Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

General Explanations Penal Code দন্ডবিধি সাধারণ ব্যাখ্যা

Chapter 2 - General Explanations

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ সাধারণ ব্যাখ্যাগুলো

ধারা ৬ আইনের সংজ্ঞাগুলাের অর্থ ভিন্নতা সাপেক্ষে হবে

এই আইনের সব অপরাধের প্রতিটি সংজ্ঞা, প্রতিটি শাস্তির বিধান এরূপ সংজ্ঞা বা শাস্তির বিধানের প্রতিটি উদাহরণের অর্থ সাধারণ ভিন্নতাগুলাে শীর্ষক পরিচ্ছেদে উল্লেখিত ভিন্নতাগুলাে সাপেক্ষে করতে হবে, যদিও ঐ ভিন্নতাগুলাে এরূপ সংজ্ঞা, শাস্তিবিধান বা উদাহরণে পুনরায় উল্লেখ করা না হয়।

উদাহরণগুলাে

(ক) এই বিধির যে সমস্ত ধারায় অপরাধগুলাের সংজ্ঞাগুলাে উল্লেখিত আছে তা এই কথা ব্যক্ত করে না যে, সাত বছরের নিম্ন বয়স্ক শিশু এরূপ অপরাধগুলাে অনুষ্ঠান করতে পারে না; তবুও সংজ্ঞাগুলাের অর্থ সাত বছরের নিম্ন বয়স্ক শিশুর মাধ্যমে সম্পন্ন কোন কিছুই অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না এরূপ ব্যবস্থা সম্বলিত সাধারণ ভিন্নতা সাপেক্ষে করতে হবে।

(খ) ক একজন পুলিশ অফিসার খুন সংগঠনকারি ল কে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার‌ করেন। এই ক্ষেত্রে ক অবৈধ গ্রেফতারের অপরাধে অপরাধি হবেন না, কারণ ল কে গ্রেফতার করার জন্য তিনি আইনত বাধ্য ছিলেন ও এতদকারণে কোন কিছু সম্পাদনের জন্য আইনত বাধ্য এরূপ কোন লােক দ্বারা কোন কিছু অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না। এরূপ ব্যবস্থা সাধারণ ভিন্নতার অধীনে আসবে।

ধারা ৭ একবার ব্যাখ্যাকৃত বিবৃতির তাৎপর্য

এই বিধির যে অংশে যে কোন উক্তি যেভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, বিধির সমস্ত অংশে সে বিবৃতিটি সে ব্যাখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করা হয়েছে।

ধারা ৮ লিঙ্গ

“তিনি” সর্বনামটি ও এর প্রত্যয়সিদ্ধ রূপগুলাে, পুরুষ বা মহিলা যে কোন লােক বিষয়ে ব্যবহৃত হয়েছে।

ধারা ৯ বচন

প্রসঙ্গ ভিন্নতর না বুঝলে বহুবচন একবচন বাচক শব্দগুলাের সমান হবে ও একবচন বহুবচন বাচক শব্দগুলাের সমান হবে।

ধারা ১০ “পুরষ”; “নারী”

“পুরুষ” অর্থ যে কোন বয়সের পুরুষ মানুষ বুঝায়, আর “নারী” অর্থ যে কোন বয়সের স্ত্রীলােক বুঝায়।

ধারা ১১ লোক

সমিতিভুক্ত হােক বা না হােক “লোক” শব্দটি মাধ্যমে যে কোন কোম্পানি বা সমিতি বা ব্যক্তি-সংস্থাকে বুঝাবে।

ধারা ১২ জনসাধারণ

“জনসাধারণ” অর্থ যে কোন জনসাধারণ বা যে কোন সম্প্রদায়কে আওতাভুক্ত বুঝাবে।

ধারা ১৪ রাষ্ট্রীয় কর্মচারি

“রাষ্ট্রীয় কর্মচারি” অর্থ সরকারের ক্ষমতাবলে বা আওতায় বাংলাদেশে কার্যকর বা নিয়ােজিত প্রতিটি অফিসার বা কর্মচারিকে বুঝাবে।

ধারা ১৭ সরকার

“সরকার” অর্থ বাংলাদেশ বা এর কোন অংশে কার্যনির্বাহী সরকার পরিচালনা করার জন্য আইন মােতাবেক কর্তৃত্বপ্রদত্ত লোেক বা ব্যক্তিবৃন্দকে বুঝাবে।

ধারা ১৯ জজ

“জজ” অর্থ কেবলমাত্র সরকারিভাবে জজ বলে পরিগণিত বা নিয়ােজিত প্রতিটি লােককেই বুঝায় না বরং নিম্নেবর্ণিত প্রতিটি লােককেও বুঝায় যিনি কোন দেওয়ানি কিংবা ফৌজদারি আইনগত কার্যধারায় আইনত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করার জন্য কর্তৃত্ত্বপ্রাপ্ত; বা যদি আপিল না হয় তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে এমন সিদ্ধান্ত প্রদান করার জন্য কর্তৃত্ত্বপ্রাপ্ত; বা তার সিদ্ধান্ত অপর কোন কর্তৃপক্ষ দ্বারা বহাল হলে চূড়ান্ত হবে এমন কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করার জন্য কর্তৃত্ত্বপ্রাপ্ত; বা যিনি এমন কোন লােক সমষ্টির অন্যতম যে লােক সমষ্টি এরূপ কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য আইনসঙ্গত কর্তৃত্ত্বপ্রাপ্ত ।

উদাহরণগুলাে

(ক) ১৮৫৯ সালের ১০নং আইনের আওতায় কোন মামলায় বিচারিক ক্ষমতা ব্যবহারকারি একজন কালেক্টর জজ হিসেবে গণ্য হবেন।

(খ) কোন নালিশ বিষয়ে বিচারিক এখতিয়ার ব্যবহারকারি কোন ম্যাজিস্ট্রেট যার আপিল সহকারে বা ছাড়াই জরিমানা বা কারাদণ্ডের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা আছে তিনি জজ হিসেবে গণ্য হবেন।

(গ) বাতিল।

(ঘ) যে কোন নালিশ বিষয়ে এখতিয়ার ব্যবহারকারি যে ম্যাজিস্ট্রেটের শুধু অভিযােগটি অপর কোন আদালতে বিচারের জন্য পাঠানাের কর্তৃত্ত্ব আছে তিনি জজ হিসেবে গণ্য হবেন না।

ধারা ২০ বিচারালয়

“বিচারালয়” অর্থ ব্যক্তিগতভাবে বিচারক হিসেবে কার্য করার জন্য আইনবলে কর্তৃত্ত্বপ্রদত্ত বিচারক বা সমষ্টিগতভাবে বিচারক হিসেবে কার্য করার জন্য আইনবলে কর্তৃত্ত্বপ্রদত্ত বিচারকমন্ডলীকে এরূপ বিচারক বা বিচারকমন্ডলী হিসেবে কার্য সম্পন্নের সময় বুঝবে।

ধারা ২১ সরকারি কর্মচারি

“সরকারি কর্মচারি” বলতে নিম্নে উল্লেখিত বর্ণনাগুলাের যে কোনটির আওতায় যেকোন লােককে বুঝাবে,

প্রথম: প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি শর্তে আবদ্ধ কর্মচারি।

দ্বিতীয়: বাংলাদেশের সরকারের অধীনে চাকুরিতে নিয়ােজিত বাংলাদেশের সামরিক, নৌ বা বিমান বাহিনীগুলাের প্রতিটি কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার;

তৃতীয়: প্রতিটি জজ যার ভিতর সে লােক, যিনি একাকি বা কোন লােক সমষ্টির একজন সদস্য হিসেবে বিচারকর্ম করার জন্য আইনবলে কর্তৃত্ত্বপ্রাপ্ত, আওতাভুক্ত হবে;

চতুর্থ: বিচারালয়ের এমন প্রতিটি পদস্থ কর্মচারি যার দায়িত্ব হচ্ছে এরূপ পদস্থ কর্মচারি হিসেবে আইন বা তথ্য বিষয়ক যে কোন বিষয়ের সম্পর্কে তদন্ত করা বা প্রতিবেদন প্রদান করা বা যে কোন নথিপত্র প্রণয়ন, প্রমাণীকৃত বা সংরক্ষণ করা বা যে কোন সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণ করা বা তা বিলি বিতরণ করা, বা যে কোন বিচার বিভাগীয় পরােয়ানা কার্যকরি করা বা যে কোন শপথ কার্য পরিচালনা করা বা বিশ্লেষণ দান করা বা আদালতের শৃঙ্খলা রক্ষা করা ও এরূপ দায়িত্বাবলি সম্পন্ন করার জন্য কোন বিচারালয় দ্বারা বিশেষভাবে ক্ষমতা দেয়া প্রতিটি লােক;

পঞ্চম: কোন বিচারালয় বা সরকারি কর্মচারিকে সাহায্য প্রদানকারি প্রতিটি আইনজীবী, এ্যাসেসর বা পঞ্চায়েতের মেম্বার;

ষষ্ঠ: এরূপ প্রতিটি মধ্যস্থতাকারি বা অপর কোন লােক, কোন বিচারালয় বা অপর কোন কর্তৃত্ত্ব সম্পন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্বারা যার কাছে কোন সমস্যা বা বিষয় সিদ্ধান্ত বা প্রতিবেদনের জন্য পাঠানাে হয়েছে;

সপ্তম: যে পদাধিকার বলে কোন লােক বিশেষ লােককে আটক করতে বা রাখতে পারেন এরূপ পদে সমীচিন প্রতিটি লােক;

অষ্টম: সরকারের এরূপ প্রতিটি পদস্থ কর্মচারি এরূপ পদস্থ কর্মচারি হিসেবে যার দায়িত্ব হচ্ছে এরূপ পদস্থ কর্মচারি হিসেবে অপরাধগুলাে ধার্য করা, অপরাধগুলাে বিষয়ে তথ্যাদি সরবরাহ করা, অপরাধিদের বিচারের ব্যবস্থা করা বা জনসাধারণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা সুযােগ-সুবিধা রক্ষা করা;

নবম: এমন প্রতিটি পদস্থ কর্মচারি, যার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের পক্ষে যে কোন সম্পত্তি নেওয়া, গ্রহণ করা, রক্ষা করা বা ব্যবহার করা, বা সরকারের পক্ষে যে কোন জরিপ কর্ম, নিরূপণ কার্য বা চুক্তি সম্পন্ন করা, বা যে কোন রাজস্ব প্রক্রিয়া বলবত করা, বা সরকারের অর্থনৈতিক স্বার্থগুলাে খর্বকারি যে কোন বিষয়াবলি বিষয়ে তদন্ত করা বা প্রতিবেদন দেওয়া বা সরকারের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিষয়ক যে কোন নথিপত্র তৈরীকরণ, প্রমাণীকৃত বা রক্ষণ করা বা সরকারের অর্থনৈতিক স্বার্থগুলাে রক্ষা করার জন্য যে কোন আইন ভঙ্গ প্রতিরােধ করা।

দশম: এমন প্রতিটি পদস্থ কর্মচারি, যার দায়িত্ব হচ্ছে এরূপ পদস্থ কর্মচারি হিসেবে যে কোন গ্রাম, শহর বা সিটি বা জেলার যে কোন লােকায়ত সাধারণ লক্ষ্যে যে কোন সম্পত্তি গ্রহণ করা, নেওয়া, সংরক্ষণ করা বা ব্যয় করা, যে কোন জরিপ কর্ম বা নিরূপন কার্য সম্পন্ন করা বা যে কোন অবিকল বা কর ধার্যকৃত করা, বা যে কোন গ্রাম, শহর বা জেলার জনগণের অধিকারগুলাে ধার্যের লক্ষ্যে যে কোন নথিপত্র তৈরী করা, প্রমাণীকৃত করা বা রক্ষণ করা।

একাদশ: কোন পদে অধিষ্ঠিত এমন প্রতিটি লােক যাকে ঐ পদাধিকারবলে কোন ভােটার তালিকা তৈরী, প্রকাশ, সংরক্ষণ বা সংশােধণ করার বা কোন নির্বাচন বা নির্বাচনের অংশবিশেষ পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দেয়া হয়।

উদাহরণ

পৌর কমিশনার একজন সরকারি কর্মচারি।

দ্বাদশ: প্রতিটি লােক যিনি(ক) কোন সরকারি চাকুরীতে নিয়ােজিত বা বেতনভােগী বা কোন সরকারি দায়িত্ব কার্য সম্পন্ন বাবদ ফিস বা কমিশনের মাধ্যমে পারিশ্রমিক গ্রহণকারি।

(খ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্পোরেশনের আইনের মাধ্যমে বা আইনের আওতায় স্থাপিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা ফার্ম বা কোম্পানি, যার মূলধন বা অংশে সরকারের কর্তৃত্ত্ব আছে বা স্বত্ব পড়েছে।

ব্যাখ্যাঃ ১: সরকার দ্বারা নিয়ােজিত হােক বা না হােক উপরিউক্তসংজ্ঞাগুলাের যে কোন শ্রেণীর আওতাভুক্ত ব্যক্তিবর্গ সরকারি কর্মচারি হিসেবে পরিগণিত হবেন।

ব্যাখ্যাঃ ২: যেখানেই “সরকারি কর্মচারি ” শব্দগুলাে দেখা যাক বা না থাক তা মূলত কোন সরকারি কর্মচারির পদে অধিষ্ঠিত প্রতিটি লােককে তৎদ্বারা ঐ ধরনের পদ তত্ত্বাবধানে আইন বিষয়ক যা কোন ক্রটিই তাতে থাকুক না কেন তা বুঝাবে।

ব্যাখ্যাঃ ৩: “নির্বাচন” অর্থ যে কোন প্রকারেরই হােক না কেন, সাংবিধানিক, পৌর বা অপর কোন সরকারি কর্তৃপক্ষের মেম্বারগণ বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে নির্বাচন বুঝাবে। যার জন্য বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কোন আইনবলে বা আওতায় ধার্য হয়।

ধারা ২২ অস্থাবর সম্পত্তি

“অস্থাবর সম্পত্তি” অর্থে ভূমি, ও ভূমির সঙ্গে যুক্ত বা ভূমির সঙ্গে যুক্ত এরূপ কোন কিছুর সঙ্গে স্থায়ীভাবে আবদ্ধ বস্তু ছাড়াই, প্রতিটি বর্ণনার বস্তুগত সম্পত্তি বুঝাবে।

