- Get link
- X
- Other Apps
Chapter Sixteen - Of Offences Affecting the Human Body
ষোড়শ অধ্যায়-মানবদেহ বিষয়ক অপরাধগুলো সম্পর্কিত
Of Offences Affecting Life -জীবন ক্ষুন্নকারি অপরাধগুলোর সম্পর্কিত
ধারা ২৯৯ শাস্তিযােগ্য নরহত্যা
কোন লােক যদি কোন কার্যের সাহায্যে মৃত্যু ঘটানাের লক্ষ্য নিয়ে মৃত্যু ঘটায় বা দৈহিক জখম মৃত্যু ঘটাতে পারে, তেমন দৈহিক জখম ঘটানাের লক্ষ্য নিয়ে কৃত কোন কার্যের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটায় বা যে কার্য মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে সে জ্ঞাত আছে, সে কার্যের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটায়, তা হলে সে লােক শাস্তিযােগ্য নরহত্যার অপরাধ অনুষ্ঠান করেছে বলে পরিগণিত হবে।
উদাহরণগুলো
ক) ক কোন কুপের মুখে কাদণ্ডাদি ও ঘাসের ফরাস পাতে এই উদ্দেশ্যে যে, তাতে মৃত্যু ঘটতে পারে বা তাতে যে মৃত্যু ঘটতে পারে, তা জ্ঞাত হয়েও সে তা করে। খ ঐ স্থান মজবুত্র বলে বিশ্বাস করে এর উপর দিয়ে চলতে থাকে ও এর ভিতর পড়ে যায় ও নিহত হয়। ক শাস্তিযােগ্য নরহত্যার অপরাধ করেছে।
খ) ক একটি ঝোপের আড়ালে গ আছে বলে জ্ঞাত আছে। খ এটা জানে না। ক গ-র মৃত্যু ঘটায় ইচ্ছায় বা এতে গ-র মৃত্যু ঘটিবার আশংকা আছে জেনে খ-কে ঐ ঝোপের প্রতি গুলি ছুড়ার জন্য প্রবৃত্ত করে। খ গুলি ছােড়ে ও গ-কে হত্যা করে। এইক্ষত্রে খ কোন অপরাধের জন্য অপরাধি না হতে পারে, কিন্তু ক শাস্তিযােগ্য নরহত্যার অপরাধ করেছে।
গ) ক একটি মুরগী হত্যা ও চুরি করার উদ্দেশ্যে মুরগিটির প্রতি গুলি ছোঁড়ে, কিন্তু ঝোপের অপর পাশে থাকা ‘খ' গুলি বর্ষণের কারণে মারা যায়, যা 'ক' জানত না। এইক্ষেত্রে যদিও ‘ক’ একটি বেআইনি কার্য করতেছিল, তবুও সে শাস্তিযােগ্য নরহত্যার সংগঠন করেছে বলে পরিগণিত হবে না, কেননা সে খ-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি ছােড়ে নাই বা এমন কোন কার্য করে মৃত্যু ঘটানাের অভিপ্রায় করে নি, যা মৃত্যু ঘটাতে
পারে বলে তার জানা ছিল।
ব্যাখ্যা ১, যে লােক অসুস্থতা, ব্যাধি বা দৈহিক বৈকল্যে ভুগছে এরূপ অপর কোন লােককে দৈহিক জখম করে মৃত্যু ত্বরান্বিত করলে তার মৃত্যু ঘটানাের অপরাধ বলে পরিগণিত হবে।
ব্যাখ্যা ২. যখন দৈহিক জখমের কারণে মৃত্যু ঘটে, তখন যে লােক এরূপ দৈহিক জখম করে, সে লােক মৃত্যু ঘটিয়েছে বলে পরিগণিত হবে, যদিও যথােচিত প্রতিকারের ও নিপুন চিকিৎসার আশ্রয় নিলে মৃত্যু নিবারণ করা যেত।
ব্যাখ্যা ৩, মাতৃগর্ভস্থ কোন শিশুর মৃত্যু ঘটান নরহত্যা বলে পরিগণিত হবে না । কিন্তু যদি কোন শিশুর দেহের কোন অংশ নিষ্ক্রান্ত করার পর জীবিত শিশুটির মৃত্যু ঘটানো হয়, তা হলে তা শাস্তিযােগ্য নরহত্যা বলে পরিগণিত হবে, যদিও শিশুটি যদিও শিশুটি শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ না করে থাকে বা সম্পূর্ণ হিসেবে জন্মগ্রহণ না করে থাকে।
