- Get link
- X
- Other Apps
Chapter XLVI -Miscellaneous of Criminal Procedure Code
ছেচল্লিশতম অধ্যায় -বিবিধ ফৌজদারী কার্যবিধি আইন
ধারা ৫৩৯ যে সমস্ত আদালতে ও ব্যক্তির নিকট এফিডেভিট করা যেতে পারে
হাইকোর্ট বিভাগ অথবা উহার কোন অফিসারের নিকট ব্যবহার্য এফিডেভিট ও শপথের উক্ত কোর্ট বা রাষ্টীয় করনিক এর সামনে বা উক্ত আদালত কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কমিশনার বা অপর কোন ব্যক্তির সম্মুখে অথবা কোন জজের সামনে বা বাংলাদেশে কোন কোর্ট অব রেকর্ডের এফিডেভিট গ্রহণকারি কোন কমিশনারের সামনে অঙ্গীকার বা সত্যায়ন করা যেতে পারে।
ধারী ৫৩৯ক সরকারি কর্মচারীর আচরণের প্রমাণ হিসাবে এফিডেভিট
১) অত্র বিধি মতে কোন ইনকোয়ারি বিচার কিংবা অপর কার্যক্রম প্রসঙ্গে কোন আদালতে যখন দরখাস্ত করা হয় এবং উহাতে কোন সরকারি কর্মচারী সম্পর্কে অভিযােগ করা হয় তখন দরখাস্তকারি দরখাস্তে বর্ণিত ঘটনাবলি সম্পর্কে এফিডেবিট দ্বারা সাক্ষ্য দিতে পারবে এবং আদালত উপযুক্ত মনে করলে উক্ত ঘটনাবলি সম্পর্কে উক্তরূপে সাক্ষ্য প্রদান করার আদেশ দিতে পারবেন। এই ধারা অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ ব্যতিত অপর কোন আদালতে ব্যবহার্য এফিডেবিট সম্পর্কে ৫৩৯ ধারায় বর্ণিত পন্থায় কিংবা কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে অঙ্গীকার বা সত্যয়ন করা যেতে পারবে।
এই ধারা অনুসারে এফিডেভিট সেই সমস্ত ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ও যেই সমস্ত ঘটনা পৃথকরূপে বর্ণনা করবে, যে সমস্ত ঘটনা সাক্ষী তার নিজ জ্ঞান হতে প্রমাণ করতে সক্ষম এবং যে সমস্ত ঘটনা তার সত্য বলে বিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারণ আছে এবং শেষােক্ত ক্ষেত্রে সাক্ষীকে সেইরূপ বিশ্বাসের কারণ স্পষ্টরূপে উল্লেখ করতে হবে।
২) আদালত এফিডেভিটের কোন কুৎসাজনক ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয় কর্তন করে দেওয়ার কিংবা সংশােধন করার আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৫৩৯খ সরেজমিনে পরিদর্শন
১) কোন ইনকোয়ারি, বিচার বা অপর কার্যক্রমের যে কোন পর্যায়ে যে কোন জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট পক্ষসমূহকে যথাযথ নােটিশ প্রদানপূর্বক যেই স্থানে কোন অপরাধ করা হয়েছে বলে অভিযােগ করা হয়েছে সেই স্থান বা উক্ত ইনকোয়ারি বা বিচারে প্রদত্ত কোন স্বাক্ষ্য যথাযথভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়ােজন বলে মনে করলে অন্য কোন স্থানে উপস্থিত হতেও পরিদর্শন করতে পারবেন এবং অনাবশ্যক বিলম্ব ছাড়াই উক্ত পরিদর্শন কিংবা দৃষ্ট কোন প্রাসঙ্গিক ঘটনা সম্পর্কে একটি স্মারকলিপি প্রণয়ন করবেন।
২) উক্ত স্মারকলিপি মামলার নথির অংশ হবে। পাবলিক প্রসিকিউটর, ফরিয়াদী বা আসামি চাহিলে উহার একটি নকল তাকে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।
ধারা ৫৪০ গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষীকে সমন দ্বারা আহ্বান বা উপস্থিত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা
এই বিধির অধীন কোন ইনকোয়ারি বিচার বা অপর কার্যক্রমের যে কোন পর্যায়ে কোন আদালত যে কোন ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে সমন দ্বারা আহব্বান করতে পারবেন, বা সাক্ষী হিসাবে সমন দ্বারা আহব্বান করা না হলেও উপস্থিত যে কোন ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারবেন কিংবা পূর্বে যার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে, তাকে পুনরায় তলব করে পুনরায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারবেন; এবং এইরূপ কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য আদালতের কাছে মামলার ন্যায়বিচারের জন্য অত্যাবশ্যক বলে দৃষ্টমান হলে তাকে সমন দ্বারা আহ্বান করে তার জবানবন্দি গ্রহণ করবেন কিংবা পুনরায় তলব করে পুনরায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করবেন।
ধারা ৫৪০ক কতিপয় ক্ষেত্রে আসামির অনুপস্থিতিতে অনুসন্ধান ও বিচারের বিধান
১) দুই বা ততােধিক আসামি থাকলে এই বিধির অধীনে অনুসন্ধান বা বিচারের যে কোন পর্যায়ে জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট যদি কোন কারণবশতঃ পরিতুষ্ট হন যে আসামিদের এক বা একাধিক জন আদালতে হাজির থাকিতে অসমর্থ, তা হলে উক্ত কারণ লিপিবদ্ধপূর্বক আসামির উকিল হাজির থাকলে আসামিকে উপস্থিতি হতে রেহাই দিতে এবং তার অনুপস্থিতিতে অনুসন্ধান কিংবা বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে পারবেন এবং কার্যক্রমের পরবর্তী কোন পর্যায়ে উক্ত আসামিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থাকিবার নির্দেশ দিতে পারবেন।
২) এইরূপ কোন মামলায় আসামির উকিল না থাকলে বা জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট যদি আসামির ব্যক্তিগত উপস্থিতি প্রয়ােজন মনে করেন, তা হলে তিনি উপযুক্ত মনে এবং কারণ লিপিবদ্ধপূর্বক অনুসন্ধান বা বিচার মূলতবী রাখতে পারবেন, বা উক্ত আসামির মামলা পৃথকভাবে গ্রহণ বা বিচারের আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৫৪১ কারাবাসের স্থান নির্ণয়ের ক্ষমতা
১) বর্তমানে বলবৎ কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকলে এই বিধির অধীন কারাদণ্ড বা হাজত বাসের নির্দেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে কোথায় আটক রাখা হবে, সরকার সেই সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
২) দেওয়ানি কারগারে আটক আসামি কিংবা কয়েদীদের ফৌজদারি কারাগারে স্থানান্তর এবং তাদের দেওয়ানি কারগারে প্রত্যাবর্তন অত্র বিধির অধীন কারাদণ্ড কিংবা হাজত বাসের নির্দেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন দেওয়ানি জেলে আটক থাকলে কারাদণ্ড কিংবা হাজতে বাসের আদেশকারি আদালত অথবা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ব্যক্তিকে কোন ফৌজদারি জেলে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
৩) কোন ব্যক্তি (২) উপধারার অধীন ফৌজদারি জেলে স্থানান্তরিত হলে ঐস্থান হতে মুক্ত হওয়ার পর তাকে পুনরায় দেওয়ানি জেলে প্রেরণ করতে হবে, যদি না
ক) ফৌজদারি জেলে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তিন বৎসর অতিবাহিত হয়ে থাকলে দেওয়ানি কার্যবিধির ৫৮ ধারার অধীন সে দেওয়ানি জেল হতে রেহাইপ্রাপ্ত হয়েছে বলে গণ্য করতে হবে; বা
খ) যে আদালত তাকে দেওয়ানি জেলে আটকের আদেশ প্রদান করেছিলেন, সেই আদালত ফৌজদারি জেলের ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে সার্টিফিকেট দেন যে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৫৮ ধারার অধীন সে রেহাই পাইবার অধিকারি।
ধারা ৫৪৩ দোভাষীর অবশ্যই যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করতে বাধ্য থাকবেন
কোন স্বাক্ষ্য বা বিবৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য কোন ফৌজদারি আদালতে কোন দোভাষীর প্রয়ােজন হলে তিনি উক্ত স্বাক্ষ্য কিংবা বিবৃতির যথাযথ ব্যাখ্যা করতে বাধ্য থাকবেন।
ধারা ৫৪৪ ফরিয়াদী এবং সাক্ষীদের খরচ
সরকার কর্তৃক প্রণীত কোন নিয়ম সাপেক্ষে কোন ফৌজদারি আদালত উপযুক্ত মনে করলে এই বিধির অধীন কোন অনুসন্ধান বিচার কিংবা অপর কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে আদালতে যােগদানকারি কোন ফরিয়াদী বা সাক্ষীকে সরকারি তহবিল হতে যুক্তিসঙ্গত খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৫৪৫ জরিমানার টাকা হতে খরচ কিংবা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা
১) যখন কোন ফৌজদারি আদালত বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের অধীন জরিমানা করেন কিংবা আপিলে, রিভিসনে অথবা অপর কোনরূপে কোন জরিমানা বা দণ্ড জরিমানার অংশ হয়, উহা অনুমােদন করেন, তখন আদালত রায় দেওয়ার সময় আদায়কৃত জরিমানা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিম্নলিখিত কার্যে ব্যয় করার আদেশ দিতে পারবেন-
ক) সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনায় যথাযথ ব্যয় হয়েছে, তা নির্বাহ;
খ) আদালত যদি সঠিক বলে মনে করলে ব্যক্তি দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে, তা হলে সংশ্লিষ্ট অপরাধে তার যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য তাকে ক্ষতিপুরণ প্রদান;
গ) কোন ব্যক্তি চুরি, অপরাধজনক আত্মসাৎ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, কিংবা চোরাই জানিয়া কিংবা চোরাই বলে বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও চোরাইমাল অসৎ উপায়ে গ্রহণ কিংবা রাখা অথবা স্বেচ্ছায় উহা হস্তান্তরে সহায়তা ইত্যাদি কোন অপরাধে দণ্ডিত হলে এবং উক্ত মাল মালিককে প্রত্যার্পণ করা হলে যে ব্যক্তি উহা সরল বিশ্বাসে খরিদ করেছিল, তাকে ক্ষতিপুরণ দান।
২) যে মামলায় জরিমানা করা হল তা আপিলযােগ্য হলে আপিল রুজু করা হলে উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপে অর্থ প্রদান করা হবে না।
ধারা ৫৪৬ টাকা প্রদান পরবর্তী দেওয়ানি মামলায় তা বিবেচনা করতে হবে
একই বিষয়ে পরবর্তী কোন দেওয়ানি মামলায় ক্ষতিপূরণ দানের সময় ৫৪৫ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কোন পরিমাণ অর্থ দেওয়া বা আদায় হয়ে থাকলে আদালত তা হিসাবে ধরিবেন।
ধারা ৫৪৬কঃ আমলঅযােগ্য মামলায় ফরিয়াদী কর্তৃক প্রদত্ত কতিপয় ফিস পরিশােধের আদেশ
১) কোন আদালতে আমলে নেওয়ার অযােগ্য অপরাধের কোন নালিশ করা হলে এবং আসামি দণ্ডিত হলে আদালত এই দণ্ড ব্যতিতও ফরিয়াদীকে নিম্নবর্ণিত অর্থ দানের জন্য আসামীকে আদেশ দিতে পারবেন-
ক) নালিশের দরখাস্তে বা ফরিয়াদীর জবানবন্দির জন্য প্রদত্ত ফি (যদি থাকে), এবং
খ) ফরিয়াদী কর্তৃক তার সাক্ষী কিংবা আসামির উপর সমন অথবা পরােয়ানা জারির নিমিত্তে প্রদত্ত ফি,
এবং আদালত আরও নির্দেশ দিতে পারবেন যে, উক্ত অর্থ পরিশােধ না করলে আসামি অনধিক ত্রিশ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভােগ করবে।
২) রিভিশনের ক্ষমতা প্রয়ােগের প্রাক্কালে কোন আপিল আদালত অথবা হাইকোর্ট বিভাগও এই ধারার অধীন আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৫৪৭ টাকা পরিশােধের আদেশ প্রদত্ত হলে তা জরিমানা হিসাবে আদায় হবে
এই বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ অনুযায়ি জরিমানা ব্যতিত অন্য অর্থ পরিশােধযােগ্য হলে এবং উহা আদায়ের পন্থা সম্পর্কে অন্য কোন বিধান না থাকলে উক্ত অর্থ জরিমানা ধরিয়া নিয়া আদায় করতে হবে।
ধারা ৫৪৮ কার্যবিবরণীর নকল
ফৌজদারি আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায় কিংবা আদেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি কোন আদেশ বা সাক্ষ্য বা নথির অন্য অংশের নকল নিতে ইচ্ছা করলে তার আবেদনক্রমে তাকে উহা সরবরাহ করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে আদালত কোন বিশেষ কারণবশতঃ বিনামূল্যে তা প্রদান উপযুক্ত বলে মনে না করলে তাকে উহার জন্য খরচ দিতে হবে।
ধারা ৫৪৯ কোর্ট অব মার্শালে বিচার্য ব্যক্তিদের সামরিক কর্তৃপক্ষের নিকট প্রত্যর্পণ
১) সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনী আইনের অন্তর্ভুক্ত যে সমস্ত ব্যক্তির বিচারে, এই বিধি যে আদালতে প্রযোজ্য সেই আদালতে বা কোর্ট মার্শালে হবে, সেই সমস্ত ব্যক্তি সম্পর্কিত মামলার জন্য সরকার এই বিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন, ১৯৫২ (১৯৫২ সালের ৩৯ নং আইন), বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আইন, ১৯৫৩ (১৯৫৩ সালের ৬ নং আইন) এবং বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (১৯৬১ সালের ৩৫নং অধ্যাদেশ) এবং বর্তমানে বলবৎ অনুরূপ অন্য কোন আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন, এবং যে আদালতে এই বিধি প্রযােজ্য সেই আদালতে বা কোর্ট মার্শালে বিচার্য কোন অপরাধ অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করা হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত বিধিমালার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে অপরাধের একটি বিবৃতিসমেত আসামিকে কোর্ট মার্শালে বিচারের উদ্দেশ্যে সে যে বাহিনী, কোর, জাহাজ বা উপ-দলের অন্তর্ভুক্ত তার কম্যান্ডিং কর্মকর্তার নিকট, বা নিকটতম সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর কমান্ডিং কর্মকর্তার নিকট সমর্পণ করবেন।
২) এইরূপ ব্যক্তিদের গ্রেফতার
এইরূপ কোন স্থানে অবস্থিত কিংবা নিযুক্ত কোন সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিক দলের কম্যান্ডিং কর্মকর্তার নিকট হতে উক্ত উদ্দেশ্যে কোন লিখিত দরখাস্ত পাওয়ার পর প্রত্যেকটি ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও হাজির করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করবেন।
ধারা ৫৫০ চোরাই বলে সন্দেহজনক মাল জব্দ করার ব্যাপারে পুলিশের ক্ষমতা
কোন পুলিশ কর্মকর্তা চোরাই বলে কথিত কিংবা সন্দেহযুক্ত বা কোন অপরাধ সংঘটনের সন্দেহযুক্ত অবস্থায় প্রাপ্ত কোন সম্পত্তি জব্দ করতে পারবেন। এইরূপ পুলিশ কর্মকর্তা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অধঃস্তন হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জব্দের ব্যাপারে রিপাের্ট করবেন।
ধারা ৫৫১ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার এলাকার মধ্যে সমস্ত ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন পদের পুলিশ কর্মকর্তাগণও তার যে স্থানীয় এলাকায় নিযুক্ত সেই এলাকার সর্বত্র সেই সমস্ত ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবেন।
ধারা ৫৫২ অপহৃতা নারী প্রত্যর্পণে বাধ্য করার ক্ষমতা
কোন বে-আইনি উদ্দেশ্যে স্ত্রীলােককে কিংবা ষােল বছরের নিম্নবয়স্ক বালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে কিংবা বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছে বলে কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট শপথ প্রদান করে অভিযােগ দায়ের করা হলে তিনি সেই স্ত্রীলােককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কিংবা উক্ত বালিকাকে অবিলম্বে তার স্বামী, মাতা, পিতা, অভিভাবক বা তার আইনসঙ্গত হেফাজতের অধিকারি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট প্রত্যর্পণের নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন এবং প্রয়ােজনীয় শক্তি প্রয়ােগ করে এই আদেশ মান্য করতে বাধ্য করতে পারবেন।
ধারা ৫৫৪ অধঃস্তন আদালতের নথি পরীক্ষার নিমিত্তে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম প্রনয়ণের ক্ষমতা
১) সরকারের পূর্বানুমতি লইয়া সুপ্রীমকোর্ট অধঃস্তন আদালতসমূহের নথিপত্র পরিদর্শনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন।
অন্যান্য উদ্দেশ্য সুপ্রীম কোর্টের নিয়ম প্রণয়নের ক্ষমতা।
২) অপরাপর উদ্দেশ্যে নিয়ম প্রণয়নে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা
সুপ্রীমকোর্ট সময়ে সময়ে এবং সরকারের পূর্বানুমতি লইয়া-
ক) উহার অধঃস্তন সকল ফৌজদারি আদালতে খাতাপত্র রাখা, মন্তব্য লিপিবদ্ধ করা এবং হিসাবপত্র রক্ষণের নিমিত্তে এবং এইরূপ আদালত কর্তৃক প্রণীতব্য ও প্রেরিতব্য রিটার্ণ ও বিবৃতি প্রণয়ন ও প্রেরণের নিমিত্তে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন।
খ) উক্ত আদালতসমূহে যে সমস্ত কার্যধারার নিমিত্তে ফরম থাকা উচিত বলে মনে করেন, সেইরূপ প্রত্যেকটি কার্যধারার জন্য ফরম প্রস্তুত করতে পারবেন;
গ) নিজের কার্যক্রম ও কার্যধারা এবং অধঃস্তন সমস্ত ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম ও কার্যধারা নিয়ন্ত্রণ করার নিমিত্তে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন; এবং
ঘ) জরিমানা আদায়ের নিমিত্তে অত্র আইনের অধীন প্রদত্ত ওয়ারেন্ট কার্যকরীকরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ম প্রণয়ন করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন প্রণীত বিধিমালা ও ফরমসমূহ এই বিধি বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন হবে না।
৩) এই ধারার অধীন প্রণীত যাবতীয় বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে।
ধারা ৫৫৫ ফরম
ধারা ৫৫৫ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর সংবিধানে ১০৭ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা সাপেক্ষে পঞ্চম তফসিলে যে সমস্ত ফরম দেওয়া আছে, তা অবস্থা অনুসারে আবশ্যকীয় পরিবর্তন করে উহাতে বর্ণিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারবে এবং এইরূপ ব্যবহৃত হলে তা পর্যাপ্ত হবে।
ধারা ৫৫৬ যে সমস্ত মােকদ্দমায় জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকে
জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট তার আদালতের উর্ধ্বতন আপিল আদালতের অনুমতি না লইয়া, যে মােকদ্দমায় তিনি নিজে একজন পক্ষ বা ব্যক্তিগতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট সেই মােকদ্দমার বিচার করবেন না এবং জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট তার নিজের প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি কার্য করবেন না।
ব্যাখ্যা। কোন জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট নিজে একজন মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হিসাবে বা সরকারি যােগ্যতায় উহার সাথে অন্য কোনভাবে জড়িত বলেই বা কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে কথিত স্থান কিংবা মােকদ্দমার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অন্য কোন লেনদেন হয়েছে বলে কথিত অন্য কোন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং মােকদ্দমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন তদন্ত করেছেন বলেই এই ধারার অর্থানুসারে তাকে কোন মােকদ্দমার একজন পক্ষ বা মােকদ্দমায় ব্যক্তিগতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বলে বিবেচনা করা যাবে না।
উদাহরণ
“ক”, কালেক্টর হিসাবে, তার প্রদত্ত তথ্য বিবেচনা করে আবগারী আইন অমান্য করার দরুন “খ” এর বিরুদ্ধে মােকদ্দমা রুজু করার আদেশ দেন। “ক” ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে এই মােকদ্দমার বিচারের অযােগ্য হবেন।
ধারা ৫৫৭ আইন ব্যবসারত কৌসুলী কতিপয় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কার্য করতে পারবেন না
যে কৌসুলী কোন জেলায় কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আইন ব্যবসায় করেন, তিনি উক্ত আদালতে কিংবা উক্ত আদালতের এতিয়ারের মধ্যে অন্য কোন আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আসন গ্রহণ করবেন না।
ধারা ৫৫৮ আদালতের ভাষা নির্ণয়ের ক্ষমতা
অত্র বিধির উদ্দেশ্যে ইহার দ্বারা শাসিত এলাকায় অবস্থিত প্রত্যেকটি আদালতের ভাষা কি হবে, সরকার তা নির্ধারণ করতে পারবেন।
ধারা ৫৫৯ জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটগণের ক্ষমতা তাদের স্থলাভিষিক্তগণ কর্তৃক প্রয়ােগের বিধান
১) এই বিধির অপরাপর বিধানাবলি সাপেক্ষে জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ও কর্তব্য তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি প্রয়ােগ বা সম্পাদন করতে পারবেন।
২) কোন ম্যাজিস্ট্রেটের স্থলাভিষিক্তকেই সেই সম্পর্কে সন্দেহ উদ্ভূত হলে, এই বিধি বা এই বিধির কোন কার্যধারা কিংবা আদেশের বিষয়ে যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত স্থলাভিষিক্ত বলে গণ্য হবেন, তা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত নির্দেশ দ্বারা নির্ধারণ করবেন।
৩) কোন অতিরিক্ত বা যুগ্ম দায়রা জজের স্থলাভিষিক্ত সেই সম্পর্কে সন্দেহের উদ্ভব হলে অত্র বিধি কিংবা এই বিধির কোন কার্যধারা বা নির্দেশের বিষয়ে যে জজ উক্ত অতিরিক্ত বা যুগ্ম দায়রা জজের স্থলাভিষিক্ত বলে গণ্য হবেন, তা দায়রা জজ লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করবেন।
ধারা ৫৬০ সম্পত্তি বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ তা খরিদ করতে কিংবা নিলাম ডাকিতে পারবেন না
অত্র বিধির অধীন কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের ব্যাপারে যে সরকারি কর্মচারীর কোন কর্তব্য সম্পাদন করার থাকে, তিনি উক্ত সম্পত্তি খরিদ করবেন না বা উহার নিলাম ডাকিবেন না।
ধারা ৫৬১ স্বামী কর্তৃক ধর্ষণের অপরাধ সম্পর্কে বিশেষ বিধানাবলি
১) অত্র বিধিতে যাই থাকুক না কেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট -
ক) ধর্ষণের অপরাধ আমলে গ্রহণ করবেন না, যদি সংশ্লিষ্ট যৌন সঙ্গমটি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে করে থাকে, বা
খ) লােকটিকে উক্ত অপরাধের বিচারের জন্য পাঠাইবেন না।
২) এবং, এই বিধিতে যাই থাকুক না কেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এ বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কে কোন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তের আদেশ প্রদান করা আবশ্যক বলে মনে করবেন, সেক্ষেত্রে উক্ত তদন্তের জন্য বা তদন্তে অংশ গ্রহণের জন্য পুলিশ ইন্সপেক্টর পদের নিম্নপদস্থ কোন কর্মকর্তাকে নিয়ােগ করা যাবে না।
ধারা ৫৬১ক হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্নিহিত ক্ষমতার সংরক্ষণ
এই বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ কার্যকরি করার জন্য, বা কোন আদালতের কার্যধারার অপব্যবহার রােধ করার নিমিত্তে কিংবা অপর কোন ভাবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নিমিত্তে আদেশ প্রদানের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের যে অন্তনিহিত ক্ষমতা আছে, এই আইনের কোন কিছু তা সীমাবদ্ধ বা ক্ষুন্ন করে বলে গণ্য করা যাবে না।
ধারা ৫৬৫ পূর্বে দণ্ডিত অপরাধীদের ঠিকানা অবগত করার আদেশ
১) কোন ব্যক্তি-
ক) বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক দণ্ডবিধির ধারা ২১৫, ধারা ৪৮৯ক, ধারা ৪৮৯খ, ৪৮৯গ, অথবা ৪৮৯ঘ বা দ্বাদশ কিংবা সপ্তদশ অধ্যায়ের অধীনের তিন বৎসর বা ততােধিক সময়ের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার পর, বা
খ) বাতিলকৃত।
উক্ত ব্যক্তি পুনরায় যদি হাইকোর্ট বিভাগ, দায়রা আদালত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক উপরিউক্ত ধারাসমূহ বা অধ্যায়দ্বয়ে যে-কোনটির অধীন তিন বৎসর বা ততােধিক সময়ের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধে দণ্ডিত হয়, তা হলে উক্ত আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত মনে করলে উক্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার সময় আরও আদেশ প্রদান করতে পারবেন যে, এই দণ্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ হতে অনধিক পাঁচ বছর অবধি অতপর বর্ণিত উপায়ে তার বাসস্থান ও বাসস্থানের পরিবর্তন বা বাসস্থান হতে অনুপস্থিতি বিজ্ঞাপিত করতে হবে।
২) আপিলে বা অন্য কোনরূপে উক্ত দণ্ড রদ হলে উক্ত আদেশও রদ হয়ে যাবে।
৩) দণ্ড ভােগের পর মুক্ত অপরাধীদের বাসস্থান পরিবর্তন বা বাসস্থান হতে অনুপস্থিতি বিজ্ঞপ্তিকরণ সম্পর্কে এই ধারার বিধান প্রয়ােগের নিমিত্তে সরকার নিয়ম প্রণয়ন করতে পারবেন।
৪) কোন আপিল আদালত বা, রিভিশন ক্ষমতা প্রয়ােগের সময় হাইকোর্ট বিভাগ এই ধারার অধীন আদেশ প্রদান করতে পারবেন।
৫) উপরিউক্ত বিধিমালার কোনটি লংঘনের অভিযােগ অভিযুক্ত ব্যক্তি যে জেলায় তার বাসস্থান রহিয়াছে বলে সর্বশেষবার বিজ্ঞাপিত করেছিল, সেই জেলার কোন উপযুক্ত অধিক্ষেত্রবান ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত লঙ্ঘনের জন্য তার বিচার করতে পারবেন।