ধারা ২৩ অবৈধ অর্জন

“অবৈধ অর্জন” হচ্ছে বেআইনিভাবে এমন সম্পত্তি অর্জন করা, যে সম্পত্তিতে অর্জনকারির কোন আইনানুগ কর্তৃত্ত্ব নেই।

অবৈধ ক্ষতি

“অবৈধ ক্ষতি হচ্ছে বেআইনিভাবে এমন সম্পত্তির ক্ষতি, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত লােকের আইনগত কর্তৃত্ত্ব রয়েছে।

অবৈধভাবে অর্জন করা, অবৈধভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

অবৈধ অর্জন মানে কোন লােক অবৈধভাবে সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে রাখলে ও অবৈধভাবে অর্জন করলে ঐ লোেক অবৈধভাবে অর্জন করে বলে পরিগণিত হবে। কোন লােককে অবৈধভাবে কোন সম্পত্তি হতে বেদখলে রাখা হলে ও অবৈধভাবে সম্পত্তিচ্যুত করা হলে ঐ লােক অবৈধভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে গণ্য হবে।

ধারা ২৪ অসাধুভাবে

কোন লােক এক লােকের অবৈধ অর্জন বা অপর কোন লােকের ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে কোন কিছু করলে ঐ লােক ঐ কার্য অসাধুভাবে করে বলে ধরে নেয়া হবে।

ধারা ২৫ প্রতারণামূলক ভাবে

কোন লােক প্রতারণা করার ইচ্ছায় তবে প্রকারান্তরে কিছু না করলে ঐ লােক ঐ কার্য অসাধুভাবে করে বলে কথিত হবে।

ধারা ২৬ বিশ্বাস করার কারণ

কোন লােকের কোন বিষয় বিশ্বাস করার জন্য তার ঐ বিষয়ে বিশ্বাসের যথার্থ কারণ থাকলেই ঐ বিষয়ে তার বিশ্বাস করার কারণ আছে বলে বিবেচিত হয়, অন্যথায় নয়।

ধারা ২৭ স্ত্রী, করণিক বা চাকরের অধিকারভূক্ত সম্পত্তি

যখন কোন সম্পত্তি কোন লােকের পক্ষে তার স্ত্রী, করণিক বা চাকরের তত্ত্বাবধানে থাকে, ঐ সম্পত্তি এই বিধির তাৎপর্যাধীন ঐ লােকের তত্ত্বাবধানে আছে বলে পরিগণিত হবে।

ব্যাখ্যাঃ সাময়িকভাবে বা কোন বিশেষ উপলক্ষে করণিক বা চাকরের পদে নিয়ােজিত লােক এই ধারার তাৎপর্যাধীনে করণিক বা চাকর হিসেবে পরিগণিত হবে।

ধারা ২৮ নকল করা

কোন লােক একটি বস্তুকে দেখে অপর কোন বস্তুর মত করে এমন আপাত মিল মাধ্যমে প্রতারণা করার লক্ষ্যে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করলে, বা এমন মিল প্রতারণার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবার আশংকা আছে বলে জেনেও ঐ বস্তুতে একইভাবে অপর কোন বস্তুর মত করলে ঐ লােক নকল করে বা করে বলে পরিগণিত হবে।

ব্যাখ্যা ১ নকলকরণের সম্পর্কে অনুকরণ অবিকল হওয়া বাধ্যকর নয় ।

ব্যাখ্যা ২ কোন লােক যখন এক বস্তুকে অপর বস্তুর মত করলে ও ঐ মিল এমন প্রকট হয় যে, এর মাধ্যমে কোন লােক প্রতারিত হতে পারে, তখন অন্য কিছু প্রমাণিত না  হওয়া পর্যন্ত, এমন ধরে নেয়া হবে যে, এক বস্তুকে অপর বস্তুর মিলকারি লােক ঐ মিলের সাহায্যে ভুল হবার আশংকা আছে বলে সে জানত।

ধারা ২৯ দলিল

“দলিল” শব্দটির মাধ্যমে এমন কোন বস্তুকে বুঝায়, যার উপর অক্ষর, সংখ্যা বা মার্কের মাধ্যমে বা এরূপ একাধিক উপায়ে প্রকাশিত বা উল্লেখিত বিষয়টির সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসেবে ঐ জিনিস তৈরী করা হয় বা প্রমাণ হিসেবে ঐ জিনিস ব্যবহৃত হতে পারে ।

ব্যাখ্যা ১ কিসের মাধ্যমে বা কোন বস্তুর উপর অক্ষরগুলাে, আকৃতিগুলাে বা মার্কগুলাে অঙ্কিত হয়, বা ঐ প্রমাণ কোন বিচারালয়ে ব্যবহারের জন্য যােগ্য কিনা বা তা কোন বিচারালয়ে ব্যবহৃত হতে পারে কিনা তা বিবেচনাযােগ্য নয়।

উদাহরণগুলাে

চুক্তির প্রমাণস্বরূপ ব্যবহৃত হতে পারে, চুক্তির শর্তগুলাে বর্ণনাকারি এমন ব্যাংকারকে দেয়া চেক দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।

আমমােক্তার নামা দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।

প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য অভিপ্রেত বা প্রমাণহিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এরূপ মানচিত্র বা পরিকল্পনা নথিপত্র হিসেবে পরিগণিত হবে। নির্দেশগুলাে বা উপদেশগুলাে সম্বলিত কোন লিখিত বস্তু নথিপত্র হিসেবে পরিগণিত হবে।

ব্যাখ্যা ২৪ বাণিজ্যিক বা অন্য কোন প্রচলনসিদ্ধ তাৎপর্য অনুসারে অক্ষরগুলাে, সংখ্যাগুলাে বা মার্কগুলাের সাহায্যে যাই প্রকাশিত হােক তা এ ধারার তাৎপর্যাধীনে এমন অক্ষরগুলাে, আকৃতিগুলাে বা মার্কগুলাের সাহায্যে প্রকাশিত হয় বলে পরিগণিত হবে, যদিও প্রকৃতপক্ষে তা প্রকাশিত না হয়ে থাকে।

উদাহরণ

ক তার আদেশক্রমে পরিশােধযােগ্য একটি বিল অব এক্সচেঞ্জের অপর পাতায় তার নিজের নাম স্বাক্ষর করেন। বাণিজ্যিক প্রথা মােতাবেক বরাত চিঠির পৃষ্ঠাঙ্কনের অর্থ হচ্ছে যে, বিল অব এক্সচেঞ্জটিকে তার ধারকের কাছে পরিশােধ করতে হবে। পৃষ্ঠাঙ্কন একটি নথিপত্র বিশেষ ও তার বিশ্লেষণ অবশ্যই এমন হবে যেন “ধারককে পরিশােধকরণ” শব্দাগুলি বা এমন অর্থদ্যোতক শব্দগুলি স্বাক্ষরটির উপরিভাগে লিখিত হয়েছে।

ধারা ৩০ মূল্যবান জামানত

"মূল্যবান জামানত” শব্দগুলি মাধ্যমে এমন একটি নথিপত্র বুঝায়, যা হচ্ছে বা যার তাৎপর্য হচ্ছে যে, ঐ নথিপত্র বলে কোন আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রতিটি সম্প্রসারিত, হস্তান্তরিত, সীমিত, বিলুপ্তি বা মুক্ত করা হয়, বা যার মাধ্যমে কোন লােক এই বলে স্বীকার করেন যে তিনি কোন আইনগত দায়িত্বের আওতায় রয়েছেন বা তার কোন বিশেষ আইনানুগ কর্তৃত্ব নেই।

উদাহরণ

ক একটি হুন্ডির পৃষ্ঠায় তার নাম স্বাক্ষর করেন। যেহেতু এই পৃষ্ঠালিপির ফল হচ্ছে যে‌ বিলটির স্বত্ব এরূপ কোন লােকের কাছে হস্তান্তর করা যিনি এর আইন মােতাবেক ধারক হতে পারেন, সেহেতু ঐ পৃষ্ঠালিপি একটি মূল্যবান জামানত বলে ধরে নেয়া হবে।

ধারা ৩১ উইল

"উইল” শব্দাবলি মানে যে কোন অছিয়তমূলক নথিপত্র বুঝাবে।

ধাৱা ৩২ অবৈধ বিচ্যুতিগুলাে আইনগুলাের উল্লেখকারি শব্দগুলাের সংজ্ঞাভুক্ত

ক্ষেত্র বিশেষে প্রসঙ্গে প্রতিকূলে অভিপ্রায় দৃশ্যমান না হলে এই বিধির প্রতিটি অংশে সম্পন্ন কার্যাবলির প্রতি উল্লেখকারি শব্দসমূহে অবৈধ বিচ্যুতিগুলােও বুঝাবে।

ধারা ৩৩ “কার্য”, “বিচ্যুতি”

কার্য শব্দ মাধ্যমে একক কার্য হিসেবে কার্যগুলাের যে কোনকে বুঝাবে; বিচ্যুতি শব্দের মাধ্যমে একক বিচ্যুতি হিসেবে বিচ্যুতিগুলাের যে কোনকেও বুঝাবে।

ধারা ৩৪ কিছু কিছু লােক কর্তৃক একই লক্ষ্য সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম

যখন কিছু কিছু লােক মিলে সকলের একই অভিপ্রায় পূরণকল্পে কোন অপরাধমূলক কার্য সম্পন্ন হয়, তখন এমন ব্যক্তিগণের প্রত্যেকেই ঐ কাজের জন্য এই হিসেবে দায়ি হবেন যেন ঐ কর্ম ঐ লােক দ্বারা একাকি সম্পন্ন হয়েছে।

ধারা ৩৫ যেক্ষেত্রে এমন কাজ কোন অপরাধজনক জ্ঞান বা ইচ্ছা সহকারে সম্পন্ন হবার কারণে অপরাধজনক হিসেবে পরিগণিত হয়

শুধু কোন অপরাধজনক জ্ঞান বা ইচ্ছা সহকারে সম্পন্ন হবার কারণে অপরাধমূলক বলে পরিগণিত হয় এমন কোন কাজ কখনও কিছু কিছু লােকের মাধ্যমে সম্পন্ন হলে এমন ব্যক্তিগণের প্রত্যেকে, যারা এমন জ্ঞান বা অভিপ্রায় সহকারে ঐ কাজে যােগদান করে, ঐ‌ কর্মের জন্য এই হিসেবে দায়ি হবেন যেন ঐ লােক দ্বারা ঐ জ্ঞান বা অভিপ্রায় সহকারে একাকি সম্পন্ন হয়েছে।

ধারা ৩৬ আংশিক কার্য ও আংশিকভাবে বিচ্যুতির সাহায্যে সংঘটিত ফলাফল

যে ক্ষেত্রে কোন বিচ্যুতির মাধ্যমে কোন বিশেষ ফলাফল ঘটানাের বা ঐ ফলাফল‌ ঘটানাের কোন উদ্যোগ অপরাধ বলে পরিগণিত হয়, সেক্ষেত্রে আংশিকভাবে কোন কার্য ও আংশিকভাবে কোন কার্যানুষ্ঠান বিরতির সাহায্যে ঐ ফলাফল ঘটানাে একই অপরাধ বলে বিবেচনা করতে হবে।

উদাহরণ

ক অংশত অন্যায়ভাবে খ কে খাদ্য প্রদান থেকে বিরত থেকে ও অংশত খ কে মারধর করে ইচ্ছাপূর্বক খ এর মৃত্যু ঘটায়। ক খুনের অপরাধে অভিযুক্ত হবে।

ধারা ৩৭ কোন অপরাধ সংগঠনকারি কিছু কিছু কর্মের একটি সম্পাদনের দ্বারা সাহায্য

যখন কিছু কিছু কর্মের মাধ্যমে অপরাধ অনুষ্ঠিত হয় তখন যে কেউ ঐ কাজগুলাের যে কোন একটি সম্পাদনের মাধ্যমে ঐ অপরাধ সংগঠন কাজে ইচ্ছাপূর্বক সহযােগিতা করে সে লােক ঐ অপরাধ সংগঠন করে।

উদাহরণগুলাে

(ক) ক ও খ আলাদাভাবে ও বিভিন্ন সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাত্রায় বিষ প্রয়ােগ করে গ কে খুন করার জন্য একমত হয়। ক ও খ, গ কে খুন করার লক্ষ্যে চুক্তি মােতাবেক বিষ প্রয়ােগ করে। গ এর প্রতি অনুরূপভাবে প্রযুক্ত কিছু কিছু মাত্রা বিষ প্রয়ােগের কারণে তার মৃত্যু হয়। এই ক্ষেত্রে ক ও খ ইচ্ছাপূর্বকভাবে খুন সম্পন্নে সহযােগিতা করে ও তাদের প্রত্যেকেই এ ধরণের একটি কার্য সম্পন্ন করে যার ফলে মৃত্যু হয়। যদিও তাদের কাজগুলাে স্বতন্ত্র তবুও উভয়েই ঐ অপরাধের জন্য অপরাধি।

(খ) ক ও খ যুগ্ম কারাপাল ও সে অবস্থায় তারা একান্তভাবে এককালিন ছয় ঘণ্টার জন্য বাদি ফ এর তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়ােজিত হয়েছে। ক ও খ, ফ এর মৃত্যু ঘটানাের লক্ষ্যে নিজ নিজ পরিচর্যাকালে ফ কে সরবরাহ করার লক্ষ্যে তাদের কাছে সরবরাহকৃত খাদ্য ফ কে প্রদান করা হতে অবৈধভাবে বিরত থেকে জ্ঞাতসারে ঐ ফল সংঘটনে সহযােগিতা করে। ফ অনাহারে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। ক ও খ উভয়েই ফ কে খুন করার অপরাধে দায়ি।

(গ) কারাপাল ক এর উপর বন্দী খ এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে। খ এর মৃত্যু ঘটানাের লক্ষ্যে ক, খ কে খাদ্য সরবরাহ করা হতে অবৈধভাবে বিরত থাকে, কারণে খ খুব বেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু অনাহার তার মৃত্যু ঘটানাের জন্য যথার্থ নয়। ক নিজ পদ হতে বরখাস্ত হয় ও গ তার স্থলাভিষিক্ত হয়। খ কে খাদ্য সরবরাহ না করলে তার মৃত্যু ঘটার আশংকা আছে এ কথা জেনে গ, ক এর সঙ্গে যােগসাজশ বা সহযােগিতা ছাড়াই খ কে খাদ্য সরবরাহ করা হতে অবৈধভাবে বিরত থাকে। খ অনাহারে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। গ খুনের অপরাধে অপরাধি বলে পরিগণিত হবে, কিন্তু যেহেতু ক, গ এর সঙ্গে সহযােগিতা করে নি, তাই ক কেবলমাত্র খুন সংগঠনের উদ্যোগের জন্যই অপরাধি হবে।

ধারা ৩৮ অপরাধমূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন অপরাধে অপরাধি হন

যেক্ষেত্রে কিছু কিছু লােক কোন অপরাধমূলক কার্য সংঘটনে নিয়ােজিত বা জড়িত হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তারা ঐ কর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে অপরাধি হতে পারেন।

উদাহরণ

ক এমন গুরুতর উত্তেজনা মূলক পরিস্থিতিতে খ কে আক্রমণ করে যে তার খ কে হত্যা করার কার্য খুন বলে পরিগণিত না হয়ে শুধু শাস্তিযােগ্য নরহত্যা হিসেবে পরিগণিত হবে। খ এর প্রতি গ এর বিদ্বেষ থাকায় ও তাকে হত্যা করার লক্ষ্যে ও উত্তেজিত না হয়ে গ, খ এর হত্যাকান্ডে ক কে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে যদিও ক ও গ উভয়ই খ এর মৃত্যু ঘটানাের কাজে নিয়ােজিত অর্থাৎ গ খুনের জন্য অপরাধি ও ক শুধু শাস্তিযােগ্য নর-হত্যার অপরাধে অপরাধি।

ধারা ৩৯ স্বেচ্ছাকৃতভাবে

যে মাধ্যমের সাহায্যে কোন কার্য সংগঠন অভিপ্রেত হয়েছিল তার সাহায্যে বা এমন মাধ্যম যা প্রয়ােগের সময় তার ঐ কার্য সংগঠন করার আশংকা আছে বলে জেনে বা এরকম বিশ্বাস করার কারণ থাকার পরও যে লােক সে মাধ্যমের সাহায্যে ঐ কার্য সংগঠন করে, সে লােক “স্বেচ্ছাকৃতভাবে” ঐ কার্য সংগঠন করে বলে পরিগণিত হবে।

উদাহরণ

ক দস্যুতা সুগম করার জন্য বড় শহরে একটি লােকপূর্ণ বাসগৃহে রাত্রিবেলায় আগুন ধরিয়ে দেয় ও এ কারণে এক লােকের মৃত্যু ঘটায়। এইক্ষেত্রে ক এর মৃত্যু ঘটানাের অভিপ্রায় নাও করে থাকতে পারে ও সে তার কর্মের জন্য মৃত্যু ঘটিয়েছে বলে দুঃখিত হতে পারে তবুও যদি সে জেনে থাকে যে তার মাধ্যমে মৃত্যু ঘটানাের আশংকা রয়েছে, তা হলে সে স্বেচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যু ঘটানাের অপরাধে অপরাধি।

ধারা ৪০ অপরাধ

এই ধারার দফা (২) ও (৩)-এ উল্লেখিত অধ্যায়গুলাে ও ধারাগুলাে ছাড়া অপর সমস্ত ক্ষেত্রে “অপরাধ” শব্দ মাধ্যমে এই বিধিবলে শাস্তিযােগ্য কোন কার্য বা বিষয় বুঝাবে।

৪র্থ অধ্যায়, ৫ক অধ্যায় ও নিম্নলিখিত ধারাসমূহে যথাঃ ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৭১, ১০৯, ১১০, ১১২, ১১৪, ১১৫, ১১৬, ১১৭, ১৮৭, ১৯৪, ১৯৫, ২০৩, ২১১, ২১৩, ২১৪, ২২১, ২২২, ২২৩, ২২৪, ২২৫, ৩২৭, ৩২৮, ৩২৯, ৩৩০, ৩৩১, ৩৪৭, ৩৪৮, ৩৮৮, ৩৮৯ ও ৪৪৫ ধারাসমূহে “অপরাধ” শব্দে এই বিধির আওতায় বা অতঃপর উল্লেখিত যে কোন বিশেষ বা স্থানীয় আইন মােতাবেক শাস্তিযােগ্য কোন বিষয় বুঝাবে এবং ১৪১, ১৭৬, ১৭৭, ২০১, ২০২, ২১২, ২১৬ ও ৪৪১ ধারাসমূহে “অপরাধ” শব্দে বিশেষ বা স্থানীয় আইনের আওতাভুক্ত শাস্তিযােগ্য বিষয় এরূপ আইনের আওতায় জরিমানা সহকারে বা ছাড়াই যাই হােক ছয় মাস কাল বা তদুর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হবার ক্ষেত্রে একই অর্থ বুঝাবে।

ধারা ৪১ বিশেষ আইন

“বিশেষ আইন" হচ্ছে বিশেষ বিষয়ের প্রতি প্রয়ােগযােগ্য আইন।

ধারা ৪২ স্থানীয় আইন

“স্থানীয় আইন" হচ্ছে কেবলমাত্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার আওতাভুক্ত কোন বিশেষ অংশে প্রয়ােগযােগ্য আইন।

ধারা ৪৩ “অবৈধ”, “আইনত সম্পন্ন করতে বাধ্য

 “অবৈধ" শব্দটি এমন প্রতিটি বিষয়ের প্রতি প্রয়ােগযােগ্য যা অপরাধ হিসেবে পরিগণিত বা যা আইনবলে নিষিদ্ধ বা যাতে দেওয়ানি ব্যবস্থা গ্রহণের অজুহাত থাকে; ও লােক বিশেষ এরূপ কার্য “আইনত সম্পন্ন করতে বাধ্য” বলে পরিগণিত হবে, যা সম্পন্ন করা হতে বিরত থাকা তার পক্ষে অবৈধ। এ ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যা শাস্তিযােগ্য, তাই অপরাধ ।

ধারা ৪৪ "ক্ষতি"

"ক্ষতি" শব্দটি যে কোনো লোকের দেহ, মন সুনাম বা সম্পত্তির প্রতি অবৈধভাবে কৃত যে কোন অনিষ্ট সাধন করা বুঝাবে।

ধারা ৪৫ "জীবন"

প্রসঙ্গে ভিন্ন কিছু না বুঝালে "জীবন" শব্দটির মাধ্যমে মনুষ্য জীবন বুঝাবে।

ধারা ৪৬ "মৃত্যু"

প্রসঙ্গে ভিন্নরূপ কিছু না বুঝাইলে "মৃত্যু" শব্দটির মাধ্যমে  মানুষের মৃত্যু বুঝাবে।

ধারা ৪৭ঃ “প্রাণী"

“প্রাণী” শব্দে মানুষ ছাড়া যে কোন জীবন্ত সৃষ্টিকে বুঝাবে।

ধারা ৪৮ঃ “জাহাজ"

“জাহাজ” শব্দে জলযােগে মানুষ বা সম্পত্তি পরিবহনের জন্যে প্রস্তুতকৃত যে কোন যানবাহন বুঝবে।

ধারা ৪৯ “বৎসর”, “মাস”

যেখানে “বৎসর” কথাটি বা “মাস” কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে বুঝতে হবে যে, ঐ বছর বা মাস ব্রিটিশ ক্যালেণ্ডার অনুসারে গণনা করা হয়েছে।

ধারা ৫০ “ধারা”

“ধারা” শব্দে এই বিধির যে কোন অধ্যায়ের অংশগুলাের এক একটিকে বুঝাবে, যা পূর্বে যুক্ত সংখ্যাবাচক অংকগুলাের সাহায্যে স্বতন্ত্র করা হয়েছে।

ধারা ৫১ “হলফ”

“হলফ” শব্দে হলফের পরিবর্তে আইনবলে প্রতিস্থাপিত যে কোন পবিত্র প্রতিজ্ঞা ও কোন সরকারি কর্মচারির সামনে গ্রহণীয় বা কোন বিচারালয়ের হােক বা না হােক প্রমাণের আইনবলে আবশ্যকিয় বা অনুমােদিত যে কোন ঘােষণাকে বুঝাবে।

ধারা ৫২ “সদ বিশ্বাস"

যথাযথ সতর্কতা ও মনােযােগ ছাড়াই সম্পন্ন বা বিশ্বাসকৃত কোন কিছুই সদ বিশ্বাসে করা হয়েছে বা বিশ্বাস করা হয়েছে বলে পরিগণিত হবে না।

ধারা ৫২ক “আশ্রয়”

১৫৭ ধারায় ও ১৩০ ধারায় যে ক্ষেত্রে আশ্রিত লােককে তদীয় স্ত্রী বা স্বামী দ্বারা আশ্রয় দেওয়া হয় সে ক্ষেত্র ছাড়াই “আশ্রয়” শব্দে কোন লােককে আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, অর্থ, পােশাক, অস্ত্রপাতি, গােলাবারুদ বা পরিবহনের মাধ্যমে সরবরাহ করা বা গ্রেফতার কার্য এড়াবার লক্ষ্যে কোন লােককে যে কোন মাধ্যমের সাহায্যে, তা এই ধারায় উল্লিখিত‌ মাধ্যমগুলাের মত হােক বা না হােক, সাহায্য করা আওতাভুক্ত হবে।

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a