ধারা ৩০০ খুন
প্রথমতঃ অতঃপর ব্যতিক্রম ক্ষেত্রগুলাে ছাড়া শাস্তিযােগ্য নরহত্যা খুন বলে পরিগণিত হবে, যদি যে কার্যের মৃত্যু হতে পারে, সে কার্যটি মৃত্যু সংঘটনের জন্য সম্পন্ন হয়, অথবা
দ্বিতীয়তঃ যদি কাজটি কোন লােককে এরূপ দৈহিক জখম করার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হয়, যে আঘাতের কারণে যে লােককে আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সে লােকের মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে অপরাধিকারির জানা থাকে, কিংবা
তৃতীয়তঃ কোন লােক যদি দৈহিক জখম প্রদানের ইচ্ছায় কাজটি সম্পন্ন হয় ও যদি, যে দৈহিক জখম দেওয়ার অভিসন্ধি করা হয়েছে, সে আঘাতটি প্রাকৃতিক স্বাভাবিক অবস্থায় মৃত্যু ঘটানাের জন্য যথার্থ হয়, কিংবা
চতুর্থতঃ যদি, যে লােক কাজটি অনুষ্ঠান করে সে লােক জানে যে, কাজটি এত আসন্ন বিপজ্জনক যে, ইহার কারণে খুব সম্ভবত মৃত্যু ঘটাবে বা এরূপ দৈহিক জখম ঘটাবে যা মৃত্যু ঘটাতে পারে ও মৃত্যু সংঘটনের বা পূর্বোক্ত জখম ঘটানাের ঝুঁকি গ্রহণের জন্য অপর কোন অজুহাত ব্যতীতই এরূপ কার্য সম্পন্ন করে।
উদাহরণগুলাে
ক) ক, খ-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার প্রতি গুলিবর্ষণ করে। এ কারণে খ মারা যায়। ক খুন করেছে।
খ) ক জানে যে, খ এরূপ একটি রােগে ভুগছে যে, এক আঘাতেই তার মৃত্যু ঘটানাের আশংকা রয়েছে। ক এই কথা জেনে তাকে দৈহিক জখম করার ইচ্ছায় আঘাত করে। ঐ আঘাতের কারণে খ মৃত্যুবরণ করে। ক খুন করেছে। যদিও আঘাতটি প্রকৃতির নিয়মে একজন অটুট স্বাস্থ্যবান লােকের মৃত্যু ঘটানাের পক্ষে যথেষ্ট হত না কিন্তু এইক্ষেত্রে, যদিও ক দৈহিক জখম করার ইচ্ছা করে থাকে; তবুও সে খুনের অপরাধে অপরাধি হবে। যদি খ কোন রােগে ভুগছে বলে না জেনে ক তাকে এরূপ একটি আঘাত করে যা প্রকৃতির নিয়মে একজন অটুট স্বাস্থ্যবান লােকের মৃত্যু ঘটাইত না ও যদি সে মৃত্যু ঘটানাের বা এমন কোন জখম করার ইচ্ছা না করে থাকে যা প্রকৃতির নিয়মে মৃত্যু ঘটাতে পারে। তবে সে খুনের অপরাধে অপরাধি হবে না।
গ) ক উদ্দেশ্যমূলকভাবে খ-কে একটি তরবারির ঘা বা লাঠির আঘাত দান করে, যা স্বাভাবিকভাবে একজন লােকের মৃত্যু ঘটানাের পক্ষে যথেষ্ট। এ কারণে খ মৃত্যুবরণ করে। এইক্ষেত্রে ক খুনের অপরাধের অপরাধি । যদিও সে থ-র মৃত্যু ঘটাতে চায় নি।
ঘ) ক কোন অজুহাত ছাড়াই একটি জনতার উপর একটি গােলাভর্তি কামান হতে গােলাবর্ষণ করে ও তাদের ভিতর একজনকে নিহত করে। ক খুনের অপরাধে অপরাধি । যদিও কোন বিশেষ লােককে হত্যা করার জন্য তার পূর্বকল্পিত অভিসন্ধি ছিল না।
যেক্ষেত্রে শাস্তিযােগ্য নরহত্যা খুন বলে পরিগণিত নয়
