- Get link
- X
- Other Apps
Chapter XLI - Special Rules of Evidence
একচল্লিশতম অধ্যায়- সাক্ষ্য বিষয়ে বিশেষ বিধি
ধারা ৫০৯ চিকিৎসক সাক্ষীর জবানবন্দি
১) আসামির উপস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গৃহীত ও স্বাক্ষরিত কিংবা চত্বারিংশ অধ্যায়ের অধীন কমিশন দ্বারা গৃহীত সিভিল সার্জন বা অপর চিকিৎসক সাক্ষীর জবানবন্দি তাকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা না হলেও এই বিধির অধীন কোন অনুসন্ধান, বিচার বা অন্য কার্যধারা সাক্ষ্য হিসাবে প্রদান করা যাবে।
২) চিকিৎসক সাক্ষীকে সমন করার ক্ষমতা
আদালত উপযুক্ত মনে করলে এইরূপ সাক্ষীকে সমন করতে এবং তার জবানবন্দির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
ধারা ৫০৯ক ময়না তদন্তের রিপাের্ট
এই কার্যবিধির অধীন যেক্ষেত্রে কোন অনুসন্ধান, বিচার কিংবা অপরাপর কার্যধারায় ময়না তদন্তের রিপাের্ট সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা প্রয়ােজন হয় এবং যে ময়না তদন্তকারি সিভিল সার্জন বা অন্য কোন ডাক্তার যিনি উক্ত ময়না তদন্ত করেছিলেন তিনি যদি মারা যাইয়া থাকেন বা সাক্ষ্য দিতে অপারগ হন অথবা বাংলাদেশের বহির্ভাগে অবস্থান করেন এবং তাকে এইরূপ বিলম্ব ব্যতিত বা অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়া বা অসুবিধা ছাড়া উপস্থিত করা না যায়, যা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অযৌক্তিক, সেইক্ষেত্রে সাক্ষী হিসাবে তাকে তলব না করেই উক্ত রিপাের্ট সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাবে।
ধারা ৫১০ রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক ইত্যাদির রিপাের্ট
সরকার কর্তৃক নিয়ােজিত রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারি রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ , হস্তরেখা বিশারদ অথবা আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদগণকে এই কার্যবিধির অধীন কোন কার্যধারা চলাকালিন কোন বিষয়ে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করে রিপাের্ট দিতে বলা হয়ে থাকলে, তাহাদিগকে অদালত তলব না করেই তাদের রিপাের্ট বলে কথিত দলিল সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
ধারা ৫১০ক এফিডেবিটের মাধ্যমে রীতিসিদ্ধ সাক্ষ্য
১) যেসব ব্যক্তির সাক্ষ্য রীতিসিদ্ধ প্রকৃতির হলে এফিডেবিটের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে এবং সকল ব্যতিক্রমের শর্তে ইনকোয়ারি, বিচার বা অত্র বিধির অধীন অপর কোন প্রক্রিয়ার সাক্ষ্যে পড়া যাবে।
২) আদালত উপযুক্ত মনে করলে এবং বাদিপক্ষ বা আসামির আবেদনের উপর ভিত্তি করে এইরূপ যে কোন ব্যক্তিকে সমন দিতে পারবেন এবং এফিডেবিটে বর্ণিত ঘটনা অনুযায়ি জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারবেন।
ধারা ৫১১ পূর্ববর্তী দণ্ড বা খালাস প্রমাণের পদ্ধতি
এই বিধির অধীন পরিচালিত কোন ইনকোয়ারি, বিচার বা অন্য কার্যধারায় বর্তমানে বলবত অন্য আইনে বর্ণিত পদ্ধতি ছাড়াও নিম্নবর্ণিতভাবে পূর্ববর্তী দণ্ড বা খালাস প্রমাণ করা যাবে
ক) যে আদালত উক্ত দণ্ড বা খালাস দিয়াছিলেন সেই আদালতের নথিপত্র যে কর্মকর্তার হেফাজতে থাকে সেই কর্মকর্তার স্বাক্ষর দ্বারা সত্যায়িত নকল, উক্ত দণ্ডাদেশ বা খালাসের আদেশের সংশ্লিষ্ট অংশের নকল দ্বারা; বা
খ) দণ্ডাদেশের ক্ষেত্রে যে কারাগারে দণ্ড বা উহার অংশ বিশেষ কার্যকরি করা হয়েছিল, সেই কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট দ্বারা বা যে সােপৰ্দের ওয়ারেন্ট অনুসারে শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল, তা পেশ করে;
এবং উপরিউক্ত দুইটি ক্ষেত্রের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দণ্ডিত বা খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও অভিযুক্ত ব্যক্তি যে একই, সেই সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।
ধারা ৫১২ আসামির অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য লিপিবদ্ধকরণ
১) যদি প্রমাণিত হয় যে, আসামি পলায়ন করেছে এবং তাকে গ্রেফতারের আশু সম্ভাবনা নাই, তা হলে যে অপরাধের অভিযোেগ করা হয়েছে, সেই অপরাধের জন্য তাকে বিচার করার বা বিচারের জন্য প্রেরণ করার কর্তৃত্বপ্রাপ্ত আদালত তার অনুপস্থিতিতে বাদীপক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত সাক্ষীর (যদি থাকে) জবাবনবন্দী গ্রহণ করতে ও তা লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধা ছাড়া তার উপস্থিতির ব্যবস্থা করা না গেলে এবং এই বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধা বহন করা মােকদ্দমার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অযৌক্তিক হয়ে পড়িলে প্রদত্ত সাক্ষ্য সে যে অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে, সেই অপরাধের ইনকোয়ারি বা বিচার তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) অজ্ঞাত অপরাধীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ
যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন অজ্ঞাত ব্যক্তিগণ মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ করেছে, তা হলে হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ প্রদান করতে পারবেন যে, কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এই বিষয়ে অনুসন্ধান করবেন এবং অপরাধ সম্পর্কে যারা সাক্ষ্য দিতে পারে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন। এইরূপ সাক্ষী মারা গেলে বা সাক্ষ্য প্রদান করতে অক্ষম হয়ে পড়িলে বা বাংলাদেশের সীমার বাহিরে থাকলে গৃহীত জবানবন্দি পরবর্তীকালে উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে।