- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 32 - Of Reference and Revision
বত্রিশতম অধ্যায় - রেফারেন্স ও রিভিশন বিষয়ে
ধারা ৪৩৫ নিম্ন আদালতের নথি তলব করার ক্ষমতা
১) হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা জজ তার অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে অবস্থিত কোন নিম্নতর ফৌজদারি আদালত কর্তৃক লিপিবদ্ধকৃত বা প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত, দণ্ড বা আদেশের নির্ভুলতা, বৈধতা বা যৌক্তিকতা এবং উক্ত আদালতের কোন কার্যক্রমের নিয়মানুগতা সম্পর্কে পরিতুষ্ট হইবার জন্য উক্ত আদালতের কোন মােকদ্দমার নথিপত্র তলব করতে ও তা পরীক্ষা করতে পারবেন, এবং অনুরূপ নথি তলবের সময় নির্দেশ দিতে পারবেন যে, নথিপত্রের পরীক্ষা সাপেক্ষে কোন দণ্ড কার্যকরিকরণ স্থগিত থাকবে এবং আসামি আটক থাকলে তাকে জামিনে বা তার নিজের দেয়া বন্ডে মুক্তি দিতে হবে।
(২) হতে (৪) বাতিলকৃত।
ব্যাখ্যা।—নির্বাহী অথবা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, যাই হউক, সকল ম্যাজিস্ট্রেট এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দায়রা জজের অধঃস্তন বলে গণ্য হবে।
ধারা ৪৩৬ ইনকোয়ারির আদেশ দিবার ক্ষমতা
৪৩৫ ধারার অধীন বা অন্যভাবে কোন নথি পরীক্ষা করে হাইকোর্ট বা দায়রা জজ নির্দেশ দিতে পারবেন যে, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজে বা তার অধঃস্তন কোন ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা ২০৩ ধারা বা ২০৪ ধারার (৩) উপ-ধারার অধীন খারিজ কোন নালিশ বা কোন অপরাধে অভিযুক্ত কোন রেহাইপ্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আরও তদন্ত করবেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইরূপ তদন্ত করতে পারবেন বা তার অধঃস্তন কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরূপ তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন আদালত রেহাইপ্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে এই ধারার অধীন তদন্তের নির্দেশ দিবেন না, যদি না উক্ত ব্যক্তিকে কেন উক্তরূপ নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাইবার সুযােগ প্রদান করা হয়।
ধারা ৪৩৯ হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশনের ক্ষমতা
১) হাইকোর্ট বিভাগ নিজে যে মােকদ্দমার নথিপত্র তলব করেছেন বা যা আদেশের জন্য প্রেরিত হয়েছে, বা যা অন্য কোনরূপে হাইকোর্ট বিভাগের গােচরীভূত হয়েছে। ঐ মােকদ্দমার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ উহার স্বীয় সুবিবেচনায় ৪২৩, ৪২৬, ৪২৭, ৪২৮ ধারায় আপিল আদালতকে বা ৩৩৮ ধারায় আপিল আদালতকে কিংবা ৪৩৮ ধারায় কোন প্রদত্ত ক্ষমতাসমূহের মধ্যে যে কোনটি প্রয়ােগ করতে পারবেন, এবং দণ্ড বাড়াইতে পারবেন, এবং রিভিশনের অধিক্ষেত্রসম্পন্ন আদালতের বিচারকগণ যখন তাদের অভিমতে সমানভাবে বিভক্ত হবেন তখন কার্যক্রমটি ৪২৯ ধারার বর্ণিতভাবে নিস্পত্তি করতে হবে।
২) আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজে বা কৌসুলীর মারফত তার বক্তব্য পেশের সুযােগ পাইলে অত্র ধারার অধীন তার বিরুদ্ধে কোন আদেশ দেওয়া যাবে না।
৩) এই ধারায় সংশ্লিষ্ট দণ্ড কোন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত হয়ে থাকলে আসামি যে অপরাধ করেছে বলে আদালত ধরিয়া নেন, সেই অপরাধের জন্য কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট যে দণ্ড দিতে পারিতেন, আদালত উহা অপেক্ষা অধিক দণ্ড দিবেন না।
৪) খালাসের সিদ্ধান্তকে দণ্ডাদেশের অভিমতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগকে প্রদান করা হয়েছে বলে অত্র ধারায় কোন কিছু মনে করা যাবে না, বা দায়রা জজ ৪৩৯ক ধারার অধীন কোন আদেশ প্রদান করলে সেই বিষয়ে কোন কার্যপদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে না।
৫) যেক্ষেত্রে অত্র বিধির অধীন আপিল চলে কিন্তু আপিল রুজু করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে যে পক্ষ আপিল করতে পারিত সেই পক্ষের উদ্যোগে রিভিশনের আকারে কোন কার্যক্রম গ্রাহ্য করা যাবে না।
৬) এই ধারায় যাই থাকুক না কেন, কোন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কেন তার দণ্ড বাড়ানাে যাবে না। (২) উপ-ধারার অধীন তার কারণ দর্শাইবার সুযােগ দেওয়া হলে, উক্ত কারণ দর্শাইবার সময় তার দণ্ডের বিরুদ্ধেও কারণ দর্শাইতে অধিকারি হবে।
ধারা ৪৩৯ক দায়রা জজের রিভিশনের ক্ষমতা
১) কোন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নিজে কোন মােকদ্দমার নথি তলব করে থাকলে কিংবা অন্য কোনভাবে বিষয়টি তার গােচরীভূত হলে দায়রা জজ ৪৩৯ ধারার অধীন হাইকোর্ট বিভাগের যাবতীয় বা যে কোন ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবেন।
২) কোন ব্যক্তি কর্তৃক বা তার পক্ষ হতে দায়রা জজের নিকট কোন রিভিশনের দরখাস্ত করা হলে, তদৃবিষয়ে দায়রা জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
৩) দায়রা জজের সাধারণ বা বিশেষ আদেশক্রমে কোন মােকদ্দমা অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট হস্তান্তরিত হলে সে মােকদ্দমা প্রসঙ্গে তিনি অত্র অধ্যায়ের অধীন দায়রা জজের সমস্ত বা যে কোন ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবেন।
ধারা ৪৪০ পক্ষ সমূহের বক্তব্য শ্রবণ আদালতের ইচ্ছাধীন
কোন আদালত যখন ইহার রিভিশনের ক্ষমতা প্রয়ােগ করেন, তখন উক্ত আদালতে কোন পক্ষেরই ব্যক্তিগতভাবে কিংবা কৌসুলীর মারফত বক্তব্য পেশের অধিকার থাকবে না। তবে শর্ত থাকে যে, আদালত উপযুক্ত মনে করলে এইরূপ ক্ষমতা প্রয়ােগের সময় কোন পক্ষের বক্তব্য ব্যক্তিগতভাবে কিংবা কৌসুলীর মাধ্যমে শ্রবণ করতে পারেন এবং এই ধারার কোন বিধান ধারা ৪৩৯ এর উপ-ধারা (২) কে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য করা যাবে না।
ধারা ৪৪২ হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ নিম্ন আদালত অথবা, ম্যাজিস্ট্রেটকে নিশ্চয়ভাবে জ্ঞাত করাইতে হবে
হাইকোর্ট বিভাগ যখন অত্র অধ্যায়ের অধীন কোন কোন পুনর্বিবেচনা করেন, তখন ইতােপূর্বে ৪২৫ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে হাইকোর্ট নিজস্ব সিদ্ধান্ত বা আদেশ সেই আদালতে
নিশ্চয়রূপে জ্ঞাত করাইবেন, যে আদালত কর্তৃক মূল সিদ্ধান্ত, দণ্ড বা আদেশ লিপিবদ্ধ বা প্রদত্ত হয়েছিল, এবং যে আদালত যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অনুরূপ সিদ্ধান্ত বা আদেশ নিশ্চয়রূপে জ্ঞাত করানাে হল, সেই আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের সঙ্গে মিল রাখিয়া
আদেশ দিবেন এবং প্রয়ােজন হলে সেই অনুসারে নথিপত্র সংশােধন করবেন।
Chapter 32 -Time for Disposal of Appeal and Revision
বত্রিশতম-ক অধ্যায় -আপিল ও রিভিশন নিষ্পত্তির সময়
ধারা ৪৪২ক আপিল ও রিভিশন নিষ্পত্তির সময়
১) একটি আপিল আদালত ইহার নিকট রুজুকৃত আপিল রেসপন্ডেন্ট বরাবর নােটিশ জারি হইবার তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
২) রিভিশনের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি আদালত পক্ষগণের উপর নােটিশ জারি হইবার তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে রিভিশন কার্যক্রম নিষ্পত্তি করবেন।
৩) ধারাটিতে সময় নির্ণয়ের জন্য কেবলমাত্র কর্মের দিনগুলি গণিতে হবে।