ব্যতিক্রম ১, অপরাধকারি মারাত্মক ও আকস্মিক উত্তেজনার কারণে আত্মসংযমশক্তি রহিত অবস্থায় উত্তেজনা প্রদানকারি বা ভুলক্রমে বা দুর্ঘটনাক্রমে অপর কোন লােকের মৃত্যু ঘটালে শাস্তিযােগ্য নরহত্যা খুন বলে পরিগণিত হবে না।
উপরে উল্লেখিত ভিন্নতা নিম্নলিখিত শর্তাবলি সাপেক্ষে হবে যে
প্রথমতঃ প্ররােচনাটি কোন লােককে হত্যা করার বা তার ক্ষতি সাধন করার অজুহাত স্বরূপ হিসেবে অপরাধকারি দ্বারা স্বয়ং প্রার্থীত বা প্ররােচিত হতে পারবে না।
দ্বিতীয়তঃ প্ররােচনাটি আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়ােগ অনুসারে কৃত কোন কার্য সঞ্জাত হতে পারবে না বা কোন সরকারি কর্মচারি হিসেবে যথাযােগ্য ক্ষমতাদির আইনসম্মত প্রয়োগ সঞ্জাত হতে পারবে না।
তৃতীয়তঃ ঐ উওেজনা ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকারের আইনানুগ প্রয়ােগের সম্পর্কে কৃত কোন কার্য মাধ্যমে দেয় হয় নি।
ব্যাখ্যাঃ ঐ উত্তেজনা অপরাধটিকে খুন বলে গণ্যর সম্পর্কে বাধা দান করার পক্ষে যথার্থ মারাত্মক ও আকস্মিক কিনা, তা একটি ঘটনাগত প্রশ্ন।
উদাহরণ
ক) ক, খ এর উস্কানীতে উত্তেজিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খ-র সন্তান — হত্যা করে। এটা একটি খুন। কেননা উস্কানিটা ঐ শিশু দ্বারা দেয় হয় নি বা উস্কানির কারণে কোন কার্য সম্পন্নের সময় দুর্ঘটনাবশত শিশুটির মৃত্যু ঘটে নি।
খ) গ, ক-কে মারাত্মক ও আকস্মিক উস্কানী দান করে। এই উস্কানীর কারণে ক, গ এর প্রতি গুলি বর্ষণ করে। গ এর কাছাকটি ঘ দাঁড়িয়েছিল যেটা ক দেখে নি ও গ-কে হত্যার কার ইচ্ছা ছিল না বা ঘ এর মৃত্যু হতে পারে বলে ক এর জানা ছিল না। কিন্তু গ এর প্রতি পিস্তলের গুলিবর্ষণের কারণে ঘ এর প্রাণহানি ঘটে। এইক্ষেত্রে ক খুন করে নি; পক্ষান্তরে শুধু শাস্তিযােগ্য নরহত্যা করেছে।
গ) ক আইনসম্মতভাবে ঘ-কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের কারণে ঘ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ক-কে হত্যা করে। এটা খুন, যেহেতু এটা উস্কানির কারণে একটি সরকারি কর্মচারি কর্তৃক তার ক্ষমতা প্রয়ােগের সময় কৃত একটি কার্য মাধ্যমে দেয় হয়েছে।
ঘ) ক একজন সাক্ষী হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেট গ-র সামনে হাজির হয়। গ বলেন যে, তিনি ক-র সাক্ষ্যের এক শব্দও বিশ্বাস করেন না ও তিনি আরাে বলেন ক মিথ্যা শপথ গ্রহণ ও সাক্ষ্য দিয়েছে। যার কারণে ক আকস্মিক ক্রোধে উদ্দীপ্ত হয় ও গ-কে হত্যা করে। এটা খুন ।
ঙ) ক, গ-র নাক ধরে টানবার চেষ্টা করে। গ ক-কে ঐ কার্য সম্পন্ন হতে বিরত রাখার জন্য তার ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা কর্তৃত্ত্ব প্রয়ােগ করে তাকে পাকড়াও করে ফেলে। এ কারণে ক হঠাৎ ও প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে গ-কে হত্যা করে। এটা খুন । কেননা উত্তেজনাটি বাক্তিগত প্রতিরক্ষা কৰ্তত্ত্ব প্রয়ােগকালে কৃত একটি কার্য মাধ্যমে দেয় হয়েছে ।
চ) গ, খ-কে আঘাত করে। এই প্ররোচনায় খ খুব উত্তেজিত হয় ও প্রচন্ড ক্রোধে উদ্দীপ্ত হয়ে পড়ে। ক একজন দর্শক হয়ে খ-র ক্রোধের সুবিধা গ্রহণ করার ও তার সাহায্যে গ-কে হত্যা করার ইচ্ছায় তদুদ্দেশ্যে খ-র হাতে একটি ছােয়া দেয়। ছােরাটির মাধ্যমে খ, গ-কে হত্যা করে। এইক্ষেত্রে খ শুধু শাস্তিযােগ্য নরহত্যা করে থাকতে পারে, কিন্তু ক খুনের অপরাধের অপরাধে অপরাধি।
ব্যতিক্রম ২. শাস্তিযােগ্য নরহত্যা খুনের সমান হবে না, যদি অপরাধকারি সদবিশ্বাসে তার আত্মরক্ষার বা সম্পত্তি রক্ষার ব্যক্তিগত কর্তৃত্ত্ব প্রয়ােগের সময় তাকে আইনের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম না করে ও যার বিরুদ্ধে সে এই কর্তৃত্ব প্রয়ােগ করে, কোনরূপ পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই বা এরূপ কর্তৃত্ব রক্ষার জন্য যেটুকু ক্ষতিসাধন করা দরকার সেটুকুর বেশি ক্ষতিসাধনের ইচ্ছা ব্যতীত, তার মৃত্যু ঘটায়।
উদাহরণ।
গ, ক-ঝে ঘােড়ার চাবুক দিয়ে মারবার উপক্রম করে। সে এই হিসেবে মারতে চায় যেন ক গুরুতর হিসেবে আহত না হয়। ক একটি পিস্তল নিয়ে আস্ফালন করে ঘ তারপরও তাকে মারবার চেষ্টা করে। অপর কোন উপায়ে ক নিজেকে ঐ প্রহার হতে নিজেকে বাচাতে পারবেনা, এই সদৃবিশ্বাসে গ-কে গুলি করে হত্যা করে। ক খুন করে নি, শুধু শাস্তিযোগ্য নরহত্যা করেছে।
ব্যতিক্রম ৩, অপরাধকারি একজন সরকারি কর্মচারি হিসেবে বা সরকারি কর্মচারির সাহায্যকারি হিসেবে তাকে দেয় ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করলে ও এমন একটি কার্য সংগঠন করে মৃত্যু ঘটায়, যা সে এরূপ সরকারি কর্মচারির দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আবশ্যকিয় ও আইনমতে বলে সদবিশ্বাসে আমলে নিলে ও সে লােকের মৃত্যু ঘটলে তার প্রতি কোনরকম বিনা দুরভিসন্ধিতে কাজটি করলে শাস্তিযোগ্য নরহত্যা খুনের সমান হবে না।
ব্যতিক্রম ৪. যদি কোন আকস্মিক বিবাদ নিয়ে আকস্মিক দ্বন্ধে ক্রোধ কবলিত অবস্থায় পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া নরহত্যা অনুষ্ঠিত হয় ও অপরাধি অসঙ্গত সুযােগ গ্রহণ না করলে বা নির্মম অস্বাভাবিক পদ্ধতিতে কার্য না করে থাকে, তা হলে ঐ শাস্তিযােগ্য নরহত্যা খুনের সমান হবে না।
ব্যাখ্যাঃ এরূপ ক্ষেত্রসমূহে কোন পক্ষ উত্তেজনা দান করে বা প্রথম আক্রমণ করে এই প্রশ্ন আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ব্যাতিক্রম ৫. যে লােকের মৃত্যু ঘটে, সে লােক যদি আঠার বৎসরের বেশী বয়স্ক হয়ে ইচ্ছামূলকভাবে মৃত্যুবরণ করলে বা মৃত্যুর ঝুঁকি নিলে, ঐ মৃত্যু শাস্তিযােগ্য নরহত্যার ঐ অপরাধজনক প্রাণহানি খুনের সামিল হবেনা।
উদাহরণ
ক প্ররােচনা করে, স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঠার বছরের নিম্ন বয়স্ক গ-কে আত্মহত্যা করতে সম্মতি দেয়। এইক্ষেত্রে গ তার অপরিণত বয়সের কারণে তার মৃত্যুতে সম্মতি প্রদানের অযোগ্য ছিল । তাই ক খুনের অপরাধ সংগঠনে সাহায্য করেছে।
ধারা ৩০১ যে লােকের মৃত্যু অভিপ্রায় ছিল সে লােক ভিন্ন অপর লােকের মৃত্যু অনুষ্ঠান মাধ্যমে শাস্তিযােগ্য নরহত্যা সংঘঠন
কোন লােক যদি এরূপ কোন কার্য করে যার মাধ্যমে সে মৃত্যু ঘটানাের ইচ্ছা করে বা যার মাধ্যমে মৃত্যু ঘটতে পারে বলে সে জানে, এমন কোন লােকের মৃত্যু ঘটিয়ে শাস্তি যােগ্য নরহত্যা সংগঠন করে, যে লােকের মৃত্যু ঘটানাে তার কামনা ছিল না বা তার মৃত্যু ঘটানাের আশংকা আছে বলে সে জানে না তা হলে অপরাধি কর্তৃক অনুষ্ঠিত শাস্তিযােগ্য নরহত্যা, সে যেই লােকের মৃত্যু ঘটানাের ইচ্ছা করেছিল বা যার মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে সে জানত, তার মৃত্যু ঘটলে এটা যেইরূপ হত তদ্রুপ বর্ণনার হবে।
ধারা ৩০২ খুনের শাস্তি
কোন লােক যদি খুন করে, তা হলে সে লােক মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
আলােচনা ও বিশ্লেষণ
দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা বহুল আলােচিত ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ ধারার নিয়ম মােতাবেক খুনের অপরাধে শাস্তি প্রদান করা হয়। খুন প্রমাণিত হলে অর্থাৎ, আসামিগণ খুন করেছে বলে সন্দেহতীত প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে হয়। খুনের শাস্তি হিসেবে এ দুইটি শান্তি ছাড়া অন্য কোন দণ্ডের নিয়ম মঞ্জুর করা হয়না। যে সমস্ত উপাদানের উপর ভিত্তি করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে তা ভিন্ন প্রসংগে বিধৃত করা হয়েছে। তবে খুনের অপরাধে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া সমীচিন বলে গ্রহণ করা হয়। ৩০২ ধারার বিধানে অতি সংক্ষেপে দণ্ডের কথা বিধৃত করা হলেও তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও বিশদ বিশ্লেষণ ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। উচ্চ আদালতের অগণিত নজীরের মাধ্যমে সমৃদ্ধ এ ধারাটি ২৯৯, ৩০০, ৩০১ ধারার আলােকে অনেক সময় প্রয়ােগ করতে হয়। স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করত কেবলমাত্র এ তথ্যের উপর বিশ্বাস করে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে শাস্তি প্রদান করা যায়না। যখন কোন ঘটনা অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষ-নির্দোষিতা উভয়ই ইংগিত করে তখন অভিযুক্ত ব্যক্তির
নির্দোষিতার অনুমান করতে হয়।
খুনের দায়ে শাস্তি
দণ্ডবিধির ৩০২নং ধারায় বর্ণিত আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি খুনের অপরাধ করে, ঐ ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তাকে অর্থদণ্ড ও দণ্ডিত করা হবে।
খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কি বাধ্যতামূলক?
