- Get link
- X
- Other Apps
Examination of Witnesses সাক্ষী গনের সাক্ষ্যগ্রহণ জবানবন্দি জেরা পুনঃ জবানবন্দি ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন সাক্ষ্য আইন
সাক্ষ্য আইন দশম অধ্যায় -সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ।
ধারা ১৩৫ সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা ও সাক্ষ্য গ্রহন করার ক্রম।
ধারা ১৩৬ জজ কোন সাক্ষ্যের গ্রহণযােগ্যতা নির্ধারণ করবেন।
ধারা ১৩৭ জবানবন্দী জেরা।
ধারা ১৩৮ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম।
ধারা ১৩৯ দলিল দাখিলের জন্য আহুত ব্যক্তিকে জেরা।
ধারা ১৪০ চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষী।
ধারা ১৪১ ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন।
ধারা ১৪২ ঐরূপ প্রশ্ন যখন অবশ্যই করা যাবে না।
ধারা ১৪৩ ঐরূপ প্রশ্ন যখন করা যেতে পারে।
ধারা ১৪৪ লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য।
ধারা ১৪৫ পূর্ববতী লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে জেরা (Cross Examination)।
ধারা ১৪৬ জেরায় যেসব প্রশ্ন আইন সংগত।
ধারা ১৪৭ সাক্ষীকে যখন উত্তর দিতে বাধ্য করতে হবে।
ধারা ১৪৮ যখন প্রশ্ন করতে হবে এবং সাক্ষী যখন উত্তর দিতে বাধ্য তা আদালত নির্ধারণ করবেন।
ধারা ১৪৯ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা যাবে না।
ধারা ১৫০ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত প্রশ্ন করা হলে সেক্ষেত্রে আদালতরে কার্যপদ্ধতি।
ধারা ১৫১ অশালীন ও কেলেঙ্কারীজনক প্রশ্ন।
ধারা ১৫২ অপমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন।
ধারা ১৫৩ সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরের বিরােধিতা করার সাক্ষ্য বর্জন।
ধারা ১৫৪ কোন পক্ষ কর্তৃক নিজের স্বাক্ষীকে প্রশ্ন করা (বৈরী সাক্ষী Hostile Witness)।
ধারা ১৫৫ সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ করা।
ধারা ১৫৬ প্রাসঙ্গিক বিষয় সমর্থন করার উদ্দশ্যমূলক প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য।
ধারা ১৫৭ একই ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্য সমর্থনের জন্য পূর্ববর্তী সাক্ষ্য প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা ১৫৮ প্রমাণিত যেসব বিবৃতি ৩২ ও ৩৩ ধারা মোতাবেক প্রাসঙ্গিক, সেগুলি সম্পর্কে যেসব বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা ১৫৯ স্মৃতি পুনরুজ্জীবিতকরা সাক্ষী যখন স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দলিলের নকল ব্যবহার করতে পারে।
ধারা ১৬০: ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত দলিলে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য।
ধারা ১৬১ স্মৃতি পুনজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন লেখা সম্পর্কে বিরুদ্ধে পক্ষের অধিকার।
ধারা ১৬২ দাখিল করা দলিলের অনুবাদ।
ধারা ১৬৩ তলবকৃত এবং নোটিশ অনুসারে দাখিলকৃত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দেয়া।
ধারা ১৬৪ নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও যে দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করা হয়েছে তা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার।
ধারা ১৬৫ জজ কর্তৃক জিজ্ঞাসা করার বা কিছু দাখিল করার আদেশ দানের ক্ষমতা।
ধারা ১৬৬ জুরি বা এসেসর কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা।
ধারা ১৬৭ অন্যয়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হলে তজ্জন্য নতুন করে বিচার হবে না।
ধারা ১৩৫ সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা ও সাক্ষ্য গ্রহন করার ক্রম।
ধারা ১৩৬ জজ কোন সাক্ষ্যের গ্রহণযােগ্যতা নির্ধারণ করবেন।
ধারা ১৩৭ জবানবন্দী জেরা।
ধারা ১৩৮ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম।
ধারা ১৩৯ দলিল দাখিলের জন্য আহুত ব্যক্তিকে জেরা।
ধারা ১৪০ চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষী।
ধারা ১৪১ ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন।
ধারা ১৪২ ঐরূপ প্রশ্ন যখন অবশ্যই করা যাবে না।
ধারা ১৪৩ ঐরূপ প্রশ্ন যখন করা যেতে পারে।
ধারা ১৪৪ লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য।
ধারা ১৪৫ পূর্ববতী লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে জেরা (Cross Examination)।
ধারা ১৪৬ জেরায় যেসব প্রশ্ন আইন সংগত।
ধারা ১৪৭ সাক্ষীকে যখন উত্তর দিতে বাধ্য করতে হবে।
ধারা ১৪৮ যখন প্রশ্ন করতে হবে এবং সাক্ষী যখন উত্তর দিতে বাধ্য তা আদালত নির্ধারণ করবেন।
ধারা ১৪৯ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা যাবে না।
ধারা ১৫০ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত প্রশ্ন করা হলে সেক্ষেত্রে আদালতরে কার্যপদ্ধতি।
ধারা ১৫১ অশালীন ও কেলেঙ্কারীজনক প্রশ্ন।
ধারা ১৫২ অপমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন।
ধারা ১৫৩ সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরের বিরােধিতা করার সাক্ষ্য বর্জন।
ধারা ১৫৪ কোন পক্ষ কর্তৃক নিজের স্বাক্ষীকে প্রশ্ন করা (বৈরী সাক্ষী Hostile Witness)।
ধারা ১৫৫ সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ করা।
ধারা ১৫৬ প্রাসঙ্গিক বিষয় সমর্থন করার উদ্দশ্যমূলক প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য।
ধারা ১৫৭ একই ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্য সমর্থনের জন্য পূর্ববর্তী সাক্ষ্য প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা ১৫৮ প্রমাণিত যেসব বিবৃতি ৩২ ও ৩৩ ধারা মোতাবেক প্রাসঙ্গিক, সেগুলি সম্পর্কে যেসব বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা ১৫৯ স্মৃতি পুনরুজ্জীবিতকরা সাক্ষী যখন স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দলিলের নকল ব্যবহার করতে পারে।
ধারা ১৬০: ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত দলিলে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য।
ধারা ১৬১ স্মৃতি পুনজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন লেখা সম্পর্কে বিরুদ্ধে পক্ষের অধিকার।
ধারা ১৬২ দাখিল করা দলিলের অনুবাদ।
ধারা ১৬৩ তলবকৃত এবং নোটিশ অনুসারে দাখিলকৃত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দেয়া।
ধারা ১৬৪ নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও যে দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করা হয়েছে তা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার।
ধারা ১৬৫ জজ কর্তৃক জিজ্ঞাসা করার বা কিছু দাখিল করার আদেশ দানের ক্ষমতা।
ধারা ১৬৬ জুরি বা এসেসর কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা।
ধারা ১৬৭ অন্যয়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হলে তজ্জন্য নতুন করে বিচার হবে না।
Chapter X -Of the Examination of Witnesses
সাক্ষ্য আইন দশম অধ্যায় -সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৩৫ সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা ও সাক্ষ্য গ্রহন করার ক্রম
যে ক্রমানুসারে সাক্ষী হাজির করা ও তাদের সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি সে সম্পর্কে প্রচলিত আইন ও রীতি মােতাবেক তা নির্ধারিত হবে। কোন আইন না থাকলে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে তা নির্ধারিত হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৩৬ জজ কোন সাক্ষ্যের গ্রহণযােগ্যতা নির্ধারণ করবেন
কোন পক্ষ যখন কোন ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তখন সে ঘটনা প্রমাণীত হলে কিভাবে তা প্রাসঙ্গিক হবে সে মােতাবেক সাক্ষ্য দেয়ার জন্য জজ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আদেশ দিতে পারেন। জজ যদি মনে করেন যে, ঘটনাটি প্রমাণিত হলে তা প্রাসঙ্গিক হবে, তবে তিনি সে সাক্ষ্য গ্রাহ্য করবেন, অন্যথায় নয়।
যে ঘটনা প্রমাণ করতে চাওয়া হয়, তা সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রাহ্য হওয়া যদি অন্য কোন ঘটনা প্রমাণ হবার উপর নির্ভর করে তবে প্রথমােক্ত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়ার পূর্বে শেষােক্ত ঘটনা অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, যদি না সংশ্লিষ্ট পক্ষ উক্ত ঘটনা প্রমাণের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ব হয় এবং আদালত সে অঙ্গীকারের পূর্বে শেষােক্ত ঘটনা অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, যদি না সংশ্লিষ্ট পক্ষ উক্ত ঘটনা প্রমানের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ব হয় এবং আদালত সে অঙ্গীকারে সন্তষ্ট হন। কোন ঘটনার প্রসাঙ্গিকতা যদি অপর একটি ঘটনা প্রথমে প্রমাণিত হবার উপর নির্ভর করে, তবে জজ ইচ্ছা করলে দ্বিতীয় ঘটনা প্রমাণিত হবার পূর্বেই প্রথম ঘটনা সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিতে পারেন, অথবা প্রথম ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়ার পূর্বে দ্বিতীয় ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।
উদাহরণ -জজ কোন সাক্ষ্যের গ্রহণযােগ্যতা নির্ধারণ করবেন
(ক) একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে এমন এক ব্যক্তির বিবৃতি প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে, যে ব্যক্তি মৃত বলে দাবি করা হচ্ছে। এ বিবৃতিটি ৩২ ধারা মােতাবেক প্রাসঙ্গিক। যে ব্যক্তি বিবৃতিটি প্রমাণ করতে চাহেন, তাকে প্রথমে অবশ্যই উক্ত বিবৃতি সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দেয়ার পূর্বে প্রমাণ করতে হবে যে, সে ব্যক্তি মৃত।
(খ) যে দলিল হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, তার একটি নকলের সাহায্যে দলিলটির বিষয়বস্ত প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে। নকলটি উপস্থাপন করার পূর্বে যে ব্যক্তি নকল উপস্থাপন করতে চায়, তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, মূল দলিলটি হারিয়ে গিয়েছে।
(গ) চোরাই মাল বলে জানা সত্ত্বেও চোরাই মাল গ্রহন করার দায়ে ক অভিযুক্ত হয়েছে। তার দখলে উক্ত মাল থাকার কথা সে অস্বীকার করেছিল একথা প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে। স্বীকৃতির প্রাসঙ্গিকতা সম্পত্তির পরিচয়ের উপর নির্ভর করে। দখলের অস্বীকৃতি প্রমাণের পূর্বে আদালত ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে সম্পত্তির পরিচয় দানের নির্দেশ দিতে পারেন, অথবা সম্পত্তির পরিচয় দানের পূর্বেই দখলের অস্বীকৃতি প্রমাণের অনুমতি দিতে পারেন।
(ঘ) বিচার্য ঘটনার কারণ অথবা ফল বলে কথিত ঘটনা ক প্রমাণ করতে চাচ্ছে। ক ঘটনাটি যে বিচার্য ঘটনার কারণ অথবা ফল, তা স্থির করার পূর্বে কতিপয় মধ্যবর্তী ঘটনা ক গ ও ঘ-এর অস্তিত্ব অবশ্যই দেখাতে হবে। আদালত খ গ ৰা ঘ ঘটনা প্রমাণ করার পূর্বে ক ঘটনা প্রমাণ করার অনুমতি দিতে পারেন, অথবা ক ঘটনা প্রমাণের অনুমতি দেয়ার পূর্বে খ গ ও ঘ ঘটনা প্রমাণ করার নির্দেশ দিতে পারেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৩৭ জবানবন্দী জেরা
যে পক্ষ কোন সাক্ষীকে উপস্থিত করেছে সে পক্ষ যখন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে, তখন তাকে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা বলা হয়। বিরুদ্ধে পক্ষ যখন সে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে, তখন তাকে জেরা করা বলা হয়। জেরার পর সাক্ষী উপস্থিতকারী পক্ষ যদি পুনরায় তার সাক্ষ্য গ্রহণ করে তবে তাকে পুন:জবানবন্দী গ্রহন করা বলা হয়।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৩৮ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম
প্রথমে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করতে হবে, তৎপর (বিরুদ্ধে পক্ষ ইচ্ছা করলে) সাক্ষীকে জেরা করবে এবং তৎপর (সাক্ষী উপস্থিতকারী পক্ষ ইচ্ছা করলে) পুন:জবানবন্দী গ্রহন করতে পারবে। প্রাসঙ্গিক ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ ও জেরা করতে হবে। কিন্তু সাক্ষী তার জবানবন্দীতে যে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছে, কেবলমাত্র সে সকল বিষয়েই জেরা করা চলবে এমন নয়। জেরা প্রসঙ্গে সাক্ষী যে সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ করে, পুন: জবানবন্দীতে সেগুলির ব্যাখ্যা চাইতে হবে। পুণ:জবানবন্দী গ্রহনের সময় যদি আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন নতুন ঘটনার অবতারণা করা হয়, তবে বিরূদ্ধে পক্ষ সে সমস্ত বিষয়ে আরও জেরা করতে পারবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৩৯ দলিল দাখিলের জন্য আহুত ব্যক্তিকে জেরা
কোন দলিল উপস্থাপনের জন্য কোন ব্যক্তিকে সমন দেয়া হলে সে ব্যক্তি যদি সেই দলিল উপস্থাপন করে, তবে সেজন্যই সে ব্যক্তি সাক্ষী বলে গণ্য হবে না এবং সাক্ষী হিসেবে তাকে তলব না করা পর্যন্ত তাকে জেরা করা যাবে না।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪০ চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষী
চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষীকে জেরা করা ও তার পুনঃ জবানবন্দি গ্রহণ করা যেতে পারবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪১ ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন
প্রশ্নকারী প্রশ্নের যে উত্তর আশা করে, প্রশ্নের মধ্যেই তার ইঙ্গিত দেয়া হলে তাকে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন বলা হয়।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪২ ঐরূপ প্রশ্ন যখন অবশ্যই করা যাবে না
বিরুদ্ধে পক্ষ যদি আপত্তি করে, তবে জবানবন্দী ও পুন:জবানবন্দী গ্রহণকালে আদালতের অনুমতি ছাড়া ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা চলবে না। যে সমস্ত বিষয় পরিচয়মূলক, অথবা অবিসংবাদিত, অথবা যে বিষয় পূর্বেই যথেষ্টরূপে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালত মনে করেন, সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করার অনুমতি আদালত অবশ্যই দিবেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৩ ঐরূপ প্রশ্ন যখন করা যেতে পারে
জেরায় ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা চলবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৪ লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য
কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের সময় যে সম্পত্তি সম্পর্কে যে সাক্ষ্যদান করছে, তৎসংক্রান্ত কোন চুক্তি, মঞ্জুরী বা অন্যবিধ বিলি-ব্যবস্থার বিষয় কোন একটি দলিলে লিপিবদ্ধ নেই, এ মর্মে তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। সে যদি বলে যে, তা লিপিবদ্ধ আছে অথবা উক্ত দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সে যদি কোন বিবৃতিদানের উপক্রম করে এবং আদালত যদি মনে করেন যে, উক্ত দলিল হাজির করা উচিত, তবে বিরুদ্ধ পক্ষ উক্ত দলিল হাজির না হওয়া পর্যন্ত অথবা যে ঘটনার ফলে সাক্ষী উপস্থিতকারী পক্ষ উক্ত দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়ার অধিকার লাভ করবে তা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপ সাক্ষ্যদানের বিরুদ্ধে আপত্তি করতে পারবে।
ব্যাখ্যাঃ কোন দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির বিবৃতি যদি প্রাসঙ্গিক হয়, তবে সাক্ষী সে বিবৃতি সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে পারবে।
উদাহরণ -লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য
প্রশ্ন হছে ক খ-কে প্রহার করেছে কিনা। গ সাক্ষ্য দেয় যে, খ-কে এ কথা বলতে সে শুনেছে, খ আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযােগ করে একটি চিঠি লিখেছে, আমি তার উপর প্রতিশােধ নিবে। এ বিবৃতি প্রাসঙ্গিক। কারণ ক কর্তৃক খ-কে প্রহারের উদ্দেশ্য তা হতে প্রতীয়মান হয়। চিঠিটি সম্পর্কে আর কোন সাক্ষ্য না দেয়া হলেও বিবৃতিটি সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৫ পূর্ববতী লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে জেরা (Cross Examination)
কোন সাক্ষী পূর্ববর্তীকালে লিখিত কোন বিবৃতি দিয়ে থাকলে অথবা তার প্রদত্ত বিবৃতি লিপিবদ্ধ হয়ে থাকলে, তা যদি বিচার্য বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হয়, তবে উক্ত লেখা তাকে না দেখিয়ে অথবা তা প্রমাণ না করে তৎসম্পর্কে সে সাক্ষীকে জেরা করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৬ জেরায় যেসব প্রশ্ন আইন সংগত
যখন কোন সাক্ষীকে জেরা করা হয়, তখন ইতােপূর্বে উল্লেখিত প্রশ্ন সমূহ ছাড়াও এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে, যার দ্বারা-
(১) তার সত্যবাদিতা পরীক্ষা করা যায়,
(২) তার পরিচয় ও মর্যাদা জানা যায়, অথবা
(৩) তার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যেক্ষ বা পরােক্ষ ভাবে কোন অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারে, অথবা সে দণ্ডলাভের যােগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, কিংবা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে তার দণ্ডলাভের যােগ্য সাব্যস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৭ সাক্ষীকে যখন উত্তর দিতে বাধ্য করতে হবে
কোন প্রশ্ন যদি এমন কোন বিষয় সম্পর্কিত হয়, যা সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি মামলা বা কার্যক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক, তবে সেক্ষেত্রে ১৩২ ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৮ যখন প্রশ্ন করতে হবে এবং সাক্ষী যখন উত্তর দিতে বাধ্য তা আদালত নির্ধারণ করবেন
কোন প্রশ্ন যদি এমন কোন বিষয় কার্যক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়, তবে উক্ত প্রশ্নের দ্বারা সাক্ষীর চরিত্রের উপর আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত না করা হলে সাক্ষী সে প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য কিনা আদালত তা স্থির করবেন, এবং আদালত উপযুক্ত মনে করলে সাক্ষীকে এ মর্মে সতর্ক করে দিতে পারবেন যে, সে তার উত্তর দিতে বাধ্য নয়। আদালত স্বীয় ইচ্ছাধীন এ ক্ষমতা প্রয়াগ করার সময় অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবেন-
(১) উক্ত প্রশ্নের প্রকৃতি যদি এরূপ হয় যে, ঐ প্রশ্নের অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতের সত্যতা সাক্ষী যে বিষয়ে সাক্ষ্যদান করছে সে সম্পর্কে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে আদালতের অভিমতকে গুরুতভাবে প্রভাবিত করবে, তবে সে প্রশ্ন সঙ্গত হবে।
(২) প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতের সংশ্লিষ্ট সময় যদি সুদুরবর্তী হয়, অথবা প্রশ্নের প্রকৃতি যদি এরূপ হয় যে, তার অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতের সত্যতা সাক্ষী যে বিষয়ে সাক্ষ্যদান করছে সে সম্পর্কে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে আদালতরে অভিমতকে প্রভাবিত করবে না, অথবা সামান্য পরিমানে প্রভাবিত করবে, তবে সে প্রশ্ন সঙ্গত হবে না।
(৩) স্বাক্ষীর চরিত্রের বিরুদ্ধে যে ইঙ্গিত করা হয়, তার গুরত্ব এবং সাক্ষ্যের গুরত্ব দুইয়ের মধ্যে যদি বিরাট অসামঞ্জস্য থাকে, তবে প্রশ্নটি অসঙ্গত হবে।
(৪) আদালত ইপযুক্ত বোধ করলে প্রশ্নের উত্তরাদানে সাক্ষীর অস্বীকৃতি হতে অনুমান করতে পারবেন যে, সাক্ষী প্রশ্নটির উত্তর দিলে তা তার বিরুদ্ধে যেত।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৪৯ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা যাবে না
প্রশ্ন জিজ্ঞাসাকারী পক্ষের যদি না এরূপ মনে করার সঙ্গত কারণ থাকে যে, প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত ইঙ্গিত দৃঢ় ভিত্তির পর প্রতিষ্ঠিত, তবে ১৪৮ ধারায় উল্লেখিতরূপ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না।
(ক) জনৈক এ্যাডভোকেট জনৈক মক্কেলের কাছে হতে নির্দেশ লাভ করেন যে, একজন গুরত্বপূর্ণ সাক্ষী একজন ডাকাত । সে একজন ডাকাত কিনা এ মর্মে সাক্ষীকে প্রশ্ন করে জানা, এটা একটি যুক্তিসঙ্গত কারণ ।
(খ) জনৈক উকিল আদালতের জনৈক ব্যক্তির কাছে অবগত হন যে, একজন গুরত্বপূর্ণ সাক্ষী একজন ডাকাত । উকিল কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হয়ে উক্ত সংবাদাদাতা তার অনুরূপ বিবৃতির সন্তোষজনক কারণ প্রদর্শন করে। সাক্ষীর একজন ডাকাত কিনা এ মর্মে তাকে প্রশ্ন করার জন্য এটা একটি যুক্তিসঙ্গত কারণ।
(গ) একজন সাক্ষী সম্পর্কে কিছুই জানা নেই । বেপরোয়াভাবে তাকে প্রশ্ন করা হল যে, সে একজন ডাকাত কিনা। এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
(ঘ) একজন সাক্ষী সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। তার জীবন ধারণের পদ্ধতি ও জীবিকা নির্বাহের উপায় সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে সে যে উত্তর দিল তা সন্তোষজনক নয়। সে ডাকাত কিনা এ মর্মে তাকে প্রশ্ন করার জন্য এটা একটি যুক্তিসঙ্গত কারণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫০ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত প্রশ্ন করা হলে সেক্ষেত্রে আদালতরে কার্যপদ্ধতি
আদালত যদি এরূপ অভিমতে উপনীত যে, উক্তরূপ কোন প্রশ্ন যুক্তিসঙ্গগত কোন কারণ ছাড়া জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তবে সে প্রশ্ন যদি কোন এডভোকেট জিজ্ঞাসা করে থাকেন, তাহলে সে এডভোকেট পেশাগতভাবে যে হাইকোর্ট বিভাগ বা অপর কোন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন, আদালত মামলাটির সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে সে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দিতে পারেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫১ অশালীন ও কেলেঙ্কারীজনক প্রশ্ন
কোন প্রশ্ন বা অনুসন্ধান যদি আদালত অশালীন বা কেলেঙ্কারীপূর্ণ বলে মনে করেন, তবে আদালতের বিচার্য বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রশ্নটির কিছু গুরুত্ব থাকলেও আদালত তা জিজ্ঞাসা করা নিষিদ্ধ করতে পারেন, যদি না প্রশ্নটি বিচার্য বিষয় সম্পর্কিত হয় অথবা বিচার্য বিষয়ের অস্তিত্ব নির্ধারণের জন্য যা জানা আবশ্যক এমন বিষয় সম্পর্কিত হয়।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫২ অপমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন
কোন প্রশ্ন যদি কাউকে অপমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যমূলক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়, অথবা প্রশ্নটি সঙ্গত হলেও এটি আক্রমনাত্মক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়, তবে আদালত অনুরূপ প্রশ্ন অবশ্যই নিষিদ্ধ করবেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৩ সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরের বিরােধিতা করার সাক্ষ্য বর্জন
কোন সাক্ষীকে যখন এরূপ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যা ঐ সাক্ষীর চরিত্রের প্রতি আঘাত করে সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা অনিশ্চিত করার জন্যই করা হয়েছে, তা হলে তা তদন্তের ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক এবং সাক্ষী যখন সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তখন তার বক্তব্যের বিরােধিতা করে অবশ্যই কোন সাক্ষ্য দেয়া চলবে না; কিন্তু সে যদি মিথ্যা উত্তর দিয়ে থাকে, তবে পরে তাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করা যাবে।
ব্যাখ্যা ১- কোন সাক্ষীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, পূর্ববর্তীকালে সে কোন অপরাধে দন্ডিত হয়েছিল কিনা, এবং সাক্ষী যদি তা অস্বীকার করে, তবে পূর্ববর্তীকালে তার দন্ডিত হওয়া সম্পর্কে সাক্ষী দেয়া যেতে পারবে ।
ব্যাখ্যা ২ -কোন সাক্ষীকে যদি এরূপ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, যার দ্বারা তার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে অভিযােগ উত্থাপিত হয় এবং যে ঘটনা সম্পর্কে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করা হয় এবং সাক্ষী যদি উত্তরে তা অস্বীকার করে, তবে তার বক্তব্যর বিরােধিতা করা যেতে পারে।
উদাহরণ- সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন
(ক) প্রতারণার অজুহাতে কোন দায় গ্রহণকারীর বিরুদ্ধে উপস্থাপিত দাবি প্রতিরােধ করা হচ্ছে। দাবীদারকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, পূর্ববর্তী একটি লেনদেনের ব্যাপারে সে প্রতারণামূলকভাবে দাবি উত্থাপন করে ছিল কিনা। সে অস্বীকার করল। সে প্রতারণামূলক দাবি উত্থাপন করেছিল তা প্রতীয়মান করার জন্য সাক্ষ্য দিতে চাওয়া হল। এইরূপ সাক্ষ্য অগ্রাহ্য হবে।
(খ) একজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, অসত্যতার দরুন সে চাকুরী হতে বরখাস্ত হয়েছিল কিনা। সে তা অস্বীকার করল। অসত্যতার দরুন সে চাকুরী হতে বরখাস্ত হয়েছিল, তা প্রতীয়মান করার জন্য সাক্ষ্য দিতে চাওয়া হল। এইরূপ সাক্ষ্য অগ্রাহ্য হবে।
(গ) ক নিশ্চয়তা সহকারে বলল যে, নির্দিষ্ট কোন একদিন সে খ-কে খুলনা দেখেছে। ক-কে জিজ্ঞাসা করা হল, সে ঐ দিন চট্টগ্রাম ছিল কিনা। এটা সে অস্বীকার করল । ঐদিন যে ক চট্টগ্রাম ছিল তা দেখানাের জন্য সাক্ষ্য দিতে চাওয়া হল। যে ঘটনা দ্বারা ক-এ বিশ্বাসযােগ্যতা প্রভাবিত, তার প্রতিবাদ করার জন্য নয় বরং উক্ত নির্দিষ্ট দিনে খ-কে খুলনায় দেখা গেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদ করে জন্য উক্ত সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে।
(ঘ) ক-কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, খ-এর বিরুদ্ধে সে যে সাক্ষ্যদান করছে, তার পরিবারের সাথে ক-এর পরিবারের হত্যাকান্ড জনিত শক্রতা আছে কিনা। ক এটা অস্বীকার করল। প্রশ্নটি দ্বারা তার নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে অভিযােগ উত্থাপন করা হয়েছে, এ অজুহাতে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৪ কোন পক্ষ কর্তৃক নিজের স্বাক্ষীকে প্রশ্ন করা (বৈরী সাক্ষী Hostile Witness)
যে পক্ষ সাক্ষী হাজির করে, সে যদি সাক্ষী এমন কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চায়, যা বিরুদ্ধে পক্ষ সাক্ষীকে জেরা করার সময় জিজ্ঞাসা করতে পারে, তবে আদালত ইচ্ছা করলে উক্ত পক্ষকে সে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিতে পারেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৫ সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ করা
নিম্নলিখিত উপায়ে বিরুদ্ধ পক্ষ বা আদলতের অনুমতি নিয়ে সাক্ষী উপস্থিতকারী পক্ষ সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ আনয়ন করতে পারেন-
(১) যে সকল লােক সাক্ষ্য দিবে যে, ঐ সাক্ষী সম্পর্কে তাদের যতদূর জানা আছে, তাতে তারা তাকে বিশ্বাসের অযােগ্য বলে মনে করে, তাদের দ্বারা সাক্ষ্য দেওয়া;
(২) সাক্ষীকে ঘুষ দেয়া হয়েছে, অথবা ঘুষের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আছে, অথবা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য অপর কোন রূপ দুর্নীতিমূলক প্রলােভনের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, তা
প্রমাণ করে;
(৩) তার প্রদত্ত সাক্ষ্যের যে অংশ প্রতিবাদ সাপেক্ষ, তা তার পূর্বর্তী বিবৃতির সাথে সঙ্গতিবিহীন, একথা প্রমাণ করে;
(৪) কোন ব্যক্তি যখন বলৎকার অথবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযােগে ফৌজদারিতে সােপর্দ হয়, তখন দেখান যেতে পারে যে, অভিযােগকারীনী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্র সম্পন্ন রমনী।
