- Get link
- X
- Other Apps
Examination of Witnesses Issue of commission and Procedure সাক্ষ্যগ্রহণের কমিশন প্রদান ও উহার পদ্ধতি
Chapter XL -Of Commissions for the Examination of Witnesses
সাক্ষ্যগ্রহণের কমিশন বিষয়ে
Issue of commission and Procedure
কমিশন প্রদান ও উহার পদ্ধতি
ধারা ৫০৩ যখন সাক্ষীর উপস্থিতি বাদ দেওয়া যায়
১) এই বিধির অধীন কোন অনুসন্ধান, বিচার বা অন্য কোন কার্যধারা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, বিচারের লক্ষ্য পূরণকল্পে কোন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা আবশ্যক, কিন্তু বিলম্ব, ব্যয় কিংবা অসুবিধা ব্যতিত উক্ত সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নহে, কিংবা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধা বহন করা অযৌক্তিক, তা হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত উক্ত সাক্ষীকে হাজির হতে রেহাই দিতে পারেন এবং উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের নিমিত্তে সাক্ষী যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে বসবাস করেন, সেই চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-কে, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে কমিশন দিতে পারেন।
২) এবং (২ক) (বাতিলকৃত)।
২খ) সাক্ষী যদি যুক্তরাজ্যে কিংবা বাংলাদেশ ব্যতিরেকে কমনওয়েলথের অপর কোন রাষ্ট্রে বা বার্মায় বাস করে কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক ব্যবস্থা আছে এমন কোন দেশে বসবাস করে, তা হলে সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্ধারিত উক্ত দেশে এই সম্পর্কে কর্তৃত্ববান কোন আদালত বা জজকে কমিশন দেওয়া যাবে।
৩) যে ম্যাজিস্ট্রেট বা অফিসারকে কমিশন দেওয়া হয়েছে তিনি বা তিনি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলে নিজে, কিংবা তিনি এতদৃবিষয়ে যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগ করেন তিনি, সাক্ষী যেখানে আছেন সেখানে গমন করবেন, বা তাকে নিজের নিকট আহব্বান করবেন, এবং এই বিধির অধীন পরােয়ানা মামলার বিচারের ন্যায় এই পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে একই ধরণের ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবেন।
ধারা ৫০৪ মেট্রোপলিটন এলাকায় সাক্ষীর ক্ষেত্রে কমিশন
১) সাক্ষী যদি কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর স্থানীয় এখতিয়ারের সীমার মধ্যে অবস্থান করে, তা হলে কমিশনদানকারি ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালত উক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে কমিশন করতে নির্দেশ দিবেন এবং তিনি অনুরূপভাবে সেই সাক্ষীকে হাজির করে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন যেন তার আদালতে মামলাটি পেন্ডিং আছে।
২) অত্র ধারার অধীন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে কমিশন দেওয়া হলে তিনি কমিশনে প্রদত্ত যাবতীয় ক্ষমতা ও কর্তব্য তার অধীনস্থ কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপর অর্পণ করতে পারবেন।
ধারা ৫০৫ পক্ষসমূহ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারবেন
১) এই বিধির অধীন যে মামলায় কমিশন প্রদান করা হয়েছে, সেই মামলার পক্ষসমূহ কমিশনদানকারি ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত যে বিষয়কে মূল বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন তদ্বিষয়ে প্রশ্নমালা প্রদান করতে পারবেন, এবং কমিশন যখন ৫০৩ ধারায় বর্ণিত কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার নিকট প্রেরিত হয়, তখন ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা উক্ত প্রশ্নমালার উপর ভিত্তি করে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করবেন।
২) মামলার কোন পক্ষ উকিলের মাধ্যমে কিংবা জেলে না থাকলে ব্যক্তিগতভাবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার নিকট হাজির হতে এবং উক্ত সাক্ষীর জবানবন্দি, জেরা ও পুনঃজবানবন্দি, যেখানে যেমন গ্রহণ করতে পারেন।
ধারা ৫০৬ কমিশনের জন্য অধঃস্তন ম্যাজিস্ট্রেটের আবেদন করার ক্ষমতা
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতিত অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এই বিধির অধীন কোন ইনকোয়ারি, বিচার বা কার্যধারা প্রসঙ্গে যদি প্রতীয়মান হয় যে, বিচারে লক্ষ্য পূরণকল্পে কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন দেওয়া উচিত, এবং বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধা ব্যতিত উক্ত সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নহে, অথচ মামলার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উহা করা অযৌক্তিক, তা হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কারণ উল্লেখপূর্বক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর অধঃস্তন হয়ে আবেদন করবেন এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর ইতােপূর্বে বর্ণিত উপায়ে কমিশন দিতে পারবেন কিংবা আবেদনটি অগ্রাহ্য করতে পারেন।
ধারা ৫০৭ কমিশন ফেরৎ প্রদান
১) ৫০৩ কিংবা ৫০৬ ধারার অধীন প্রদত্ত কোন কমিশন যথাযথভাবে সম্পাদিত হওয়ার পর এই কমিশন অনুসারে গৃহীত সাক্ষীর সাক্ষ্যসহ উক্ত কমিশন যে আদালত হতে প্রদত্ত হয়েছিল সেই আদালতে ফেরৎ প্রদান করতে হবে এবং এই কমিশন ইহার বিবৃতি ও সাক্ষ্য যুক্তিসঙ্গত সময়ে পক্ষগণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সকল সঙ্গত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে যে কোন পক্ষের মােকদ্দমায় সাক্ষ্যপ্রমাণে গ্রহণ করা যাবে এবং নথির অংশ হবে।
২) এইরূপে গৃহীত কোন সাক্ষ্য, সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ১নং আইন) এর ৩৩ ধারায় নির্ধারিত শর্তাবলি পূরণ করলে উহা মােকদ্দমার কোন পরবর্তী পর্যায়ে অন্য কোন আদালতেরও সাক্ষ্য প্রমাণে গৃহীত হতে পারে।
ধারা ৫০৮ অনুসন্ধান বা বিচার মূলতবীকরণ
৫০৩ বা ৫০৬ ধারার অধীন কমিশন দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে উহা কার্যকরিকরণ ও প্রত্যপর্ণের উদ্দেশ্যে যুক্তিসঙ্গতরূপে পর্যাপ্ত কোন নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রত্যেকটি অনুসন্ধান, বিচার বা অন্যান্য কার্যধারা মূলতবী রাখা যাবে।
ধারা ৫০৮ক বার্মায় প্রদত্ত কমিশনের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানসমূহের প্রয়ােগ
ধারা ৫০৩ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধানসমূহ ৫০৪ এবং ৫০৫ ও ৫০৭ ধারার বিধানসমূহের যতখানি যে ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার নিকট কমিশন প্রেরিত হয়েছে সেই ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা কর্তৃক উহার সম্পাদন ও প্রত্যপর্ণের সাথে সংশ্লিষ্ট ততখানি ৫০৩ বা ৫০৬ ধারা অনুসারে প্রদত্ত কমিশনের ক্ষেত্রে যেরূপভাবে প্রযােজ্য হয়, সেইরূপভাবে যুক্তরাজ্যে বা বাংলাদেশ ব্যতিত কমনওয়েলথের অন্য কোন রাষ্ট্রে, বা বার্মায় বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক ব্যবস্থা আছে এমন কোন দেশে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের কমিশন সম্পর্কে বলবৎ কোন আইন অনুসারে এতদৃবিষয়ে ক্ষমতাবান কোন আদালত বা জজ কর্তৃক প্রদত্ত কমিশনের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।