- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 37 -Directions of the Nature of a Habeas Corpus
সাতত্রিশতম অধ্যায় হেবিয়াস কর্পাস প্রকৃতির নির্দেশ
ধারা ৪৯১ হেবিয়াস কর্পাস জাতীয় আদেশ দানের ক্ষমতা
১) হাইকোর্ট বিভাগ যখনই উপযুক্ত মনে করেন, তখন নির্দেশ দিতে পারেন যে
ক) উহার ফৌজদারি আপিল অধিক্ষেত্রের সীমার মধ্যে অবস্থানকারি কোন ব্যক্তি সম্পর্কে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হােক;
খ) উপরিউক্ত সীমার মধ্যে সরকারি বা বেসরকারি হেফাজতে বে-আইনিভাবে বা অযৌক্তিকভাবে আটক কোন ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হােক;
গ) আদালতের বিবেচনাধীন বা তদন্তাধীন কোন বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য উপরিউক্ত সীমার মধ্যে অবস্থিত কোন কারাগারে আটক কোন বন্দীকে আদালতে হাজির করা হােক;
ঘ) কোন কোর্ট মার্শাল বা কমিশনারের বিবেচনাধীন কোন বিষয় বিচারের জন্য বা সাক্ষী দিবার জন্য উক্তরূপে আটক বন্দীকে উক্ত কোর্ট মার্শাল বা কমিশনারের নিকট হাজির করা হােক;
ঙ) উপরিউক্ত সীমার মধ্যকার কোন বন্দীকে বিচারের উদ্দেশ্যে এক হেফাজত হতে অন্য হেফাজতে স্থানান্তর করা হােক; এবং
চ) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইন বলে বাতিলকৃত।
২) এই ধারার অধীন মােকদ্দমার কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপ্রীম কোর্ট সময় সময়ে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন।
৩) এই ধারার কোন বিধানই বর্তমানে বলবৎ কোন নিবর্তনমূলক আটক আইনের অধীন আটক ব্যক্তিদের প্রতি প্রযােজ্য নয়।
হেবিয়াস কর্পাস সম্পর্কিত আলোচনা
বেআইনি বিচার
যখন বিচার এমনভাবে করা হয় এবং অবস্থাধীনে করা হয় যা নাগরিককে প্রদত্ত অধিকারের অস্বীকৃতি মর্মে পরিগণিত হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত বিচার অবৈধ হিসাবে পরিগণিত হয় এবং তার উপর যে শাস্তির আদেশ আরােপ করা হয়েছে তা বেআইনি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এক্ষেত্রে তাকে খালাস করার জন্য হেবিয়াস কর্পাসের আদেশ দেওয়া যায়।
কোন ব্যক্তি ভুল কর্তৃপক্ষ দ্বারা কিংবা বেআইনিভাবে গ্রেফতারকৃত হচ্ছে কি-না এ বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৯১ এর অধীন হাইকোর্টের তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এছাড়াও বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ এর (২)(খ)(১) দফা মােতাবেক আরেকটি কর্তব্য হাইকোর্ট-এর উপর আরােপিত হয়েছে এবং সেটি হচ্ছে কোন ব্যক্তির আটকাবস্থার শুদ্ধতা তদন্ত করা। অতএব আইন বহির্ভূতভাবে আটক ব্যক্তিকে খালাস করে দেওয়া হাইকোর্টের একটি কর্তব্য হয়ে দাঁড়াইয়াছে। ধারা ৪৯১ এর উপ-বিধি (ক) এর অন্তর্গত “আইন মােতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হােক” শব্দগুলি সুস্পষ্টভাবে একথা বুঝায় যে, সজ্ঞানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাহী বিভাগ কোন কর্মসাধন করলে পরে সে বিষয়ে দরখাস্ত করা হলে তা হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ারে আসিবে। কারাে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় অন্য কেউ অন্যায়ভাবে হস্ত ক্ষেপ করলে ধারা ৪৯১-এ তৎক্ষণাত আকৃষ্ট হবে। যেহেতু আদালতে গ্রেফতার আদেশের ন্যায্যতা প্রতিপাদন করা হয় সেহেতু গ্রেফতার আদেশের কারণ সম্পর্কে গ্রেফতারাদেশ দানকারি কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি যৌক্তিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কি-না এটা দেখিবার জন্য আইন হাইকোর্টের উপর বাধ্যবাধকতা আরােপ করেছে। সন্তুষ্টির পিছনে অবশ্যই যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারা ৩৪ মোতাবেক ক্ষমতা ব্যবহারের সময় নির্বাহী বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করবেন, নাগরিকদের স্বাধীনতা নিয়ে হেলাফেলা করা তাদের উচিত নয়।