা (Scope and object of section 13)

চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর কোন কর্ম যদি বেআইনী হয়, সেক্ষেত্রেও চুক্তি আইনের ধারা ৫৬ প্রযােজ্য; কিন্তু চুক্তির বিষয়বস্তু ধ্বংস হওয়ার জন্য যদি চুক্তিটির কর্মসম্পাদন অসম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে এই ধারা ১৩-তে সীমাবদ্ধ। ইহা লক্ষনীয় যে ধারা ১৩-এ নিজেই কোন নির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের অধিকার প্রদান করা হয় নি, ধারা ১৩-এ কেবল বিধিবদ্ধ করেছে যে, কিছু অবস্থায় পুরাে চুক্তিটি বাতিল হয়না অর্থাৎ ইহা আংশিকভাবে কর্মসম্পাদন করা যায়। চুক্তি সম্পাদনের পর এবং চুক্তির অধীনে কর্মসম্পাদনের মধ্যবর্তী সময় চুক্তির বিষয়বস্তু ধ্বংস প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও চুক্তির অন্য অংশটি ধারা ১৩-এর উদাহরন ক অনুসারে সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়ােগযােগ্য। সংক্ষেপে বলতে গেলে ধারা ১৩-এর প্রকৃতি চুক্তি আইনের ধারা ৫৬-এ বিধিবদ্ধ রয়েছে।

অসম্ভব দুই প্রকারের (১) চুক্তির আগ হতেই বিরাজমান ও (২) চুক্তির পরবর্তীতে সৃষ্ট অর্থাৎ প্রথমটি চুক্তি করার সময়ই বর্তমান ছিল ও দ্বিতীয়টি চুক্তি করার পরে উদ্ভব হয়েছে। এই উভয় প্রকারের অসম্ভবতা চুক্তি আইনের ধারা ৫৬-এর আওতাভুক্ত। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৩-এ চুক্তির পরবর্তীকালে উদ্ভূত অসম্ভবতার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য।

বায়নার টাকা ফেরত (Return of tender inoney)

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৩ এর উদাহরণ 

(ক) অনুসারে কোন সম্পত্তি বিক্রয় চুক্তির বিষয়বস্তু হলে ও তা ধ্বংস হয়ে গেলে যেকোন এক পক্ষের অনুরােধে উক্ত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে পালন করা যায়। কাজেই ক্রেতা বিক্রয় দলিল সম্পাদন করতে প্রস্তুত থাকলে তার পক্ষ হতে চুক্তি লংঘন বলে গণ্য হবে ও তিনি বায়নার টাকা ফেরত পাবার অধিকারী নয় ।

লেনদেনের কার্যধারা চলাকালীন সময়ে বায়নার টাকা ক্রয়মূল্যের অংশ হিসেবে গণ্য হয়। ক্রেতার বিফলতায় বায়নার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। চুক্তির পরবর্তীতে উদ্ভূত অর্থাৎ প্রথমটি চুক্তি করার সময়ই বিরাজমান ছিল এবং দ্বিতীয়টি চুক্তি করার পরবর্তী সময়ে সৃষ্টি হয়েছে। এই উভয় প্রকারের অসম্ভবতা চুক্তি আইনের ধারা ৫৬ অধীন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৩ চুক্তির পরবর্তীসময়ে। উদ্ভূত অসম্ভবতার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য।

ধারা ১৪ যেক্ষেত্রে অসম্পাদিত অংশ ছােট সেক্ষেত্রে চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন: 

যেক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ একটি পক্ষ তার নিজের অংশের পুরােপুরি কার্য সম্পাদনে সমর্থ নয় কিন্তু যে অংশ অসম্পাদিত অবস্থায় পরিত্যক্ত হবে সম্পূর্ণ অংশের চেয়ে তা‌ মূল্যের দিক থেকে ছােট এবং এইজন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের স্বীকৃত হয়, সেক্ষেত্রে আদালত যেকোন পক্ষের মােকদ্দমার আলােকে চুক্তির যেটুকু সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের নির্দেশ প্রদানে বাকিটুকুর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করবেন।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৪ উদাহরণসমূহ

ক) ক খ-এর কাছে ১০০ বিঘার একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল । কিন্তু তৎপরে দেখা গেল, ৯৮ বিঘা জমি ক-এর মালিকানাধীন আর বাকি ২ বিঘা জমি একজন অপরিচিত ব্যক্তির, যে তাদের সাথে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। এই ২ বিঘা, ৯৮ বিঘা জমির ব্যবহারের জন্য প্রয়ােজনীয় নয়, তাতে ব্যবহার বা ভােগের জন্য এমন আবশ্যক নয় যে, ইহার ফলে সাধারণ ক্ষতির প্রতিকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পর্যাপ্তভাবে করা যাবে না। খ-এর মােকদ্দমা অনুযায়ী ক-কে উক্ত ৯৮ বিঘা জমি খ-এর বরাবর হস্তান্তরের এবং বাকী দুই বিঘা হস্তান্তর না করার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করা যেতে পারে, অথবা ক-এর আবেদন অনুযায়ী খ-কে উক্ত জমির দখল গ্রহণপূর্বক বাকি জমির জন্য মঞ্জুরকৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ বাদ দিয়ে চুক্তি অনুসারে ক্রয়মূল্যে ক-কে অর্পণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।

খ) দুই লক্ষ টাকায় একটি বাড়ি ও জমি ক্রয়-বিক্রয়ের একটি চুক্তিতে দুই পক্ষই একমত হয় যে, আসবাবপত্রের অংশবিশেষের মূল্য নির্ধারণ করে নেয়া হবে। আসবাবপত্রের মূল্যায়নের ব্যাপারে পক্ষগণ একমত হতে সমর্থ না হওয়া সত্ত্বেও আদালত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের নির্দেশ দিতে পারেন এবং হয় মােকদ্দমায় আসবাবপত্রের মূল্যায়নপূর্বক তা সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন বা কেবল বাড়ির ব্যাপারেই ডিক্রি সীমিত রাখতে পারেন।

ধারা ১৫ যেক্ষেত্রে অসম্পাদিত অংশ বড় সেক্ষেত্রে চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন

চুক্তিবদ্ধ একটি পক্ষ চুক্তিতে তার অংশের সম্পূর্ণ কার্যসম্পাদনে অক্ষম হয় এবং অসম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত অংশ সম্পূর্ণ কাজের একটি উল্লেখযােগ্য অংশ হয় বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত না হলে সে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য একটি ডিক্রি পাওয়ার অধিকারী হবে না। কিন্তু আদালত অপর পক্ষের মােকদ্দমার আলােকে চুক্তিভঙ্গকারী পক্ষকে তার পক্ষে যতটুকু সম্পাদন করা সম্ভব চুক্তির ততটুকু অংশ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন, যদি বাদীপক্ষ আরও কার্যসম্পাদনের দাবি পরিত্যাগ করে এবং কাজে ক্রটির জন্য বা প্রতিবাদী কর্তৃক চুক্তিভঙ্গহেতু সাধিত ক্ষতির জন্য প্রাপ্য সমস্ত ক্ষতিপূরণের অধিকার পরিহার করে।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ১৫ উদাহরণসমূহ

ক) ক খ-এর কাছে ১০০ বিঘার একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় যে, মাত্র ৫০ বিঘা জমি ক-এর মালিকানাধীন রয়েছে এবং অন্য ৫০ বিঘার মালিক একজন অপরিচিত ব্যক্তি যে তাদের সাথে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে। ক খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি পেতে পারে, কিন্তু খ ইচ্ছাকৃত মূল্য প্রদানে ইচ্ছুক হলে এবং ক-এর অবহেলা বা চুক্তিভঙ্গের জন্য তাকে যে ক্ষতি বহন করতে হচ্ছে, তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সমস্ত অধিকার পরিত্যাগ করে ক-এর মালিকানাধীন ৫০ বিঘা জমি গ্রহণ করতে চাইলে খ ক্রয়মূল্য পরিশােধের প্রেক্ষিতে ৫০ বিঘা জমি তার কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে ক-এর নির্দেশ সম্বলিত ডিক্রি পাওয়ার অধিকারী।

খ) ক এক লক্ষ টাকায় বাড়ি ও বাগানসহ একটি সম্পত্তি খ-এর নিকট বিক্রয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। বাড়ির ব্যবহার বা উপভােগের জন্য বাগানটি তাৎপর্যপূর্ণ। পরে দেখা যায় যে, ক বাগান হস্তান্তরে অক্ষম। ক খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য ডিক্রি পেতে পারে না; কিন্তু খ সম্মতিকৃত মূল্য প্রদানে ইচ্ছুক হলে এবং ক-এর অবহেলা বা ত্রুটির জন্য তাকে যে ক্ষতি বহন করতে হবে বা যে অভাব বােধ করতে হবে তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সকল অধিকার পরিত্যাগ করে বাগান ছাড়া বাড়ি এবং সম্পত্তি গ্রহণে রাজী হলে খ ক্রয়মূল্য পরিশােধের প্রেক্ষিতে বাড়ি এবং সম্পত্তি তার কাছে হস্তান্তরের জন্য ক-এর প্রতি নির্দেশ-সম্বলিত ডিক্রি পাওয়ার অধিকারী।

ধারা ১৬ চুক্তির স্বতন্ত্র অংশের সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন

যেক্ষেত্রে চুক্তির একটি অংশের স্বতন্ত্রভাবে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করে যায় বা করা আবশ্যক হয় এবং তা একই চুক্তির এমন অন্য অংশ থেকে স্বতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে অবস্থান করে, যা সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করা যাবে না বা করা অনাবশ্যক, সেক্ষেত্রে আদালত পূর্ববর্তী অংশের সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের নির্দেশ দিতে পারেন।

ধারা ১৭ অন্যান্য ক্ষেত্রে চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনে বাধা:

পূর্বোক্ত তিনটি ধারায় যে কোনটির আওতাধীন মােকদ্দমা ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে আদালত চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশ দিতে পারবেন না।

ধারা ১৮ ত্রুটিপূর্ণ স্বত্বসম্পন্ন বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতার অধিকার:

যেক্ষেত্রে এক ব্যক্তি এমন নির্দিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদানের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যাতে তার শুধুমাত্র ত্রুটিপূর্ণ স্বত্ব রয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রেতা বা ইজারাদারের (যদি না এই অধ্যায়ে ভিন্নরূপ কোন বিধান প্রদান করা হয়) নিম্নে বর্ণিত অধিকার রয়েছেঃ

ক) বিক্রেতা বা ইজারাদাতা বিক্রয় বা ইজারা প্রদানের পরপরই সম্পত্তিতে কোন স্বত্ব অর্জন করলে ক্রেতা বা ইজারাদার তাকে তেমন স্বত্বের জন্যও চুক্তি পালনে বাধ্য করতে পারে;

খ) যেক্ষেত্রে স্বত্ব বৈধের জন্য অন্যান্য ব্যক্তিদের রাজীনামার দরকার হয় ও তার বিক্রেতা বা ইজারাদাতার অনুরােধে তা করতে বাধ্য, সেক্ষেত্রে ক্রেতা বা ইজারাদার তাকে তেমন রাজীনামা সংগ্রহে বাধ্য করতে পারে।

ধারা ১৯ নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুরের ক্ষমতা:

কোন ব্যক্তি যে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য মােকদ্দমা রুজু করেছে, সে হয় তেমন কার্যসম্পাদনের অতিরিক্ত বা তার পরিপূরক হিসেবে চুক্তিভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে। তেমন কোন মােকদ্দমায় আদালত সিদ্ধান্ত করেন যে, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন মঞ্জুর করা উচিত নয় কিন্তু পক্ষসমূহের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল যা প্রতিবাদী অমান্য করেছে ও সে চুক্তিভঙ্গের জন্য বাদী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হলে আদালত তদমােতাবেক তাকে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করবেন। তেমন কোন মােকদ্দমায় আদালত সিদ্ধান্ত করেন যে, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন মঞ্জুর করা আবশ্যক, কিন্তু মােকদ্দমার ন্যায়বিচারের জন্য এইটুকুই পর্যাপ্ত নয় এবং চুক্তিভঙ্গের জন্য বাদীকে কিছু ক্ষতিপূরণ প্রদান করাও প্রয়ােজন হলে আদালত তদমােতাবেক তার জন্য ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করবেন।

এই ধারানুযায়ী যে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করা হবে, তা আদালতের মাধ্যমে নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিরূপণ করা যেতে পারে।

ব্যাখ্যা: চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের অনুপযােগী হয়ে পড়েছে এমন পরিস্থিতি আদালতের দ্বারা এই ধারার মাধ্যমে অর্পিত এখতিয়ার প্রয়ােগকে বাধাগ্রস্ত করে না।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৯ উদাহরণসমূহ

২য় প্যারার-

ক খ-এর কাছে ১০০ মণ চাউল বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল। খ ক-কে চুক্তি অনুসারে কার্যসম্পাদনে বাধ্যের জন্য বা ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্যের জন্য মােকদ্দমা রুজু করল । আদালত এই মত প্রকাশ করে যে, ক একটি বৈধ চুক্তি সম্পন্ন করেছিল, এবং কোন রকম আপত্তি ব্যতিরেকেই তা ভঙ্গ করে খ-এর ক্ষতিসাধন করেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনই ইহার উপযুক্ত প্রতিকার নয়। তখন আদালতের নিকট যা সঠিক হিসেবে আমলে নিবে, তেমন ক্ষতিপূরণই খ-এর জন্য মঞ্জুর করবেন।

৩য় প্যারার-

ক খ-এর কাছে একটি বাড়ি ১০০০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল। ঠিক হল যে, ১৮৭৭ সনের ১লা জানুয়ারি মূল্য পরিশােধ এবং বাড়ির দখল প্রদান করা হবে। ক চুক্তির নিজ অংশের কার্যসম্পাদন করতে পারল না এবং খ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন এবং ক্ষতিপূরণের জন্য মােকদ্দমা রুজু করল, যা ১৮৭৮ সনের ১লা জানুয়ারি তার পক্ষে নিষ্পত্তি হল। ডিক্রিতে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের আদেশ ব্যতীতও ক-এর অস্বীকৃতির ফলে খ-কে যে ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ ও মঞ্জুর করা যেতে পারে।

ব্যাখ্যার-

ক্রেতা ক বিক্রেতা খ-এর বিরুদ্ধে একটি পেটেন্ট বিক্রয় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মােকদ্দমা রুজু করল। মােকদ্দমার শুনানির পূর্বেই পেটেন্টের অবসান ঘটল। আদালত চুক্তি অনুসারে কার্যসম্পাদন না করার জন্য ক-কে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করতে পারেন এবং প্রয়ােজনবােধে সে লক্ষ্যে আরজি সংশােধন করতে পারে।

ক একটি পাবলিক কোম্পানির পরিচালকগণের মাধ্যমে গৃহীত প্রস্তাবের যে অনুসারে সে তার জন্য বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ারের অধিকারী, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন এবং প্রস্তব অনুসারে কার্যসম্পাদন না করার অজুহাতে ক্ষতিপূরণের জন্য মােকদ্দমা রুজু করল। মােকদ্দমার শুনানীর পূর্বেই সমস্ত শেয়ার বরাদ্দ করা হল। এই ধারা অনুসারে আদালত কার্যসম্পাদন না করার জন্য ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করতে পারেন।

ধারা ২০ খেসারত পরিশােধ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে বাধা নয়: চুক্তি অন্যথায় সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের জন্য যথাযথ হলে তা সেভাবে কার্যকরী করা যেতে পারে, যদিও চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদানের কথা থাকে এবং চুক্তিভঙ্গকারী পক্ষ তা প্রদানেরও ইচ্ছুক হয়।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ২০ এর উদাহরণ

'ক’ ‘খ’-কে গ-এর আওতাধীন ক এর মাধ্যমে দখলীকৃত সম্পত্তি অধীনস্থ ইজারা অনুমােদন করে চুক্তি সম্পাদন করল এবং তাতে শর্ত রইল যে, ক অধীনস্থ ইজারার বৈধতার জন্য প্রয়ােজনীয় লাইসেন্সের জন্য গ-এর নিকট আবেদন জানাবে এবং লাইসেন্স সংগ্রহ করা না গেলে ক খ-কে ১০,০০০ টাকা প্রদান করবে, ক খ-এর কাছে লাইসেন্সের আবেদন জানাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল এবং খ-কে ১০,০০০ টাকা প্রদান করতে চাইল। তথাপিও গ লাইসেন্স প্রদানে একমত হলে খ উক্ত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করার অধিকারী।

ধারা ২১ যে চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণযােগ্য নয়: নিম্নে বর্ণিত চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাবে না

ক) যে সকল চুক্তি, কার্যসম্পাদন না করা হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে যথেষ্ট প্রতিকার হয়;

খ) যে সকল চুক্তি এত জটিল ও অসংখ্য পুংখানুপুংখ বিবরণের সমষ্টি বা তা পক্ষসমূহের ব্যক্তিগত যােগ্যতা বা সংকল্পের উপর এত নির্ভরশীল বা অন্য কোনভাবে তার প্রকৃতিই এমন যে, আদালত উক্ত চুক্তির উল্লেখযােগ্য শর্তাবলীর সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকরী করতে পারেন না;

গ) যে সকল চুক্তির শর্তসমূহ আদালত যুক্তিসঙ্গত নিশ্চয়তার সাথে নির্ণয় করতে পারেন না;

ঘ) যে চুক্তি তার প্রকৃতির কারণেই বাতিলযােগ্য।

ঙ) জিম্মাদারগণের মাধ্যমে কৃত চুক্তি, যা তাদেরকে ক্ষমতা লংঘনপূর্বক করা হয়েছে বা তাদের জিম্মাদারী চুক্তি ভঙ্গপূর্বক করা হয়েছে;

চ) বিশেষ লক্ষ্যে গঠিত করপােরেশন বা পাবলিক কোম্পানির পক্ষে বা তেমন কোম্পানির উদ্যোক্তা ব্যক্তিগণের মাধ্যমে কৃত চুক্তি যা তাদের ক্ষমতার অতিরিক্ত;

ছ) যে সকল চুক্তির কার্যসম্পাদন করতে হলে শুরুর তারিখ থেকে তিন বৎসরের অধিক সময় ক্রমাগত কাজ করে যেতে হবে;

জ) যে সকল চুক্তির বিষয়বস্তু উল্লেখযােগ্য অংশ উভয় পক্ষ বর্তমান ধরে নিলেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই তার বিলুপ্তি ঘটেছে।

এবং সালিসী আইন, ১৯৪০ (১৯৪০ সনের ১০ নং আইন) এ যেমন বিধান আছে তা ব্যতিরেকে বর্তমান বা ভবিষ্যৎ মতানৈক্যের সালিসীর জন্য প্রেরণের কোন চুক্তিই সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাবে না, কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি সালিসী চুক্তি ছাড়া এমন কোন চুক্তি করে, যার উপর পূর্বোক্ত আইনের বিধান প্রযােজ্য এবং তা সম্পাদনে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে এবং এমন কোন বিষয়ে মােকদ্দমা রুজু করে, যা সে সালিসীর জন্য প্রেরণ করতে চুক্তিবদ্ধ, তেমন চুক্তির অস্তিত্ব মােকদ্দমার পথে বাধা দান করবে।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ধারা ২১ এর উপর উদাহরণসমূহ

উপধারা-ক এর-

খ সরকারের ৪% সুদের হারে এক লক্ষ টাকার ঋণপত্র বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তা ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়।

ক প্রতি বাক্স নীল ১,০০০ টাকা দরে ৪০ বাক্স নীল বিক্রয় করতে এবং খ তা ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়।

খ-এর নিকট ক কর্তৃক কিছু সম্পত্তি হস্তান্তরের বিনিময়ে খ, ক-এর অনুকূলে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত একটি ক্রেডিট খােলা এবং সে অংক পর্যন্ত টাকার জন্য ক-এর ড্রাফট পরিশােধের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।

উপরে বর্ণিত চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না, কারণ প্রথম এবং দ্বিতীয় ক ও খ উভয়েই এবং তৃতীয়টিতে ক-এর ক্ষতি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা পরিশােধ করা হবে।

উপধারা-খ এর-

খ-এর ব্যক্তিগত কাজ করতে ক চুক্তিবদ্ধ হল;

খ-কে তার ব্যক্তিগত কাজে নিয়ােগ করতে ক চুক্তিবদ্ধ হল;

একজন গ্রন্থকার ক একজন প্রকাশক খ-এর সাথে একটি সাহিত্য গ্রন্থ রচনা সমাপ্ত করতে চুক্তিবদ্ধ হল;

খ এই সমস্ত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদায় করতে পারে না। 

ক খ-এর ব্যবসা এমন মূল্যে ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল, যা দুইজন মূল্য নির্ণয়কারী ঠিক করবেন এবং এই মূল্য নির্ণয়কারীর একজনের নাম করবে ক ও অপরজনের নাম করবে খ। ক এবং খ উভয়েই একজন করে মূল্য নির্ণয়কারীর নাম প্রদান করল, কিন্তু মূল্য নিরূপিত হওয়ার আগেই ক তার মূল্য নিরূপণকারীকে না আগানাের লক্ষ্যে নির্দেশ দিল;

জাহাজ মালিক ক এবং ভাড়াকারী খ-এর মধ্যে চট্টগ্রামে সম্পাদিত এক জাহাজ ভাড়া চুক্তিতে এই মর্মে রাজীনামা প্রকাশ করা হয় যে, জাহাজ করাচীর দিকে অগ্রসর‌ হবে এবং সেখানে চাউল উঠাবে এবং তার পর লন্ডনের পথে অগ্রসর হবে এবং এক‌ তৃতীয়াংশ ভাড়া জাহাজ যখন রেঙ্গুনে গমন করবে তখন প্রদান করা হবে এবং বাকি‌ দুই-তৃতীয়াংশ লন্ডনে মাল অর্পণের পর প্রদান করা হবে;

ক, খ-এর কাছে জমি ইজারা প্রদান করল এবং খ ইজারার পরদিন থেকে তিন বৎসরের জন্য বিশেষ পন্থায় তা চাষাবাদের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল;

ক ও খ চুক্তিবদ্ধ হয় যে, ক এর মাধ্যমে প্রদত্ত বার্ষিক দাদনের বিনিময়ে চুক্তি সম্পন্নের তিন বৎসর পর খ তার নিজ জমিতে বিশেষ ফসল উৎপন্ন করবে এবং তা যখন কাটার সঠিক সময় হবে তখন তা কেটে ও তৈরী করে ক-এর কাছে অর্পণ করবে;

ক খ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় যে, খ এর মাধ্যমে ১,০০০ টাকা প্রদানের বিনিময়ে সে খ-এর জন্য একটি ছবি অংকন করবে;

ক, খ-এর সাথে এমন কতিপয় কার্য সম্পাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল যা আদালত‌ তদারক করতে পারবে না;

ক খ-এর সাথে খ-এর প্রয়ােজন হতে পারে এমন কতিপয় ধরণের যাবতীয় মাল‌ সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়;

ক খ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হল যে, সে খ-এর কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট বাড়ি নির্দিষ্ট শর্তে এবং নির্দিষ্ট ভাড়ায় ইজারা নিবে যদি ড্রইং রুম সুন্দরভাবে সজ্জিত থাকে, এমনকি যদি এই মত প্রকাশ করা হয় যে, এই চুক্তি অমান্য হেতু নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে;

ক খ-কে বিবাহের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়;

উপরে বর্ণিত চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যেতে পারে না।

উপধারা-গ এর-

একটি রিফ্রেসমেন্ট রুমের স্বত্বাধিকারী ক খ-এর সাথে এই চুক্তিতে আবদ্ধ হয় যে, সে খ-কে সেখানে তার মালামাল বিক্রয়ের জন্য জায়গা এবং প্রয়ােজনীয় সরঞ্জাম প্রদান করবে। ক তার তার চুক্তির কার্যসম্পাদনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। এই মােকদ্দমা হবে ক্ষতিপূরণের জন্য, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য নয়, কারণ জায়গা এবং সাজ-সরঞ্জামের পরিমাণ ও প্রকৃতি নির্দিষ্ট করা হয় নি।

উপধারা-ঘ এর-

চুক্তিতে প্রস্তাবিত অংশীদারিত্বের সময়কাল নির্দিষ্ট না করেই ক ও খ একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায়ে অংশীদারীত্বের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হল। এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করা যায় না। কারণ যদি তা তেমনভাবে সম্পাদন করা হয়, তবুও ক বা খ সঙ্গে সঙ্গেই, অংশীদারিত্ব ভেঙ্গে দিতে পারে।

উপধারা-ঙ এর-

ক একটি জমির জিম্মাদার ও উক্ত জমি ৭ বৎসরের জন্য ইজারা প্রদানের অধিকার তার রয়েছে। সে খ-এর সাথে উক্ত জমি ৭ বৎসরের জন্য ইজারা প্রদান এবং এই সময়কাল শেষে ইজারার মেয়াদ বাড়ানাের অঙ্গীকার করে চুক্তি সম্পন্ন করে। এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করা যায় না।

একটি কোম্পানীর ডাইরেক্টরদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহােল্ডারগণের সাধারণ সভার মঞ্জুরী সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয়ের ক্ষমতা রয়েছে। তারা তেমন মঞ্জুরী ছাড়াই তা বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না।

দুইজন জিম্মাদার ক ও খ এক লক্ষ টাকা মূল্যের জিম্মা সম্পত্তি বিক্রয়ের‌অধিকারী। তারা উক্ত সম্পত্তি গ-এর কাছে ৩০,০০০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এই চুক্তি এতই ক্ষতিকারক যে, তা বিশ্বাসভঙ্গের শামিল। গ এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদায় করতে পারে না।

খনিতে কাজের জন্য একটি কোম্পানির উদ্যোক্তা ব্যক্তিগণ চুক্তিবদ্ধ হল যে,‌ কোম্পানি যখন গঠিত হবে, তখন তা নির্দিষ্ট খনিজ সম্পত্তি কিনবে। তারা তেমন সম্পত্তির মূল্য নিরূপণের ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে নেই, কার্যতঃ তারা তার অতিরিক্ত মূল্য প্রদানেই একমত হয়। তারা আরও শর্ত লিপিবদ্ধ করে যে, বিক্রেতা তাদেরকে ক্রয়মূল্যের উপর একটি বােনাস প্রদান করবে। এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না।

উপধারা-চ এর-

রেলপথ তৈরী ও চালু রাখার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে গঠিত একটি কোম্পানি একটি কটন মিল তৈরীর লক্ষ্যে একখন্ড জমি ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না।

উপধারা-ছ এর-

ক খ-কে ২১ বৎসরের জন্য একটি রেলপথের এমন নির্দিষ্ট অংশ ভাড়া প্রদানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল, যা ক কর্তৃক খ-এর জমির উপর নির্মিত হয়েছে এবং একই চুক্তি অনুসারে নির্দিষ্ট শর্তের আওতাধীন সমগ্র রেলপথেই গাড়ি চালানাের অধিকার খ-এর থাকবে এবং এজন্য ক কর্তৃক প্রয়ােজনীয় ইঞ্জিন সরবরাহ ও আবশ্যক হতে পারে এবং ক এই সমগ্র সময়কালে সমগ্র রেলপথকে ভাল অবস্থায় রাখবে। এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য খ-এর আবেদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে;

উপধারা-জ এর-

গ ও ঘ এর জীবনকালের জন্য খ-কে একটি বাষিক বৃত্তি প্রদানের জন্য ক চুক্তিবদ্ধ হল। কিন্তু পরে দেখা গেল যে, ক ও খ গ-কে জীবিত ধরে নিলেও চুক্তির তারিখে সে মৃত ছিল। এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করা যাবে না।

ধারা ২১ক অনিবন্ধিত বিক্রয় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না: 

বর্তমান সময় প্রচলিত এই আইনে বা অপর কোন আইনে যাই বিধান থাকুক না কেন স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাবে না ,যদি 

ক) চুক্তিটি লিখিত এবং ১৯০৮ সনের রেজিস্ট্রেশন আইন দ্বারা নিবন্ধিত না হয় কিংবা হস্তান্তর গ্রহীত সম্পত্তিটি বা এর অংশ বিশেষের দখল গ্রহণ না করে থাকে; এবং

খ) চুক্তির বিনিময় মূল্যের বাকী অংশ যদি চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মােকদ্দমা দানের সময় আদালতে জমা দেওয়া না হয়।

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a