দণ্ডবিধির বিধান মতে, যদি কোন ব্যক্তি খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয় তাহলে উক্ত বিধি অনুসারে উক্ত ব্যক্তিকে হয় মৃত্যুদণ্ড নতুবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। অতএব, খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডাদেশ সর্বক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক নহে যদিও ইংলিশ ল, অনুসারে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডে শান্তি বাধ্যতামূলক। তবে দণ্ডবিধির ৩০৩ ধারা অনুসারে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের দণ্ডাদেশ বাধ্যতামূলক।
এই ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে খুন করে, তাহলে ঐ ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংগঠনের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক
নিম্নলিখিত অপরাধ গুলির জন্য দণ্ডবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে, যেমনঃ
১) দণ্ডবিধির ১২১নং ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরম্ভ করে কিংবা অনুরূপ যুদ্ধ আরম্ভের চেষ্টা করে কিংবা অনুরূপ যুদ্ধ আরম্ভের সহায়তা করে, তাহলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত্র দেওয়া যেতে পারে।
২) দণ্ডবিধির ১৩২নং ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনীর কোন অফিসার সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিকের বিদ্রোহ অনুষ্ঠানে সাহায্য বা প্ররোচনা দান করে এবং সেই সাহায্য বা প্ররােচনার ফলে যদি বিদ্রোহ অনুষ্ঠান হয় তাহলে সে ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।
৩) দণ্ডবিধির ১৯৪নং ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দান করে যার ফলে একজন নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হয় এরূপ উদ্দেশ্য প্রণােদিত মিথ্যা সাক্ষ্য দানের জন্য উক্ত ব্যক্তিকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
৪) দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি খুন করার দায়ে অভিযুক্ত হয় তাহলে উক্ত বিধি অনুসারে উক্ত ব্যক্তিকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে ।
৫) দণ্ডবিধির ৩০৩ নং ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করা অবস্থায় খুন করে, তাহলে তার জন্য মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র প্রাপ্য শান্তি ।
৬) দণ্ডবিধির ৩০৫নং ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি ১৮ বৎবরের কম বয়সের কোন বালক কে বা কোন উম্মাদি ব্যক্তিকে বা কোন প্রলাপগ্রস্থ ব্যক্তিকে বা কোন নির্বোধ ব্যক্তিকে, অর্থাৎ, নিজের সম্বন্ধে যার কোন হিতাহিত জ্ঞান নাই বা কোন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে, আত্মহত্যা করার জন্য সহায়তা করে বা প্ররােচনা দান করে তাহলে এরূপ সহায়তাকারি বা প্ররােচনা দানকাদির ব্যক্তিকে এই ধারামতে মৃত্যুদন্দ্র দেওয়া যেতে পারে।
৭) দণ্ডবিধির ৩৯৬ নং ধারায় বর্ণিত আছে যে, যদি যুক্তভাবে ডাকাতি সংগঠনকালে পাঁচ বা ততােধিক ব্যক্তির যে কোন একজন অনুরূপ ডাকাতি সংঘটনকালে খুন করে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ধারা ৩০৩ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত লােক দ্বারা খুনের শাস্তি
কোন লােক যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় খুন অনুষ্ঠান করে, তা হলে সে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩০৪ খুন নয় এরূপ শাস্তিযােগ্য নরহত্যার শাস্তি
কোন লােক যদি, খুন নন এরূপ শাস্তিযােগ্য নরহত্যা সংগঠন করে, তা হলে সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা দশ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে ও তাকে জরিমানাদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে, যদি যে কার্যের সাহায্যে মৃত্যু হয় বা মৃত্যু ঘটানাের ইচ্ছায় বা মৃত্যু ঘটানাের আশংকা আছে এমন গুরুতর আঘাত প্রদানের ইচ্ছায় সম্পন্ন হয়ে থাকে কিংবা যদি যে কার্যটির মাধ্যমে মৃত্যু হয়, সে কাজটি সংগঠনের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে বলে জানা থাকে, কিন্তু কাজটি মৃত্যু সংঘটনের উদ্দেশ্যে করা হয় নাই যে দৈহিক আঘাতের কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে
দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩০৪কঃ অবহেলার কারণে মৃত্যু
কোন লােক যদি শাস্তিযােগ্য নরহত্যা বলে পরিগণিত নন এরূপ কোন বেপরােয়া বা অবহেলাজনকভাবে কার্য করে কোন লােকের মৃত্যু ঘটায়, তা হলে সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ পাঁচ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩০৪খ বেপরােয়াভাবে যান চালানাে বা আরােহনের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটানাে:
কোন লােক যদি বেপরােয়াভাবে অবহেলামূলকভাবে জনপথে যান চালিয়ে বা অশ্ব চালিয়ে শাস্তিযােগ্য নরহত্যা এমন মৃত্যু ঘটায়, তা হলে সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩০৫ শিশু বা উম্মাদ লােকের আত্মহত্যায় সহায়তাকরণ বা প্ররােচনাদান
যদি আঠার বৎসরের নিম্ন বয়স্ক কোন লােক, কোন উম্মাদ লােক, কোন প্রলাপগ্রস্ত লােক, কোন নির্বোধ লােক বা কোন প্রমত্ততাগ্রস্ত লােক আত্মহত্যা করে, তা হলে এরূপ আত্মহত্যা অনুষ্ঠানে সহায়তকারি বা প্ররােচনাকারি লােক মৃত্যুদণ্ডে, কারাদণ্ডে বা অনধিক দশ বৎসরকাল মেয়াদি কারাদণ্ড হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানা দণ্ডে শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ৩০৬ আত্মহত্যায় সহায়তাকরণ বা প্ররােচনা
কোন লােক যদি আত্মহত্যা করে তা হলে ঐ আত্মহত্যায় যে সাহায্য বা প্ররােচনাদান করে সে লোেক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ৩০৭খুনের চেষ্টা
কোন লােক যদি এরূপ অভিপ্রায় বা অবগতি সহকারে বা এমন আশংকা জানার পরও এমন অবস্থায় এমন কোন কার্য করে, যৎদরুণ মৃত্যু ঘটলে সে খুনের অপরাধে অপরাধি হবে, তা হলে সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে-দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে; ও যদি ঐ কার্যের সাহায্যে, কোন লােককে আঘাত করা হয় তা হলে অপরাধি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ইতিপূর্বে উল্লিখিত দণ্ডে শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ৩০৮ শাস্তিযােগ্য নরহত্যার চেষ্টা
কোন লােক যদি এরূপ ইচ্ছায় বা অবগতি সহকারে ও এরূপ অবস্থায় কোন কার্য করে যে, সে যদি ঐ কার্যের সাহায্যে মৃত্যু ঘটাত তা হলে সে খুন বলে পরিগণিত নন এরূপ শাস্তিযােগ্য নরহত্যার অপরাধের দায়ি হত, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারদণ্ডে যার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে; আর যদি ঐ কার্যের সাহায্যে কোন লােক আহত হয়, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
উদাহরণ
ক মারাত্মক ও আকস্মিক উস্কানিতে প্ররােচিত হয়ে এমন অবস্থায় খ-এর প্রতি পিস্তলের গুলি ছোঁড়ে যে, যদি সে তাদ্বারা মৃত্যু ঘটাত, তা হলে সে খুন বলে পরিগণিত নন এরূপ শাস্তিযােগ্য নরহত্যার চেষ্টার অপরাধে অপরাধি বলে সাব্যস্ত হত। ক এই ধারায় উল্লেখিত অপরাধ অনুষ্ঠান করেছে।
ধারা ৩০৯ আত্মহত্যার চেষ্টা
কোন লােক যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করে ও এরূপ অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে কোন কার্য করে তা হলে সে লােক বিনাশ্রম কারাদণ্ডে—যার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩১০ ঠগ
কোন লােক যদি, এই আইন প্রচলনের পর যে কোন সময় খুন করে বা খুন সহকারে দস্যুতা সংগঠন বা শিশু অপহরণের উদ্দেশ্যে অভ্যাসগতভাবে অপর এক বা একাধিক লােকের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকে, সে লােক ঠগ।
ধারা ৩১১ ঠগ এর শাস্তি
কোন লােক যদি ঠগ এর অপরাধ অনুষ্ঠান করে, তা হলে সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
Of the Causing of Miscarriage, of Injuries to unborn Children, of the Exposure of Infants, and of the Concealment of Births
গর্ভপাত করান, অজাত সন্তানগুলাের ক্ষতিসাধন, শিশু গুলাের পরিত্যাগ এবং গােপন বিষয়ক
ধারা ৩১২ গর্ভপাতকরণ
কোন লােক যদি, ইচ্ছাকৃতভাবে কোন গর্ভবতী স্ত্রীলােকের গর্ভপাত করায়, এরূপ গর্ভপাত সদবিশ্বাসে ঐ স্ত্রীলােকের জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে না করা হয়ে থাকে, তা হলে সে লোক যে কোন বর্ণণার কারাদণ্ডে-যার মেয়াদ তিন বৎসর হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে ও যদি ঐ স্ত্রীলােকটি আসন্ন প্রসবা হয়, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে- দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ব্যাখ্যাঃ যে স্ত্রীলােক নিজে থেকে গর্ভপাত করে সে স্ত্রীলােকও এই ধারার তাৎপর্যাধীন হবে।
