- Get link
- X
- Other Apps
Part I -Relevancy of Facts
প্রথম খন্ড- ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা
Chapter I -Preliminary
প্রথম অধ্যায় -প্রারম্ভিক
ধারা ১ সংক্ষিপ্ত শিরােনাম, আওতা ও কার্যকারিতা শুরু
এ আইন ১৮৭২ সালের স্বাক্ষ্য আইন নামে গণ্য হবে।
এটা সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বলবত হবে, এবং ১৯৫২ সনের সেনাবহিনী আইন, ১৯৬১ সনের নৌ-শৃঙ্খলা আইন, অথবা ১৯৫৩ সনের নৌবাহিনী (শৃঙ্খলা) আইন দ্বারা সংশােধিত নৌ-শৃঙ্খলা আইন, অথবা বিমান বাহিনী আইন অনুসারে গঠিত সামরিক আদালত ছাড়া সকল আদালত ও সামরিক আদালতে সকল প্রকার বিচারে প্রযােজ্য হবে। কিন্তু এই আইন আদালত কিংবা অফিসারের কাছে হাজিরকৃত এফিডেভিটে বা সালিশের কার্যক্রমে প্রয়ােগযােগ্য হবে না।
এই আইন ১৮৭২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তারিখে কার্যকরী হবে।
ধারা ৩ সংজ্ঞা
এই আইনে বিষয় কিংবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকলে নিন্মলিখিত শদ্বগুলি ও শব্দসমষ্টিগুলির অর্থে হবে-
আদালত: আদালত বলতে সমস্ত জজ, ম্যাজিস্ট্রেট এবং সালীস ছাড়া স্বাক্ষ্য গ্রহণে আইনত কর্তৃত্বপ্রাপ্ত সমস্ত ব্যক্তিকে বুঝাবে।
বিষয়:
বিষয় বলতে বুঝাবে
(১) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোন কিছু বা কোন কিছুর অবস্থা বা কোন কিছুর সম্পর্কে।
(২) মানসিক কোন অবস্থা, যে সম্পর্কে কোন ব্যক্তি সচেতন।
উদাহরণ -বিষয়
(ক) কোন নির্দিষ্ট বস্তু কোন নির্দিষ্ট স্থানে কোন নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সাজানাে আছে, এটা একটি বিষয়।
(খ) এক ব্যক্তি কিছু শুনেছে বা, দেখেছে, এটা একটি বিষয়।
(ঘ) এক ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট মত পােষণ করে, কোন ইচ্ছা পােষন করে, সরল বিশ্বাসের বা প্রতারণামূলকভাবে কাজ করে, নির্দিষ্ট কোন শব্দ নির্দিষ্ট কোন অর্থে ব্যবহার করে অথবা বিশেষ কোন সময়ে কোন বিশেষ অনুভুতি সম্পর্কে সচেতন আছে বা ছিল, এটা একটি বিষয়।
(ঙ) এক ব্যক্তির কোন খ্যাতি আছে, এটা একটি বিষয়।
প্রাসঙ্গিক:
একটি বিষয়কে অপর একটির প্রাসঙ্গিক তখনই বলা যায় যখন একটি অপরটির সাথে এই আইনের বিষয়ে প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ক বিধানগুলােতে উল্লেখিত বিভিন্ন উপায়ের ভেতর যে কোন একটি উপায়ে যুক্ত থাকে।
বিচার্য বিষয়:
বিচার্য বিষয় শব্দগুলির অর্থ হবে, এমন কোন ঘটনা যা হতে স্বভাবতই অথবা অপর কোন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে, কোন একটি মামলার দাবীকৃত বা অস্বীকৃত কোন অধিকার, দায় অথবা অক্ষমতার অস্তিত্ব অস্তিত্বহীনতা প্রকৃতি বা পরিমাণ অবশ্যম্ভাভী রূপেই প্রতীয়মান হয়।
ব্যাখ্যাঃ দেওয়ানী কার্যবিধি সম্পর্কে বর্তমানে প্রচলিত কোন আইনের বিধান মােতাবেক যখনই কোন আদালত কোন ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্ন লিপিবদ্ধ করেন, তখন অনুরূপ প্রশ্নের, উত্তরে যে ঘটনা সমর্থন বা অস্বীকার করা হয়, তা বিচার্য বিষয়।
উদাহরণ -বিচার্য বিষয়
খ-কে হত্যা করার অপরাধে ক অভিযুক্ত হল। বিচারের সময় নিম্মলিখিত ঘটনাগুলি বিচার্য বিষয়ভুক্ত হতে পারে
ক, খ-এর মৃত্যু ঘটিয়েছে;
ক, খ-এর মৃত্যু ঘটাবার ইচ্ছা করেছিল;
ক, খ-এর নিকট হতে উস্কানি পেয়েছিল;
ক, যে কার্যের দ্বারা খ-এর মৃত্যু ঘটিয়েছে, তা করার সময় মানসিক বিকারের দরুন তার প্রকৃতি উপলব্ধি করতে অক্ষম ছিল।
দলিল:
দলিল অর্থ কোন পদার্থের উপর অক্ষর, অংক বা চিহ্নের সাহায্যে, অথবা উক্ত পন্থাসমূহের একাধিক পন্থায় প্রকাশিত বা বর্ণিত কোন বিষয়, যে পন্থা উক্ত বিষয় লিপিবদ্ধ করার জন্য ব্যবহারের ইচ্ছা করা হয়েছে বা ব্যবহার করা যেতে পারে।
উদাহরণ -দলিল
লিখিত যে কোন জিনিস দলিল মুদ্রিত, লিথােগ্রাফকৃত, ফটোগ্রাফকৃত সমস্ত কথাই দলিল; কোন মানচিত্র বা পরিকল্পনা দলিল; কোন ধাতুখন্ড বা প্রস্তর খন্ডের উপর কিছু খােদাই করা হলে তা দলিল কোনে ব্যঙ্গচিত্র দলিল।
স্বাক্ষ্য: সাক্ষ্য বলতে বুঝায়-
(১) আদালতে যে ঘটনার বিষয় বিচার হচ্ছে, সে সম্পর্কে স্বাক্ষীর যেসব বিবৃতি দেয়ার জন্য আদালত অনুমতি দেয় বা বিচারের জন্য তার যেসব বিবৃতি আদালতের দরকার হয়, এইসব বিবৃতিকে বলা হয় মৌখিক স্বাক্ষ্য।
(২) যে সমস্ত দলিল আদালত দ্বারা পরিদর্শনের জন্য হাজির করা হয়, এসব দলিলকে বলা হয় দালিলীক স্বাক্ষ্য।
প্রমাণিত:
কোন ঘটনা তখনই প্রমাণীত বলে গণ্য হয়, যখন হাজিরকৃত সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আদালত সে ঘটনার অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করেন, অথবা অনুরূপ পরিস্থিতিতে কোন বিবেচনা সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত ঘটনার অস্তিত্ব যতটা অনুমান করে কাজ করা উচিত, আদালত তার অস্তিত্ব সে পরিমানের সম্ভব বলে মনে করেন।
মিথ্যা প্রমাণিত:
কোন ঘটনা তখনই মিথ্যা প্রমাণিত বলে গণ্য হয়, যখন হাজিরকৃত সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আদালত সে ঘটনার অস্তিত্ব নেই বলে বিশ্বাস করেন, অথবা অনুরূপ পরিস্থিতিতে কোন বিবেচনা সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত ঘটনার অস্তিত্বহীনতা যতটা অনুমান করে কাজ করা ইচ্ছা, আদালতে তার অস্তিত্বহীনতা সে পরিমাণে সম্ভব বলে মনে করেন।
অপ্রমাণিত:
কোন ঘটনা যখন প্রমাণিত বা মিথ্যা প্রমাণীত কোনটাই হয় না, তখন তা প্রমাণীত নয় বলে গণ্য হয়।
ধারা ৪ অনুমান করতে পারে May Presume
যেখানেই এ আইনের বিধান আছে যে আদালত কোন ঘটনা অনুমান করতে পারে, সেখানেই আদালত হয় সে ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তা প্রমানিত বলে পরিগণিত করবে অথবা, তা প্রমাণ করার আহ্বান জানাবেন।
অনুমান করবে Shall Presume
যেখানেই এ আইনের নির্দেশ আছে যে, আদালত কোন ঘটনা অবশ্যই অনুমান করবেন, সেখানেই উক্ত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আদালত তা প্রমাণিত বলে পরিগণিত করবেন।
চূড়ান্ত প্রমাণ Conclusive Proof
এই আইনে যখন একটি ঘটনাকে অন্য একটি ঘটনার চূড়ান্ত প্রমাণ বলে ঘােষণা করা হয় তখন আদালত প্রথমােক্ত ঘটনা প্রমাণিত হলেই অন্য ঘটনাও প্রমাণিত বলে গন্য করবেন এবং তা মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য স্বাক্ষ্যদানের অনুমতি দিবেন না।
আলােচনা ও বিশ্লেষণ- অনুমান
এই ধারায় আদালত তিন প্রকার অনুমানের বিষয়ে বর্ণনা করেছে। এ ধারার লক্ষ্যগুলাে হচ্ছে এ আইনের যেখানে বলা আছে "আদালত অনুমান করতে পারেন", সেখানে উক্ত বিষয়কে প্রমাণিত বলে পরিগণিত করতে পারেন, ইচ্ছা করলে উক্ত বিষয়ের ওজরকারীকে তা প্রমাণের আদেশ প্রদান করতে পারেন। আদালত বিষয়টি সত্য গণ্য করতে পারেন আবার অসত্যও গণ্য করতে পারেন। এরূপ অনুমানের বিষয় বিবেচনাপ্রসূত ও খন্ডনীয়। তাই ধরাবাধা কোন বিধান নেই। কিন্তু এ অনুমান সাময়িক। যেমন- সাক্ষ্য আইনের ৮৬ হতে ৮৮, ৯০ ও ১১৪-এর অনুমানের বিষয় আছে।
“অবশ্যই অনুমান করবেন” আদালত এ আইনের যে বিষয়ে এ কথাটি বর্ণনা করেছেন সেখানে ঐ বিষয়কে আদালত সঠিক বলে মেনে নিতে বাধ্য। কিন্তু, মিথ্যা বলে বিষয়টি প্রমাণিত হলে উক্ত অনুমানের প্রয়ােজনীয়তা বহাল থাকবে না। তাই এখানে অনুমানটি খন্ডনীয় দেখা যায়। যেমন- ধারা ৭৯ থেকে ৮৫, ৮৯ ও ১০৫-এর অনুমান।
“চুড়ান্ত প্রমাণ’ বলার কারণে উক্ত আইনে সেখানে ঐ বিষয়কে সঠিক বলে মেনে নেওয়া ব্যতীত আদালতের অন্য কোন অবস্থা থাকে না বলে তাকে খন্ডনীয় অনুমান বলা হয়। যেমন- এ আইনের ধারা ৪১, ১১২ ও ১১৩-এ অনুমানের বিষয়। এ আইনে যেখানে আদালত অবশ্যই অনুমান করবেন বিধৃত হয়েছে সেখানে ঐ বিষয়কে আদালত সঠিক প্রমাণিত বলে গণ্য করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা মিথ্যা প্রমাণিত না হয়। অবশ্য এ অনুমানকে চূড়ান্ত প্রমাণ হতে আলাদা দেখানাে হয়েছে।
তিন ধরনের সাক্ষ্য প্রদানের কিংবা হাজিরার বিধান দেখা যায়; যথা- অনুমান করা যেতে পারে, অনুমান করতে হবে ও নিশ্চিত ও অখন্ডনীয় তথা চূড়ান্ত প্রমাণ বলে ধরে নিতে হবে এরূপ বিধান প্রদান করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রমাণকে অখন্ডনীয় বলে গণ্য করা হয়েছে।