ব্যাখ্যাঃ একজন সাক্ষী যদি অন্য একজন সাক্ষীকে বিশ্বাসের অযােগ্য বলে ঘােষণা করে, তবে জবানবন্দীর সময় সে তার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ নাও দিতে পারে। তবে জেরার সময় তাকে উক্ত কারণ জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। জিজ্ঞাসার উত্তরে যদি সে মিথ্যা কথা বলে, তবে পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযােগ করা যেতে পারে।
উদাহরণ- সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ করা
(ক) খ-এর কাছে বিক্রীত ও অর্পিত পণ্যের মূল্যের জন্য ক খ-এর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করল। এই মর্মে সাক্ষ্য দিতে চাওয়া হল যে, পূর্ববর্তী কোন এক সময় ক বলেছিল যে, সে খ-এর কাছে পণ্য অর্পণ করে নি। এই সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে।
(খ) খ-কে হত্যা করার দায়ে ক অভিযুক্ত হল। গ বলল যে, খ মৃত্যুকালে ঘােষণা করেছে যে, ক-এর দেয়া আঘাতের ফলে খ মারা গেছে। এই মর্মে সাক্ষ্য দিতে চাওয়া হল যে, পূর্ববর্তী কোন এক সময় গ বলেছিল যে, ক উক্ত আঘাত করে নি বা তার উপস্থিতিতে করে নি। এ সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৬ প্রাসঙ্গিক বিষয় সমর্থন করার উদ্দশ্যমূলক প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য
কোন সাক্ষ্য যখন কোন প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয় এবং তার সাক্ষ্য অন্যের দ্বারা সমর্থন করাতে চাওয়া হয়, তখন উক্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় যে স্থানে বা সময়ে ঘটেছিল, সে সময়ে বা স্থানে অথবা তার নিকটবর্তী সময়ে বা স্থানে সে অপর যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছে, সে সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা যেতে পারে, যদি আদালত মনে করেন যে, উক্ত পরিস্থিতি প্রমাণিত হলে প্রাসঙ্গিক ঘটনাটি সম্পর্কে সাক্ষী যে সাক্ষ্য দিয়েছে তা সমর্থিত হবে।
উদাহরণ- প্রাসঙ্গিক বিষয় সমর্থন করার উদ্দশ্যমূলক প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য
যে ডাকাতিতে সহযোগী হিসেবে ক যোগ দিয়েছিল, সে তার একটি বর্ণনা দান করল। যেস্থানে ডাকাতি হয়েছিল সেখানে যাওয়া-আসার পথে এমন কতকগুলি ঘটনার সে বিবরণ দিল, যেগুলি ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। ডাকাতি সম্পর্কে তার সাক্ষ্যের সমর্থনের উদ্দেশ্যে ঐ সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে নিরপেক্ষ ব্যক্তির সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৭ একই ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্য সমর্থনের জন্য পূর্ববর্তী সাক্ষ্য প্রমাণ করা যেতে পারে
কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য সমর্থনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঘটনা যখন ঘটেছিল, সে সময় বা তার নিকটবর্তী কোন সময় একই ঘটনা সম্পর্কে সে সাক্ষীর প্রদত্ত কোন বিবৃতি অথবা ঘটনা সম্পর্কে তদন্তকারী ক্ষমতাসম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্ববর্তীকালে ঐ সাক্ষীর প্রদত্ত কোন বিবৃতি প্রমাণ করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৮ প্রমাণিত যেসব বিবৃতি ৩২ ও ৩৩ ধারা মোতাবেক প্রাসঙ্গিক, সেগুলি সম্পর্কে যেসব বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে
যখনই ৩২ বা ৩৩ ধারা মোতাবেক প্রাসঙ্গিক কোন বিবৃতি প্রমাণ করা হয়, ঐ বিবৃতির প্রতিবাদ বা সমর্থন করার উদ্দেশ্যে অথবা উক্ত বিবৃতিদাতার বিশ্বাসযোগ্যতার বিরুদ্ধাচরণ বা সমর্থন করার উদ্দেশ্যে এমন সমস্ত বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে, যেগুলি ঐ ব্যক্তি সাক্ষী হিসেবে আহুত হলে প্রমাণিত হত এবং তার জেরার সময় ঐ সমস্ত ঘটনার ইঙ্গিত করা হলে সেগুলির সত্যতা সে অস্বীকার করত।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৫৯ স্মৃতি পুনরুজ্জীবিতকরা সাক্ষী যখন স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দলিলের নকল ব্যবহার করতে পারে
কোন সাক্ষী সাক্ষ্যদানের সময় তার স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যে ঘটনা সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, সে ঘটনার সময় অথবা তার নিকটবর্তী সময় তার নিজের লেখা এমন কিছু দেখে নিতে পারে, যাতে আদালত মনে করতে পারেন যে, তা লিখার সময় ঘটনাটি তার স্মৃতিতে সম্পূর্ণ জাগ্রত ছিল। সাক্ষী অন্যের দ্বারা লিখিত কিছু দেখেও তার স্মৃতি জাগ্রত করে নিতে পারে, যা ঘটনার সময় বা তার নিকটবর্তী যে সময়ে সে পড়েছিল, যদি তা এমন হয় যে, পড়ার সময় তা সত্য বলে সে জানত। কোন সাক্ষী যেক্ষেত্রে কোন দলিল দেখে তার স্মৃতি জাগ্রত করতে পারে, সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিয়ে সে দলিলের নকলও দেখতে পারে;
তবে আদালত অনুমতি দেয়ার পূর্বে নিশ্চিত হবেন যে, মূল দলিলটি উপস্থাপনা করার যথেষ্ট কারণ আছে।
একজন বিশেষজ্ঞ তার পেশা সম্পর্কিত পুস্তক দেখে স্মৃতি জাগ্রত করতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬০: ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত দলিলে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য