ধারা ৩১৩ স্ত্রীলােকের বিনা সম্মতিতে গর্ভপাত করান
কোন লােক যদি, স্ত্রীলােকের বিনা সম্মতিতে-স্ত্রীলােকটি আসন্ন প্রসবা হােক বা না হােক-পূর্ববর্তী শেষ ধারায় উল্লেখিত অপরাধ অনুষ্ঠান করে, তা হলে সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে- দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ৩১৪ গর্ভপাত ঘটানাের উদ্দেশ্যে সম্পন্ন কার্যের কারণে মৃত্যু
কোন লােক যদি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলােকের গর্ভপাত ঘটানাের উদ্দেশ্যে এরূপ কোন কার্য করে, যার কারণে ঐ স্ত্রীলােকের মৃত্যু ঘটে, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে-দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
গর্ভপাত ঘটানাের কাজটি ঐ স্ত্রীলােকের বিনা সম্মতিতে করা হলে
এবং যদি কাজটি ঐ স্ত্রীলােকের বিনা সম্মতিতে সম্পন্ন হয়, তা হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা উপরােল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ব্যাখ্যাঃ এই অপরাধের জন্য, কাজটি মৃত্যু ঘটাতে পারে, এই জ্ঞান অপরাধকারীর অবগতি অপরিহার্য নয়।
ধারা ৩১৫ শিশু যেন জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হতে না পারে বা জন্মের পরই যেন এর মৃত্যু হয়, তদুদ্দেশ্যে কৃত কার্য
কোন লােক যদি, কোন শিশুর জন্মের পূর্বে ঐ শিশু যেন জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হতে না পারে বা জন্মের পরই যেন এর মৃত্যু হয়-এইভাবে কোন অপরাধ অনুষ্ঠান করে ও এরূপ কর্মের সাহায্যে ঐ শিশুর জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হতে বাধাদান করে বা এর জন্মের পর এর মৃত্যু ঘটায়-এবং যদি এরূপ কার্য সদবিশ্বাসে মায়ের জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে করা না হয়, তা হলে সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ৩১৬ শাস্তিযােগ্য নরহত্যাতুল্য কার্যের সাহায্যে অজাত শিশুর মৃত্যু ঘটান
কোন লােক যদি, এরূপ অবস্থায় এমন কোন কার্য করে যে, যদি তাদ্বারা সে মৃত্যু ঘটায় তা হলে শাস্তিযােগ্য নরহত্যার অপরাধে অপরাধি হয় ও এরূপ কর্মের সাহায্যে একটি অজাত শিশুর ঘটায় তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ড-যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে- দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
উদাহরণ
একটি গর্ভবতী স্ত্রীলােকের মৃত্যু ঘটাতে পারে এই আশংকা আছে জেনে এমন একটি কার্য করে, যা ঐ স্ত্রীলােকের মৃত্যু ঘটালে শাস্তিযােগ্য নরহত্যাতুল্য হত। স্ত্রীলােকটি জখম হয় কিন্তু মরে না, কিন্তু তাদ্বারা ঐ স্ত্রীলােক একটি অজাত শিশুর মৃত্যু ঘটে। ক, এই ধারায় উল্লেখিত অপরাধে অপরাধি হবে।
ধারা ৩১৭ পিতা বা মাতা বা তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা বার বছরের নিম্নবয়স্ক শিশুকে পরিত্যাগ ও বর্জন
কোন লােক যদি বার বছরের নিম্নবয়স্ক কোন শিশুর পিত বা মাতা হয়ে বা এরূপ শিশুর তত্ত্বাবধায়ক হওয়া স্বত্ত্বেও শিশুটিকে সম্পূর্ণহিসেবে পরিত্যাগ করার উদ্দেশ্যে কোন জায়গায় অনাবৃত রেখে বা পরিত্যাগ করে যায়, তা হলে সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ব্যাখ্যাঃ এই ধারা, ঐ পরিত্যাগজনিত কারণে শিশুটির যদি মৃত্যু ঘটে তা হলে খুন বা শাস্তিযােগ্য নরহত্যার জন্য অপরাধির বিচারের সম্পর্কে বাধা দেওয়ার জন্য অভিপ্রেত বলে পরিগণিত হবে না।
ধারা ৩১৮ গােপনে মৃতদেহ অপসারণ করে জন্ম গােপনকরণ
কোন লােক যদি, কোন শিশুর মৃতদেহ-যে শিশুটি জন্মের পূর্বে বা পরে বা জন্মকালে যখনই মারা যাক না কেন, গােপনে সমাধিস্থ করে বা অপর কোন ভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ শিশুর জন্ম গােপন করে বা গােপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে, তা হলে সে লােক যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে—যার মেয়াদ দুই বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবে।