- Get link
- X
- Other Apps
PART VIII SPECIAL PROCEEDINGS
অষ্টম ভাগ-বিশেষ কার্যক্রম
CHAPTER 34 চৌত্রিশতম অধ্যায়
LUNATICS উন্মাদ
ধারা ৪৬৪ আসামি উন্মাদ হলে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে
১) যখন ম্যাজিস্ট্রেট অনুসন্ধান বা বিচার করছেন, তখন তিনি যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করেন যে, আসামি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ফলে আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অনুসন্ধান করবেন, এবং জেলার সিভিল সার্জন বা সরকার নির্দেশিত অন্য কোন মেডিকেল কর্মকর্তা দ্বারা তাকে পরীক্ষা করাইবেন এবং অতঃপর সাক্ষী হিসাবে উক্ত সার্জন কর্মকর্তার জবানবন্দি নিবেন। এই জবানবন্দী লিখে নিবেন।
(১) এই পরীক্ষা ও অনুসন্ধান সাপেক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট ৪৬৬ ধারার বিধান মােতাবেক আসামি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
(২) ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, আসামি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ফলে আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ, তা হলে তিনি তদীয়মর্মে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করবেন এবং মামলার কার্যপদ্ধতি স্থগিত রাখিবেন।
ধারা ৪৬৫ দায়রা আদালতে কোন ব্যক্তি উন্মাদ হলে যে কার্যক্রম অনুসরণ করতে হবে
১) দায়রা আদালতে বিচারের সময় কোন ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ বলে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয়, তবে আদালত প্রথমে উক্ত মানসিক অসুস্থতা ও অসামর্থ্যের বিষয় বিচার করবেন এবং আদালতে সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তদমর্মে সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করবেন এবং মােকদ্দমার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত রাখিবেন।
(২) আসামি মানসিক অসুস্থতা ও আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগতার বিষয়ে বিচার তার অপরাধের বিচারের অংশ বলে গণ্য হবে।
ধারা ৪৬৬ তদন্ত কিংবা বিচার সাপেক্ষে উন্মাদের মুক্তি
১) যখন আসামিকে মানসিকভাবে অসুস্থতা ও আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ বলে সাব্যস্ত করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট মােকদ্দমা জামিনযােগ্য বা জামিন অযােগ্য যাই হােক না কেন ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত এই মর্মে পর্যাপ্ত জামানতে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন যে, তার যথাযথ যত্ন লওয়া হবে এবং নিজের বা অপর কাহারও অনিষ্ট সাধনে তাকে বাধা দেওয়া হবে, এবং প্রয়ােজন হলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতের নিকট বা ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত কর্তৃক এতদূবিষয়ে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তার নিকট হাজির করা হবে।
২) উন্মাদের হেফাজত
ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যদি মনে করেন যে, মােকদ্দমাটি এইরূপ যে, জামিন প্রদান করা অনুচিত, বা যদি পর্যাপ্ত জামানাত না দেওয়া হয়, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ স্থান ও পন্থায় আসামিকে নিরাপদ হেফাজতে আটক রাখার আদেশ দিবেন এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারকে রিপাের্ট দিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, উন্মাদ আইন, ১৯১২ (১৯১২ সনের ৪নং আইন) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে আসামিকে কোন পাগলা গারদে আটক রাখার আদেশ দেওয়া যাবে না।
ধারা ৪৬৭ অনুসন্ধান অথবা বিচার পুনরায় শুরু
১) ৪৬৪ অথবা ৪৬৫ ধারার অধীন কোন অনুসন্ধান বা বিচার স্থগিত থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যে কোন সময় উক্ত অনুসন্ধান বা বিচার পুনরারম্ভ করতে পারবেন এবং আসামিকে হাজির হওয়া বা হাজির করার আদেশ প্রদান করতে পারবেন।
২) যখন আসামি ৪৬৬ ধারার অধীন মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তার জামিনদারগণ তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত কর্তৃক এতদসম্পর্কিত বিষয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট হাজির করেন তখন উক্ত কর্মকর্তা আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম বলে সার্টিফিকেট দিলে তা সাক্ষ্য প্রমাণে গ্রহণযােগ্য হবে।
ধারা ৪৬৮ ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতে আসামি হাজির হলে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে
১) আসামি পুনরায় হাজির হলে কিংবা তাকে পুনরায় হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যদি তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম বলে মত পােষন করেন, তা হলে অনুসন্ধান বা বিচারের কাজ অগ্রসর হবে।
২) ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যদি তখনও আসামিকে আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ বলে মত পােষণ করেন, তা হলে পুনরায় ৪৬৪ বা ৪৬৫ ধারা, যেখানে যেরূপ প্রয়ােজন, অনুসারে কার্য করবেন আসামি মানসিকভাবে অসুস্থ ও আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগ বলে মনে হলে ৪৬৬ ধারায় নিহিত বিধান অনুসারে তার সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ধারা ৪৬৯ আসামিকে যখন বিকৃত মস্তিষ্ক বলে প্রতীয়মান হয়
অনুসন্ধান বা বিচারের সময় আসামি যদি মানসিক সুস্থ বলে প্রতীয়মান হয় এবং প্রদত্ত সাক্ষ্য প্রমাণ হতে ম্যাজিস্ট্রেট বা অবস্থানুযায়ি আদালত পরিতুষ্ট হন যে, এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, আসামি এমন একটি কার্য করেছে যা সে মানসিক সুস্থ থাকলে অপরাধ বলে গণ্য হইত, এবং কার্যটি যখন করা হয়েছিল, তখন মানসিক অসুস্থতাবশতঃ সে কার্যের প্রকৃতি বা উহা যে অন্যায় বা বে-আইনি তা জানতে অসমর্থ ছিল, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা আদালত মামলা কার্যক্রম চালাইয়া যাবেন।
খারা ৪৭১ এই কারণে খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ হেফাজতে রাখতে হবে
১) অভিমতে যখন উল্লেখ করা হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি যে কার্যটি করেছে, এবং তার অপারগতা না থাকলে উহা অপরাধ বলে গণ্য হইত, তখন বিচারকারি ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ স্থানে ও পন্থায় উক্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ হেফাজতে অটিক রাখার নির্দেশ দিবেন এবং সরকারকে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে রিপাের্ট দিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, উন্মাদ আইন, ১৯১২ (১৯১২ সনের ৪নং আইন) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে আসামিকে কোন পাগলা গারদে আটক রাখার আদেশ দেওয়া যাবে না।
২) মহাপরিদর্শককে কতিপয় কার্য হতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারের ক্ষমতায় যে কারাগারে কোন ব্যক্তি ৪৬৬ ধারা বা এই ধারার অধীন আটক রয়েছে, সরকার সেই কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৪৭৩ বা ৪৭৪ ধারার অধীন মহা কারা পরিদর্শকে সমস্ত বা যে কোন কার্য সম্পাদনের ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
ধারা ৪৭৩ উন্মাদ বন্দী অবস্থায় আত্মপক্ষ সমর্থনে যােগ্য হলে পদ্ধতি
এইরূপ ব্যক্তি ৪৬৬ ধারায় নিহিত বিধান মােতাবেক আটক থাকলে কারাগারে আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে মহা কারা পরিদর্শক বা পাগলা গারদে আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত পাগলা গারদের পরিদর্শকগণ বা তাদের যেকোন দুইজন যদি প্রত্যয়ন করেন যে, তার বা তাদের মতে আটক ব্যক্তি আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম, তা হলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের নিকট হাজির করতে হবে; এবং অতঃপর ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত ৪৬৮ ধারায় নিহিত বিধান মােতাবেক তার সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং উক্ত মহা কারা পরিদর্শক বা পরিদর্শকদের উপরিউক্ত প্রত্যয়ন সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযােগ্য হবে।
ধারা ৪৭৪ - ৪৬৬ বা ৪৭১ ধারার অধীন আটক উন্মাদ মুক্ত হওয়ার যােগ্য বলে ঘােষিত হলে, তখনকার কার্যপদ্ধতি
১) উক্ত ব্যক্তি যদি ৪৬৬ বা ৪৭১ ধারার অধীন আটক থাকে, এবং মহাপরিদর্শক বা পরিদর্শকগণ যদি ঘােষণা দেন যে, তাদের মতে তাকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে এবং এই মুক্তির ফলে তার নিজের বা অপর কোন ব্যক্তির ক্ষতির সম্ভাবনা নাই, তা হলে সরকার তাকে মুক্তির আদেশ দিতে পারবেন, কিংবা তাকে হাজতে আটক রাখিবার নির্দেশ দিতে পারবেন অথবা পূর্বে কোন পাগলা গারদে প্রেরিত না হয়ে থাকলে তাকে কোন সরকারি পাগলা গারদে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন; এবং সরকার তাকে কোন পাগলা গারদে স্থানান্তরিত করার আদেশ দিলে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও দুইজন মেডিক্যাল কর্মকর্তা লইয়া একটি কমিশন নিয়ােগ করতে পারবেন।
২) উক্ত কমিশন আটক ব্যক্তির মানসিক অবস্থা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করবেন ও প্রয়ােজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করবেন এবং সরকারকে সেই সম্পর্কে রিপাের্ট দিবেন। ইহা উপযুক্ত মনে করলে তাকে মুক্তিদানের বা আটক রাখিয়া আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৪৭৫ উন্মাদকে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুর তত্ত্বাবধানে সমর্পণ
১) ৪৬৬ বা ৪৭১ ধারার অধীন আটক ব্যক্তির কোন আত্মীয় বা বন্ধু যদি তাকে নিজের যত্নাধীনে ও হেফাজতে লইতে ইচ্ছা করেন, তা হলে সরকারের নিকট আবেদন করলে এবং উক্ত ব্যক্তি সরকারের সন্তুষ্টি বিধানপূর্বক নিম্নলিখিত মর্মে জামানত দিলে সরকার আটক ব্যক্তিকে তার উক্ত আত্মীয় বা বন্ধুর নিকট সমর্পণ করার আদেশ দিতে পারবেন
ক) সমর্পিত ব্যক্তি সম্পর্কে যথাযথ যত্ন লওয়া হবে এবং তাকে নিজের প্রতি বা অন্য কাহারও প্রতি ক্ষতি করতে বাধা দেওয়া হবে, এবং
খ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে ও স্থানে অনুরূপ কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্যৎহাজির করা হবে, এবং
গ) ৪৬৬ ধারার অধীন আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যখন প্রয়ােজন বােধ করেন, তখন তাকে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতের নিকট হাজির করা হবে।
২) সমর্পিত ব্যক্তি কোন অপরাধে অভিযুক্ত হলে এবং তার মানসিক অসুস্থতা আত্মপক্ষ সমর্থনে অপারগতার জন্য উক্ত অপরাধের বিচার স্থগিত থাকলে, উপ-ধারা (১) এর দফা (খ)-এ বর্ণিত পরিদর্শন কর্মকর্তা যদি কোন সময় ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের নিকট ঘােষণা করেন যে, উক্ত ব্যক্তি আত্মপক্ষ সমর্থনে সক্ষম, তা হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যে আত্মীয় বা বন্ধু বরাবর আসামিকে সমর্পণ করা হয়েছে, তাকে ঐ আসামি হাজির করতে বলবেন, এবং আসামি হাজির হওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত ৪৬৮ ধারায় নিহিত বিধান মােতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং উক্ত পরিদর্শন সার্টিফিকেট সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযােগ্য হবে।