কোন সাক্ষী যদি নিশ্চিত থাকে যে, ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত কোন দলিলে সংশ্লিষ্ট ঘটনা সমূহ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে, তবে সে ঘটনা সাক্ষীর নির্দিষ্টরূপে স্মরণ না থাকলেও সে ঘটনা সম্পর্কে সে সাক্ষ্য দিতে পারে।
উদাহরণ- ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত দলিলে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য
কোন হিসাব রক্ষক ব্যবসার রীতি মোতাবেক যেসব বিষয় নিয়মিতভাবে খাতাপত্রে লিপিবদ্ধ করে থাকে, তবে নির্দিষ্ট কোন লেনদেন সম্পর্কে খাতায় লিপিবদ্ধ বিবরণ ভুলে গিয়ে থাকলে ও সে যদি জানে যে খাতাপত্র সঠিকভাবে লেখা হয়েছে, তবে ঐ সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬১ স্মৃতি পুনজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন লেখা সম্পর্কে বিরুদ্ধে পক্ষের অধিকার
উপরে দুই ধারায় যে সব লিপির বিষয় উল্লিখিত হয়েছে, বিরুদ্ধ পক্ষ চাইলে তা অবশ্যই আদালতে উপস্থাপিত করতে হবে এবং বিরুদ্ধ পক্ষকে দেখাতে হবে। বিরুদ্ধ পক্ষ ইচ্ছা করলে সাক্ষীকে তা সম্পর্কে জেরা করতে পারবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬২ দাখিল করা দলিলের অনুবাদ
কোন সাক্ষীকে কোন দলিল হাজির করার জন্য সমন দেয়া হয়ে থাকলে তা যদি তার দখলে বা ক্ষমতাধীনে থাকে, তবে দলিলটির উপস্থাপন বা গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে যতই আপত্তি থাকুক না কেন সাক্ষী অবশ্যই তা আদালতে হাজির করবে। আপত্তির বৈধতা সম্পর্কে আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন।
দলিলটি যদি রাষ্ট্রীয় বিষয় সংক্রান্ত না হয় তবে আদালত উপযুক্ত মনে করলে দলিলটি পরিদর্শন করতে পারবেন অথবা দলিলটির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবার জন্য অন্য প্রকার সাক্ষ্য গ্রহন করতে পারবেন। উপরোক্ত উদ্দেশ্যে যদি দলিলটির অনুবাদ করা প্রয়োজন হয়, তবে দলিলটি সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করার প্রয়োজন না থাকলে এবং আদালত উপযুক্ত মনে করলে দলিলটির বিষয়বস্তু গোপন রাখার জন্য অনুবাদকারীকে নির্দেশ দিতে পারবেন। দোভাষী যদি এরূপ নির্দেশ অমান্য করে, তবে সে দণ্ডবিধির ১৬৬ ধারা মোতাবেক দোষী সাব্যস্থ হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬৩ তলবকৃত এবং নোটিশ অনুসারে দাখিলকৃত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দেয়া
যখন কোন পক্ষ কোন দলিল তলব করে এবং তা হাজির করার জন্য অন্য পক্ষকে নোটিশ দেয়, এবং সে দলিল উপস্থাপিত করা হয় ও তলবকারী পক্ষ তা পরিদর্শন করে, তখন দলিল উপস্থাপনকারী পক্ষ দাবি করলে তলবকারী পক্ষ সে দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দাখিল করতে বাধ্য থাকবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬৪ নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও যে দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করা হয়েছে তা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার
কোন পক্ষ দলিল উপস্থাপন করার জন্য নােটিশ পাওয়া সত্ত্বেও যখন সে দলিল উপস্থাপন করতে অস্বীকার করে, তখন সে পক্ষ পরবর্তীকালে অন্য পক্ষের সম্মতি অথবা আদালতের আদেশ ছাড়া সে দলিল সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।
উদাহরণ -নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও যে দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করা হয়েছে তা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার
ক একটি চুক্তিপত্রের ব্যাপারে খ-এ বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করে এবং তা উপস্থাপন করার জন্য খ-কে নােটিশ দেয়। বিচারের সময় ক উক্ত দলিল তলব করে, কিন্তু খ তা উপস্থাপন করতে অস্বীকার করে । দলিলটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ক দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য দান করে অত:পর ক কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্যের প্রতিবাদ করার জন্য অথবা দলিলটি যে স্ট্যাম্প যুক্ত নয় তা দেখানোর জন্য খ উক্ত দলিল হাজির করতে চায়। সে তা করতে পারবে না।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬৫ জজ কর্তৃক জিজ্ঞাসা করার বা কিছু দাখিল করার আদেশ দানের ক্ষমতা
বিচারক প্রাসঙ্গিক বিষয় আবিষ্কার করার জন্য অথবা তৎসম্পর্কে উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহের জন্য যে কোন সাক্ষীকে যে কোন সময় যে কোন আকারে যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারবেন অথবা প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা সম্পর্কে পক্ষগণকে যে কোন প্রশ্ন ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করতে পারবেন এবং যে কোন দলিল বা বস্তু হাজির করার আদেশ দিতে পারবেন। পক্ষগণ বা তাদের প্রতিনিধিগন অনুরূপ কোন প্রশ্ন বা আদেশ সম্পর্কে কোন আপত্তি করতে পারবে না। অনুরুপ কোন প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী যা বলবে তৎসম্পর্কে আদালতের অনুমতি ছাড়া সাক্ষীকে কোন জেরা করতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে, এ আইন মোতাবেক যে সমস্ত ঘটনা প্রাসঙ্গিক ও যথারিতি প্রমাণিত বলে ঘোষিত হবে, তার ভিত্তিতে মামলার রায় দান করতে হবে। আরও শর্ত থাকে যে কোন সাক্ষীকে বিরুদ্ধপক্ষ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে বা কোন দলিল হাজির করতে বললে এ আইনের ১২১ ও ১৩১ ধারা মোতাবেক সাক্ষী যদি সে প্রশ্নের উত্তর দিতে বা সে দলিল উপস্থাপন অস্বীকার করতে পারে তবে আদালত এ ধারা মােতাবেক কোন সাক্ষীকে উক্তরূপ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে বা কোন দলিল উপস্থাপন করতে বাধ্য করতে পারবে না। এ আইনে ১৪৮ বা ১৪৯ ধারা মােতাবেক অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে যে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা অসঙ্গত, বিচারকও সেরূপ প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন না। ইতােপূর্বে এ আইনে যে সব ব্যতিক্রম উল্লেখ করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে কোন দলিল সম্পর্কে প্রাথমিক সাক্ষ্যদানের আবশ্যকতা আদালত মওকুফ করতে পারবেন না।
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬৬ জুরি বা এসেসর কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা
জুরি বা এসেসরের দ্বারা বিচারাধীন মামলায় জুরি বা এসেসরগণ বিচারকের মাধ্যমে বা তার অনুমতি নিয়ে সাক্ষীকে এমন যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারবেন, যা বিচারক স্বয়ং জিজ্ঞাসা করতে পারতেন বা যা তিনি সঙ্গত মনে করেন।
Chapter XI -Of Improper Admission and Rejection of Evidence
একাদশ অধ্যায় - অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ ও অগ্রাহ্য করা
সাক্ষ্য আইন ধারা ১৬৭ অন্যয়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হলে তজ্জন্য নতুন করে বিচার হবে না
অন্যায়ভাবে কোন সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হয়ে থাকলে যে আদালতে তার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা হয়, সে আদালত যদি মনে করেন যে, যে সাক্ষ্য গ্রাহ্য করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে, সে সাক্ষ্য ছাড়া এমন সাক্ষ্য প্রমাণ আছে যৎদ্বারা আদালতের সিদ্ধান্তের ন্যায্যতা প্রতিপন্ন হয়, অথবা যে সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করা হয়েছে, তা গ্রাহ্য করা হলে আদালতের সিদ্ধান্তের কোন তারতম্য হতাে না, তবে কেবলমাত্র অন্যায়রূপে কোন সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করার অজুহাতেই কোন মামলার পুনর্বিচার বা সিদ্বান্ত পরিবর্তন দাবি করা যাবে না।
টপিকস
সাক্ষ্য আইন দশম অধ্যায় -সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ। ধারা ১৩৫ সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা ও সাক্ষ্য গ্রহন করার ক্রম। ধারা ১৩৬ জজ কোন সাক্ষ্যের গ্রহণযােগ্যতা নির্ধারণ করবেন। ধারা ১৩৭ জবানবন্দী জেরা। ধারা ১৩৮ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম। ধারা ১৩৯ দলিল দাখিলের জন্য আহুত ব্যক্তিকে জেরা। ধারা ১৪০ চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষী। ধারা ১৪১ ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন। ধারা ১৪২ ঐরূপ প্রশ্ন যখন অবশ্যই করা যাবে না। ধারা ১৪৩ ঐরূপ প্রশ্ন যখন করা যেতে পারে। ধারা ১৪৪ লিপিবদ্ধ বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য। ধারা ১৪৫ পূর্ববতী লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে জেরা (Cross Examination)। ধারা ১৪৬ জেরায় যেসব প্রশ্ন আইন সংগত। ধারা ১৪৭ সাক্ষীকে যখন উত্তর দিতে বাধ্য করতে হবে। ধারা ১৪৮ যখন প্রশ্ন করতে হবে এবং সাক্ষী যখন উত্তর দিতে বাধ্য তা আদালত নির্ধারণ করবেন। ধারা ১৪৯ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া প্রশ্ন করা যাবে না। ধারা ১৫০ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত প্রশ্ন করা হলে সেক্ষেত্রে আদালতরে কার্যপদ্ধতি। ধারা ১৫১ অশালীন ও কেলেঙ্কারীজনক প্রশ্ন। ধারা ১৫২ অপমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন। ধারা ১৫৩ সত্যবাদিতা পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরের বিরােধিতা করার সাক্ষ্য বর্জন। ধারা ১৫৪ কোন পক্ষ কর্তৃক নিজের স্বাক্ষীকে প্রশ্ন করা (বৈরী সাক্ষী Hostile Witness)। ধারা ১৫৫ সাক্ষীর বিশ্বাসযােগ্যতা সম্পর্কে অভিযােগ করা। ধারা ১৫৬ প্রাসঙ্গিক বিষয় সমর্থন করার উদ্দশ্যমূলক প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য। ধারা ১৫৭ একই ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর পরবর্তী সাক্ষ্য সমর্থনের জন্য পূর্ববর্তী সাক্ষ্য প্রমাণ করা যেতে পারে। ধারা ১৫৮ প্রমাণিত যেসব বিবৃতি ৩২ ও ৩৩ ধারা মোতাবেক প্রাসঙ্গিক, সেগুলি সম্পর্কে যেসব বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে। ধারা ১৫৯ স্মৃতি পুনরুজ্জীবিতকরা সাক্ষী যখন স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দলিলের নকল ব্যবহার করতে পারে। ধারা ১৬০: ১৫৯ ধারায় উল্লিখিত দলিলে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য। ধারা ১৬১ স্মৃতি পুনজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন লেখা সম্পর্কে বিরুদ্ধে পক্ষের অধিকার। ধারা ১৬২ দাখিল করা দলিলের অনুবাদ। ধারা ১৬৩ তলবকৃত এবং নোটিশ অনুসারে দাখিলকৃত দলিল সাক্ষ্য হিসেবে দেয়া। ধারা ১৬৪ নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও যে দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করা হয়েছে তা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার। ধারা ১৬৫ জজ কর্তৃক জিজ্ঞাসা করার বা কিছু দাখিল করার আদেশ দানের ক্ষমতা। ধারা ১৬৬ জুরি বা এসেসর কর্তৃক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা। ধারা ১৬৭ অন্যয়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য করা হলে তজ্জন্য নতুন করে বিচার হবে না।